![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাকসুর নির্বাচনের ফলাফল অনেক বিষয়ই ক্লিয়ার করে দিয়েছে…এর পাশাপাশি আমাদেরও একটা ধারণা দিচ্ছে কে জিতবে সামনের ইলেকশনে…
ডাকসুর নির্বাচনে শিবির বলতে গেলে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে। নির্বাচনে কিছু সুক্ষ্ণ কারচুপির ব্যাপার যে থাকতে পারে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু এরপরও যে শিবিরের প্রার্থীরা এত বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করেছে, এর পিছনে তো এইটাই কারণ যে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী তাদের ভোট দিয়েছে। কেন এমনটা হলো?
কারণ আর কিছুই না…দেশে ডানপন্থার উত্থান (আমার মতে)! মানি আর না মানি, এটাই এখনকার রাজনীতির সবচেয়ে আসক্তিকারক ট্রেন্ড!
হ্যাঁ, এটাই সত্য! গত কয়েক বছর ধরেই, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পরে দেশে ডানপন্থার উত্থান আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে হয়েছে। এর অনেকটাই ঘটেছে সরকার, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থনে। কিন্তু হয়েছে তো! বিশেষ করে, জেনজির ভিতরে ডানপন্থা বা ধর্মীয় রাজনীতির প্রতি আসক্ত হওয়ার পরিমাণ আরো বেশি।
ডানপন্থা মানে কিন্তু এই না যে সবাই জামাতে ইসলামি বা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে (চরমোনাইয়ের দল) সমর্থন করে বা ভোট দিবে। দেশে একটা বিশাল অংশের ইসলামপন্থী মানুষ আছে, যারা শার্ট-প্যান্ট পরে, জুমার নামায ছাড়া আর কোনো ওয়াক্তেই নামায খুব একটা পড়েন না, আধুনিক জীবনযাপন করেন, এমনকি তাদের বেলাতেও দেখা যায় যে তাদের অনেকেই দেশে ইসলামকে কায়েম দেখতে চান বা ইসলামী শাসন চান। এরকম উদাহরণ আমাদের দেশে আছে ভূরিভূরি। আপনাদের জীবনের এমন মানুষ অনেক পাবেন। পাবেন আপনার পরিচিতদের মধ্যে, পাবেন রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে…অনেকই পাবেন। তো এদের অনেকেই আমি দেখেছি বর্তমানে এনসিপি বা এবি টাইপের দলকে সাপোর্ট করছে। বিশেষ করে আমি দেখেছি এনসিপির সমর্থন প্রচুর। আমার তো মনে হয় দেশের প্রাপ্তবয়ষ্ক লোকদের ভিতর কমসে কম ৭% এনসিপির সাপোর্টার। এনসিপি যেহেতু জুলাইয়ের চেতনা এবং ইসলামকে ব্যবহার ভালোভাবে করতে পারছে, প্রচুর জেন-জি লোক অবশ্যই এনসিপির পিছনে আছে। এর সাথে ধরেন, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ এবং আধা সক্রিয় অন্যান্য ইসলামি ও ডানপন্থী দলগুলোর কথা…
আমার সকল পলিটিক্যাল অভিজ্ঞতা ও বিশ্লেষণ থেকে আসেন অনুমান করি যে এদের টোটাল ভোট কত? ফ্রি ফ্র্যাংক একটা হিসাব দেই আসেন (শতাংশের এই হিসাব জাস্ট আমার অনুমান নির্ভর; কেউ একে পুরো সত্য বা নির্ভুল মনে করবেন না, প্লিজ):
জামাতের ভোট আমার ধারণা ১৮%+ এনসিপির ভোট ৭%+ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ভোট ৭%+গণ অধিকার পরিষদের ভোট ৩%+এবি পার্টির সমর্থন ২%+ অন্যান্য সকল ইসলামী ও ডানপন্থী দলের সমর্থন বা ভোট ৩%।
