![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃষ্টির আমেজ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ফিরে এসেছে স্বস্তি। বিশেষ করে ঢাকা শহরে গরম আবহাওয়ায় ভোগান্তি বেশি ছিল। বৃষ্টির দেখা মিললেই গ্রাম-গঞ্জের বর্ষাকাল মনে পড়ে যায়। বৃর্ষার দিনে কত গ্রাম-ঘাটে সেই ছোটবেলায় কত স্মৃতিমধূর দিনগুলো পেরিয়ে এসেছি। ইট-কাঠ-পাথরের নগরী ঢাকায় স্মৃতিগুলো তেমন গোছালো হয় না। কিংবা অনুভূতিগুলো অতটা আবেগপ্রবণ হয়না। সবকিছু যান্ত্রিক। এখানে মানুষের জীবনে যান্ত্রিক দানব ভর করে। প্রতিদিন অস্বস্তিতে ভরে ওঠে মন। মনে পড়ে যায় মাঠের পর মাঠ সবুজ ধানক্ষেতের কথা। জমির আইলের কথা। মেঠোপথের কথা। মেঠোপথে রাস্তায় ঘাসের ওপরে শুয়ে মাটির গন্ধ নেয়ার কথা। দুর্বাঘাসে আচ্ছাদিত পথের কথা।
গ্রাম-ঘাটে বর্ষার দিনগুলো থাকতো আবেগময়। সে আবেগ এখন আর নেই। কংক্রিটের শহর দিয়েছে বেগ। কেড়ে নিয়েছে আবেগ। কথাটি একজন লেখকের। সকালেও পড়লাম। নাম মনে নেই। গ্রামে বৃষ্টির দিনে টিনের ঘরের রিমঝিম আওয়াজ এখন খুবই মনে পড়ে। বাগানে গাছের পাতায় পাতায় বৃষ্টির শব্দ অন্য এক জগতে নিয়ে যেত। সেখানে ভর করতো কত স্মৃতি। বৃষ্টির দিনে স্কুল যাওয়া হতো না। চাল আর গম ভেজে দিতেন মা। চলতো মুড়ি মুড়কির আয়োজন। চারজন এক স্থানে হলেই বর্ষার দিনে তাস খেলতে বসে যেতাম। কাগজের তৈরি তাস। রাম শাম যদু মধু। যে কোনো এক প্রকার চারটি একত্র হলেই বাজিমাত। বুদ হয়ে থাকতাম। মারামারি রাগারাগি চলতো।
আমাদের গ্রামের বাগানবাড়িটা কমপক্ষে ১০ বিঘা জমির ওপরে হবে। এর মধ্যে একটা পুকুর আছে। পুকুরের পাশ দিয়েই পথ চলে গেছে মাঠে। দক্ষিণপাড়ার বৃষ্টির পানি ওই পথ দিয়েই মাঠে নেমে যেতো। উল্টো স্রোতে মাঠ থেকে উঠে আসতো চ্যাং (টাকি) মাছ। বদনা নিয়ে ঘুরতাম। পায়ে লেগে মাঠ লাফিয়ে ডাঙ্গায় উঠলেই ধরে বদনায়।
বৃষ্টির দিনে গ্রামঘাট একেবারে চুপ হয়ে যেতো। যাদের নিতান্তই প্রয়োজন তারা চাল ডাল আটা নিতে বেরিয়ে পড়তো। আমাদের বাড়িটা একবোরে নিশ্চল হয়ে যেত সন্ধ্যায়। বাগানে সুপারি গাছ বৃষ্টির পানিতে চকচকে হয়ে উঠতো। মনে ভর করতো কত স্মৃতি। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালি পড়ে আরও ভাল লাগতো বৃষ্টির দিনগুলোতে। বড় আপু বিভূতিভূষণ পড়তেন। তখন ছোট হলেও আমিও পড়তাম। হাইস্কুলের গণ্ডির মধ্যেই পথের পাঁচালি শেষ করেছিলাম মনে পড়ে। সারা দিন শুয়ে থেকে রেডিও শোনা কিংবা কল্পনায় মেতে থাকা ছিল তখনকার দিনের কাজ। অনাবিল এক আবেগে ভরে উঠতো মন। ভেজা মাটিতে পা দিতেই মনটা ভরে উঠতো আনন্দে। সেই দিন আর নেই। নেই সেই আবেগ। বর্ষার সে আবেগকে বড় মিস করি আজ।
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
গ্রিন জোন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সব কিছু পড়ে থাকে
রয় শুধু স্মৃতি।আপনার স্মৃতিচারন বেশ ভাল লাগল।
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯
গ্রিন জোন বলেছেন: স্মৃতি নিয়েই বেঁচে আছি।
৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটাতেই কাব্যিক ছোঁয়া, তবে শেষ টুকু আরো বেশী।
//বৃষ্টির দিনে গ্রামঘাট একেবারে চুপ হয়ে যেতো। যাদের নিতান্তই প্রয়োজন তারা চাল ডাল আটা নিতে বেরিয়ে পড়তো। আমাদের বাড়িটা একবোরে নিশ্চল হয়ে যেত সন্ধ্যায়। বাগানে সুপারি গাছ বৃষ্টির পানিতে চকচকে হয়ে উঠতো। মনে ভর করতো কত স্মৃতি। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালি পড়ে আরও ভাল লাগতো বৃষ্টির দিনগুলোতে। বড় আপু বিভূতিভূষণ পড়তেন। তখন ছোট হলেও আমিও পড়তাম। হাইস্কুলের গণ্ডির মধ্যেই পথের পাঁচালি শেষ করেছিলাম মনে পড়ে। সারা দিন শুয়ে থেকে রেডিও শোনা কিংবা কল্পনায় মেতে থাকা ছিল তখনকার দিনের কাজ। অনাবিল এক আবেগে ভরে উঠতো মন। ভেজা মাটিতে পা দিতেই মনটা ভরে উঠতো আনন্দে। সেই দিন আর নেই। নেই সেই আবেগ। বর্ষার সে আবেগকে বড় মিস করি আজ।//
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
গ্রিন জোন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনুপ্রেরণা পেলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সুমন কর বলেছেন: পুরনো সব স্মৃতি, ....বেশ ভালো লাগল।