![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু:সাহসী এক চাষী । মরুভূমিতে বৃক্ষ রোপন করে সেই বৃক্ষের ছায়াতলে বসেই একদিন ধরণীকে শুনাবে অট্ট হাসি । www.facebook.com/sust.sharif
আজ সকাল বেলা মাওয়া ফেরিঘাট থেকে ২৫০ জন যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হচ্ছিল ১৬ বছরের পুরনো লঞ্চ পিনাক ০০৭ । ঈদ মৌসুম তাই ১ ঘন্টায়ই ২৫০ জন যাত্রী হয়ে গেল । যাত্রী নিয়ে রওয়ানা হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহুর্তে হঠাৎ করেই দেখা গেল খুব দ্রুত গতিতে ৫ জন পুলিশ সহ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাজির । নির্দেশ দেওয়া হল লঞ্চের যাত্রা থামানোর জন্য । আশ্চর্য ব্যাপার ফেরিঘাট থেকে পুলিশ স্টেশন প্রায় ২০ কিলো মিটার দূর, সচরাচর এখানে পুলিশও আসে না । কিন্তু আজ এত দ্রুত পুলিশ এসে হাজির কেন ? নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে নির্দেশ দিলেন ১৫০ জন যাত্রী নেমে যাওয়ার জন্য , লাইসেন্স বিহীন চালককে গ্রেপ্তারর করা হল সাথে সাথেই । আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ফোন আসল বৈরি আবহাওয়ার জন্য যাতে আরো ১ ঘন্টা পরে লঞ্চ ছাড়া হয় । লঞ্চ কতৃপক্ষকে জরিমানা করা হল ৫০,০০০ টাকা , শীগ্রই লাইসেন্স সহ একজন দক্ষ চালককে দায়িত্ব দেওয়া হল ১ ঘন্টা পর যাত্রা শুরু করার জন্য । ১০ মিনিটের ভিতরেই ঘটে গেল এইসব ঘটনা । তারপর সময়মতই যাত্রা শুরু করল পিনাক ০০৭ ।
কিন্তু এত দ্রুত কিভাবে ঘটল এইসব ঘটনা । গত ২ মাস আগে মুন্সীগঞ্জে একটি লঞ্চ ডুবির ঘটনার পর সরকারের কয়েকটি পদক্ষেপের কারণেই সম্ভব হয়েছে সব কিছু । দেশের প্রত্যেকটি লঞ্চ এবং জাহাজে একটি বিশেষ ডিভাইস ব্যবহার করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে । এই ধরনের ডিভাইস লিফ্টেও ব্যবহার করা হয়, কোন লিফ্টে যদি নির্ধারিত সংখ্যক যাত্রীর চেয়ে বেশী যাত্রী উঠে সেক্ষেত্রে লিফ্টটি বন্ধ হয়ে যায় এবং সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিফ্ট কন্ট্রোল স্টেশনে এলার্ম বাজতে থাকে, অতিরিক্ত যাত্রী নামার পর লিফ্ট আবার চলতে শুরু করে এবং কতৃপক্ষও এই বিষয়ে অবগত হয় ।
পিনাক ০০৭ এর যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ১০০ জন । এই ডিভাইসটি ব্যবহার করার ফলে অতিরিক্ত যাত্রী উঠার সাথে সাথে সংশ্লিস্ট কন্ট্রোল স্টেশন, পার্শ্ববর্তী পুলিশ স্টেশন এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরে লঞ্চটির লোকেশন এবং ডিটেইলস সহ একটি এসএমএস চলে গেল আর সাথে সাথে তিনটি স্টেশনেই অবিরাম বিপদ সংকেত রেড এলার্ম বজতে শুরু করল । একজন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে রওয়ানা হওয়ার জন্য, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং কন্ট্রোল স্টেশন থেকে পুলিশকে আরো বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হল । তাই অতি দ্রুত পুলিশ ফেরিঘাটে হাজির । লঞ্চে আরেকটি ফেইস ডিটেকটর ডিভাইস ছিল, যেটি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রত্যেকটি চালকের চেহারা আইডেন্টিফাই করতে পারে, লাইসেন্সবিহীন ফেইস ডিটেক্ট করতে পারলেই রেড এলার্ম । পিনাক ০০৭ এ লাইসেন্সবিহীন চালকের ফেইস ডিটেক্ট করার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় রেড এলার্ম বেজে উঠে তিনটি স্টেশনেই , তাই পুলিশ সহজেই গ্রেপ্তার করল ভূয়া চালককে ।
আর মুন্সীগঞ্জের দূর্ঘটনার পরই সরকার চলমান সম্প্রচার নীতিমালার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল নৌ-পরিবহণ চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালায় এবং যা কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়, ফলে সহজেই ৫০,০০০ টাকা জরিমানা এবং তা কর্যকর করার পদক্ষেপ নিতে পারল প্রশাসন ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জের দূর্ঘটনার পর থেকে সচেতন হওয়ায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অবহাওয়া সংক্রান্ত সকল খবর যাথে খুব দ্রুত প্রতিটি লঞ্চ-জাহাজে পৌছায় সেই উদ্যোগ নিয়েছিল । আর যেসব লঞ্চ ঝুকিপূর্ণ বৈরী আবহাওয়ার শিকার হতে পারে, কোন পূর্বাবাস পাওয়ার সাথে সাথে সেইসব লঞ্চে সরাসরি ফোন চলে যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এবং সকল ধরণের দিক নির্দেশনা সহ সতর্ক করা হয় লঞ্চ কতৃপক্ষকে । এইসব পদক্ষেপের কারণেই দূর্ঘটনার শিকার হতে যাওয়া পিনাক ০০৭ রক্ষা পেল ।
প্রশাসন এবং সংশ্লিস্ট কতৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে ইতোপূর্বে আরো কয়েকটি লঞ্চকে জরিমানা সহ ভূয়া চালকদের বিভিন্ন শাস্তি দেওয়ায় যাত্রী এবং লঞ্চ কতৃপক্ষ সবাই ই সচেতন হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে নৌ-দূর্ঘটনার সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে ।
[ পিনাক ০০৭ এবং এই গল্প পুরোটাই কাল্পনিক, গল্পটিকে বাস্তব রুপ দেওয়া কিন্তু অসম্ভবের কিছু নয় । আর ২ মাস পর আগামী ঈদে এই ধরণের সংবাদ যদি পত্রিকায় পড়তে পারতাম .........
না- ফিরার দেশে হারিয়ে যাওয়া পিনাক-৬ এর যাত্রীদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি ]
ফেইসবুকে এক বড় ভাইয়ের কমেন্ট.....
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৫৭
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: সহমত, আসলেই, এই ট্রাজেডি গুলো অনেকাংশেই কমে যেত। ধন্যবাদ
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:২৯
C/O D!pu... বলেছেন: এবং সেই সাথি যে দেড়শ জন যাত্রীকে অতিরিক্ত হিসেবে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের প্রত্যেককেই একশ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে যেন ভবিষ্যতে তারা জেনে বুঝে নিজের বিপদ ডেকে আনা থেকে বিরত থাকেন...
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: ভালই বলেছেন :p:p
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৪৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ছেড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার মতো অবস্থা। ছোট বেলায় শুনতাম ব্রীজ বানাতে গেলে নাকি 'মাথা' লাগে। কিন্তু এখন দেখি নদী পার হতে গেলে লাশ লাগে। প্রতিবছর।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি, হয়ত একদিন পরিবর্তন আসবে । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়ার সবচাইতে দুর্ণীতিবাজ দেশের অদক্ষ অকর্মন্য অপদার্থ অযোগ্য আমলারা এই কল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে পারে না! একেকটা ২ কোটি ডলার করে (১৫৬ কোটি টাকা!!) ছয়টা বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কিনবে খুব শিগগিরই!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: হুমম । আসুন আমরা সবাই ধীরে ধীরে সচেতন হই আর এদের উপর চাপ সৃষ্টি করি । হয়ত নিজেরা আমরা সমস্যার সমধান করতে পারছি না, কিন্তু তারা জানুক একটি চাপ সৃষ্টিকারী শক্তিশালী সচেতন গোষ্টি তৈরি হচ্ছে, তাতেও যদি পরিবর্তন শুরু হয় । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
কোবিদ বলেছেন:
এই ডিভাইস প্রতিটি লঞ্চ, বাসে ব্যবহার করার
উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ ।
৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
আমি ইহতিব বলেছেন: যথাযথ কর্তৃপক্ষের ঘিলুবিহীন মস্তিষ্কে কবে যে আসবে এসব আল্লাহ্ জানে। মারা গেলে লাখ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রেডি কিন্তু যেন মানুষগুলো এমন দূর্ঘটনায় মারা না যায় সে ব্যবস্থা কেন করেনা তাই বুঝিনা।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: দোয়া করেন এদের মাথায় যাথে বিষয়গুলো আসে, আর যাথে এভাবে প্রাণ না হারায় শত শত মানুষ । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১২
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- চুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, ডুয়েট,বুয়েট এর মেধাবী শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রকল্পভিত্তিক ডিভাইস তৈরী করা যেতে পারে।
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
এমদাদুল হক শরীফ বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হেডিং থেকেই বুঝতে পারছিলাম, কাল্পনিক কিছু ঘটনার মাধ্যমে একটা সুন্দর সমাধানের পথ বাতলে দিচ্ছেন।
পড়তে পড়তে খুব ভালো লাগছিল, ইশ, এটা যদি সত্যিই বাস্তবায়ন করা হতো, তাহলে প্রতিনিয়ত এত প্রাণ দিতে হতো না।
চমৎকার।