নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কষ্ট করে হলেও সৎ থাকার চেষ্টা করো

শরীফ মহিউদ্দীন

অপেক্ষায় আছি সুন্দর সকালের.........

শরীফ মহিউদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি জেলার মজার কিছু গল্প

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

কিছু সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কারনে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫টির মত জেলায় আমার ঘোরাঘুরির সুযোগ হয়েছে। এসব জেলায় ঘুরে একটি জিনিস উপলব্ধি করতে পারলাম যে প্রত্যেক জেলার মানুষেরই কিছু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট থাকে। যেমন নোয়াখালির মানুষজন কারো অধীনে চাকরী করতে চায়না এরা স্বাধীনচেতা টাইপের। রাস্তায় হকারী করবে কিন্তু নো চাকরী :p আজকে বলবো বাংলাদেশের অন্যতম একটি জেলা বাক্ষ্মনবাড়িয়া তথা বি বাড়িয়ার কথা। বি বাড়িয়ার অনেক গুলো থানার মধ্যে সরাইল অন্যতম। সরাইলকে মানুষ চেনে এই এলাকার কুকুরের জন্য। এখানকার কুকুরগুলো এথলেট কিসিমের। একটি বিশেষ কারনে বি বাড়িয়ার একজন সংসদ সদস্যের সাথে আমার সখ্যতা রয়েছে।কবি মানুষ এবং যথেষ্ট সাধাসিধা জীবনযাপন। আজকে বি বাড়িয়া গিয়েছিলাম একটি অনুষ্ঠানে সেখানে এমপি সাহেবের সাথে দেখা। বি বাড়িয়ার নানা বিষয় নিয়ে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি কেমন চলছে ওখানকার জীবন যাপন মানুষজন, কুত্তা :p ইত্যাদি ইত্যাদি। এমপি সাহেব দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বললেন আর থাকা। আমি বললাম কি হয়েছে?তিনি এরপর আমাকে যা শুনালেন তা শেয়ার করতে ইচ্ছা হচ্ছে।



ঐতিহ্যগত ভাবে বি বাড়িয়ার মানুষ সংঘর্ষ প্রিয়। এক গ্রাম আরেকগ্রামের সাথে , এক পাড়া আরেক পাড়ার সাথে নুন থেকে চুন খসলেই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এবং ঝগড়া শেষে দু একজনের লাশ অবধারিত ভাবে পাওয়া যায়। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে সরাইল উপজেলা। সেখানে কিছু লোক আছে যাদের পেশাই নাকি মারামারি করা। একবার দুইজন লোক বাজারে গেলো কাচা বাজার করতে। একজন জিজ্ঞাসা করলো পেয়াজের দাম কত? দোকানদার বললো ১৫টাকা কেজী। কিছুক্ষন পর একই দোকানদার ১২ টাকা কেজী দরে পাশের গ্রামের লোকের কাছে বিক্রি করলো। তখন প্রথম ক্রেতা জিজ্ঞসা করলো কিরে আমার দাম কম নাকি যে আমারে বেশী দাম কইলি? সে দিলো দোকানদারকে থাপ্পর। দোকানদারের গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওই ক্রেতাকে দিলো মাইর। শুরু হলো দু গ্রামের মধ্যে যুদ্ধ, মারামারি। আর এর শেষ হলো দুটী লাশের মাধ্যমে।



এমপি সাহেব বললেন আমি যখন দেখি হাজার হাজার লোক আমার বাড়ির দিকে আসতেসে আমি বুঝে ফেলি আজকে নিশ্চয়ই ক্যাচাল নিয়া আসতেসে। আমি পিছনের দরজা দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় চলে আসি। দুই একদিন পর পরিস্থিতি শান্ত হলে এলাকায় আসি। আমি বললাম বিচার করেন না কেন? তিনি উত্তর দিলেন বিচার করবো কি কোন কারন ছাড়াই ঝগড়া। বিচার করলে একপক্ষ খুশি আরেকপক্ষ রাগ হবে শেষে আর ভোট পাবোনা। তাই পালানোই ভালো :P



বি বাড়িয়ার মানুষের এ ফাইটের কথা শুনে খুবই মজা লেগেছে। তবে সংঘর্ষ শেষ পর্যন্ত জীবন কেড়ে নেয় এটি ও বুঝতে পারলাম। তাই চলুন যথাসম্ভব সংঘর্ষ এড়িয়ে চলি।



আর সামনের দিকে যেসব ব্যচেলর ভাই/ বোন বিয়া শাদি করতে যাচ্ছেন বি বাড়িয়ার ব্যপারে সাবধান। বিশেষ করে সরাইল :P

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মাক্স বলেছেন: :P :P :P :P :P :P

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হুনেন সরাইল্লা মানুষই থাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়? :-P আপনের সাথে আমার দেখা হয় নাই! :#>
আমার সাথে দেখা হইলে বুজতেন ব্রাহ্মণবাড়িযার মানুষ কতো ভাল। ;) ;) B-)

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

স্বর্গীয় শয়তান বলেছেন: ফেবুতে কপি মারলাম দুইটা ফ্রেন কে পছাব :P :P :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.