তো টোটাল কত হলো? ৪০%। জ্বি, হ্যাঁ…সবগুলো ইসলামিস্ট বা ডানপন্থী দলের টোটাল ভোট এখন এমনটাই হওয়া খুবই সম্ভব।
এবার আসেন, অন্যান্য দলের ভোটের হিসাবটা একটু করিঃ
১। এই ইন্টেরিমের অধীনে নির্বাচন হলে স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে পারবে না। দেশে বর্তমানে আমার মতে, লীগের ভোট আছে ২৫-৩০%।
২। জাতীয় পার্টিরও মোট ভোট ভালোই আছে দেশের উত্তরাঞ্চলে, যেটা টোটাল প্রায় ৭-৮% হবে বলে
তাহলে, বাকি ভোটারদের পারসেন্ট অবশিষ্ট থাকেঃ
ডানপন্থীদের মোট ভোট ৪০%+লীগের ভোট ২৫%+ জাতীয় পার্টির ভোট ৫%= ৭২%।
তাহলে বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের জন্য সর্বোচ্চ ভোট অবশিষ্ট থাকে ২৮%। সর্বোচ্চ ৩০% ও যদি ধরি, তাহলেও কিন্তু ডানপন্থীদের 'ইসলামী মহাজোট’(সকল ইসলামী বা ডানপন্থী দল, সাথে এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদের মতো দল মিলে যে সম্ভাব্য জোট হওয়াটা আলোচনায় রয়েছে)-এর চেয়ে তাদের মোট ভোট কিন্তু বেশ কম। তাও ১০%-এর মতো।
যদিও মোট ভোটের শতাংশের পরিমাণ স্রেফ পিআর ভোটেই কার্যকর, আসনভিত্তিক ভোটে নয়, তারপরও কিন্তু সলিড বা ফেয়ার ভোটেই বিএনপির নির্বাচনে হেরে যাবার সম্ভাবনা যথেষ্ট। এরপরও যদি নির্বাচনে বিএনপি সামহাউ ভোটে বেশি আসনে এগিয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও আমার মনে হয় সেটাকে ট্যাকল দেওয়ার কৌশল ডানপন্থীদের জোটের থাকবে…অনেকেই বলছেঃ বিএনপি দখল করার দিকে মনোযোগী ছিল বাস, লঞ্চ, টেম্পুস্ট্যান্ড; আর ওদিকে জামাত মনোযগী ছিল দেশের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন ও প্রশাসনের উচ্চ পদগুলোতে নিজেদের লোক সেট করার দিক দিয়ে। আমার মনে হয়, কথাটা অসত্য না। যেহেতু প্রশাসনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন জামাত-এনসিপির লোক, সেহেতু সুক্ষ্ণ কারচুপি করে সেই ফারাকটুকু মুছে দিয়ে ‘ইসলামী মহাজোটকে’ বিজয়ী করে দেওয়া খুব বড় কোনো ব্যাপার হবে না যদি তাদের সেরকম কোনো উদ্দেশ্য থাকে!
এটাইা বাস্তব অবস্থা, মানি আর না মানি!
তবে, সেটা বোঝা সবার কম্ম না। সম্প্রতি সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না ভাই গ্রেফতার হয়েছেন বলতে গেলে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে। কয়েকমাস আগে আমি একদিন তাকে ফেসবুকের ইনবক্সে বলেছিলাম যে দেশে তো এনসিপির সমর্থন অনেক বাড়ছে ধীরে ধীরে। উনি আমার সাথে একমত হননি। বলেছিলেন, ‘আমি তেমনটা মনে করি না!’ দেশে যে ডানপন্থার বাড়বাড়ন্ত উত্থান হচ্ছে, সেই ব্যাপারে আমি ইনবক্সে অভিমত জানিয়েছিলাম বিশিষ্ট পলিটিক্যাল এনালিস্ট ডাঃ জাহেদ উর রহমান ভাইকে। কিন্তু তিনিও আমার কথা খুব একটা আমলে নেননি।
শুধু, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার শাহেদ আলম ভাই-ই দেশে যে এখন প্রচুর মানুষ ডানপন্থী শাসন চায়, সেই ব্যাপারে আলোকপাত করেছিলেন তাঁর এক ভিডিওতে।
কিন্তু এখন ডাকসু নির্বাচন যেন আমার কথারই প্রামাণ্য উদাহরণ হিসেবে এসেছে। হ্যাঁ, বাস্তবতা এটাই!
