নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবরের ব্লগ

অথৈ সাগর

www.facebook.com/othoiisagor

অথৈ সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"নারীর বস্ত্রহরণ/ শ্লীলতাহানী " আমাদের দেশের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়াবে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫২

কোন একবার থার্টিফার্স্ট নাইটে বাধন নামের একটি মেয়ের শ্লীলতাহানী হল এবং দোষ পরল পাশ্চাত্য সভ্যতার । সেইদিন থেকে আমার ধারনা ছিল ইউরোপ আমেরিকায় থার্টিফার্স্ট নাইটে সবাই মদের বোতল নিয়ে মাতাল হয়ে দৌড়ায় , চান্স পেলে মেয়েদের শ্লীলতাহানী করে । রাস্তাঘাটে হর্ন বাজাতে বাজাতে প্রচন্ড স্পীডে ঘুরে বেড়ায় ।



আমি সিঙ্গাপুরে দুইবার থার্টিফাস্ট উৎযাপন করেছি । দেখেছি তারা কতটা শালীন , ভদ্র এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । এখানে বেশির ভাগ ছিল ইউরোপ আমেরিকার টুরিস্ট । আমি ভেবেছিলাম অন্য দেশ দেখে ভদ্র হয়ে আছে কিন্তু নিজ দেশে থাকলে ঠিক ফাটিয়ে ফেলত।



এবার ২০১৪ এর থার্টি ফাস্টে ছিলাম সানফ্রানসিসকোতে । সন্ধ্যার সময় ইমিগ্রেশন অফিসার বলল আমেরিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম সেলিব্রেশন হয় এখানে । গোল্ডেন গেট ব্রিজের কাছে আতশবাজি হয় । এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য সারা পৃথিবী থেকে পর্যটক আসে । রাত নটার সময় হাজির হলাম সানফ্রানসিসকো সেন্টারে । হাজার হাজার লোক দলে বলে ছুটে চলছে । কিন্তু কোন হৈ চৈ নেই , ধাক্কাধাক্কি নেই । বিশাল লম্বা ট্রাফিক কিন্তু কোন হর্ন বাজছে না। ছুটাছুটি করা একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম "সবাই কোথায় ছুটছে ?" তার কাছ থেকে জানলাম অধিকাংশ হোটেল এবং পার্টি সেন্টার আগে থেকেই বুকড । সবাই একটু জায়গার আশায় বিভিন্ন হোটেলে ঢু মারছে ।রাত ১২টা নাগাদ কফি হাউজ , রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্ট সব হাউজফুল। আমরাও একটা খাবার দোকানের পাশে অবস্থান নিলাম। খুব অবাক হয়ে কিছু ব্যাপার লক্ষ করলাম। এই যে এত মানুষ কথা বলছে পাশের টেবিলে বসেও আমরা কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু আমাদের চারজনের কথা মনে হয় রেস্টুরেন্টের সব কোনা থেকে শোনা যাচ্ছিল। ঘড়ির কাটায় ঠিক বারটা । আতশবাজি শুরু হয়েছে । সবাইকে বাইরে দাড়িয়ে উপভোগ করছে হাততালি দিচ্ছে । তারপর যে যার হোটেলে ফিরে গেল ।সেখানে যে যার মত উজ্জাপন করছে । জাহাজে ফিরব এমন সময় দেখলাম সারি সারি লোক বের হয়ে আসছে। ট্যাক্সির জন্য বিশাল লাইন। কথা বলে জানলাম সরকারি ভাবে রাত ২টায় সব অনুষ্ঠান শেষ করতে বলেছে । তাই রাত দেরটার মধ্যেই হোটেল মালিকরা অনুষ্ঠান শেষ করে দিয়েছি । কোথাও কোন মাতলামি নেই , নেই হর্ন বাজিয়ে ছুটে চলা গাড়ি,কোন নারীকেও কেউ দৌড়ানি দিচ্ছে না। এবং কারো হাতেই কোন বোতল দেখলাম না। কথা বললাম আমেরিকায় বসবাস করা এক কাজিনের সাথে । সে জানাল "লাসভেগাসেও" এমন শান্তিপূর্ণ ভাবে নববর্ষ উৎযাপন হয়েছে।



