![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু দিন পর আমাদের মতো শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামবে পরিক্ষা বাতিলের দাবিতে! নিজেকে কি একটুও যাচাই করতে হবে না ?
১. পূর্বের রচনামূলক পদ্ধতি
যে রচনামূলক পদ্ধতিতে তার কাঠামোটা ছিল এ রকম- বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো ০৬টি, প্রতিটির নম্বর ১০, মোট ৬০। আর ছোট প্রশ্ন উত্তর দিতে হতো ০৮টি, প্রতিটির মান ০৫, মোট ৪০। সর্বমোট ১০০। যেসব বিষয়ের ব্যবহারিক থাকতো সেগুলোর লিখিত পরীক্ষার মোট নম্বর থাকতো ৭৫ (০৫টি বড় আর ০৫টি ছোট), ব্যবহারিক ২৫।সময় তিন ঘন্টা।এখানে এক তা বা তার বেশি ও লিখতে হতো।উত্তর না হলে নম্বর পাবার সম্ভাবনা নেই।এই পদ্ধতিতে পাস করতো কম।বই থেকে হুবহু প্রশ্ন আসায় একটু বেশিই জটিলতা থাকতো।বেশি করে মুখস্থ করতে হতো।এখানে ব্যবহারিক নম্বর পাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য ছিল।নিজস্ব মতামতের সুযোগ ছিলো না।
২. বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতি
সৃজনশীল পদ্ধতিতে ০৯টি থেকে ০৬টির (২০১৭ সাল থেকে ১০টির মধ্যে ০৭টির) উত্তর দিতে হয়। প্রতিটির মান ১০, মোট ৬০।সময় তিন ঘন্টা।এখানে তিন বা সাড়ে তিন পৃষ্ঠার প্রযোজ্য ((যারা লেখার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কাঠামো তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়, তারা মনে করে সৃজনশীলে বেশি বেশি লিখতে হয়))।উত্তর না হলেও নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।এই পদ্ধতিতে পাস করে বেশি।এখানে জ্ঞান আর অনুধাবন ছাড়া বাকি দুটো প্রশ্ন বেসিক নলেজ থেকেও আংশিক দেওয়া যায়।মুখস্থ করতে হয় খুব কম।পরীক্ষার হলে না গিয়ে ও ব্যবহারিক নম্বর পাওয়ার নজির রয়েছে।নিজস্ব মতামতের সুযোগ আছে।
স্বল্প সময়ে অধিক উত্তর দেয়াটাই মেধা বিকাশের মাধ্যম । এতে ভাল ও মন্দ শিক্ষার্থীর পার্থক্য বুঝা যায় ।এটাও একটা প্রতিযোগীতা । সুতরাং নিয়ম না মানলে তার মত শিক্ষার্থী পাশ করিয়ে বোঝা বাড়িয়ে লাভ নেই ।
আমাদের থেকেও শিক্ষা বিশ্লেষকরা আরো ভালো বুঝেন।অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।এখনো নিজের ভালো বুঝার ক্ষমতা আমাদের হয়ে উঠে নি।যা করা হচ্ছে আমাদের ভালোর জন্যই করা হচ্ছে।এতোটা উদ্বিগ্ন, আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে লাভ নেই।নিজের পায়ে কুড়াল মারলে নিজেরই ক্ষতি হয়।
©somewhere in net ltd.