![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.
মেয়েদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার পর স্কুলে না দিতে, নারীদের চাকরি করতে না দিতে অভিভাবকদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। নারীদেরকে তেঁতুলের সঙ্গে সংগঠনের আমির আহমেদ শাহ শফি বলেছেন, মেয়েদের দেখলে পুরুষের লালা ঝড়া উচিত। কোনো পুরুষের লালা না ঝড়লে তিনি পুরুষত্বহীন বলেও মন্তব্য করেছেন শফি।
হেফাজতে ইসলামীর নেতা আল্লামা শফী’র একটি বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। একটি ওয়াজ মাহফিলে দেওয়া বক্তৃতায় হেফাজত নেতা শফী কেবল অশ্লীল কথাবার্তাই বলেননি, তিনি গার্মেন্টস এ কাজ করা মেয়েদের, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপারেও নোংরা, রুচিহীন মন্তব্য করেছেন। প্রায় আধা ঘন্টার বক্তব্যে আল্লামা শফীর দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন সম্পর্কেও ধারনা পাওয়া যাবে।
এই ভিডিওর বক্তব্য বিশ্লেষনের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম এবং তার নেতা আল্লামা শফীর মনন ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনা পাওয়া যাবে বিবেচনা করে পাঠকদের জন্য ভিডিও তার বক্তব্য হুবহু উপস্থাপন করা হলো।
“এই মহিলারা, ঘরের চার দিউয়ারির মধ্যে তোমরা থাকো। ঘরের বাহিরে ঘুরাফেরা করিও না। কে বলছে, আল্লাহপাক বলছে। হুজুরের আগের জামানায় মহিলারা বেপর্দায় চলাফেরা করতো। ঘর থেকে বাইর হইয়ো না তোমরা। উলঙ্গ অবস্থায় ঘুরাফেরা করিও না রাস্তা-ঘাটে, হাটে-মাঠে। সাবধান, মার্কেটিং করতে যাবেন না। ছেলে আছে, স্বামী আছে এদেরকে বলবা মার্কেটিং করার জন্য, তোমরা কেন যাইবা? তোমরা শুধু স্বামীকে অর্ডার করবে, এই জিনিস আনো, ওই জিনিস আনো, এই জিনিস নিয়া আসো। অর্ডার করবেন ছেলেকে অর্ডার করবেন বইসা বইসা আপনি কেন কষ্ট করবেন? আপনি স্বামীর ঘরের মধ্যে থাইকা স্বামীর আসবাবপত্র এগুলা হেফাজত কইরবেন। ছেলে-মেয়ে, ছেলে সন্তানকে লালন পালন করবেন। এগুলা আপনার কাজ। আপনে বাহিরে কেন যাবেন?
আপনার মেয়েকে কেন দিচ্ছেন গার্মেন্টসে চাকরী করার জন্য? চাকরি তো অনেক করতেসেন। আপনার বিধিও কথায় ইশকুলে লেখাপড়া করায় ডাক্তার হইসেন। আপনেও ডাক্তার, আপনার মেয়েরাও ইশকুলে চাকুরী করে গার্মেন্টসে চাকুরী করে। সবাই টাকা-পয়সা অর্জন করতেসেন, তবুই শিকায়াত কুলাইতেসে না, কুলাইতেসে না। অভাব-অভাব-অভাব-অভাব। আগের যুগে একজনে কামাই রোজগার করসে, স্বামী। ছেলে, সন্তান, বউ, বেটি সবাইকে নিয়া ফরাগতের সাথে খাইসে। এখন বরকত নাই। এতো টাকা পয়সা রোজগার করতেসেন, তবু কুলাইতেসে না, অভাব-অভাব-অভাব, বরকত নাই।
গার্মেন্টসে কেন দিসেন আপনার মেয়েকে? ফজরে ৭/৮ টা বাজে চলে যায়, রাত ৮/১০/১২ টায়ও আসেনা। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করতেসে তুমি তো জানো না। কতজনের মধ্যে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে, আপনে তো জানেন না। জেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করতেসে, কি বরকত হবে?
আপনারই মহিলা মেয়েদের স্কুলে, কলেজে, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করছে। আরেহ, ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া করান। বিবাহ শাদী দিলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব কইরতে পারে মত, অতটুকু দরকার। বেশি বেশি আপনার মেয়েকে আইজকে স্কুলে কলেজে ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেসেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেসেন। কিছুদিন পরে আপনার মেয়ে স্বামী একটা নিজে নিজে ধরি নিবে, লাভ ম্যারেজ/কোর্ট ম্যারেজ করি চলি যাবে। আপনার কথা স্মরণ করবে না। কয়জন আছে আপনেরা বলেন মহিলা?
