নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেসম্ভব ব্যাপার।

বাবু আইনস্টাইন

†kL Av‡bvqvi

A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.

†kL Av‡bvqvi › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত-শিবির : রুখতে হবে শক্ত হাতে

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই জামাত-শিবির সারা দেশে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ জামাতের সহকারী সেক্রেটারি কাদের মোল্লার ফাঁসির দ- কার্যকরের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে সারা দেশে তাদের সহিংসতা ও নাশকতা আরো হিংস্র রূপ নিয়েছে। এবার তারা বিচারকদের বাড়ি, মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা অগ্নিসংযোগ করেছে। বাসে আগুন লাগিয়ে শিশুকন্যার সামনে মাকে পুড়িয়ে মেরে নৃশংসতার নিকৃষ্ট নজির তৈরি করছে। জামাতে ইসলামী ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো স্পষ্টতই একটি সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন। তাদের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ইতোমধ্যে তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালও তাদের রায়গুলোতে স্পষ্টভাবেই জামাত একটি ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরপরও এই সংগঠনটির কার্যক্রম কেন সরকার বন্ধ করছে না এটা আমাদের বোধগম্য নয়।

বিগত সময়ে আমরা দেখেছি কী নৃশংসভাবে জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠান পুলিশ বিভাগের সদস্যদের ওপর চড়াও হয়েছে। ইট দিয়ে পুলিশ সদস্যের মাথা থেঁতলে দেয়ার দৃশ্য দেখে জাতি শিউরে উঠেছে। তারা থানা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে। একেবারেই জঙ্গিদের কায়দায় তারা তাদের হামলার টার্গেট করছে দেশের বিচারাঙ্গনকে। শুধু আদালত ভবন নয়, এখন তাদের টার্গেট বিচারকদের বাড়ি। বাদ যাচ্ছে না সরকারি অফিস অফিসও। স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বাঁচাতে দেশের বিরুদ্ধে তাদের এই যুদ্ধ মারাত্মকভাবে হুমকিগ্রস্ত করছে জননিরাপত্তা ও দেশের স্থিতিশীলতাকে। ঠিক একাত্তরের পুনরাবৃত্তিই যেন তারা আবার ঘটাতে চাইছে। এদের রুখতে হবে শক্ত হাতে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই জামাতের সদস্যরাই পাক-সেনাদের সহায়ক বাহিনী হিসেবে রাজাকার বাহিনী, আলবদর, আলশামস, আল মুজাহিদ বাহিনী ও শান্তি কমিটির মতো সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনী গঠন করে স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সে সময়কার তাদের বীভৎসতা সবার জানা। এখনো বাংলাদেশে জামাতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীরা। এখনো দলটি তাদের স্বাধীনতা বিরোধিতার অবস্থান থেকে সরে আসেনি। নিবন্ধনের প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনার কৌশল নিলেও প্রকৃতপক্ষে দলটি কখনই এদেশের সংবিধান ও জনগণের সার্বভৌমত্বকে মেনে নেয়নি, নেয়ার কথাও নয়। এখনো তারা সক্রিয় দেশটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত দিকে ফিরিয়ে নিতে। জামাত একাত্তরে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে। দলটির শীর্ষ নেতারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত, অনেকে ইতোমধ্যেই দ-িত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়গুলোতেও উঠে এসেছে যে জামাত একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠন। সম্প্রতি তারা দেশজুড়ে যে রকম সন্ত্রাস-সহিংসতা চালাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করছে, জঙ্গি তৎপরতায় তাদের মদদের যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও সন্ত্রাসী সংঠন হিসেবেই এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। শুধু সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাই নয়, এরা তরুণদের মধ্যে যেভাবে স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ছড়িয়ে যাচ্ছে তা একটি জাতির জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। শুধু নির্বাচনে অযোগ্য করা নয়, জাতির দীর্ঘদিনের দাবি, জামাতের মতো স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে তাদের বিচারাধীন করা। আমরা আশা করবো এই বিজয়ের মাসেই সরকার জামাতের কার্যক্রম বন্ধ এবং যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ নেবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.