পরকিয়ার পরিনতি। (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

শশী বিবাহিতা মেয়ে..!
কিন্তু তার স্বামী বিদেশে থাকে...!
আর শশী অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে
লেখাপড়া করে....!!!
সেদিন শশীর পরীক্ষা ছিলো..!
রাস্তার পাশে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে,কিন্তু
কলেজে যাওয়ার জন্য কোনো গাড়ি না পাওয়ার
জন্য মনে মনে ভাবতে থাকে, কারো বাইকে
লিফট নেবে........!!!
ঠিক তখনই রাহাত বাইক নিয়ে সেখান দিয়ে
যাচ্ছিলো....!!!
শশী হাত উচু করে রাহাত কে থামতে বলে..!
রাহাত জিজ্ঞাস করেঃ কিছু বলবেন কি...?
শশী জবাব দেয়ঃ "আজকে আমার
পরীক্ষা,কোনো গাড়ি পাচ্ছি না,এছাড়া এমনিতেই
অনেক দেরি হয়ে গেছে...!
আপনি যদি আমাকে একটু লিফট দিতেন,তাহলে
উপকার হতো...! "
.
পরে রাহাত শশী কে তার কলেজে পৌঁছে
দেয়,আর শশীর ফোন নাম্বার চায়....!
শশী নাম্বার দেয়..!
.
পরে তাদের মধ্যে কথা হতে থাকে প্রতিনিয়ত.
কিন্তু রাহাতও বিবাহিত পুরুষ...!
তার একটা ৩ বছরের বাচ্চা আছে..!
তবুও দুইজন দুইজনকে বলেনি,তাদের
বিবাহের কথা.....!!!
.
প্রায়ই রাহাত আর শশী ঘুরতে যায়...!!!
দুইজনের মধ্যে ভালোবাসা যেনো
উতলিয়ে পরে..!!!
.
৩/১০/২০১৫ তারিখে,রাহাত আর শশী কোনো
একটা আবাসিক হোটেল এ যায়....!!!
৩-৪ ঘন্টা কাটানোর পর,
শশী বাড়িতে যেতে চায়..!
রাহাত তাকে নিয়ে বাইকে করে রওনা দেয়..!
ময়মনসিংহ রোডে হঠাৎ করে এক্সিডেন্ট করে
তারা......!!!
.
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের হসপিটালে
ভর্তি করায়...!
শশীর অবস্থা খুব খারাপ হওয়ার কারনে,তাকে
ঢাকাতে ট্রান্সফার করা হয়..!
.
এদিকে রাহাত সুস্থ হয়ে,শশীর খোজ করে।
ঠিকানা পাওয়ার পর চলে যায় সেখানে..!
.
গিয়ে দেখে,শশী আইসিইউ তে ভর্তি কিন্তু তার
কোনো জ্ঞান নেই.!
ডাক্তারদের সাথে কথা বলে,জানতে
পারে,শশীর কোমড়ের হাড়,হাত আর পা
ভেঙ্গে গেছে,।
৯ দিন পর শশীর জ্ঞান ফেরে...!
কিন্তু শশীর বাড়ির লোক বা তার শ্বশুর বাড়ির
কেউ তাকে এখনো দেখতে আসে নাই..!
.
একা একা সে এখন হসপিটালে ভর্তি।
শশীর চিকিৎসার জন্য মোট ২-৩ লাখ টাকা লাগবে
আর সেই টাকা পুরোটা রাহাতের দিতে
হবে.......!!!
.
এখনও শশী হসপিটালে আছে...!

১ টি +০/-০