বাংলা একাডেমীতে ‘হে মাকারেনা’র হলিখেলা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০

বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখা কতৃক আয়জিত চার দিন বেপী আন্তর্জাতিক মানের হরতাল উতসবের পর পর ঢাকায় শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি উতসব ‘হে মাকারেনা’ ফেষ্টিভাল আজ শেষ হতে যাচ্ছে।

এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত ঢাকায় বাংলা একাডেমীতে আয়জিত হচ্ছে ‘হে মাকারেনা’ উতসব।

উদ্ভোদনী বক্তিতায় বাংলা একাডেমীর আমীর শামসুজ্জামান খান বলেন, বইকে কেন্দ্র করে ইংরাজের দেশের ছোট শহর হে প্রথম আয়জন করে ‘হে মাকারেনা’ উতসব। আর ইংরাজের দেশের এই উতসবকে সারা পৃথীবিতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইংরাজের সংগে গা ঘষাঘষি করা উঠতি কালা আদমী সাহিত্যিক বৃন্দ উঠিয়া পড়িয়া লাগছেন। তাই আজ বাংলা একাডেমীতে ‘হে মাকারেনা’র হলিখেলা চালু হল।



‘হে মাকারেনা’ ফেষ্টিভালে বাংলার একমাত্র ইংরাজী সাহিত্যিক

বাংলাদেশে ‘হে মাকারেনা’র প্রবর্তক প্রভাবশালী এলাকা কারওয়ানবাজারের ইংরাজী সর্দার মহাফুজ আনাম বলেন, আমার আওলাদ তাহমিমা আনাম ছুটকাল হতেই শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী। সে ওলেবেল পরিক্ষা দেওয়ার ঘরে বসিয়া ভিডিও গেম খেলতেছিল। আমি তারে ডাকিয়া বললাম, আম্মা তুমি হুদা কামে সময় নস্ট না করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া ইংরাজীতে একটি পুস্তক রচনা করিয়া ফেল। লনডনে আমার অনেক প্রকাশক দুস্ত আছে, তারা ছাপাইয়া দিবে। সে বলিল, ডেডি হুয়াটিজ মুক্তিযুদ্ধ? তখন আমি তাহাকে পাকিস্তানী জেনারেলদিগের রচিত কিছু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাল ভাল পুস্তক আনিয়া দিয়া বললাম, এইসব পুস্তক পাঠ করিলেই তুমি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্পুর্ন শুদ্ধরুপে বলিতে লিখিতে ও পড়িতে পারবে। তখন সে সেগুনো হতে চোথা মারিয়া রচনা করিল তার কালজয়ী উপন্যাস দি গল্ডেন এজ।

আবেগঘন কণ্ঠে মহাফুজ আনাম বলেন, দি গল্ডেন এজ ছাপাইতে ও মার্কেটে ছড়াইতে গিয়া আমার লনডনী বেংক একাউন্ট খালি হওয়ার অবস্থা। ইংরাজ একটি অভিশাপ। পাউন্ড খরচ না করলে উহারা কারও ভাল বলে না। এদিকে আমার আদরের আওলাদের মাথায় উঠছে সাহিত্য করার ভুত। আমি তারে ডাকিয়া বললাম, আম্মা তুমি আস্তে লিখ। এত বই লিখলে উহাদের পিছে আমার বেংক বেলান্স সকলই খরচ হইবে। সে তখন বলিল, ডেডি হুয়াটিজ আস্তে?

নষ্টালজিকতায় আছন্ন হয়ে মহাফুজ আনাম বললেন, আমি বুঝলাম, এই হারে উহার বইকে বিখ্যেত বানাইতে গেলে আমায় না খাইয়া শুকাই মরতে হবে। আমি তখন বৃটিশ কাউনশিলকে বললাম, তুমাদের এই ‘হে মাকারেনা’ উতসবটি বাংলাদেশে লইয়া আস। টেকাটুকা যা লাগে আমি দিব। উহারা বলিল, আমাদের বৃটিশ কাউনশিলের চিপায় এই উতসবকে ইংরাজী মিডিয়ামের দুয়েকটি পুলাপান ছাড়া কেহই পাত্তা দিবে না। আপুনি বাংলা একাডেমীতে এই ফেষ্টিভালটি রপ্তানী করার বেবস্থা লন। আমি তখন বাংলা একাডেমীর শামসু ভাইকে মুঠোফুন মারিয়া ‘হে মাকারেনা’ বন্দবস্ত পাকাপাকি করলাম।





টেকা শামসু মামার, নাম ফাটিল আমার

বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখাকে অনুরধ করে এই তিনদিন কোন হরতাল না দেওয়ার বেবস্থা করার কথা জানিয়ে ইংরাজী সর্দার বলেন, তারা হরতাল দিতে চাইছিল। আমি মেডামকে মুঠোফুন মারিয়া বললাম, অনেক হয়েছে আর না। এই তিনদিন আমার কর্মসুচী। আপুনি আবার পরের সপ্তাহে যা করার করিয়েন।

হাসতে হাসতে মহাফুজ আনাম বলেন, আমার আওলাদ যে সাহিত্য করে, আগে কেহই জানত না। জানলেও কিনত না। কিনলেও পড়ত না। এখন পুরা ‘হে মাকারেনা’ ফেষ্টিভাল জানে সে বাংলাদেশের একমাত্র ইংরাজী সাহিত্যিক। নামও ফাটিল, টেকাও বাচিল।

ইংরাজী সাহিত্যিক হিসাবে তাহমিমা আনামের নাম ফাটার পথে কারওয়ানবাজারের উপসর্দার ও আইভরী কোষ্ট ফিরত উপন্যাসিক আল্লামা আমিষুল হক রচিত ‘ফৃডমস মাদার’ কাঁটা হয়ে দাড়াবে কিনা, এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে মহাফুজ আনাম বলেন, এ কুইক ব্রাউন ফক্স জাম্পস ওভার এ লেজি ডগ

Click This Link

২ টি +০/-০