ডাকসু নির্বাচন পুনশ্চঃ অনেকেই বলছেন, বিএনপির নানান অপকর্ম ও লীগের উপর নিপিড়নের কারণেই লীগের ভোটগুলো সব জামায়াতের বাক্সে গেছে। এমনকি অনেক কথিত বিখ্যাত পলিটিক্যাল এনালিস্টও এমনটা বলছেন। এছাড়াও, অনেকেই মনে করছে জামাত-শিবিরের সাম্প্রতিক সুকর্ম এবং বিএনপি-ছাত্রদলের অপকর্মই এই বিশাল ভূমিধস বিজয়ের পিছনে ক্রিয়াশীল ছিল। আমি তেমনটা মনে করি না…কারণটা খুলে বলছি!
জামাতের নিজেদের অপকর্মও কিন্তু কম নেই। বিএনপি প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, দখলবাজি করে; কিন্তু জামাত করে ‘হাদিয়ার নামে চাঁদাবাজি।’ এর পাশাপাশি, লুকিয়ে দখলবাজি করার অভিযোগ আছে তাদের নামে। ধর্মকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার, ‘মুখে এক অন্তরে আরেক’ মার্কা মুনাফেকি আচরণ, ধর্মের নামে মিথ্যা বলা ও কাজ করা, এদের বটবাহিনির অকথ্য ও অগ্রহণযোগ্য কাজকর্মের বিশাল দক্ষযজ্ঞ, বটবাহিনি ও সমর্থকদের মাধ্যমে এর-ওর চরিত্রহননের চেষ্টা, চরম অপ্রপ্রচারে এদের ধারেকাছে কেউ নেই। এর পাশাপাশি, একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধকে এখনো অস্বীকার, এখনো বীর মুক্তিযোদ্ধা এমনকি বীরশ্রেষ্ঠদেরও অপমান করা, পাকিস্তানের সাথে, উগ্রবাদীদের সাথে মাখামাখি— এগুলোই যথেষ্ট দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে এদের অজনপ্রিয় হওয়ার জন্য। কেননা, এসব কাজের অধিকাংশই ইসলামী আদর্শের সাথেও যায় না। আর এদের গুপ্ত রাজনীতি, গুপ্ত ষড়যন্ত্র, মিথ্যার বেসাতি ও মিথা জীবনযাপন নিয়ে আর কী বলব? এরা যে আসলে কোন কোয়ালিটির, তা এই একটা জিনিস থেকেই বোঝা যায়।
কাজেই, জামাত-শিবিরের ভালো কাজ, আচরণ এবং বিএনপি, ছাত্রদলের মন্দ কাজ বা আচরণের ফলাফলে ডাকসুতে শিবির জিতেছে, এমন ধারণা খুব একটা সঠিক বলা যাবে না। শিবিরের ভূমিধস বিজয়ের কারণ হলো সম্প্রতি দেশে এবং বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডানপন্থী আদর্শের ব্যাপক উত্থান। সেটার পিছনে আবার অন্যতম কারণ গত এক দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রী! এখন ডানপন্থী আদর্শ বা চিন্তাধারার প্রায় সকল ভোট যদি শিবিরের প্রার্থীদের পকেটে যায়, তবে সেটাই তাদের কিন্তু অনেক এগিয়ে রাখে। আর এর সাথে তলে তলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে ও বাগছাস-এর সমর্থকদের ভোট যদি জামাতের প্যানেলে যাওয়ার জন্য ঠিক হয়ে থাকে, তবে সেটা তো জামাতের প্রার্থীদের বিজয়ের জন্য যথেষ্ট! তেমনটা যদি ডাকসু ইলেকশনে হয়ে থাকে, খুব অবাক হবার মতো কিছু কি থাকবে?
কাজেই, ডাকসু ইলেকশনে যেমনটা হয়েছে, এর প্রতিফলন যদি জাতীয় নির্বাচনে দেখা যায়, তাহলে খুব বেশি অবাক হবার কিছু কী থাকবে?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪০
শেহজাদ আমান বলেছেন: কেমনে? যুক্তি দিয়ে আমারে বোঝান?
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যেই আসুক সবজির দাম কমবে না ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪১
শেহজাদ আমান বলেছেন: সেটাই স্যারই খালি এটা করতে পেরেছিলেন! তাও স্রেফ শীতের মৌসুমে! খিক!
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ছোট মগজ নিয়ে বেশী বড় বিষয় নিয়ে ভাবছেন, ইহা সঠিকভাবে প্রসেসিং করতে পারছে না।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
শেহজাদ আমান বলেছেন: কী কইতে চান, একটু সাবটাইটেল দিয়ে বুঝায়া কন ভাই!
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৬
নিমো বলেছেন: সমস্যা কোথায় ? আমরা ইসলামিক ফেসবুক, ইন্স্টাগ্রাম, এক্স, টিকটক পাবো। এমনকি ইসলামিক পর্ণ পাওয়া যেতে পারে। ইসলামিক গ্রামীণ ব্যাংক হবে। ইসলামিক ইন্টারনেট, টেলিকম হবে। ইসলামিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোয়ার হবে। বলুন মারহাবা! আরও অনেক ইসলামিক টিনের চাল কাউয়া হবে। বাকিটা বুঝে নিন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৯
শেহজাদ আমান বলেছেন: মারহাবা! কিন্তু সেই দেশে তো অনেকেই থাকতে পারবে না। বাংলাদেশ তখন আর সত্যিকারের বাংলাদেশ থাকবে না নিশ্চিত!
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫০
রাবব১৯৭১ বলেছেন: স্বপ্নে খাইলে চিটা গুড় আর চিড়া খেয়ে লাভ কি?পোলাও কোরমাই খাবো!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
শেহজাদ আমান বলেছেন: আপনার স্বপ্ন কী? সরাসরি বুঝাইয়া কন তো?
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি যেই ব্যাপারে লিখেছেন, সেটা আপনার কাছে পরিস্কার নয়।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫২
শেহজাদ আমান বলেছেন: পরিষ্কার! আমার বিশ্লেষণ বা অনুমানশক্তি থেকে বলেছি। এটাও বলেছি এটা স্রেফ অনুমান, পুরোপুরি সত্য বা নির্ভুল বলা যাবে না।
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮
মেঘনা বলেছেন: আপনার ধারণা নাও মিলতে পারে।
ডাকসু নির্বাচনে জামাতশিবির এই মার্জিনে জিতবে, এটা আপনার ধারণায় ছিল না।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩১
শেহজাদ আমান বলেছেন: তা ছিল না, তবে বর্তমানের রাজনৈতিক ট্রেন্ড ডানপন্থীদের উত্থানের ট্রেন্ড! সেই অনুযায়ীই বিশ্লেষণ ও অনুমান করার চেষ্টা করেছি!
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাবব১৯৭১ এর স্বপ্ন হলো আবার আওয়ামি লিগ পাওয়ারে যাবে। এরপর করাপশন করে মসজিদ মাদরাসায় দান করবেন।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৫
মাথা পাগলা বলেছেন: বিশ্লেষণটা ভালো লেগেছে। তবে আসল চ্যালেঞ্জ হলো ক্ষমতায় আসার পর সেখানে টিকে থাকা। গণতান্ত্রিক দেশে শরিয়তি আইন জনগণ সহজে মেনে নেবে বলে মনে হয় না। সামনে কী ঘটে তা দেখার জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
লেখক বলেছেন: ডাকসুর নির্বাচনে শিবির বলতে গেলে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছে। নির্বাচনে কিছু সুক্ষ্ণ কারচুপির ব্যাপার যে থাকতে পারে, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু এরপরও যে শিবিরের প্রার্থীরা এত বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করেছে, এর পিছনে তো এইটাই কারণ যে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী তাদের ভোট দিয়েছে। কেন এমনটা হলো?