এখন সুশীল সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন "কোন পাশ্চাত্য সভ্যতাকে আমাদের তরুণরা ফলো করছে?" কেন আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার দোষ দেই।



আসলে দোষ আমাদের। আমরা কোন বস্ত্রহরণ/ শ্লীলতাহানী হলে একে অপরের দোষারোপ করি। মাঝদিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। টিএসসিতে যে দুর্ঘটনা হয়েছে -সেখানে ছিল হাজার হাজার মোবাইল ক্যামেরা, লক্ষ লক্ষ DSLR এবং তিনস্তর নিরাপত্তার অনেক গুলো ছি ছি ক্যামেরা । তারপরও বলছি কেউ ধরা পরবে না। এবং এটাও আমাদের দেশের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়াবে । ততদিন পর্যন্ত মজা লুটবেন যতদিন পর্যন্ত নিজ বোন কিংবা স্ত্রী/ প্রেমিকা ভিক্টিম না হয়।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৪

জ্বলন্ত রিপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। বাঙালি পাশ্চাত্যের ভাল দিক নিতে পারল না, নিল খারাপ দিকগুলো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০১

অথৈ সাগর বলেছেন:
ধন্যবাদ । যে কোন সভ্যতার খারাপ দিকটা গ্রহন আমাদের দেশের সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৭

কিং ফাহিম বলেছেন: বাঙ্গালী আসলেই অশ্লীল জাতিতে পরিণত হচ্ছে সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে....

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

অথৈ সাগর বলেছেন:
খুব অল্প সংখ্যাক বদমাশ লোকের হাতে আমরা জিম্মি।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নারী অবমাননাকারীরা নিপাত যাক। ভালো লাগলো আপনার লেখা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২১

অথৈ সাগর বলেছেন:
এত ক্যামেরা , এত গুলো চোখ!! কেউ কি জানে না কারা করেছে ? সবাই জানে । কিন্তু এর কোন শাস্তি হবে না।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৩

নীরব দর্শক বলেছেন: সব সময়েই ভার্সিটিতে এমন ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে। হয়ত কখনো বেশি কখনো কম। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আহত হওয়া ও লাকির স্ট্যাটাসটার কারনে এবার একটু বেশি লাইম লাইটে এসেছে। রাজশাহী ভার্সিটিতেও এমন ঘটনা আমি রাজশাহী থাকাকালীন দেখেছি।

এদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ হয় না, সবাই চিনলেও কেউ কিছু বলে না, তথাকথিত সুশীলরা নিশ্চুপ। আজ দেখলাম ফেসবুকে কয়েকজন ব্যাপারটাকে নাটক বলে চালাচ্ছে, দেখবেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিবে না।

আমরা বাঙালিরা একটা দুর্ভাগা জাতি হয়েই থাকব !

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০০

অথৈ সাগর বলেছেন:
মুক্তমনারা করলে তো নাটকই হবে । তথাকথিত সুশীলরা নিশ্চুপ কারন থলের বিড়াল বেড়িয়ে যাবে। ধন্যবাদ ।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: যে সংস্কৃতি পালনে আমাদের বোনদেরর নির্যাতিত হতে হয়, তা পালন করার বাধ্যবাধকতা কতটুকু???

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

অথৈ সাগর বলেছেন: বাধ্যবাধকতা কোথায় ? যার ইচ্ছে যাবে । কেউ তো আর জোড় করছে না ভাই । কিন্তু কথা হল মাথা ব্যাথার ওষুধ মাথা কেটে ফেলা না।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৭

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: আর কতদিন এসব সহ্য করবো আমরা? নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করা উচিত। যেখানোই কোন ইভটিজার, উত্তপ্তকারী দেখবেন। ধরে মাইর দিবেন। "আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না" এসব ফিল্মী ডায়লগ বাদ দেন ভাই। দুইটাকে মাইর দিলে সাথের তিনটাও ঠিক হয়ে যাবে। লেখা ভালো লাগলো।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

