নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদু বিদ্যা কি ? একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা । -১

২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

যাদু বিদ্যার বাস্তবতা অনস্বীকার্য । মানুষের মেধা এবং উদ্ভাবনী শক্তির বহির্ভূত এই বিদ্যার দ্বারা অনেক অসাধ্য সাধন করা যায় । মানুষের স্বাভাবিক বিচার-বুদ্ধির বিলুপ্তি ঘটিয়ে তাদেরকে নানা অপকর্মে লিপ্ত করা, স্বাস্হ্য ও স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার বিঘ্ন সৃষ্টি করা ও ধর্মীয় চেতনা বিলুপ্ত করে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাদুর অসাধারন প্রভাব রয়েছে । কুরআন-হাদিসে প্রাপ্ত বিবরণ অনুযায়ী দুনিয়ার মানুষ প্রথম যাদু-বিদ্যার সাথে পরিচিত লাভ করেছে হারুত-মারূত নামক দু'জন ফেরেশ্তার মাধ্যমে । বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, হযরত ইদ্রিস (আঃ) এর জামানায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরনের পাপ-পংকিলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ফেরেশ্তাগণ এই মর্মে আল্লাহর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করল যে, মাওলা ! তুমি দুনিয়া এ কেমন মাখলূক দ্বারা আবাদ করলে, যারা তোমার অবাধ্যতা এবং নানা অপকর্মের দ্বারা দুনিয়ার পরিবেশ একেবারে বিনষ্ট করে দিয়েছে ? আল্লাহ বললেন, মানুষের মধ্যে কাম ক্রোধ হিংসা বিদ্বেষ প্রভৃতি নানা অন্যায় প্রবণতাও দেওয়া হয়েছে । সেসব অনাচার থেকে আত্নরক্ষা করেই তো মানুষ মহাপুরস্কারের অধিকারী হবে । অপরপক্ষে, ফেরেশ্তাগণের মধ্যে আমি কোন মন্দ প্রবণতা দেইনি , তাই তারা কোন মন্দ কাজে লিপ্ত হয় না । অতপরঃ বাস্তবে তা দেখিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই হারুত ও মারুত নামক দু'জন ফেরেশ্তাকে বাবেল নগরে প্রেরণ করা হয় । এই দুই ফেরেশ্তা নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবহিত থাকার পরও অন্যায় প্রবণ মানব সমাজে বসবাস করে নানা মন্দকাজে জড়িয়ে পড়েন । তাদের কাছ থেকেই স্ত্রী লোকদের বশীভুত করা, স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া লাগানো প্রভৃতি অপকর্মে ব্যবহৃত নানা তুকতাক মানূষ শিক্ষা লাভ করে ।



পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী হযরত মূসা (আঃ) এর জমানাতেও যাদু-বিদ্যার ব্যাপক প্রচলন ছিল । যাদুকররা তখন শাসক শ্রেণীর মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করে রেখেছিলো । হযরত মূসা (আঃ) যখন ফেরআউনের দরবারে হাজির হয়ে আল্লাহ প্রদ্ত্ত বিশেষ মুজিজা প্রদর্শন করেন, তখন ফেরআউন তার দেশের বড় বড় সব যাদুকরদের ডেকে হযরত মূসা (আঃ) কে মোকাবেলা করার নির্দেশ দিয়েছিলো । কিন্তু আল্লাহর নবীর মুজিজার সামনে যাদুকরদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় ।



যাদুর ব্যাপক প্রসার ঘটেছিলো হযরত সুলায়মান আ. এর শাসনামলে । এ সময় জ্বিন ও মানুষের মধ্যে ব্যাপক মেলামেশা হত । হযরত সুলায়মান (আঃ) জ্বিনদের দ্বারও কাজ নিতেন । এই সুযোগে মানুষেরা দুষ্ট জ্বিনদের (কুরআনের ভাষায় শয়তান ) কাছ থেকে যাদুবিদ্যা আয়ত্ত করেছিলো । তখন থেকেই ইহুদীরা যাদুবিদ্যাকে তাদের ধর্মীয় উত্তরাধিকার রুপে গ্রহণ করে । ওদের রাব্বি বা ধর্মযাজকেরা সেনেগগ বা ধর্মমন্দিরগুলিকে যাদুবিদ্যার এক একটি অনুশীলন কেন্দ্রে পরিণত করেছিলো । ওরা এ মর্মে প্রচারণা চালাতো যে, হযরত সুলায়মান (আঃ) মানব-দানব নির্বিশেষে সকলকে যাদুর সাহয্যেই বশীভূত করে রেখেছিলেন । পবিত্র কুরআন ওদের দাবী প্রত্যাখান করে বলেছে যে, যাদু একটি কুফরি বিদ্যা । আল্লাহর নবী সুলায়মান (আঃ) এই কুফরিতে জড়িত হন নি । শয়তানরাই অর্থাৎ দুষ্ট জ্বিনরাই এই বিদ্যা চর্চ্চায় লিপ্ত ছিলো । সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ইহুদীরাই জ্বিন সাধন করে যাদুবিদ্যা আয়ত্ব করে এবং দুষ্ট জ্বিনদের সাহায্যে নিয়েই যাদু প্রয়োগ করে থাকে ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-১

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৩০

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ ।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪০

নতুন বলেছেন: সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ইহুদীরাই জ্বিন সাধন করে যাদুবিদ্যা আয়ত্ব করে এবং দুষ্ট জ্বিনদের সাহায্যে নিয়েই যাদু প্রয়োগ করে থাকে ।


---- হুম... তাহলে জ্বিনেরাই জাদু করে সাহাজ্য করে..???

জাদু হল পুরোটাই কারসাজি.... এতে কোন অলকিক কিছু জড়িত নাই....

যেই টা আমরা বুঝতে পারিনা.... সেই টা কেই আমরা জিন ভুতের কাজ বলে মনে করি...

কোনকিছু বিশ্বাস করার আগে ... চিন্তা করুন...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২

মিনহাজ শুভ বলেছেন: "যাদু-বিদ্যার সাথে পরিচিত লাভ করেছে হারুত-মারূত নামক দু'জন ফেরেশ্তার মাধ্যমে"
আচ্ছা এই আয়াতটা আমিও একবার পরেছিলাম কিন্তু এখন ভুলে গেছি প্লিজ যদি আয়াত নাম্বারটা বলতেন অনেক ভাল লাগত

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১২

মিনহাজ শুভ বলেছেন: "যাদু-বিদ্যার সাথে পরিচিত লাভ করেছে হারুত-মারূত নামক দু'জন ফেরেশ্তার মাধ্যমে"
আচ্ছা এই আয়াতটা আমিও একবার পরেছিলাম কিন্তু এখন ভুলে গেছি প্লিজ যদি আয়াত নাম্বারটা বলতেন অনেক ভাল লাগত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.