![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সাধারণত একটা মানুষকে বিচার করি তার বাহিরটা দেখে অথচ এটা অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটা ভূল পন্হা । আমরা যখন বিয়ের জন্য মেয়ে দেখি তখন শুধুমাত্র তার রূপ দেখি তার মনের খবর নেইনা । সে কি ধরনের ছেলে চায় বা জীবন নিয়ে তার চিন্তা কি ? আবার বিয়ের পরও অনেক স্বামী তার স্ত্রীর মনের খবর রাখেনা । অথচ আমরা যদি এদিকটা একটু চিন্তা করে আগাই তাহলে পরবর্তীতে আমরা অনেক জটিলতা থেকে বেচে যাই ।
মানুষের মন আল্লাহর এক অদ্ভুত সৃষ্টি । মানুষের শরীরকে খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায় না কিন্তু মানুষের মনকে সম্ভব । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মনের প্রভাব শরীরে উপর পড়ে । দেখা যায় যে একজন মানুষের জীবনে সব আছে, সে শারীরিক দিক দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্হ - তার কোন অভাব নেই কিন্তু তারপরও তার মন ভালো নেই । উন্নত বিশ্বে প্রতিদিন অনেক মানুষ আত্নহত্যা করে । আত্নহত্যার প্রবণতা উন্নত বিশ্বে যতটা বেশি অনুন্নত বিশ্বে ততটা নয় । এর কারণ কি ? অনেক সময় এর কারণ হলো সব পেয়ে গেছি , সব দেখে ফেলেছি, সব জেনে ফেলেছি এখন আর কিছূ জানতে ইচ্ছা করেনা, কোন কিছুই নতুন লাগেনা । নতুন করে কোন কিছূ পাওয়ার নেই । তাই হতাশা ও আত্নহত্যা । এজন্য জীবনে কিছু সংগ্রাম ও অভাব থাকা ভালো , না হয় জীবন হয়ে যায় নিরামষ ।
মহানবী (সা.) যখন প্রথম প্রথম ধর্ম প্রচার শুরু করেন তখন সমগ্র আরব জাতি উনার বিরুদ্ধে ছিল । যে উমর (রা.) , খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) প্রমূখ প্রখ্যাত সাহাবীরা উনার ঘোরতর শত্রু ছিলেন । ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগে উনাকে হত্যা করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন , সুযোগ খুজতেন । আর সেই একই ব্যাক্তিরাই কেন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যান ? অথচ শারীরিক দিক দিয়ে উনাদের কোন পরিবর্তন হয় নি হয়েছে মনের পরিবর্তন । যার ফলে উনারা পরবর্তীতে মহানবী (সা.) এর জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত হয়ে যান । আল্লাহ উনাদের মনে ঈমানের নূর দান করেন । যার ফলে জীবন তখন উনাদের কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় । শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করে মনের অস্বাভাবিক জোরে কাছে অসম্ভকে সম্ভব করে তুলেন । উনাদের প্রত্যেকের জীবন সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে যায় । তখনকার সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয় আরব । আর কিছুনা শুধুমাত্র ঈমানের আলোতে ও মহানবীর শিক্ষায় তাদের সম্পূর্ণ মানসিক পরিবর্তন-ই অসাধ্য সাধন করেছে ।
আল্লাহ পাক মানুষের মনের দিকটাই দেখেন । বলা হয়েছে হাশরের ময়দানে মানুষের মনকে -অন্তরকে চিরে চিরে দেখানো হবে , তার মনে কি ছিলো । প্রত্যেক ইবাদতের পূর্বে এজন্য শুদ্ধ নিয়ত জরুরী ।
আল্লাহ পাক তাই বলেন পশু কুরবানীর গোশত , রক্ত কোন কিছুই ওনার কাছে পৈাছেনা , পৈাছে হলো মানুষের মনের খোদাভীতি ও বিশ্বাস । মানুষের গায়ের রং ,তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য কোনটাই মোমিন হওয়ার ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য করেনা , করে মানুষের বিশ্বাস , আমল ও খোদাভীতি ।
এসব দিক আমরা খুব কমই চিন্তা করি বা বিবেচনা করি । আমরা মানুষকে মূল্য দেই তার বাহিরটা দেখে , তার সম্পদ দেখে , তার টাইটেল দেখে । আমরা মানুষের ভিতরটা দেখার চেষ্টা করিনা ।
মানুষ সুখ খোজে টাকা পয়সা, বাড়ী-গাড়ী ও নারীর মাঝে । কিন্তু সুখটা যে তার নিজের মনের মধ্যে এটাই অনেকে বুঝেনা । এজন্যই মহানবী (সা.) বলে গেছেন, ধন সম্পদে প্রকৃত সুখ নেই , সেই প্রকৃত সুখী যে অল্পতে তুষ্ট । কিন্তু আমাদের মাঝে এই অল্পে তুষ্টি নাই বললেই চলে , আমরা বেশীর পিছনে ছূটছি তো ছুটছি ।
আসুন আমরা মানুষের মনের মূল্য দেই । তা সে যেই হোক । বর্তমান ম্যাটেরিয়ালিষ্টিক জীবনে একটু হলেও অন্তত কাছের মানুষের মনের খবর নেয়ার চেষ্টা করি ।
নিজের বাহিরটাকে শুধু সুন্দর কাপড় দিয়ে না সাজিয়ে নিজের মনকেও বড় করি , উদার করি । উত্তম ব্যবহার, উত্তম আচরণ ও মানুষকে মূল্য দিয়ে মানুষের মন জয় করি ।
০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ২:৫০
েশখসাদী বলেছেন:
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩
কাকপাখি ২ বলেছেন: +++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৫
ক্যাতক্যাতা বলেছেন: আরাম পাইলাম