অথৈ সাগর বলেছেন:
ধন্যবাদ । টিভি ক্যামেরা ছিলো সেখানে, ছিলো ফটো সাংবাদিক, যা কিছু দেখে ছবি তুলে ধরণের মানুষ ছিলো, ছিলো ডিএসএলআর বাহিনী । পুলিশের সিসি ক্যামেরার কথা না হয় বাদ দিলাম। এসব জিনিস কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ইচ্ছে করলেই বের করতে পারার কথা কারা দায়ী। এমনকি অন লাইনে অনেক ছবিও পাওয়া যাচ্ছে।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

সুফিয়া বলেছেন: এটা যার যার বিকৃত মানসিকতার পরিচয়। পাশ্চাত্য সভ্যতার দোহাই যারা দেয় তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো নিজেদের মধ্যে পোষণ করা এই বিকৃত মানসিকতাকে আড়াল করা।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪০

অথৈ সাগর বলেছেন:
অনেকটা কানাকে হাইকোর্ট দেখানোর মত :) ধন্যবাদ ।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

ভিটামিন সি বলেছেন: আমিও সিংগাপুরে ৭টা ই্ংরেজী ও চায়নিজ নববর্ষ উদযাপন দেখলাম। কোথাও তেমন কোন আপত্তিকর কিছু ঘটতে দেখিনি আজও। এসবই আমাদের সভ্যতার, ভব্যতার অবাব। মানবিক গুনাবলি আমাদের মাঝে বিদ্যমান না থেকে পাশবিক বদগুনগুলি ঢুকে পড়েছে আমাদের ভিতর। উত্তরণের উপায় জানা নেই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:২০

অথৈ সাগর বলেছেন:
উত্তরনের একমাত্র উপায় কঠিন শাস্তি । কিন্তু যারা এধরনের অপকর্ম করে তারা থাকে সরকারি দলের ছায়ায় । তাই কিছুই হয় না । কিছুদিন পর গর্ব করে বলব 'মিডিয়া/পাবলিক" কিছুই করতে পারবে না আমাদের।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

সাজসাজু বলেছেন: বেড়া যখন খেত খায় তখন কারো কিছু করার থাকে না । আমাদের ও একই হাল। সবাই দেখেও না দেখার ভান করে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

অথৈ সাগর বলেছেন:
সবাই এক হলে বেড়া ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া যায় । এত গুলো লোক সবাই এক সাথে ফু দিলে ওরা উড়ে যেত।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

সুমন কর বলেছেন: দেশের অবস্থা আগে এত খারাপ ছিল না !! এখন কেন এসব হচ্ছে !!

আমরা কি শিক্ষিত হচ্ছি নাকি পশু !!!


লেখা ভালো লাগল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

অথৈ সাগর বলেছেন:
একটা গ্রুপ অতিরিক্ত আত্নবিশ্বাসে ভুগছে । এই দিন দিন না । ধন্যবাদ ।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ততদিন পর্যন্ত মজা লুটবেন যতদিন পর্যন্ত নিজ বোন কিংবা স্ত্রী/ প্রেমিকা ভিক্টিম না হয়।...সহমত!

অন্তঃসারহীন জাতি যতই চেতনার কথা বলুক না কেন, স্বরূপ প্রকাশ পাবেই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৩

অথৈ সাগর বলেছেন:
অনেকেই হাততালি দেয় কিন্তু জানে না একদিন সেও ভিক্টিম হতে পারে।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

হিল্লো্ল বলেছেন: খুব ভাল

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৩২

অথৈ সাগর বলেছেন:
ধন্যবাদ ।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

আনাস মাহমুদ বলেছেন: সহমত!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

অথৈ সাগর বলেছেন:
ধন্যবাদ ।

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

সোহান মোল্লা বলেছেন: সত্যিকারের মানুষ ও অমানুষের মধ্যে পার্থক্য এখানেই ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২০

