নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Inferno - নরক ও পৃথিবীর তফাতের গল্প

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৪



Inferno (স্পয়লার এলার্ট)
.
ইনর্ফানো মুভিটা দেখে কেন যেন মাথাটা খারাপ হয়ে গেলো । কত কষ্ট করে এই পুরো বইটা পড়লাম আর মুভিটা এটা কেটে কুচি কুচি করে সারাংশতে সাজিয়েছে । যাইহোক .... এটাই স্বাভাবিক । মুভি আর বই তো আর এক হয় না ।
.
কাহিনী সংক্ষেপ - এক উগ্রপন্থী কোটিপতি বাইলোজিষ্ট পৃথিবীকে তার অতিরিক্ত জনসংখ্যার বোঝা থেকে মুক্ত করতে চায় । তাই সে দ্বারস্থ হয়েছে ষোলশ শতাব্দিতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ব্ল্যাক ডেথ তথা প্লেগের জীবানুর । যা সে পুণরায় মানুষের মাঝে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে । অতীতে এই ভাইরাস পুরো ইউরোপকে অর্ধেক করে দিয়েছিলো । এবার পুরো পৃথিবীর জনসংখ্যাকে অর্ধেক করে দিবে । তার অনুগামীরা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে কেবল একটু দুরে । কোথায় কখন কিভাবে এই তিনটের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেড়িয়েছে স্মৃতিভ্রষ্ট রর্বাট ল্যাংডন । তার মধ্যে এক রহস্যময়ী তরুণী বার বার তাকে বিপদে ফেলে চলেছে।
.
ইনফার্নো ২০১৩ সালে প্রকাশিত মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউন রচিত একটি রহস্য, রোমাঞ্চ উপন্যাস। যার উপর ভিত্তি করে এই মুভিটি তৈরি করা হয়েছে । ড্যান ব্রাউন তার সৃষ্ট চরিত্র রবার্ট ল্যাংডনকে নিয়ে চতুর্থ বই। এর আগের কিস্তিগুলো হল অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস, দ্য ভিঞ্চি কোড এবং দ্য লস্ট সিম্বল। যার মাঝে অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস, দ্য ভিঞ্চি কোড নিয়ে মুভি হয়েছে ।
.
নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে এই ধরণের ঘটনা (ভাইরাস রিলিজ , পৃথিবী বাঁচানো) সংক্রান্ত মুভি নতুন না । তবে যা এই মুভিটিকে অন্যান্য মুভিগুলো থেকে অনন্য করেছে তা হলে এর ড্যান ব্রাউনের দুদার্ন্ত তথ্য সমৃদ্ধ কাহিনী । বিশেষ করে নরকের স্তরগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা । সিম্বল, ইতিহাস আর বাঁকে বাঁকে সাসপেন্সে ভরে রেখেছে মুভির পুরোটুকু । তবে যাদের বইটা পড়া থাকবে তাদের হয়তো আরো বেশি ভালো লাগতে পারে ।



মাই রেটিং - ০৭/১০

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪২

কালীদাস বলেছেন: রবার্ট ল্যাংডনের কাজকর্ম দেখতে হলে আগে মাথা পুরো পরিষ্কার করে বসতে হয়; যেকারণে এন্জেলস এন্ড ডেমোন পিসিতে আছে অনেকদিন, কিন্তু এখনও দেখা হয়নি। ভিঞ্চি কোড অবশ্য ব্যাপক ইন্টারেস্টিং লেগেছিল আমার। এটাও অজস্র গিট্টুর মুভি মনে হল ট্রেইলার থেকে। দেখি, কখন বসতে পারি।
ট্রেইলরের জন্য থ্যাংকস :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৫

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।
তবে ইনফার্নো অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস, দ্য ভিঞ্চি কোড এর ধারের কাছে যাবে না ।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫২

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এধরনের জট লাগানো মুভি অনেক ভাল লাগে। যেন দাবা খেলছি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৬

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: সহমত ;)

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

সুমন কর বলেছেন: রিভিউ ভালো লিখেছেন। কিছু দিন আগেই দেখলাম। আগের পর্ব ২টির (অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস ও দ্য ভিঞ্চি কোড) মতো লাগেনি। আরো ভালো'র প্রত্যাশা ছিল। তবে সবার অভিনয় বেশ হয়েছে।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: দেখেছি এটা যদিও আমার ততটা ভালোলাগেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.