![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সবচেয়ে পুরোনো মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বকেয়া পরিশোধে সিটিসেলকে বারবার সময় দেওয়ার পরও তা পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি বাবদ পাওনার পরিমাণ ২২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বার্ষিক তরঙ্গ ফি বাবদ ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ ১৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
গ্রাহকসহ সিটিসেল–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা বা সেবা নেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হলো। সিটিসেলের টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সিটিসিলের প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। তবে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে। যাত্রার সময় এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মুঠোফোন অপারেটর। প্রথম থেকেই সিটিসেল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) মোবাইল অপারেটর হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকমের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সিটি সেলের সাথে বকেয়া থাকে কি করে । আদায়ের দায়িত্ব যাদের ছিল তারা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল । সিটি সেলের অর্থ আদায়ের সাথে সংস্লিষ্টদের দায় দায়ীত্ব নিরোপন করা হোক । Money should be recovered from the persons at fault.
ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে পোস্ট দেয়ার জন্য ।