অথৈ সাগর বলেছেন:
আসলেই এরা কেউ মানুষের বাচ্চা বলে মনে হয় না।

১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

yasmina বলেছেন: Desher manus er prokrito shikkhar ghat ti er karon

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২২

অথৈ সাগর বলেছেন:
কিছু লোকের জন্য সবাইকে কেন দোষারোপ কেন করছেন ।

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এইসব হেরাজমেন্টের মূল কারণটা বোধহয় আমাদের জাতিগত অবক্ষয়। ব্লগার অস্পিসাস প্রেইসের একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস আমার কাছে অনেক যৌক্তিক মনে হয়েছে। নিচে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দিলাম।

ঢাকা শহরে এমন কমপক্ষে ১০০টি পাড়ামহল্লা আছে। যার প্রতিটা থেকে ১৫-২০ জন ছেলে ছোকড়ার গ্রুপ পয়লা বৈশাখে রমনা এলাকায় যায় শুধু মেয়েদের স্পর্শ করতে। সোজা কথায় ইভ টিজিং বা যৌন হয়রানি করতে।এটা বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে।
এলাকার ছোটরা কিশোর / শিশু বয়স থেকে দেখে যে রাস্তার মোড়ে আড্ডা মারা এলাকার রংবাজ টাইপ বড়ভাইরা পয়লা বৈশাখে এসব করতে রমনা এলাকায় যায়। পরে এলাকায় ফিরে টিজিং করার অভিজ্ঞতাগুলো তারা রসিয়ে রসিয়ে বর্ণনা করে। কে কয়টা মেয়ের শরীরের কোন কোন অংশে কতটা বাজে ভাবে স্পর্শ করতে পেরেছে, যৌন হয়রানি করতে পেরেছে। এসব নিয়ে রীতিমত বড়াই করে হিসেব নিকেশ, ভয়াবহ রকম হাসাহাসি আর বাহাদুরি চলে। খুব গ্লামারাস ভাবে এসব নিয়ে আলোচনা আড্ডা হয় , ভীড়ের ভেতর মেয়েদের কিভাবে হয়রানি করতে হয় তার টিপস বা টেকনিক শেয়ার করা হয় এবং 'ভালো পারর্ফমার' ছেলেটি বন্ধু মহলে নায়ক বনে যায়।
এমন 'এডভেঞ্চারাস' 'মজার' কাহিনীগুলো দেখে শুনে, বড় ভাইদের আস্কারা পেয়ে, এলাকার পিচ্চিগুলোই একসময় বড় হয়ে নিজেরা দল বেধে একই কাজ করে এবং এভাবেই বছরের পর বছর হয়ে আসছে।
পয়লা বৈশাখে মেয়েদের হেনস্তা করা তাদের কাছে স্বাভাবিক ঐতিহ্য/ উৎসবের অন্যতম অংশ। কারন তারা এটা দেখেই বড় হয়েছে। ছোটভাইরা বড় হয়। নিজেদের জায়গায় পরের প্রজন্মের ছোট ভাইদেরকেও একই কাজ করতে দেখে তারা নস্টালজিক হয়। স্নেহের সাথে খুশি হয়। ছোটরাও একদম তাদের মতো হয়েছে! ইভ টিজার!
এই ছেলেদের সেই শিক্ষা বা অনুভুতিই নেই যে তারা নারীদের যৌন হয়রানি করাকে খারাপ ভাববে। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে মূল্যবোধ, মানবিকতা চর্চা ও নীতিশিক্ষার বিকাশ ছাড়া এইসব ইভ টিজিং ও খারাপ চিন্তাধারা আমাদের সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব হবেনা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

অথৈ সাগর বলেছেন:
ধন্যবাদ । কিছু ব্যবস্থা তো নিতেই হবে।

১৭| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

আরজু পনি বলেছেন:
অপরাধের কঠিন শঅস্তি হয়না বলেই এসব অন্যায় বারবার ঘটছে আরো বড় অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে।

১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

অথৈ সাগর বলেছেন: সব অপরাধের শাস্তি হতে হবে তা না হলে এই অপরাধের হাত সবার ঘাড়ের উপর পৌঁছাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.