![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের স্কুলের শিক্ষক সবার প্রিয় নজরুল ভাই আমাকে খুব পছন্দ করেন।
গত বছর থ্যাংকস গিভিং –ডে এর র ডিনার টেবিলে বসে উনার সাথে টেলিফোনে অনেক কথা হলো । আমি তো অনেক দিন বিদেশে বিভিন্ন দেশে থাকলাম । তাই উন্নত দেশের কিছু অভিজ্ঞতা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করি সে বিষয়ে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন ।
এ বিষয়ে আমরা যারা বিভিন্ন দেশে থাকি তারা সবাই যেন কিছু কিছু লিখি সেই প্রয়াসে তিনি একটা পেজও ওপেন করলেন । পেজটির নাম '' Way to civility-সভ্যতার খোঁজে'' । তাও প্রায় বেশ কিছুদিন গত হল। কারো লেখা এখনও এলো না । আশা করছি সবাই তাদের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন ।
আমি অনেক দিন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে আমার ছোট পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমার কিছু ছোট ছোট অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেস্টা করব।আজকে একটি ছোট অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
আমাদের দেশে প্রায়ই স্কুল,কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় প্রতিবছর অনেক ছাত্র-ছাত্রী শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশের রাস্তা পারাপারের সময় মারাত্মক এক্সিডেন্ট হয়ে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করছে অথবা কেউ পঙ্গু হয়ে সারা জীবন অন্যের বোঝা হয়ে জীবন যাপন করছে ।
অথচ যদি এ দেশের মত কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ আমাদের দেশে এক্সিডেন্টের হার কমে যেত বিস্ময়রকর ভাবে ।
এখানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশে পাশের সবগুলো রাস্তার ( ক্লাস শুরু হবার ৩০ মিনিট আগে থেকে ক্লাস বসে যাবার ১৫ মিনিট পর পর্যন্ত এবং স্কুল ছুটি হবার ১৫ মিনিট আগে থেকে ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত) যানবাহনের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় মাত্র২০ মাইল/ঘন্টা। স্কুল জোনের সীমানায় দুই পাশে হলুদ লাইট ফ্লাশিং করতে থাকলে সবাই বুঝতে পারবে স্কুল জোন স্পীড লিমিট মেনে চালাতে হবে। লাইটের নিচে লেখা রয়েছে স্কুল জোন স্পীড লিমিট ২০/ঘন্টা । আশে পাশে পুলিশ যানবাহনের গতিমাপক গান নিয়ে প্রহরায় থাকে ।
কেউ আইন অমান্য করলে সাথে সাথে তাকে ধরে জরিমানার রিসিপ হাতে ধরিয়ে দেবে। যে জরিমানার পরিমাণ হবে সাধারণের প্রায় এক সপ্তাহের আয়ের সমান। তদুপরি সবগুলি স্কুল জোন এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা নিরাপদে পারাপারের জন্যে স্কুল জোন গার্ড স্টপ সাইন হাতে স্টপ সাইন উঁচু করে ধরে যানবাহন থামিয়ে পারাপারে সহায়তা করে থাকে । এ কারণে এখানে স্কুল জোন এলাকায় এক্সিডেন্টের হার প্রায় শূন্যের কোঠায় ।
আমরা কি পারি না আমাদের দেশে এমন একটি সুন্দর নিরাপদ স্কুলজোন এলাকা নিশ্চিত করতে । আমাদের দেশে কত স্বেচ্ছা সেবক সংগঠন পথে ঘাটে মাঠে । আমরা কি পারি না অন্তত স্কুলজোন গার্ড নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন গড়ে তোলতে । যারা ক্লাস শুরুর সময় এবং ছুটির সময় আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে সহায়তা করবে ।আসুন এমন একটি স্কুল জোন গার্ড সংগঠন গড়ে তুলতে আজই শপথ নিই ।
দেশটা আমাদের। দেশটাকে বদলে দিতে পারি আমরাই। সুন্দর নতুন এক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারি আমরাই।
কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ।...............................................................................................................................
টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র,
হাত ফোন +18179661504
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৮
মা.হাসান বলেছেন: বাংলাদেশ আমেরিকা না। এখানকার গাড়িচালকরা অনেক সচেতন। সরকার অনেক আন্তরিক। জনসংখ্যার তুলনায় সড়ক দূর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কম। এর পরেও কিছু দূর্ঘটনা ঘটে, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী অসতর্ক পথচারীরা।
বিশ্বাস না হলে প্রমান দেখুন: road accident: people should be more careful
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৮
স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের সিস্টেমেই তো গলদ। কোন যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষার ব্যবস্থা কুব খারাপ।
মাঠ নেই, ফ্ল্যাট বাড়ির মধ্যে স্কুল তাও চিপা গলির শেষ মাথায়।
একটা দেশের উন্নতির জন্য সবার আগে মনোযোগ দিতে হয় শিক্ষাখাতে। প্তহচ আমাদের দেশ শিক্ষাখাতে খুব বেশি অবহেলিত।
রবীন্দ্রনাথ তার প্রবন্ধে বলে গেছেন কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে শিশুদের। রবীদ্রনাথের পথেই আমাদের যেতে হবে।