নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম দর্শনেই আমার রাবীন্দ্রিক কন্যার উপর হুড়মুড়িয়ে ক্রাশ খেয়েছিলাম! আজ থেকে আড়াই বছর আগের ঘটনা। আমার বন্ধুদেরকে বলছিলাম, "আহা রে, এই বয়সে আইসা যদি ক্রাশ খাইতে হয়, তাইলে কেমনে হবে?" দেখলাম, মেয়েটাও আমার কথা শুনতে পেয়ে লাজুক ও দ্বিধাভরা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। অথচ, আমি তখনও রাখী নামে অন্য একটা মেয়েকে অনেক ভালোবাসতাম। একপাক্ষিকভাবে হলেও রাখীকে এত কঠিনভাবে ভালোবাসতাম যে অন্য কোনো মেয়ের কথা কল্পনাও করতে পারতাম না। সুন্দরি মেয়ে তো চলতে ফিরতে অনেকই দেখা যায়। কিন্তু কখনো সেভাবে তো ক্রাশ খাইনি ২০১৩ সালে রাখীর প্রেমে পড়ার পর থেকে। চরম ব্যতিক্রম ছিল শুধু এই রাবীন্দ্রিক কন্যাই।
এরপর আবার ওর সাথে দেখা একদিন...সেদিন আমি রাস্তার ধারে ওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওর দিকে তাকাতে তাকাতে চলে যাচ্ছিলাম ওর পাশ কাটিয়ে। তখন ও নিজে থেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, "ভালো আছেন?" আমি তখন কোনোমতে কম্পিত বুকে ওর সামনে এসে দুয়েকটা কথা বলে ওখান থেকে চলে গিয়েছিলাম। ওকে দেখে আমার বুক এতটাই কেঁপেছিল যে আমি কথাই বলতে পারিনি ঠিকমতো।
এর কিছুদিন পর এক খোলা সবুজময়দানে ওর সাথে আবার দেখা। আমার রাবীন্দ্রিক কন্যা তখন পিছু ফিরে দাঁড়িয়েছিল, তাই প্রথমে বুঝতে পারিনি এটাই ও। খালি বোঝা যাচ্ছিল সুন্দরি একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি আমার বন্ধু আরিফকে বললাম, "দেখ, সুন্দরি কারে কয়?" এরপর দুকদম সামনে এগোতেই ও আমাদের দিকে ফিরে তাকাল। দেখলাম, এটা ও-ই। ওর মুখটা চেনা মাত্রই আমার বুকে তোলপাড় শুরু হয়ে গেল! আমি কোনোমতে মাথা নিচু করে ওর পাশ দিয়ে দাঁড়ালাম ক্যান্টিনের ভিতর। দেখলাম, আমার রাবীন্দ্রিক কন্যা আমার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আমার বুকের ভিতর তোলপাড় তখন আরও বেড়ে গেল। আমার বুকের উথালপাথালের সাথে মিল রেখেই ঠিক তখনই আকাশ থেকে নেমেছিল ঝুম বৃষ্টি!
আমার বুকের ভিতরের সেই উথালপাতাল ঠিক হতে সময় লেগেছিল আরও কয়েকটা দিন। কিন্তু আজব ব্যাপার হচ্ছে, ওর প্রতি আমার সেই তীব্র অনুভূতির পরও আমি চেষ্টা করছিলাম ওর কথা মাথায় না আনতে। কারণ, তখনও রাখী নামের আরেকজন আমার প্রেমের জগৎটা অধিকার করেছিল দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে। তাই, রাবীন্দ্রিক কন্যাকে ইচ্ছা করেই মন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ওর প্রতি তেমন আবেগ কখনোই ছিল না।
কিন্তু রাখীর প্রতি সেই ভালোবাসাটা আজ আর আমার নেই! আর সেই রাবীন্দ্রিক কন্যা পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে হোক, আর যে কারণেই হোক, আমার উপর এমন প্রভাব বিস্তার করে আছে গত মাস দুয়েক ধরে যে ওকে ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছি না! গত দুমাস প্রতিরাতে ঘুমোই এই কল্পনা করে যে ও আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে। প্রচণ্ডভাবে উপলব্ধি হচ্ছে, ও আমার জন্য অনিবার্য বা পরম সত্য, যেটাকে আমি ডিনাই করে বা পাশ কাটিয়ে যেতে পারি না!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪
শেহজাদ আমান বলেছেন: ভাগিরথী কন্যা আবার কী?
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: বয়সের দোষ।
একটা বয়সে এরকম হয়।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
শেহজাদ আমান বলেছেন: ভাই, বয়স আমার কম নয়, ৩৬। আর ভালোবাসতে বয়স লাগে না!
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার আবেগ বেশী।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
শেহজাদ আমান বলেছেন: হ ভাই, আবেগ ছাড়া কি ভালোবাসা হয়!
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: এরোকম আমারো হয়!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
শেহজাদ আমান বলেছেন: কি আর করা!
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, বয়স আমার কম নয়, ৩৬। আর ভালোবাসতে বয়স লাগে না!
আপনি আমি একই বয়সের হবো।
জীবনটা সুন্দর ভাবে যাপন করার জন্য স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসার দরকার আছে।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ ভাই, আবেগ ছাড়া কি ভালোবাসা হয়!
আবেগ দিয়ে কবিতা লেখা যায়। জীবন চলে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছুদিন পরে এই মেয়েও চলে যাবে নিজ কক্ষপথে, তখন ভাগিরথী কন্যাকে নিয়ে আকাশ কুসুম রচনা শুরু হবে।