![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে দেশে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষন, কিছু মিডিয়া ধর্ষনের বর্ননা এমন ভাবে দিচ্ছে যেন ধর্ষন করার সময় সাংবাদিক সাহেব দাঁড়িয়ে সে ধর্ষনের মনমুগ্ধকর!!! দৃশ্য উপভোগ করছিলেন। কিছু কিছু যায়গায় প্রথমে কি বস্ত্র খোলা হয়েছে তারো বিষদ বর্ননাও দেখেছি। মনে হবে যেন রসময় গুপ্তের আত্মা ভর করেছে সাংবাদিক সাহেবের শরীরে। মিডিয়ার এ নিলজ্জ অংশগ্রহন জাতিকে লজ্জিত করে। কিন্তু মিডিয়া লজ্জিত হয়না।
এবার আসি ধর্ষনের কার্যকারনের দিকে,আমরা দেখেছি ইদানিং ধর্ষনের পর পর ঐ মেয়ের চরিত্র, পোষাক আসাক নিয়ে অনেকে কথা বলে,আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মনে করো তোমার মা/বোন বাসায় তোমার সামনে নিশ্চয়ই বোরকা পরে হাটেনা,তখনো কি তোমার মাথায় ধর্ষনের চিন্তা ঘুরে,যদি তা না হয় তাহলে বাহিরে যে মেয়েটাকে দেখছো সেও কারো মা, কারো বোন। তুমি নিশ্চয়ই চাইবেনা তোমার মা বোনকে কেউ এই চোখে দেখুক।
আদম হাওয়ার পরে কোন মানুষ দুনিয়াতে আসতোনা যদি মেয়ের জাত না হতো,অনেক ছেলে ফুটানী করে বলবে ছেলেরা না হলেও কিভাবে মানুষ আসতো, তোমরা যাতে ফুটানী না করতে পারো তাইতো আল্লাহ ঈসা ইবনে মারিয়ামকে পাঠিয়ে প্রমান করেছেন ছেলেদের ভাব মারার কিছু নাই বাবা ছাড়াও সন্তান দুনিয়াতে আসতে পারে।
এত ইজ্জত এত সন্মান যে মেয়েদের তারাও কি নিজেদের আভিজাত্য ধরে রাখতে পেরেছে আমি বলবো পারিনাই,আর এ না পারার পেছনে সমাজের অনেকগুলো নিয়ামক দায়ী।
আমাদের সোসাইটির বর্তমান নাম দেয়া যায় শিলাকি জাওয়ানী সোসাইটি,চারদিকেই শিলাকী জাওয়ানী মেয়েরা এখন আর বেগম রোকেয়া কিংবা সুফিয়া কামাল হতে চায়না হতে চায় বিপাশা,কারিনা কিংবা ক্যাটরিনা। টেলিভিশন থেকে চলচ্চিত্র সর্বত্র সেক্সকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সেটি। এতে করে সাধারন যুবক যুবতি পথ হারিয়ে ফেলে তার নিজস্ব ইচ্ছা কাছে পরাজিত হয় বেঁচে নেয় হয় হয় মিউচুয়াল বা ধর্ষনের পথ।
ইসলামে নিয়ম হলো ছেলে বা মেয়েদের যথা সময়ে বিয়ে দিয়ে দেয়া, যখন তার যৌবনে উপনিত হয় এতে করে সমাজে এই ধরনের ধর্ষন কিংবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মাত্রা কমে আসবে। কিন্তু আমাদের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ক্যারিয়ারের মুলা। ছেলে আগে ক্যারিয়ার তারপর বিয়ে, মেয়ে আগে কিছু হও তারপর বিয়ে। কিন্তু তার স্বাভাবিক চাহিদা মেটানোর কোন যায়গা তাকে দেয়া হয়না। পূর্বেকার সময়ে ছেলে মেয়েদের দ্রুত বিয়ে দেবার একটা প্রবনতা ছিলো তখন এ ধরনের ধর্ষনের কথা খুব কমই শুনা যেত।
সবশেষে বলতে চাই খুন করার জন্য খুনি যেমন আপরাধী, নির্দেশ দাতাও আপরাধী। ঠিক তেমনি একটা সোসাইটিতে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য বা ধর্ষনের জন্য ধর্ষক যেমন দায়ী তেমনী দায়ী পরিবেশ,সমাজ ও তথা কথিত ক্যারিয়ারের মূলা। ধর্ষকের শাস্তির মাধ্যমে কোন দিন ধর্ষন রোধ করা যাবেনা,যদিনা আমরা সমাজ থেকে এই প্রি ফ্যকটর দূর করতে না পারি।
কিছু ছেলে মেয়েকে দেখি বিবাহের পূর্বে নানান অনৈতিক সম্পর্কের জড়িত হয় এবং এক সময় তাদের সেই তথাকথিত ব্রেকআপ হয়। আমি বলবো ঐ সব ছেলে বা মেয়ে তাদের স্বামী কিংবা স্ত্রীর সাথে প্রতারনা করে তাদের চেয়ে বড় প্রতারক আর এই দুনিয়ায় নাই।
জানিনা আমার এলোমেলো ভাবনা কারো মধ্যে কোন ভাবনার উদয় ঘটাবে কিনা, তবুও চেষ্টা করে যেতে দোষ নাই। আমার চেষ্টা চলবে সত্য বলার।
একটি পুরানো কথা আবারো বলি ... যার বিবেক বেচে থাকে, তার সুখ মরে যায়। সুখী হবার সহজ উপায় বিবেকহীন হওয়া।
©somewhere in net ltd.