এটা আমি অনেক আগে থেকেই বলছি।
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ইলেকশন যদি হয়, জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বছরখানকের মধ্যে তাদের পতন হবে। অনেকে ফাঁসিতে ঝুলবে
আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্বা, মুক্তমনারা মরবে। বেশ কিছু বড় বড় লীগের নেতা এখন হাজতে আছে। বিচার করে ২~৩টার ফাঁসি দিলে অবাক হবো না। যেমন রাজাকারদের ফাঁসি দেয়া হয়েছিলো।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
শেহজাদ আমান বলেছেন: মানবে! কেন মানবে, সেই কারণটা তো উল্লেখ করেছিইঃ ডানপন্থা মানে কিন্তু এই না যে সবাই জামাতে ইসলামি বা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে (চরমোনাইয়ের দল) সমর্থন করে বা ভোট দিবে। দেশে একটা বিশাল অংশের ইসলামপন্থী মানুষ আছে, যারা শার্ট-প্যান্ট পরে, জুমার নামায ছাড়া আর কোনো ওয়াক্তেই নামায খুব একটা পড়েন না, আধুনিক জীবনযাপন করেন, এমনকি তাদের বেলাতেও দেখা যায় যে তাদের অনেকেই দেশে ইসলামকে কায়েম দেখতে চান বা ইসলামী শাসন চান। এরকম উদাহরণ আমাদের দেশে আছে ভূরিভূরি। আপনাদের জীবনের এমন মানুষ অনেক পাবেন। পাবেন আপনার পরিচিতদের মধ্যে, পাবেন রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে…অনেকই পাবেন। তো এদের অনেকেই আমি দেখেছি বর্তমানে এনসিপি বা এবি টাইপের দলকে সাপোর্ট করছে। বিশেষ করে আমি দেখেছি এনসিপির সমর্থন প্রচুর। আমার তো মনে হয় দেশের প্রাপ্তবয়ষ্ক লোকদের ভিতর কমসে কম ৭% এনসিপির সাপোর্টার। এনসিপি যেহেতু জুলাইয়ের চেতনা এবং ইসলামকে ব্যবহার ভালোভাবে করতে পারছে, প্রচুর জেন-জি লোক অবশ্যই এনসিপির পিছনে আছে। এর সাথে ধরেন, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ এবং আধা সক্রিয় অন্যান্য ইসলামি ও ডানপন্থী দলগুলোর কথা…
শিবিরের কথিত প্রার্থী ফাতিমা তাসনিম জুমাকে দেখেন না? ও কিন্তু আমার ভালোভাবেই পরিচিত। ওর অবস্থা দেখেই বোঝা যায় দেশের বিশাল অংশের মানুষ ইসলামি শাসনকে সহজেই মেনে নেবে। স্যাড বাট ট্রু!
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫১
বাজ ৩ বলেছেন: আগে থেকে ধারনা ছাড়া কোনোকিছু বলা যায়না।ক্ষমতায় যেই আসুক,দেশ পুনর্গঠনে অনেক সময় রাগবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।দেশটা যে অধঃপতনে পড়েছে,এখান থেকে টেনে উঠানো সহজসাধ্য কোনো কাজ নয়।বাংলাদেশের বর্তমান অবস্তায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়াটা কোনো আনন্দের বিষয় নয়,বরং চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়।বুঝেছেন?
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
শেহজাদ আমান বলেছেন: আমার ধারণার পিছনের কারণগুলো আমার পুরো লেখায় ভালোমতোই উল্লেখ করেছি। আর এককভাবে জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত না পারলেও অন্যান্য ডানপন্থী দলকে নিয়ে জোট করলে তারাই ভালো অবস্থানে থাকবে। আর বাকিটা সামাল দেওয়ার জন্য জামায়াত-এনসিপি ব্যাকড সরকার ও প্রশাসন তো আছেই!
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ডাকসু ও জাকসুর ভোট তো বলে জামাত ক্ষমতায় আসছে।
এটা তো এখন পরিষ্কার বিষয়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
শেহজাদ আমান বলেছেন: এককভাবে জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত না পারলেও অন্যান্য ডানপন্থী দলকে নিয়ে জোট করলে তারাই ভালো অবস্থানে থাকবে। আর বাকিটা সামাল দেওয়ার জন্য জামায়াত-এনসিপি ব্যাকড সরকার ও প্রশাসন তো আছেই!
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ।
জামায়াত ক্ষমতায় চলে আসতে পারে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
শেহজাদ আমান বলেছেন: এই সম্ভাবনার কথা কয়েকমাস আগেই আমি এই ব্লগেই একটা লেখায় উল্লেখ করেছিলাম। আপনি ওখানে কমেন্ট করেছিলেনঃ "জামায়াত কখনোই ক্ষমতায় আসবে না।'
আহা, দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো যদি আমার মতো করে পলিটিকসটা বুঝত!
