নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেসম্ভব ব্যাপার।

বাবু আইনস্টাইন

†kL Av‡bvqvi

A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.

†kL Av‡bvqvi › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনা সরকার এক মুহূর্ত আগেও ক্ষমতা ছাড়বে না। জোর করে একটা নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে দেয়াও সম্ভব নয়।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

খালেদা জিয়া বগুড়ায় কী কাণ্ড করলেন! সামরিক বাহিনীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন। ইশারা ইঙ্গিতে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে সামরিক শাসন জারির আহ্বান জানালেন। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার এ অবস্থান জনমনে আতংকের জš§ দিয়েছে। তিনি বলেছেন, এমন কর্মসূচি দেয়া হবে, যাতে করে দেশ অচল হবে এবং দেশ অচল হলেই অন্যপক্ষের ক্ষমতা দখলে সুবিধা হবে।

বড় ধরনের হতাশা থেকে এ রকম কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে। তিনি হয়তো বুঝে ফেলেছেন, নির্বাচন হলে তার দলের ভবিষ্যৎ নেই। নিজে যখন খেতে পারব না অন্য কাউকে খেতে দেব না, এই মনোবৃত্তি থেকেই কথাটা আসতে পারে। বিএনপির বড় ভরসা জামায়াত। জামায়াতবিহীন বিএনপির মাঠেগঞ্জে কোন অবস্থান নেই। আর জামায়াত যখন প্রায় নিঃশেষ হওয়ার পথে, তখন হয়তো ওদিক বিবেচনায় এনেই খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে বাধা দিতেই সামরিক শাসন জারির আহ্বান জানাতে পারেন। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

খালেদা জিয়ার বগুড়ার মাটিঢালির জনসভায় অর্ধেক দর্শকই ছিল জামায়াত-শিবিরের। শিবির সারাক্ষণ নিজেদের ¯ে¬াগান দিয়েছে। বারবার নিষেধ করেও এদের নিবৃত্ত করা যায়নি। আর জামায়াত নেতা যারা মঞ্চে ছিলেন, তাদের অনেকে ঘর পোড়া, মন্দির ভাঙার আসামি। একজন জাতীয় নেত্রী আসামিদের সঙ্গে নিয়ে যখন সভা করেন, তখন বুঝতে কারও কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, খালেদা জিয়ার আসল লক্ষ্য কী?

বড় ধরনের হতাশা থেকে সামরিক বাহিনী নামানোর কথা আসে। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন, আগামী নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা কম। জনতার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে অনেকে ব্রতী হন।

নির্বাচন এখনও দেরি আছে। জোয়ার-ভাটার দেশের মানুষের মন কোন দিকে যায়, ভোটের আগের মুহূর্তেও বলা যায় না। সুতরাং হতাশা বাড়িয়ে, হরতাল করে, গাড়ি জ্বালিয়ে কোন লাভ হওয়ার নয়। শেখ হাসিনা সরকার এক মুহূর্ত আগেও ক্ষমতা ছাড়বে না। জোর করে একটা নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে দেয়াও সম্ভব নয়। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজে বাধা দিয়ে কোন সুফলও আসার কথা নয়।

আমরা পূর্বাপর ঘটনার একটু গভীরে যেতে চাই। জামায়াত যে এদেশের স্বাধীনতা চায়নি বা এখনও এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, একথা খালেদা জিয়ার না জানার কথা নয়। চট্টগ্রামে জামায়াতের মিছিলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ ¯ে¬াগানও দেয়া হয়েছে। জেনেশুনে জামায়াতি সঙ্গ ত্যাগ করতে পারছে না বিএনপি। এর একমাত্র কারণ জামায়াতিদের ভোট। যেখানে ধানের শীষ মার্কা থাকে, প্রার্থীর যোগ্যতা, সততার বিচার না করেই জামায়াতিরা চোখ বন্ধ করে ভোট দিয়ে দেয়। এ জন্যই জামায়াত যত কিছুই করুক, এদের সঙ্গ বিএনপি কখনও ছাড়তে পারে না।

