![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগে জাফর ইকবাল শাবিপ্রবির ছাত্রলিগের কিছু কর্মী কে বহিষ্কারের জবাবে বলেছিলেন যে তাদের কে বহিষ্কার না করে তার কাছে যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি তাদের কে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পথে আনবেন। যাদের জন্য স্যার এই কথা বললেন তাদের কে উনার স্ত্রী সহ আরও কয়েকজন শিক্ষক কে অপমান করার জন্য বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই সময় স্যাররের ওই কথা আমার ভাল লাগেনি।
উনি প্রায়ই ফেসবুক নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন। উনি কিভাবে জানি ধরেই নিয়েছেন যে যারা ফেসবুক চালায় তারা খুব একটা কাজের না। কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন। ফেসবুকে অনেক ভাল ভাল ইভেন্ট হয় যার দ্বারা বহু মানুষ উপকৃত হয়। আমার খুব কাছের মানুষই ফেসবুক ব্যাবহার করে ব্যাবসা করে যাচ্ছে, ভালই করছে। আর তাছাড়া গন জাগরণের পরও ফেসবুক কে নেতিবাচক মনে করা কতটুকু যৌক্তিক, তা ভাবার অবকাশ রাখে। আমি স্যারের এই ধারনার বিপক্ষে।উনার কথা আমার পছন্দ হয় নাই।
উনি টিভির একেবারে ঘোর বিরোধী। টিভি দেখলেই মানুষ সব উচ্ছন্নে যাবে বলে উনি মনে করেন। একটা লেখায় পড়েছিলাম যেখানে উনি বলেছেন যে আপনার বাচ্চা কে বাঁচাতে চাইলে জানলা দিয়ে ঘরের টিভি বাইরে ফেলে দিন। উনি টিভির খারাপ দিকটাই দেখেছেন, টিভি না থাকলে আমরা যে মাহমুদুল্লার জোড়া শতক দেখা থেকে বঞ্চিত হতাম তা একবার ভাবলেন না। আমি উনার এই ধারনাও সমর্থন করি না।
সর্বশেষ উনি একটা বইয়ের ব্যাপারে কথা বলেছেন। বলেছেন যে কেউ যেন এই বই না পড়ে। কিন্তু বই প্রকাশের কারনে লেখক প্রকাশক কে হাতকড়া পরিয়ে থানা হাজতে নেওয়ার ব্যাপারে উনি কোন মন্তব্য করেন নাই। উনার কথায় বাশেরকেল্লার যে আদতে লাভ হোল তা তিনি চিন্তা করেন নাই। কে কি পড়বে এটাও যে উনি বলতে পারেন না তা তিনি হিসাব করেন নাই। আমি উনার এই অবস্থান কে সমর্থন করি না।
আমি এ রকম অনেক কিছুই সমর্থন না করতে পারি। কিন্তু মুহাম্মদ জাফর ইকবাল যে আমাদের বাতিঘর তা আমি অস্বীকার করি কিভাবে? আমার মতের সাথে না মিললেই আমি এক ধাক্কায় তাকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারি না। তার অবদান আমার মতের সাথে না মিললেই হারিয়ে যাবে না।উনি প্রায়ই বলেন উনার বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদের কথা। যে বাংলাদেশের খুব খারাপ সময়ে টিয়া পাখির মুখ থেকে তুই রাজাকার শব্দটা বলিয়েছিলেন। কিন্তু উনার কথা সঙ্গত কারনেই উনি বলেন না। উনি যে হাজার হাজার মানুষের মুখ দিয়ে তুই রাজাকার শব্দটা বের করে নিয়ে আসছেন সেই কথা কে বলবে? ছোট বেলা থেকে উনার বই পড়ে বড় হলে সে আর যাই হোক পাকিস্তান প্রেমিক হিসেবে বড় হবে না, মুক্তিযুদ্ধ কে গণ্ডগোল বলার মানসিকতা নিয়ে বড় হবে না, এটা গ্যারান্টি।তার এই অবদান কিভাবে অস্বীকার করবে জাতি? যারা এখন স্যার কে যা ইচ্ছা তাই বলে অপমান করছেন তারা যে ঠিক কাঠ মোল্লাদের মতই আচারন করছেন তা একবারও ভাবছেন না। কাল কে একজন বলল যে বাংলাদেশে চরম আস্তিক আর চরম নাস্তিক দুই পক্ষই অন্যের মত প্রকাশে বিশ্বাস করে না । এটা যে কত বড় খাটি কথা তা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।সর্বশেষ জাফর স্যার হচ্ছে জলজ্যান্ত প্রমান।
স্যার, দোষ ত্রুটি আছে বলেই আপনি মানুষ। আপনার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাবার প্রশ্নই উঠে না। আপনি আমাদের একমাত্র দীপশিখা, যার দিকে তাকিয়ে পুরো বাংলাদেশ। আর যারা উপর দিকে থুতু দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা কিন্তু খুব খেয়াল করে, আপনার থুতু আপনার মুখে পড়ল বলে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
শরিফ৭১ বলেছেন: ভাই হাসির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কি? বুঝলাম না তো...
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
ফাহিম আবু বলেছেন: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আমাদের বাতিঘর নাকি আওয়ামীলীগের বাতিঘর !! এ লোকটির লেখগুলো সম্পূর্ন একপক্ষিয়, একচক্ষু বিশিস্ট, দলকানাই পরিপূর্ন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯
শরিফ৭১ বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে আমরা কোনটা আওয়ামিলিগের আর কোনটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ তা সহজেই গুলিয়ে ফেলি। কারো কারো কাছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব কিছুকেই আওয়ামীলীগের পক্ষের মনে হয়। এই লোক গুলো কারা তা সবার কাছেই স্পষ্ট।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জাফর ইকবাল সাহেব সুবিধাবাদী চরিত্রের মানুষ। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, এই লোক শহীদ মিনারে তাঁর ভক্তদের নিয়ে বসে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন, শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন (শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা অস্বীকার করায়) । অথচ সকালে এই কাজ করে বিকালেই শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য স্বীকৃতির সনদপত্র ও পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক গ্রহন করেছেন। বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশিত হলেও তিনি নির্লজ্জের মতো মুখে কুলুপ এঁটে বসে থেকেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ....