নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমিক নিধিরাম সর্দার। স্বপ্নময় জীবন, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।
শুধু নাম লিখতে পারে সুমন। কিন্তু কাজ তার ইঞ্জিনিয়ারের। হাতের নিমিষেই তৈরি করছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোন। রাজধানী লাগোয়া কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় সুমনরাই তৈরি করছে চীনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলফোন সেট। গায়ে লাগানো থাকছে সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের নাম ও স্টিকার। মোবাইলফোন তৈরির কারিগর মো. সুমন। জিঞ্জিরার বাসস্ট্যান্ড মোবাইলফোন মার্কেটের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কারিগর। মোবাইলফোনের নামীদামি ব্র্যান্ডের খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় রাজধানীর গুলিস্তান পাতাল মার্কেট ও হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজায়। খরিদ করা এই যন্ত্রাংশ দিয়ে এখানে নিমিষেই তৈরি হচ্ছে অবিকল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল। তারপর এসব মোবাইলফোন চলে যাচ্ছে রাজধানীর কিছু মার্কেটে। বিক্রি হচ্ছে চীনের ফোন হিসেবে। সুমন জানায়, ৭ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত। যে কোন মোবাইলফোনের সার্ভিসিং করা তার কাছে কোন ব্যাপার নয়। এমনকি নতুন যন্ত্রাংশ দিয়ে যে কোন কোম্পানির অবিকল মোবাইলফোন তৈরি করাও তার নিত্যনৈমিত্যিক কাজ। প্রথমে এই পেশায় যখন পা রাখে, তখন বিনা বেতনে কাজ করতো। ৭ বছরের ব্যবধানে এখন নামীদামি কারিগর। স্থানীয় ভাষায় এসব কারিগরদের বলা হয় ইঞ্জিনিয়ার। নিমিষেই তৈরি করে ফেলে যে কোন ধরনের মোবাইলফোন সেট। এসব কারিগরের তৈরি করা মোবাইল দেখে চেনার কোন উপায় নেই যে এটা আসল নাকি জিঞ্জিরার তৈরি। সুমন বলেন, আমাদের দোকান মালিক গুলিস্তানের ফোন মার্কেট থেকে মোবাইলের ক্যাসিং, ব্যাটারি, চার্জারসহ নানা পার্টস কিনে আনে। এছাড়া, বাজার থেকে অর্ডার দিয়ে তৈরি করে প্যাকেজিং প্যাকেট ও ওয়ারেন্টি-গ্যারান্টি কার্ড। তারপর বাসায় বসে কারিগর রেখে ফিটিং করা হয়। এছাড়া, যে টুকটাক মালামাল লাগে তা নিজেরাই বানিয়ে ফেলার মতো কারিগরও আমাদের আছে। তিনি আরও জানান, এগুলো সরাসরি বানানো যায় না। কারণ বিভিন্ন সময় বাজারের দোকানগুলোতে অভিযান চলে। আপনি নিতে চাইলে কমপক্ষে ২০০ সেটের অর্ডার দিতে হবে। এর বাইরে কেউ কাজ ধরবে না। তিনি বলেন এই মোবাইলগুলো বানাতে সাধারণত মার্কেটের দামের চেয়ে অর্ধেক খরচ হয়। আর নামীদামি ব্র্যান্ড হলে ব্যবসায়ীরা অনেক লাভ করতে পারে। তবে এটায় অনেক ঝুঁকি থাকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এদের কাজে লাগাতে পারেন।
মানবজমিন থেকে কপিকৃত।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে দুর্ণীতিবাজ দেশ হল বাংলাদেশ! এরা এসব অপরাধ করে আর পুলিশ তাদের সাহায্য করে ঘুষ নিয়ে।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভয়ের কথা আসল নকল তো চিনতো পারবো না।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২
রানার ব্লগ বলেছেন: যথেষ্টো প্রতিভা আছে, কিন্তু কাজে লাগানোর কেউ নাই, সমন্বিত উদ্যগই পারে এদের কাজে লাগাতে।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: এসব প্রতিভাকে না সরকার কাজে লাগাই, না ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল কোম্পানির মোবাইল আছে অথচ বাংলাদেশেই সম্ভব মোবাইল তৈরি করা। ভারতে নোকিয়া, সামস্যাং এর ফ্যাক্টরী আছে অথচ বাংলাদেশে নাই, কিন্তু বাংলাদেশে ওদের বিশাল মার্কেট। সময় হয়েছে ভাববার। বাংলাদেশেই তৈরি সম্ভব মোবাইল ফোন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: বুদ্ধি আছে।