জামায়াতিরা মনে করে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে এদের বিপদ বাড়ে। ধর্মের কথা বলে সাধারণ মানুষকে গোমরাহ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার অর্থই হল, জামায়াত ক্ষমতায়। তখন মন্দির ভাঙা সহজ হয়, হিন্দুদের বাড়িঘর দখল সহজ হয়, বুক ফুলিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলতে সুবিধা হয়। আদর্শগত মিল না থাকলেও এরা বিএনপির পক্ষেই থাকবে সব সময় সব অবস্থায়। ধর্মের দোহাই দিয়ে জামায়াত করতে পারে না এমন কাজ নেই। জামায়াতিরা পাকিস্তান না চাইলেও, মওদুদী পাকিস্তানে গিয়ে দাঙ্গা লাগিয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশেও একই কথা প্রযোজ্য। এরা কখনও বাংলাদেশ চায়নি। হয়েই যখন গেছে, তখন এটাকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ জ্বালিয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়েই এরা ক্ষান্ত হয়নি, কনসাটে পল¬ীবিদ্যুৎ কর্মচারীদের সরকারি বাসভবনে আগুন দিয়ে কোরআন শরিফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে। যারা কোরআন পোড়াতে পারে, এরা কোন ধরনের মুসলমান?

এক সময় কওমি মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে জামায়াতের নানা প্রচারণা ছিল। কওমিরাও জামায়াতিদের সহ্য করতে পারত না। কিন্তু কোথা থেকে কী ঘটে গেল, যার ফলে তাদের মধ্যে এখন গলায় গলায় ভাব। কওমি মাদ্রাসার বড় হুজুর অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। ‘একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ল্যাপটপ নিয়ে বিভিন্ন বানোয়াট ছবি নিয়ে নাকি হুজুরের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিজ্ঞানের যুগে ছবি ইম্পোজ করা, একজনের মাথা অন্যজনের দেহ দিয়ে ছবি প্রকাশ কোন ব্যাপারই নয়। সুতরাং হুজুর যদি একটু গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করেন, বুঝবেন এদের আসল উদ্দেশ্য ইসলামকে হেফাজত করা নয়। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোই এদের মূল টার্গেট।’

কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আদর্শিক কোন বিরোধ নেই। কওমি মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়নে এ সরকার কাজ করছে। ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে যুগের সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষা যাতে হয়, সে ব্যবস্থা এ সরকার করছে।

বিএনপি ঘনঘন হরতাল দেয়। হরতালের আগের দিন সন্ধ্যার দিকে পেনিক সৃষ্টিতে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারে। যাদের সম্পদহানি ঘটে, এরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। অপরদিকে হরতালের কারণে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, কলকারখানা বন্ধ থাকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা নিজেরা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, জানি না। তবে উদ্যোগটা যদি এ রকম হয় যে, হরতালের দিনগুলোর জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের ঋণের সুদ দেবেন না এবং হরতালে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, তা আয়কর দেয়ার সময় এডজাস্ট করা হবে, তবেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

আতিকুল০৭৮৪ বলেছেন: আপনি শুধু এক পক্ষের কথা বললেন? আওয়ামিলিগ ও এমন কাজ, জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি করেছে।এখন তারা যদি এটা বুজেই যে বি এন পি নিরবাচনে হারবে তাহলে তত্বাবদায়ক সরকার দিবে না বলে কেন।নিজে ক্ষমতায় থেকে নিরবাচন করবে এটা কেমন কথা।তত্বাব্দায়ক ইস্যুতে বি এন পির কথা ঠিক আছে।এইটা নিয়া আওয়ামিলিগ বাড়াবাড়ি করতেছে।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
আপনি নেতা? তাইলে আপনারে কইয়া লাভ নাইক্কা !!

না হইলে কই -

বেপারটা এমন সেন্সেটিভ - যেভাবে বলছে খালেদা জিয়া - আওমী পন্থি এক ভাবে প্রচারে করছে বিএনপি পন্থি এক ভাবে - সুযোগ আছে !

তার চেহারা খারাপ না তো ---

আওমী পন্থিরা - আমার নেত্রীরে কুৎসিত কইছে - গালি দিছে
বিএনপি পন্থিরা - মিডিয়া উলটো ভাবে নিছে - আমাদের নেত্রী কইছে চেহারা ভালো !! মাথায় গবর থাকলে বুঝতে পারবেন !!

--- আর সত্যি কথা -আমি চাই আরো দুই বছর পিডানী হোক :) :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.