এখন আরও মোবাইলের জামানা, কিসের জামানা আরে বলেন না ভাই? আমার কথা বুঝে আসছে নি? এই ভুলগুলা কেউ বলে না ওয়াজে শুধু রঙ তামাশার ওয়াজ করে চলে যায়। মোবাইলের জামানা মহিলার কাছে, সবার কাছে। মহিলার কাসে মোবাইল, পুরুষের কাছে মোবাইল। ছাত্র ছাত্রীর কাছে মোবাইল-মোবাইল-মোবাইল। ছাত্র-ছাত্রীর থেকে নাম্বার নিয়ে নিছে, ছাত্রী ইশকুল কলেজের ছাত্রের কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে নিছে, বাস লেখাপড়া যা করলেন।
মহিলাদেরকে ক্লাসের সামনে বসানো হয় কলেজে ভার্সিটিতে, পুরুষরা কি লেখাপড়া কইরতেছে? মহিলা তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত। ছোট্ট একটা ছেলে তেঁতুল খাইতেসে, আপনে দেখতেছেন, আপনার মুখ দিয়া লালা বাইর হবে। সত্য না মিথ্যা বলেন তো? তেঁতুল বৃক্ষের নিচ দিকে আপনে হাইটা যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মার্কেটে যেখানে তেঁতুল বিক্রি করে ওদিকে যদি আপনে যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মহিলা তাঁর থেকেও বেশি খারাপ! মহিলাদেরকে দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়, বিবাহ করতে ইচ্ছা হয়। লাভ ম্যারেজ/ কোর্ট ম্যারেজ করতে ইচ্ছা হয়। হয় কিনা বলেন? এই মহিলারা তেঁতুলের মত। দিনেরাত্র মহিলাদের সাথে পড়ালেখা করতেসেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে হাঁটাহুটা করতেসেন, হ্যান্ডশেক কইরা কইরা, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতই বুজুর্গ হোক না কেন, এই মহিলাকে দেখলে, মহিলার সাথে হ্যান্ডশেক করলে আপনার দিলের মধ্যে কুখেয়াল আইসা যাবে, খারাপ খেয়াল। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা হইতে হইতে আসল জেনায় পরিণত হবে। এটা সত্য না মিথ্যা? কেউ যদি বলে একজনবুড়া মানুষ হুজুর মহিলাকে দেখলে আমার দিল খারাপ হয় না, কুখেয়াল দিলের মধ্যে আসে না। তাহলে আমি বলব ভাই, হে বুড়া তোমার ধ্বজভঙ্গ বীমার আছে। তোমার পুরুষত্ব নস্ট হয়া গেসে। সেজন্য মহিলাদের দেখলে তোমার মনে কুভাব আসে না। একটা বুড়া আরেকটা ধ্বজভঙ্গ বীমারওয়ালা ওই বুড়ার দিলের মধ্যে মহিলা দেখলে কুভাব না আসতে পারে।
মেয়েদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার পর স্কুলে না দিতে, নারীদের চাকরি করতে না দিতে অভিভাবকদের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। নারীদেরকে তেঁতুলের সঙ্গে সংগঠনের আমির আহমেদ শাহ শফি বলেছেন, মেয়েদের দেখলে পুরুষের লালা ঝড়া উচিত। কোনো পুরুষের লালা না ঝড়লে তিনি পুরুষত্বহীন বলেও মন্তব্য করেছেন শফি।
হেফাজতে ইসলামীর নেতা আল্লামা শফী’র একটি বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। একটি ওয়াজ মাহফিলে দেওয়া বক্তৃতায় হেফাজত নেতা শফী কেবল অশ্লীল কথাবার্তাই বলেননি, তিনি গার্মেন্টস এ কাজ করা মেয়েদের, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপারেও নোংরা, রুচিহীন মন্তব্য করেছেন। প্রায় আধা ঘন্টার বক্তব্যে আল্লামা শফীর দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন সম্পর্কেও ধারনা পাওয়া যাবে।
এই ভিডিওর বক্তব্য বিশ্লেষনের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম এবং তার নেতা আল্লামা শফীর মনন ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারনা পাওয়া যাবে বিবেচনা করে পাঠকদের জন্য ভিডিও তার বক্তব্য হুবহু উপস্থাপন করা হলো।
“এই মহিলারা, ঘরের চার দিউয়ারির মধ্যে তোমরা থাকো। ঘরের বাহিরে ঘুরাফেরা করিও না। কে বলছে, আল্লাহপাক বলছে। হুজুরের আগের জামানায় মহিলারা বেপর্দায় চলাফেরা করতো। ঘর থেকে বাইর হইয়ো না তোমরা। উলঙ্গ অবস্থায় ঘুরাফেরা করিও না রাস্তা-ঘাটে, হাটে-মাঠে। সাবধান, মার্কেটিং করতে যাবেন না। ছেলে আছে, স্বামী আছে এদেরকে বলবা মার্কেটিং করার জন্য, তোমরা কেন যাইবা? তোমরা শুধু স্বামীকে অর্ডার করবে, এই জিনিস আনো, ওই জিনিস আনো, এই জিনিস নিয়া আসো। অর্ডার করবেন ছেলেকে অর্ডার করবেন বইসা বইসা আপনি কেন কষ্ট করবেন? আপনি স্বামীর ঘরের মধ্যে থাইকা স্বামীর আসবাবপত্র এগুলা হেফাজত কইরবেন। ছেলে-মেয়ে, ছেলে সন্তানকে লালন পালন করবেন। এগুলা আপনার কাজ। আপনে বাহিরে কেন যাবেন?
