নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে পৃথিবীতে ভালবাসা নেই, সে পৃথিবী মানুষের জন্য নয়। এমন একটা পৃথিবী চাই, যেখানে তুমি আর আমি শুধু ভালবাসায় মাখামাখি হয়ে থাকবো।

সালমা শারমিন

সালমা শারমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশু প্রেম

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

জীবনতো প্রায় অনেকটাই পার হয়ে গেল। এই জীবন চলার পথে কত জনের সাথে পরিচয়। কতজনের সাথে ক্ষনিকের ঘটে যাওয়া কত ছোট ছোট ঘটনা। যা আজও অনেক সময় মনে পড়ে চলমান অনুভূতির বাইরে অন্য রকম এক অনূভূতির জন্ম হয়। যা হয়তো সবার জীবনেই ঘটে।সব ঘটনা গুলো মানুষের জীবনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পারে না, আবার পুরো জীবনটাই দখল করে রাখে বিচ্ছিন্নভাবে। গুছিয়ে লিখতে পারবোনা জানি, তবুও আমার জীবনের সেরকম কিছু শিশু প্রেমের কথা আজ লিখবো।



ঘটনা ১- ছোট বেলা থেকেই কল্পনা প্রবন ছিলাম খুব। বিচিত্র জিনিস গুলোই বেশি ভাল লাগতো।হয়তো সে বয়সটাতে সবার ক্ষেত্রেই তাই ঘটে। আমি তখন ক্লাশ নাইন এ পড়ি। পাড়ার একটা ছেলে ছিল, দেখতে হেব্বি হ্যান্ডসাম (তখন তাই মনে হত)। মাঝে মাঝে দেখতাম আমাকে ফলো করতো। বাট কখনোও ঐ ভাবে কথা বলতে আসেনি।এর যথার্থ কারনও ছিলো। একেতো আমাদের ফ্যামিলিটাকে সবাই খুব ভদ্র বলেই জানতো। আর দুই সে ছিলো আমার চাচাতো ভাই এর ফ্রেন্ড। তাই হয়তো কোন বাজে সিচ্যুয়েশন এর মুখোমুখি হতে চায়নি। তবে এটা বুঝতে পারতাম তাকে দেখলেই কিশোরি মনে খুব চন্চলতা তৈরি হত। এরও একটা কারন ছিল, ওরা ছিল জমজ দুই ভাই। আর জমজদের প্রতি ছিল আমার দারূন আকর্শন। তার উপর দেখতেও খুব সুন্দর।একটা পৌরষ ভাব ছিল চেহারায়। তাই কিশোরী মনে চঞলতা তৈরি হত খুব। তবে মজার ব্যাপার হল এখনও আমি ছেলেটাকে দেখি কিন্তু আগের মত আর শিহরিত হই না। কারন তখন ছিলাম অন্য আমি। আর এই আমি অন্য আমি।



ঘটনা ২- আমার এক কাজিন। সমবয়সী। ছোট বেলায় খুব মারামারি করতাম। কিন্তু একটু বড় হয়ার পর ওর মধ্যে একটা অন্যরকম ব্যাপার লক্ষ করলাম। আমার সাথে ঝগড়া করে না। আমি যা বলি তাই শুনে। আমি দুইটা কিল মারলেও চুপ মেরে বসে থাকে। যত কষ্টই হোক আমি কোন কাজ করে দিতে বললে না করে না। কেমন যেন। তখন আমি একটু বড়। প্রেম, ভালবাসা কিছুটা বুঝি। বুঝলাম ও আমার প্রেমে পড়েছে। কিন্তু কখনও বলার সাহস হয়নি। কারন সে একটা পর্যায় পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। ওকে আমার অন্য রকম একটা ভাল লাগতো। সল্প শিক্ষিত কিন্তু দারুন ব্যক্তিত্তের অধিকারী ছিল। আর ওর উপর দারুন অধিকার খাটাতাম। কিন্তু ও দেখতাম বিরক্ত না হয়ে অবলিলায় তা মেনে নিত। তবে ওর সাথে সম্পর্কটা কেউ মেনে নিবে না তাই ওকে নিয়ে খুব বেশি ভাবা হয়নি।



