![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমারা আর কবে নিজেদেরকে চিনতে
পারব...???
আর কত দিন এভাবে ঘুমিয়ে থাকব???
এখনিতো সময় এসেছে ভাঙ্গা কেল্লায়
নিশান উড়াবার....
পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া
বিষয় গুলো হচ্ছেঃ
১) দ্বিতীয় শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে ‘সবাই
মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মুসলমানদের
শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
২) তৃতীয় শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে ‘খলিফা
হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত
জীবন চরিত।
৩) চতুর্থ শ্রেণী- খলিফা হযরত ওমর এর
সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে।
৪) পঞ্চম শ্রেণী- ‘বিদায় হজ্জ’ নামক শেষ
নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত বাদ দেওয়া
হয়েছে।
৫) পঞ্চম শ্রেণী-বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী
কাদের নেওয়াজের লিখিত‘শিক্ষা গুরুর
মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা।
যাতে বাদশাহ আলমগীর মহত্ব বর্ণনা উঠে
এসেছে।
এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন
হওয়া উচিত, তা বর্ণনা করা হয়েছিলো।
৬) পঞ্চম শ্রেণী- শহীদ তিতুমীর নামক একটি
জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রবন্ধটিতে মুসলিম নেতা শহীদ
তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার
জন্যে সংগ্রামের ঘটনার উল্লেখ ছিলো।
৭) ষষ্ঠ শ্রেণী- ড. মুহম্মদ শহীদ্ল্লুাহ লিখিত
‘সততার পুরষ্কার’ নামক একটি ধর্মীয়
শিক্ষনীয় ঘটনা বাদ দেওয়া হয়েছে।
৮) ষষ্ঠ শ্রেণী- মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী-
‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ নামক মিসর
ভ্রমণের উপর লেখাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
৯) ষষ্ঠ শ্রেণী- মুসলিম সাহিত্যিক
কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক
কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
১০) সপ্তম শ্রেণী- বাদ দেয়া হয়েছে ‘মরু
ভাস্কর’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন
চরিত।
১১) অষ্টম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে
‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
১২) অষ্টম শ্রেণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে
বেগম সুফিয়া কামালের লেখা ‘প্রার্থনা’
কবিতা।
১৩) নবম-দশম শ্রেণী- সর্বপ্রথম বাদ দেওয়া
হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ
সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ইসলাম
ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
১৪) নবম-দশম শ্রেণী- এরপর বাদ দেওয়া
হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি ‘আলাওল’-এর
ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
১৫) নবম-দশম শ্রেণী- আরো বাদ দেওয়া
হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আব্দুল
হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি।
১৬) নবম-দশম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে
শিক্ষণীয় লেখা ‘জীবন বিনিময়’ কবিতাটি।
কবিতাটি মোঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র
হুমায়ূনকে নিয়ে লেখা।
১৭) নবম-দশম শ্রেণী- বাদ দেওয়া হয়েছে
কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর
ফারুক’ কবিতাটি।
উপরের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে নতুন স্কুল পাঠ্য
বইয়ে নীচের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে-
১) পঞ্চম শ্রেণী- স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ূন
আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা
মূলতঃ মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআন
বিরোধী কবিতা।
২) ষষ্ঠ শ্রেণী- প্রবেশ করানো হয়েছে
‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা।
যেখানে রয়েছে হিন্দুদের ‘দেবী দূর্গা’র
প্রশংসা।
৩) ষষ্ঠ শ্রেণী- সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’
নামক একটি ছোট গল্প।
যা দিয়ে কোটি কোটি মুসলিম
শিক্ষার্থীদেরকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে
মায়ের মত, অর্থাৎ- হিন্দুত্ববাদ।
৪) ষষ্ঠ শ্রেণী- অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচি’র ভ্রমণ
কাহিনী।
৫) সপ্তম শ্রেণী- ‘লালু’ নামক গল্পে মুসলিম
ছাত্রছাত্রীদেরক
ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়ম
কানুন।
৬) অষ্টম শ্রেণী- পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের
ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’-এর সংক্ষিপ্তরূপ।
৭) নবম-দশম শ্রেণী- প্রবেশে করেছে ‘আমার
সন্তান’ নামক একটি কবিতা।
কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত ‘মঙ্গল
কাব্যে’র অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার
প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
৮) নবম-দশম শ্রেণী- অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’ এর ভ্রমণ
কাহিনী।
৯) নবম-দশম শ্রেণী- পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে
সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত
যৌনাচারের কাহিনী।
১০) নবম-দশম শ্রেণী- ‘সাকোটা দুলছে’
শিরোনামের কবিতা দিয়ে ৪৭-এর
দেশভাগকে হেয় করা হয়েছে, যা দিয়ে
কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ
বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে
শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
১১) নবম-দশম শ্রেণী- প্রবেশ করেছে ‘সুখের
লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের
রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তণ।
১২) প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক
বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়া হয়েছে ‘নিজেকে
জানুন’ নামক যৌন শিক্ষার বই।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: পরিবর্তন গুলি গত কয়েক বছরে করা হয়েছে। পরিবর্তন গুলি খুবি চমৎকার হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে যৌন শিক্ষাতো যুগান্তকারী! বই কবিতা আপনি পড়েছেন? পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আমি পড়াই, বই কবিতাটি আমি তাকে পড়িয়েছি এবং জানাতে চেষ্ঠা করেছি বই নির্বাচন সম্পর্কে। ধর্ম নৈতিকতার একমাত্র উৎস নয়। আপনার লেখায় ব্যাপকভাবে জাতিবিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে। ধর্মীয় চেতনার সবার মাঝেই কমবেশি এটা থাকে। ধর্ম মমানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়, এই মানসিকতা থেকেই জঙ্গি ভাবনার উদয় হয়।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
চলতি নিয়ম বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:০৬
পাউডার বলেছেন:
১। হে গন্ধযুক্ত পাঠা, মিশরের পিরামিড মুসলিমদের তৈরি নয়। পিরামিডের সাথে ইসলামের সম্পর্ক কি?
২। হে বলদ কাঠমোল্লা, ধর্মের জন্য ধর্ম বই আছে। বাংলা বই থেকে ধর্ম বাদ দিলে সমস্যা কি? জোর করে অন্য ধর্মের শিশুদের ইসলামি বানানোর দরকার কি?
৩। হে বুদ্ধিহীন তেলাপোকা একটু ভেবে দেখো, ভারতে যদি বাংলা বইয়ে রামায়ণের গল্প থাকে, সেখানকার মুসলিমদের কেমন লাগবে?
৪। হে মূর্খ ছাগলু চিন্তা করে দেখো, আজ দুই বাংলা মিলে বাংলাদেশ হলে তা কতটা প্রতাপশালী রাষ্ট্র হতে পারত!