নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার ব্যাপারে কিছু আইডিয়া

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৪


দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানার ব্যাপারে আমার নিজস্ব একটা সলিউশন/আইডিয়া আছে। জানিনা সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার আইডিয়াটা পৌঁছাবে কিনা তো জানি না। তবে এই বিষয়ে লিখতে না পারলে বিবেকের কাছে আমার দায়বদ্ধতা এড়াবে না। আইডিয়াটা শেয়ার করার আগে কিছু ভূমিকা দেয়া প্রয়োজন।

দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি স্বাধীনতার পর থেকে কোন সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল এরকম কোন রেকর্ড আমার চোখে পড়ে না। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে মধ্যসত্বভোগীদের বিলুপ্ত করে বাজার ব্যবস্থাপনা সরাসরি রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালনা হয় বিধায় দ্রব্যমূল্যের দাম কম থাকে। কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটা সম্ভব না। বাংলাদেশের সকল সরকার বাজার ব্যবস্থার নীতি নির্ধারণে ক্যাপিটালিজম ও কমিউনিজম অর্থ ব্যবস্থার মাঝামাঝি একটা নীতি গ্রহণ করে চলছিল।

সমস্যা দেখা যায় যখন রাষ্ট্র ব্যবস্থা দুর্নীতির কারণে ঘুণে ধরে। তখন রাষ্ট্র সঠিকভাবে পারফর্ম করতে পারে না। অর্থনৈতিক বিষয়টিতে মনোপলির রাজত্ব চলে। দেশ চালায় ব্যবসায়ীরা। দেশের নীতি নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবে সেখানে জনসাধারণের সেবা গুরুত্ব পায় না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বাজার ব্যবস্থা দখল করে নেয়। প্রশাসনে যারা বাজার তদারকির দায়িত্বে আছে তারা বিক্রি হয়ে যায় সিন্ডিকেটের কাছে। কথা না শুনলে হয়ে যায় বদলী। ফলে রক্ষক হয়ে যায় ভক্ষক। প্রশাসন তখন আর বাজার কন্ট্রোল করতে পারে না। কারণ সিন্ডিকেট তখন প্রশাসন কন্ট্রোল করছে। বর্তমান সরকারও উত্তরাধিকার সূত্রে এই মাথা ব্যাথা টা পেয়েছে। সিন্ডিকেট ডিস্ট্রয় করার সামর্থ্য তাদের নেই। কারণ সিন্ডিকেটের সদস্যদের খুঁজে বের করে ডিস্ট্রয় করবে প্রশাসন। আর প্রশাসনের আমলারাই এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য।

যাই হোক, এখন মূল পয়েন্টে আসি। আমার মনে হয় না বর্তমান সরকার আমলাদের অসহযোগিতার কারণে সিন্ডিকেট কন্ট্রোল বা ডিস্ট্রয় করতে পারবে। যা করতে হবে আমাদেরই করতে হবে। ভোক্তা অধিদপ্তরকে দিয়ে কিছু হবে না। সরকারি অধিদপ্তরের বাহিরে বেসরকারি কোন সংস্থা তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এক নখদন্তহীন ভোক্তা সংস্থা আছে। তার নাম বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতি (ক্যাব)।

এটি এমন একটি সংস্থা যে মাঝে মাঝেই মানববন্ধন করে আর পত্রিকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বক্তব্য দিয়ে প্রেস রিলিজ করে দায় সারে । এটাই তাদের মূল কাজ। এর বাহিরে কোন কাজ তারা করতে চায় না বা পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন কোন সংগঠন গড়ার চেয়ে এই সংগঠনকে টেকওভার করে এক যোগ্য ব্যক্তির হাতে সঁপে দিতে হবে। তারপর স্টেপ বাই স্টেপ শুরু করতে হবে।

প্রথমতঃ ক্যাবকে দিতে হবে সর্বোচ্চ মিডিয়া কভারেজ। ক্যাবের প্রধানের যেকোনো বক্তব্যকে প্রায়োরিটির ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রচার করতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশের শিক্ষিত শ্রেণীর বড় একটা অংশকে ক্যাবের সদস্য করতে হবে। সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (যেমন সরকারী বেসরকারি টিভি চ্যানেল, জাতীয় ও লোকাল পত্রিকা, ফেসবুক, ইউটিউবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে) বিপুল প্রচারণা চালিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাবের সদস্য হতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির যুগে ৩/৪ কোটি জনসংখ্যাকে একটা অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসা খুব একটা কঠিন কাজ না। অ্যাপের সাবস্ক্রিপশন ফি হবে মাসে ১ টাকা বা বছরে মাত্র ১২ টাকা।

তৃতীয়তঃ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবকদের একটা কমিটি (১০-৩০ জনের) গঠন করতে হবে এবং এই কমিটির প্রধান সদস্য হিসেবে কোন আইনজ্ঞ ব্যক্তি থাকবে এবং সদস্যদের বড় অংশ অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হতে হবে। ক্যাব তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রতি মাসে বেতন দিবে। কমিটির সদস্যরা প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে স্থানীয় বাজারের দ্রব্যমূল্যের রিপোর্ট হেড অফিসে জমা দিবে।

চতুর্থতঃ যখনই কোন পণ্যের দাম যৌক্তিক কারণ ছাড়া অস্বাভাবিক হারে বাড়বে (যেমন তেলের দাম বাড়ার কারণে কিলোমিটার প্রতি এক টাকা খরচ বাড়তি হলেও পণ্যের দাম বাড়ার অনুপাত দ্বিগুন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) সেই পণ্যগুলোকে রেড মার্ক করা হবে।

পঞ্চমতঃ এইসব রেড মার্ককৃত পণ্যকে সরাসরি মিডিয়াতে কভার করতে। অ্যাপ ব্যবহারকারী (বা নরমাল মোবাইল ব্যবহারকারী) প্রতিটা মোবাইলে রেড এলার্টের এস এম এস চলে যাবে। বলা হবে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এই এই পণ্য বর্জন করতে এবং বিকল্প পণ্য ব্যবহার করতে। দাম বাড়া কমার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনে নির্ধারিত সময় হ্রাস বৃদ্ধি করা যাবে। অ্যাপ ৩/৪ কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে ১০/২০ লাখ সদস্যও যদি তা মান্য করে। দ্রব্যমূল্য সরকারি কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই, কোন সহিংসতার আশ্রয় না নিয়ে এমনিতেই কন্ট্রোলে চলে আসবে।

এটা আমার প্রাথমিক পরামর্শ। এই লাইনে বিজ্ঞ সমাজের আরো চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে। লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে লিখছি না। সুবিবেচকদের পরামর্শ কামনা করছি।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু, এডভোকেট/

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি ছোট একটি শব্দ বলতে চাই
বিদেশে দ্রব্যমূল্য কিভাবে নিয়ন্ত্রন হয় ?
আমরা কেন পারছিনা ?
শর্ষের ভূত ছাড়াবে কে ???

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: সিন্ডিকেটকে মারতে হবে। সমস্যা হলে এটা করাই মুশকিল।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক রাখা।সেটা উৎপাদন করেই হোক আর আমদানি করেই হোক।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এটা সরকারি তত্ত্বাবধানে না রাখলে কাজ হবে না

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

নাহল তরকারি বলেছেন: ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.