ঘটনা ৩- যখন ইনিস্টিটিউট এ আগমন হল, প্রথম কয়েকদিন বেশ মজায় কাটলো। গার্লস ইনিস্টিটিউট বলে ছেলে পেলে ছিল না। এখানে আসার পর কেমন যেন গাধা টাইপ হয়ে গেলাম। পড়াশুনা করে প্রেম ভালবাসা করার টাইম নাই। আমার যে ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিল, পুরাই হুজুর। হঠাৎ কয়েকদিন যাবত দেখছি একটা ছেলে ইন্সটিটিউট এর সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে। প্রথমে বুঝিনি, কারন অনেক মেয়ে আসে যায়।কার জন্য আসে কে জানে। একদিন দেখি আমাকে পেছন থেকে ডাকছে। তাও আবার নাম ধরে। একটু ভয় পেয়ে গেলাম। দ্রুত হেটে ইন্সটিটিউট এর ভেতরে ঢুকে গেলাম। যখন ছুটি হল, দেখি ছেলেটা দাড়িয়ে আছে। আমার ফ্রেন্ডরা সাথে তাই এখন খুব একটা ভয় পেলাম না। কাছে এসে বলল আপনার সাথে কথা আছে, বললাম বলেন। বলে আপনাকে আমার ভাল লাগে। আপনি রাজি হলে আমি আমার বাসায় জানাব। আমারতো চোখ ছানাবড়া। ডিরেক্ট নিষেধ করে দিলাম।আর বেশ কড়া করে কথা শুনিয়ে দিলাম। একেতো তখনো খুব বড় হইনি তার উপর ভেতরে ভয় কাজ করাতে কথা গুলো মনে হয় অনেক বেশি কড়া শুনাল।সে ছেলেটা আর কোন দিন এ পথ মাড়ায়নি। কিন্তু ঐ যে কথাটা,আজও আমার মনে পড়ে, আর একটু হলেও সময় কেড়ে নেয় এই ব্যাস্ত জীবন থেকে।



ঘটনা ৪- ২০০৫ সালের এর কথা। বন্ধু সকলকে নিয়ে গেলাম সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে। অনেক কিছুই দেখলাম সেখানে। বেশি ভাল লেগেছিল সামরিক বাহিনীর লোক গুলোর মিউজিক। বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে বিখ্যাত বিখ্যাত দেশের গান গুলোর শুর তুলছিল। দারূন লাগছিল শুনতে। বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনলাম। স্থান ত্যাগ করবো এমন সময় একটা সেনাবাহিনীর লোক বলল, এখানে বসার জায়গা আছে,বসতে পারেন। আমরা না সূচক জবাব দিলাম। বলল চলে যাবেন, আর শুনবেন না! আমরা লোকটার কথা শুনে কেমন যেন মজা পেলাম। লোকটা বলল বাসা কোথায়। আগেই বলে রাখছি তখন টিনএ্যাজ বয়স, সভাবে ভদ্র হলেও কিউরিসিটি কম ছিল না। এলাকাটার নাম বললাম (স্টাফ কোয়ার্টার)। বলে চলে এলাম। ওমা!!!!!! ৩ দিন পর এর কথা। ইন্সটিটিউট থেকে ফিরছি। দেখি লোকটা আমি যেখানে গাড়ি থেকে নামি সে বাস স্টপেজে দাড়িয়ে। হাতে একটা মিষ্টির প্যাকেট। একটু অবাক হলাম। পরে ভাবলাম হয়তো কারো কাছে এসেছে।ততক্ষনে আমি ওনার চোখে পড়ে গেছি। হন্তদন্ত হয়ে দেখি ছুটে আসছে। আমিতো ওনাকে দেখে উলটা পথে হাটছি। কারন আমার পরিচিত কারও চোখে পড়লেই কম্ম সারা। সোজা কমপ্লেন চলে যাবে বাসায়। ওরে বাপ আমি নাই........মাই গড,এসে একেবারে সামনে দাড়ালো। কি ব্যাপার জিজ্ঞেস করতেই বলল তোমাকেই তো খুঁজছিলাম। তোমার বাসায় যাব।ওমা.............কয় কি!!!!!!! আমি কোন মতে বুঝিয়ে বললাম যে আমি কাল আপনার সাথে দেখা করবো। এখন আপাতত যান। পরের দিনের কথা, সব ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে লোকটার সাথে দেখা করতে গেলাম, চরম একটা ভাঙ্গানি দিলাম, তারপর বুঝিয়ে বললাম যে ভাই আপনি যা করছেন তা চরম বেহায়া লোকদেরকেও হার মানায়। সো ডোন্ট ট্রাই অ্যগেইন। যা হোক সুখের কথা ছিল যে লোকটা আর ডিস্টার্ব করেনি কখনোও। সময় পেরিয়েছে অনেকটাই। কিন্তু কথা গুলো এখনও মাঝে মাঝে মনে পড়ে, আর হাসির খোরাক হয়।



