![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু বড় হলাম যখন
বলত তখন মায়
কাপড় চোপড় ঠিক করে চল
নজর পড়বে গায়।
তখনো ঠিক বুক গজায়নি
তবু মায়ের ভয়
মা বলতো মেয়েরে তোর
সামলে চলতে হয়।
মায়ের কথা বুঝিনি ঠিক
তবে পাড়ার ছেলের দল
গায়ে পড়ে বলতো কথা
চোখে খেলতো ছল।
যখন আমার বুক গজালো
ডাঙ্গর গতর গায়
নিষেধ হলো বেড়ে দ্বিগুন
ভয়ে থাকত মায়।
হাঁটতে পথে পান্ডা ছেলের
চোখে থাকত নেশা
এদিক ওদিক তাকানো যার
নিত্য দিনের পেশা।
মুখে থাকত লজ্জা আমার
বুকে থাকত ভয়
মায়ের বারন মাইয়া মাইনষের
চুপ থাকিতে হয়।
স্নানের বেলা পুকুর ঘাটে
মারত কত উকি
লজ্জা আমার সারা গায়ে
লতায় লজ্জামুখি।
আমার কতো ইচ্ছে হতো
ডানা মেলে উড়ি
ভালবাসার আকাশটাতে
ইচ্ছেমতো ঘুরি ।
তবুও আমি থেমে যেতাম
মায়ের কথা শুনে
সমাজ আমায় দেখিয়ে দিলো
থাকতে ঘরের কোনে ।
একদিন যবে স্কুল হতে
বাড়ী ফিরছি একা
সেদিন আমার শরীর নিয়ে
তাদের সাথে দেখা।
চিৎকার দেব তাও হলনা
কত আহাজারি
উদয় হলো মায়ের কথা
আমি একটা নারী।
যে শরীরটা নিয়ে ছিল
মায়ের এত ভয়
সে শরীরতো হায়নার চোখে
মাংস পিন্ডময়।
বুকের কাপড় খুলে নিয়ে
বুকে দিল হাত
হাত নয় সে থাবাই দিলো
বসিয়ে দিলো দাঁত।
যে তল দিয়ে জন্ম ওদের
সেই তলে দিলো শূল
শরীর নিয়ে লজ্জা মায়ের
সবই ছিল ভুল।
সাড়া শরীর চিবিয়ে খেল
ফাটিয়ে দিল তল
রক্ত গেল তানা তানা
বিষিয়ে দিল জল।
চুষে খেল শরীর খানা
জনের পরে জন
দাঁড়াবারও শক্তি আমার
ছিলনা তখন।
কাঁদতে কাঁদতে ডেকেছিলাম
ইশ্বর তুমি কই?
বাঁচাও আমায়, চুপ থেকোনা,
তোমার মেয়ে যদি হই।
বাঁচাইনি তো নির্লজ্জ্য ঈশ্বর
তাকিয়ে ছিল শুধু
ঈশ্বর তারা যাদের কাছে
নারীর শরীর মধু।
কোনমতে কষ্ট সয়ে
বাড়ি ফেরার পর
মাতো আমার অর্ধমৃত
একি হলো তোর।
দেখনা মা তোর লাজুক মেয়ের
একি হল হাল
তোর কাছে মা তলোয়ারের
থাকতে হবে ঢাল।
কাপড়ের পর কাপড় দিয়ে
শরীর ঢাকা যায়,
এবার লজ্জা ঢাকবি কি দিয়ে মা
এই কলঙ্কিনির গায়?
যত পারিস কাপড় দে মা
কলঙ্ক যদি ঢাকে,
নরপশুর লজ্জা যদি
এই কাপড়ে থাকে ।
তুইতো জানিস তোর মেয়েটা
তোর অবাধ্য নয়,
কেন তবে এমন হবে?
এমন কেন হয়?
তোর সমাজের কথা শুনে
রাখলি ঘরের কোনে,
তোর মেয়েকে চিবিয়ে খেল
সেই সমাজের জনে ।
স্বামী-স্ত্রীর মিলন শেষে
শরীর নাপাক হয়,
স্নানে আনে পবিত্রতা
তোর ধর্ম তাই কয়।
তবে মাগো জল ঢেলে দে,
করে দেমা পাক,
কলঙ্ক মা শরীর থেকে
ধুয়ে মুছে যাক।
আর কতদিন এভাবে মা
লুকিয়ে বাঁচবি বল?
কত মেয়ের আর্তনাদে
চোখে ফেলবি জল?
উড়ার সময় মাগো তোরা
ভেঙ্গে দিবি ডানা,
প্রতিবাদের কোন ভাষায়
নেই কি তোদের জানা?
এইভাবেই কি বেঁচে থেকে
নারীর জীবন যাবে?
আমার ছোট্ট বোনটিও কি
এমন সাজায় পাবে?
এভাবে আর কত মাগো
ভুলিয়ে দিবি হাসি
আমরা হব ধর্ষিতা মা,
তুই মা যৌনদাসি।
মরতে গিয়ে পারিনি মা,
মরবো কেন বল?
মরলে আমি পশ্রয় পাবে
ঐ কুকুরের দল।
চিৎকার করে সমাজটাকে
দেখিয়ে দি মা আয়,
নির্যাতনকে লাত্থি মেরে
পিষিয়ে দেবো পায়।
বাঁচতে হলে আয় মা এবার
বাঁচার মতই বাঁচি,
লুকিয়ে থাকা মরার সমান
বুঝিয়ে দে মা আছি।
জাগুক জাতি, নারী সমাজ
জাগুক যত বোন,
বেরিয়ে আসো নারী তুমি
ছাড়ো ঘরের কোন।
ফকির বলে সালাম নারী
শিকায় তোলো পাপ
তালা ভেঙ্গে দাও সে তোমার
দাঁতভাঙ্গা জবাব....
নিজেকে ধিক্কার দিয়ে
একটা কথায় বলবো
এটা কোন কবিতা নয়
নারীর জেগে ওঠার গল্প.......
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা আপনার কবিতা নয়! আপনি অবশ্যই লেখকের নামটি আপনার পোস্টের শুরুতে সংযোজন করবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগটি আশা করি কাজে লাগাবেন। কপি পেস্ট করা ভালো, তবে এই ধরনের কপি পেষ্ট খুবই নিন্দনীয়।