![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েকদিন ধরে শাহবাগে নানান ঘটনা পুরো জাতিকে নাড়া দিয়ে উঠলো। শরীফ মহিউদ্দিন নামের বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিকের অন্তরেও শাহবাগের শ্লোগান প্রকম্পিত হলো। কিন্তু যাবতীয় বিষয়ের কথা চিন্তা করে শাহবাগ নিয়ে কিছু বলা থেকে বিরত থাকলো এবং শাহবাগের জ্যাম নিয়ে কিঞ্চিত আলোচনা করাতে লোকজন ভেবে বসলো শরীফ নামের এই নব্য রাজাকার আমাদের বন্ধু ছি ছি । রাজাকার নিপাত যাক। হা হা হা
জামাত ইসলামী এই নামটি একটি ভুল নামকরন। কারন ইসলাম একটাই। বরং জমাতুল মুলসেমিন বা মুসলমানের জামাত বললে জিনিসটি সঠিক হয়। ভুল নামকরন নিয়ে শুরু করা এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মউদূদী। (যদিও তিনি কোন ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন আলেম নন, তাই অনেকে তাকে মি মউদুদীও বলতো ) তো এই মউদূদী সাহেব ছিলেন ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল ওহাব নজদীর শিষ্য তাদের একটি শাখাকে আমরা সালাফী বা লা মাজহাবী নামে চিনি। (ডাঃ জাকির নায়েক মউদুদীর মত সেই আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারী ও সালাফী)
ইসলামের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মউদূদী সাহেব এমন এমন কথা বলেছেন যাতে তাকে কাফির বললেও অত্যুক্তি হবেনা। আর জামাত প্রতিষ্ঠার জন্য মউদুদী সাহেব সৌদি আরবের সাহায্য পেয়েছিলেন কারন সৌদি আরবের কট্টরপন্থী মুসলমানদের আদর্শ তিনি ভারতে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন।
অনেক কঠিন কঠিন কথা বলে ফেলছি। বুঝতে কষ্ট হলে সরি>
এবার আসি ৭১ এর জামাত ও বাংলাদেশ বিষয়ে। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় জামাত নেতা গোলাম আযম বললেন পাকিস্তানে দুই দল মানুষ আছে একদল পাকিস্তানকে ভেঙ্গে দিতে চায় আরেকদল পাকিস্তানকে রক্ষা করতে চায়,জামাত শেষ দলের অন্তর্ভূক্ত।
এরপর পবিত্র কোরআন ছুয়ে রাজাকারদের শপথ করানো হয় যাতে তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে এবং সাহায্য করে। ( ধর্মব্যবসা)
আসলে এসব ইতিহাস বলার কিছু নাই। সবাই সব কিছু জানে।
কাদের মোল্লার ফাসি না দেয়াতে পুরো জাতি আজ ফুসলে উঠেছে বাংলা মায়ের দামালেরা শাহবাগের বাঘরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে করেই হোক তাদের দাবী আদায় করবেই।
জামাত নেতাদের আসলে এখন ফাসী দিলে একটা দেহকেই ফাসি দেয়া হবে কারন তারা আসলে এতটা আস্তাকুড়ে হিসাবে নিক্ষিপ্ত হয়েছে যে তাদের ফাসির চেয়েও বড় বেইজ্জতী আল্লাহ তায়লা দুনিয়ার বুকে করে দিয়েছেন।
শাহবাগের সব বাঘদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা।
কিন্তু কিছু কথা বলতে চাই যা ভেবে দেখা দরকার
১.দেশে বামপন্থীরা শাহবাগ নিয়ে মাতামাতি করছে, তাদের মাতামাতি করার কিছু নাই কারন তাদের অন্যতম নেতা দিলিপ বড়ুয়া একাত্তরের মহান মুক্তিসংগ্রামকে যে বলেছিলো দু কুত্তার কামড়া কামড়ি
( সুত্রঃ পিয়াস করিম)। শাহবাগের সংগ্রাম আম জনতার, তারুন্যের । বামেরা দূরে ফুটো।
