নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেহজাদ আমান

একজন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী

শেহজাদ আমান

একজন সাংবাদিক ও সৃষ্টিশীল লেখক

শেহজাদ আমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের বইয়ের প্রচারে কি নিজেদের সংগঠনকে ব্যবহার করা উচিত?

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭



এবারের বইমেলায় কোনো কোনো তরুণ লেখককে দেখলাম নিজেদের সংগঠন ও সংগঠনের ছেলেমেয়েদের কাজে লাগিয়ে নিজের বইয়ের প্রচারণা ও বিক্রি বাড়ানোর কাজ করতে। এই বিষয়টা এমন মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে যে, এই ব্যাপারটির বিরুদ্ধে না লিখে পারলাম না।



বিশেষ করে, জনৈক তরুণ অনুবাদককে দেখলাম বইমেলার আগে ও বইমেলার সময়ে নিজেদের সংগঠনকে ব্যবহার করে ৪-৫টা প্রোগ্রাম থ্রো করতে; যেখানে নিজের অনুদিত বইয়ের নাম, কাভারের ছবি ইত্যাদি দিয়ে ব্যানার বানিয়ে সেমিনার বা লেকচার প্রদানের মতো কিছু করেছেন অনেকবারই, যেসবের মূল প্রতিপাদ্য ছিল তার অনুদিত বইটি। সংগঠনের পেজ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তার বইয়ের প্রচারণা চালিয়ে অরুচিকর ফেসবুক পোস্ট দেয়ার কথা না হয় বাদ-ই দিলাম (যেসব জায়গায় তিনি বড় বড় লেখক ও বুদ্ধিজীবির বইয়ের পাশে নিজের বইয়ের নাম দিয়ে একরকম তুলনা করা শুরু করেছেন) ! আর ছেলেমেয়েরাও এই জিনিসটা বেশ খেয়েছে। তার ৭০-৮০ পেজের 'বাচ্চা বই'টা নাকি মেলায় হেভি পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। তা হতেই পারে; কারণ বাঙালি সহজ-সরল জাতি। তাদেরকে প্রচারণা চালিয়ে কোনো কিছু গেলানো বেশ সহজ। বিষয়টি অরুচিকর! আর এনাদের মতো লেখকের পাল্লায় পড়ে যেসব ছেলেমেয়ে তাদেরকে 'সেইরাম' লেখক ভাবতেছে, তাদেরকেও ভেড়ার পালের মতোই মনে হয়!

কেউ যদি কোনো সংগঠনের সাথে যুক্তথাকে, তাহলে সেই সংগঠনকে কাজ লাগিয়ে নিজের বইয়ের প্রচারণা ও বিক্রি বাড়ানোর কাজটাকে অরুচিকর আর অনৈতিক বলেই মনে করি। যদি কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের ব্যানারে তা করা হয়, তাহলে সেটি আরো হতাশাব্যঞ্জক! সংগঠন সবার সম্পত্তি। এটাকে ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণার হাতিয়ার না বানানোই ভালো। কেউ যদি এটা করে থাকেন, তাহলে তাকে ভালো 'বই বিক্রেতা' বা 'মার্কেটার' বলা যায়; কিন্তু একজন সুবিবেচক লেখক নয়।

আমি বলছি না সেই ব্যক্তি খারাপ লেখেন বা অনুবাদ করেন; তিনি অনেক ভালো লেখেন বা অনুবাদ করেন। তার বই এমনিতেও ভালোই চলতো। কিন্তু, তিনি যে পন্থা অবলম্বন করে এই প্রচারণার কাজটি চালিয়েছেন, তা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না বলেই মনে করি। তার প্রতি সবসময়ই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল। তবে, তিনি যে এই কাজগুলো করেছেন, তাতে তার প্রতি শ্রদ্ধা কিছুটা কমে গেল, তাতে সন্দেহ নেই। আমি নিজে কখনো আমার বইয়ের প্রচারের জন্য নিজের সংগঠনের ব্যানার বা ছেলেমেয়েদের ব্যবহার করিনি; আর সেটা করবোও না কোনোদিন ইনশাআল্লাহ!