আর জব এ ঢোকার পর দেখলাম ছেলেরা আমাকে দেখলেই প্রেমে পড়ে। (যদিও আমার নিজের সম্পর্কে কখনোই আমার খুব উচ্ছ ধারনা ছিল না)। তাই এত ছেলে প্রেমে পড়াটা দেখে অবাক হতাম। তবে একটা সময় বুঝতে পারি সবার ভেতরের অনূভূতি টা প্রেম না, কারো কারো নোংরা চিন্তাও ছিল।



আগামীতে সেগুলোও লিখব................



ধন্যবাদ



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

অদৃশ্য বলেছেন:





খুবই মজা পেলাম আপনার একান্ত সময়ের ঘটনাগুলো জেনে... হয়তো এমন ঘটনা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিছু না কিছু থাকে... আমার ধারনা লিখাটি সবারই ভালো লাগবে...

এবার প্রথম কথা দিয়েই শেষ করি... জীবন আসলেই অনেকটা পার হয়ে গেলো... এই জীবন নিয়ে ভাবতে বসলেই খেই হারিয়ে ফেলি... কিভাবে চলে যাচ্ছে বা গেলো এতোটা সময়!!

শুভকামনা...

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

সালমা শারমিন বলেছেন: সময় নিয়ে লিখাটা পড়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।গুছিয়ে লিখতে পারিনা খুব। তাই হয়ত অনেক সাধারন কথাকে অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি না।

তবুও যে পড়েছেন এ জন্য আবারও ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :| :| :| :| :| :|


মাইয়ারা তো খুব খারাপ হয় ..........

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

সালমা শারমিন বলেছেন: কে খারাপ সে তর্কে নাইবা গেলাম। তবে জীবনের একটা সময় সবারই মনে হয় এমন অনুভূতি গুলো কাজ করে।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: একজনকেও কি পছন্দ হয় নাই এখন পর্যন্ত??????

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

সালমা শারমিন বলেছেন: এর উত্তরটা পাবেন।ইনশাল্লাহ আগামীতে লিখবো।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ভোরের বাতাস বলেছেন: আপনি মনে হয় বেশি সহজ সরল মানুষ :) । তবে আপনার একটা কথা অনেক বেশি সত্য, "তবে একটা সময় বুঝতে পারি সবার ভেতরের অনূভূতি টা প্রেম না, কারো কারো নোংরা চিন্তাও ছিল।" অনেক মেয়েই এই ব্যাপারটা বুঝে না ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

সালমা শারমিন বলেছেন: হুম.................এ না বুঝতে পারাটাই হয়তো অনেক মেয়ের জীবনে কাল হয়ে দাড়ায়।

আপনাকে ধন্যবাদ.................

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.