২. শাহবাগে গিয়ে আওয়ামী বুদ্ধিজীবিরা পাকনামো করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের অনেক মানুষ এসব বুদ্ধিজীবিদের পছন্দ করেনা তাদের ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করার জন্য। এদের মধ্যে জাফর ইকবাল সাহেব ও আছেন। এইসব পাকনা বুদ্ধিজীবিদের দূরে রাখতে হবে যাতে মানুষ বুজতে পারে এটা ধর্মহীনদের কোন সভা নয়। এরা ধর্মকে ভালোবাসে আর ধর্মব্যবসায়ীদের ধ্বিক্কার জানায়।
৩. জামাত সহ সব ধর্মীয় দল নিষিদ্ধের ঘোষনা আমাদের ভীত করে। কারন ইসলামিক দল আর জামাত এক জিনিস না। আর অনেক ইসলামী দল জামাতের বিপক্ষে বলছে সেই স্বাধীনতার আগ থেকে। তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা। সুতরাং জামাত নিষিদ্ধের মাধ্যমে যাতে অন্য ধর্মীয় দলেও অন্তরভুক্তি না আসে এবং বামরা যাতে আলু পোড়া খেতে না পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৪. আমি বর্তমানে জামাত নিষিদ্ধের পক্ষে না। কারন জামাতকে নিষিদ্ধ করার সময় অনেক আগে পার হয়ে গেছে। ৭২ থেকে ৭৫ এই সময়টাতে জামাত ছিলো অসহায় ছিন্নমুল একটি দল। তখনি যদি এদের নিষিদ্ধ করা যেত তবে আজ জামত পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির মত ফকিন্নি ছাড়া আর কিছুই থাকতোনা।
কিন্তু যেহেতু তা না করে জামাতকে উর্বর ভুমি দেয়া হয়েছে চাষের জন্য। তারা তা কাজে লাগিয়ে এখন দৈত্তের আকার ধারন করেছে। তাই এখন তাদের নিষিদ্ধ করলে জামাত তার বাপের দেশ পাকিস্তানের জঙ্গিদের মতো হয়ে ঊঠতে পারে। এতে করে দেশের মানুষ আর নিরাপত্তা পাবে কিনা তাও সন্দেহ রয়ে যায়।কারন এগুলার কোন বুক পিঠ নাই এবং এরা ব্রেন ওয়াশড।
৫. জামাতের প্রতিষ্ঠান বর্জনের কথা বলা হচ্ছে যখন ইসলামী ব্যঙ্ক করলো তখন সবাই বাহবা দিলেন সুদের নাম মুনাফা দিয়ে জামাত ব্যবসা করে গেলো। মদের বোতলে বেচলো দুধ। কেউ টু শব্দও করেনাই। ভার্সিটি থেকে চানাচুর সব কিছুর ব্যবসা জামাতের আছে। বর্তমানে এসকল প্রতিষ্ঠান থেকে জামাত লাভবানের পাশাপাশি দেশ ও লাভবান হচ্ছে। তাই এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা বর্জন করে দেশের অর্থনীতি হুমকিতে নিতে আমি রাজি নই।
শেষ কথা
যা করা যেতে পারে
জামাত সহ অন্যদলে যেসব যুদ্ধাপরাধী আছে তাদের মিন মিন না করে সরকারী বিশেষ আদেশে ফাসির ব্যবস্থা করা হোক।
জামাতকে একবারে নিষিদ্ধ না করে দেশের মানুষকে ধীরে ধীরে এদের ব্যপারে সচেতন করতে হবে। তাহলেই আমাদের সাপ ও লাঠি দুটো ঠিক ভাবে সম্পন্ন হবে।
পরিশেষে আবেগ দিয়ে নয় বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করার জন্য সবাইকে আহবান জানাই । শাহবাগের বীরসৈনিকদের প্রতি রইলো আন্তরিক ভালোবাসা।
“ আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে
তোমার ছেলে ঊঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে”
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
সজিব ইসলাম বলেছেন: ালামগীর বলেছেন: আজ কে যদি শা হ বাগে বিয়াই সাহেবকে গ্রেফতার এর দাবি ওঠে তাহলে সকাল হলেই শাহ বাগে যাবো
সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫
ালামগীর বলেছেন: আজ কে যদি শা হ বাগে বিয়াই সাহেবকে গ্রেফতার এর দাবি ওঠে তাহলে সকাল হলেই শাহ বাগে যাবো ।