আপনার মেয়েকে কেন দিচ্ছেন গার্মেন্টসে চাকরী করার জন্য? চাকরি তো অনেক করতেসেন। আপনার বিধিও কথায় ইশকুলে লেখাপড়া করায় ডাক্তার হইসেন। আপনেও ডাক্তার, আপনার মেয়েরাও ইশকুলে চাকুরী করে গার্মেন্টসে চাকুরী করে। সবাই টাকা-পয়সা অর্জন করতেসেন, তবুই শিকায়াত কুলাইতেসে না, কুলাইতেসে না। অভাব-অভাব-অভাব-অভাব। আগের যুগে একজনে কামাই রোজগার করসে, স্বামী। ছেলে, সন্তান, বউ, বেটি সবাইকে নিয়া ফরাগতের সাথে খাইসে। এখন বরকত নাই। এতো টাকা পয়সা রোজগার করতেসেন, তবু কুলাইতেসে না, অভাব-অভাব-অভাব, বরকত নাই।
গার্মেন্টসে কেন দিসেন আপনার মেয়েকে? ফজরে ৭/৮ টা বাজে চলে যায়, রাত ৮/১০/১২ টায়ও আসেনা। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করতেসে তুমি তো জানো না। কতজনের মধ্যে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে, আপনে তো জানেন না। জেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করতেসে, কি বরকত হবে?
আপনারই মহিলা মেয়েদের স্কুলে, কলেজে, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করছে। আরেহ, ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া করান। বিবাহ শাদী দিলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব কইরতে পারে মত, অতটুকু দরকার। বেশি বেশি আপনার মেয়েকে আইজকে স্কুলে কলেজে ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেসেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেসেন। কিছুদিন পরে আপনার মেয়ে স্বামী একটা নিজে নিজে ধরি নিবে, লাভ ম্যারেজ/কোর্ট ম্যারেজ করি চলি যাবে। আপনার কথা স্মরণ করবে না। কয়জন আছে আপনেরা বলেন মহিলা?
এখন আরও মোবাইলের জামানা, কিসের জামানা আরে বলেন না ভাই? আমার কথা বুঝে আসছে নি? এই ভুলগুলা কেউ বলে না ওয়াজে শুধু রঙ তামাশার ওয়াজ করে চলে যায়। মোবাইলের জামানা মহিলার কাছে, সবার কাছে। মহিলার কাসে মোবাইল, পুরুষের কাছে মোবাইল। ছাত্র ছাত্রীর কাছে মোবাইল-মোবাইল-মোবাইল। ছাত্র-ছাত্রীর থেকে নাম্বার নিয়ে নিছে, ছাত্রী ইশকুল কলেজের ছাত্রের কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে নিছে, বাস লেখাপড়া যা করলেন।
মহিলাদেরকে ক্লাসের সামনে বসানো হয় কলেজে ভার্সিটিতে, পুরুষরা কি লেখাপড়া কইরতেছে? মহিলা তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত-তেঁতুলের মত। ছোট্ট একটা ছেলে তেঁতুল খাইতেসে, আপনে দেখতেছেন, আপনার মুখ দিয়া লালা বাইর হবে। সত্য না মিথ্যা বলেন তো? তেঁতুল বৃক্ষের নিচ দিকে আপনে হাইটা যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মার্কেটে যেখানে তেঁতুল বিক্রি করে ওদিকে যদি আপনে যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মহিলা তাঁর থেকেও বেশি খারাপ! মহিলাদেরকে দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়, বিবাহ করতে ইচ্ছা হয়। লাভ ম্যারেজ/ কোর্ট ম্যারেজ করতে ইচ্ছা হয়। হয় কিনা বলেন? এই মহিলারা তেঁতুলের মত। দিনেরাত্র মহিলাদের সাথে পড়ালেখা করতেসেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে হাঁটাহুটা করতেসেন, হ্যান্ডশেক কইরা কইরা, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতই বুজুর্গ হোক না কেন, এই মহিলাকে দেখলে, মহিলার সাথে হ্যান্ডশেক করলে আপনার দিলের মধ্যে কুখেয়াল আইসা যাবে, খারাপ খেয়াল। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা হইতে হইতে আসল জেনায় পরিণত হবে। এটা সত্য না মিথ্যা? কেউ যদি বলে একজনবুড়া মানুষ হুজুর মহিলাকে দেখলে আমার দিল খারাপ হয় না, কুখেয়াল দিলের মধ্যে আসে না। তাহলে আমি বলব ভাই, হে বুড়া তোমার ধ্বজভঙ্গ বীমার আছে। তোমার পুরুষত্ব নস্ট হয়া গেসে। সেজন্য মহিলাদের দেখলে তোমার মনে কুভাব আসে না। একটা বুড়া আরেকটা ধ্বজভঙ্গ বীমারওয়ালা ওই বুড়ার দিলের মধ্যে মহিলা দেখলে কুভাব না আসতে পারে।
©somewhere in net ltd.