যারা এইভাবে লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে নিজের ঢোল নিজে পেটানোর কাজটি নিজের সংগঠনের মাধ্যমে করে থাকেন, তারা যাতে এই ধরনের কাজ থেকে ভবিষ্যতে দূরে থাকেন, সেজন্যই এত সরাসরি কথাগুলো বললাম। আশা করি, তারা এটুকু বুঝবেন যে, সমালোচকের চেয়ে বড় কোনো বন্ধু নেই।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার বই'এর প্রচারণায়, আমি তো আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করার কথা ভাবছি; আপনাকে দিলাম বিএনপি

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

শেহজাদ আমান বলেছেন: মুহাহাহা..!

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

আহা রুবন বলেছেন: অলেখকদের দেখাদেখি লেখকরাও হুজুগে মেতেছেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

শেহজাদ আমান বলেছেন: .....এবং এভাবে তারাও অলেখক হোয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

শেহজাদ আমান বলেছেন: .....এবং এভাবে তারাও অলেখক হোয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: যদিও লজ্জাস্কর, তথাপি ধার দেনা করে
ব্যাংকলোন করে বই ছাপান সেটা যেভাবেই
হোক বিক্রি করাত চাই। ভাল লেখকের
বইত এমনেই বিক্রি হয়ে যায়।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

শেহজাদ আমান বলেছেন: হুম, তারপরো কিছু নীতি তো থাকা চাই।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৮

কালীদাস বলেছেন: বইয়ের পেছনে যে পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করেছে এই "লেখকরা", এদের জায়গায় আমি হলে আমি নিজেও সেইম কাজ করতাম। আদারওয়াইজ ঠোঙাওয়ালার কাছে এই বিপুল পরিমাণ প্রিন্ট কপি পাঠানো ছাড়া গতি থাকবেনা এদের।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

শেহজাদ আমান বলেছেন: কিন্তু, এভাবে কি সত্যিকার লেখক তৈরি হয়?

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কিন্তু, এভাবে কি সত্যিকার লেখক তৈরি হয়?

এরাই আসলে লেখক। হাতে গোনা কয়েকজন রয়েছে যারা মহান লেখক।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

শেহজাদ আমান বলেছেন: হতে পারে!
তবে, সবকিছুর একটা সিস্টেম থাকা উচিত, আর লিমিট ক্রস করা উচিত নয় কারো।
যেমনঃ ফেসবুকে ও অনলাইনে নিজে ও নিজের সার্কেলের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যায়। তবে, নিজেদের সংগঠন ও সংগঠনের ছেলেমেয়েদের এই কাজ সরাসরি ব্যবহার না করাই ভাল।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার লেখাটি কঠিন সময়ের প্রতিবিম্ব। লেখকদের জন্য সময়টি এরকমই হয়ে গেছে যে, লজ্জাশরম থাকলে 'বই' চলবে না। প্রকাশকের চাতুর্য্যে পড়ে ওগুলো আগেই শেষ হয়ে গেছে।

লেখককে শুধুই লেখক হলে চলবে না, ভালো বিক্রেতাও হতে হয়। অথবা আসল বুকওয়ার্মের কবলে পড়তে হবে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, নবীন-প্রবীন সবার ক্ষেত্রেই প্রায় এক।

হয়তো কোন প্রকাশক বলে বসলেন, "আপনার বই আমার ব্যানারে প্রকাশ করতে পারেন, যেহেতু খরচ আপনিই দিচ্ছেন। তবে ওগুলোর বাজারজাতকরণে আমি অতিরিক্ত অথবা প্রখ্যাত লেখকদের সমমানের কিছু করতে পারবো না। অতিরিক্ত কিছু করতে চাইলে আপনি করতে পারেন।"

তখন আর কী উপায় থাকে, বলুন!

১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

শেহজাদ আমান বলেছেন: হতে পারে!
তবে, সবকিছুর একটা সিস্টেম থাকা উচিত, আর লিমিট ক্রস করা উচিত নয় কারো।
যেমনঃ ফেসবুকে ও অনলাইনে নিজে ও নিজের সার্কেলের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যায়। তবে, নিজেদের সংগঠন ও সংগঠনের ছেলেমেয়েদের এই কাজ সরাসরি ব্যবহার না করাই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.