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯
মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশে একটা বিশাল অংশের ইসলামপন্থী মানুষ আছে, যারা শার্ট-প্যান্ট পরে, জুমার নামায ছাড়া আর কোনো ওয়াক্তেই নামায খুব একটা পড়েন না, আধুনিক জীবনযাপন করেন, এমনকি তাদের বেলাতেও দেখা যায় যে তাদের অনেকেই দেশে ইসলামকে কায়েম দেখতে চান বা ইসলামী শাসন চান।
বাংলাদেশের ৮০% মানুষও যদি শরিয়তি আইন মানতে চায় তাহলেও টিকবে না। ৮০% তো হবেই না বরং ১০~২০% হয় কিনা সন্দেহ - জাস্ট তর্কের খাতিরে বললাম।
এই জায়গাতেই জামাত-শিবির ধরা খাবে। বাংলাদেশের রাজনীতি সবসময়ই এগিয়েছে এলিট ধনী শ্রেণি আর মধ্যবিত্ত পরিবারের সমর্থনে। টাকার দিক থেকে অন্য শ্রেণিগুলোর রাজনৈতিক প্রভাব তেমন নেই। জামাত-শিবির যদি মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, তাহলে ধরা খাবে। কারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সামাজিক পরিসর আসলে এলিট পরিবারের সাথেই যুক্ত - ভাই ব্রাদাররা যে কোন অনুষ্টান/মদের আসর একসাথেই করে। বাংলাদেশের এই ক্যাটাগরি বরাবরই প্রগতিশীল ও মুক্তচিন্তার দেশ। পড়াশোনার শেষে বিদেশে স্যাটেল হতে চায়। আর ইউটিউব ভিডিওতে মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হলো - গত ২-৩ বছরে নাস্তিক ও মুক্তমনা তরুণদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
জামাত-শিবির কোনভাবে ক্ষমতায় এলেও যদি মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে এবং ৭১-কে ছোট করে দেখার চেষ্টা করে, তাহলে কোনোভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশের ইতিহাসও প্রমাণ করে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী বা মানুষের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা কখনো দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারেনি। জামাত-শিবির ক্ষমতায় আসলে উচিত হবে ৭১ - এ তাদের ভুল স্বীকার করে কখনই ৭১ - কে ছোট না করা বরং আরও বড় করে দেখা আর শরিয়তি আইনের উপর জোর না দিয়ে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে জনগনের সাপোর্ট নেয়া। জাতীয় সংগীত-নববর্ষ পালন, হিন্দু-বৌদ্ধ, জাতি ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সবাইকে সমান চোখে দেখা - যা শরিয়তি আইনের মাধ্যমে পসিবল না।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪
শেহজাদ আমান বলেছেন: কী বলেন? ৮০% মানুষ মানতে চাইলেও শরীয়া আইন হবে না! বাস্তবতা হলো ৫০% চাইলেই হয় রে ভাই। আর সে ধরনের কথিত 'ইসলামপ্রেমী' জনতা দেশে তো আছেই। এর চেয়ে বেশিই আছে!
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২
মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কী বলেন? ৮০% মানুষ মানতে চাইলেও শরীয়া আইন হবে না! বাস্তবতা হলো ৫০% চাইলেই হয় রে ভাই। আর সে ধরনের কথিত 'ইসলামপ্রেমী' জনতা দেশে তো আছেই। এর চেয়ে বেশিই আছে!
আমার লেখাটা হয়তো পুরোপুরি পড়েননি। প্রথম লাইন পড়েই হয়তো মন্তব্য করেছেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
শেহজাদ আমান বলেছেন: পড়েছি ভাই।
আপনাকে জাস্ট একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করিঃ আমার এলাকায় এক আপু আছে আমারই সমবয়সী। সে একটা দোকানে জিন্স, টি-শার্ট পরে সেলস গার্লের কাজ করে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম মজা করে, "জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কি এমন করে চলতে পারবেন?" সে প্রথমে বলল, "সেটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই।" পরে আমি তাকে সেই সম্ভাবনার কথা বুঝিয়ে বলে যখন জিজ্ঞেস করলাম, "আপনাকে হিজাব-বোরখা পরতে বললে কি মেনে নিবেন? সে বলল, "মানব না কেন? পর্দা করা তো আমার জন্য ফরজ!"
শিবিরের ফাতিমা তাসনিম জুমার মতো অবস্থা আরকি!
এমন অবস্থা যদি এক বোল্ড ড্রেস আপ পরা মেয়ের ক্ষেত্রে হয়, তবে অন্যান্য বিপুল সংখ্যক মুসলিমরা তো ইজিলি জামায়াতের অধীনে ইসলামি সকল ব্যবস্থা মেনেই নিবে, তাই না? নিজেদের ব্যক্তিস্বাধীনতা তাদের কাছে গৌণ হয়ে পড়বে তখন
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ইলেকশন যদি হয়, জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বছরখানকের মধ্যে তাদের পতন হবে। অনেকে ফাঁসিতে ঝুলবে