নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

থার্টিফাষ্ট নাইট উদযাপন - হাদিস অনুসারে এটি কেয়ামতের একটি নিদর্শন ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৪

মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে সবচে বেশি যে ফেতনাটি আজকাল চোখে পড়ছে, তা হচ্ছে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুসরণ । ইহুদী-খৃষ্টানদের প্রচার-কৃত কৃষ্টি-কালচার এবং ফ্যাশনের শতভাগ বাস্তবায়ন ।



নবী করিম (সাঃ) বর্ণনা করে গেছেন যে, তার উম্মতদের একদল লোক আচরণ, অভ্যাস ও জীবনাচারের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট ইহুদী-খৃষ্টান জাতিকে হুবহু অনুসরণ করবে ।



আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন- "কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না আমার উম্মত পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির হুবহু অনুসরণ শুরু করবে । এমনকি তারা যদি একহাত সামনে গিয়ে থাকে, আমার উম্মতও যাবে । এক গজ পেছনে গিয়ে থাকে, আমার উম্মতও তাই করবে । সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, 'পারস্য ও রোম জাতির মত ?' জিজ্ঞেস করা হলে নবীজী (সাঃ) বললেন - তা না হলে আর কাদের মত ?' (বুখারী)



অন্য আরেকটি হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন- "অবশ্যই তোমরা পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট জাতির হুবহু অনুসরণ শুরু করবে । তারা যদি একহাত সামনে গিয়ে থাকে, তোমরাও যাবে । একগজ পেছনে গিয়ে থাকলে তোমরাও তাই করবে । এমনকি তারা যদি কোন সাপের গর্তে প্রবেশ করে থাকে , তোমরাও সাপের গর্তে প্রবেশ করবে । সাহাবারা আরজ করলেন- ইহুদী-খৃষ্টানদের মত ? নবীজী (সাঃ) বললেন, তা না হলে আর কাদের মত ?' (বুখারী-মুসলিম)



ওলামাগণ এই হাদিসদ্বয়ের ব্যখ্যায় বলেন, এখানে হাত, গজ , সাপের গর্তে প্রবেশ দ্বারা মূলতঃ তাদের পরিপূর্ণ এবং অন্ধ অনুসরণই বুঝানো হয়েছে ।



আজকে আমরা এই হাদিসেরই প্রতিফলন দেখছি আমাদের সামাজিক জীবনে । আমরা আধুনিকতার নামে পাশ্চাত্য তথা ইহুদী-খৃষ্টানদের অন্ধ অনুকরণই করছি । বিবাহপূর্ব অবৈধ সম্পর্ক, বেপর্দা চলাফেরা, মদ্যপান এবং নিউ ইয়ার উদযাপন এর সবই তাদের অনুসরণ করে করা হচ্ছে । এগুলো আমাদের কোন উপকার তো করছেনা বরং আমাদের আল্লাহ তায়ালার থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে ।



আধুনিকতার মানে হওয়া উচিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চ্চা , শালীনতা বোধের চর্চ্চা এবং ধর্মীয় নীতি মেনে চলে জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করা । কারণ এই জীবন একদিন শেষ হয়ে যাবেই । তারপর সবাইকে আল্লাহপাকের নিকট ফিরে যেতে হবে । হাশরের ময়দানে মানুষ তার বিশ্বাস ও কর্মফল নিয়েই উঠবে ।



আর শয়তান তো মানুষকে মন্দ ও অশ্লীলতারই নির্দেশ দেয় ।



আজ আমরা ধর্ম থেকে দূরে গিয়ে যেই আধুনিকতার অনুসরণ করছি একটু ভেবে দেখছিনা যে তা প্রকৃতপক্ষে ইহা আমাদেরকে কি দিচ্ছে । এসবের মাধ্যমে যে আমরা পারষ্পরিক অবিশ্বাস ও অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করছি এবং যার পরিণতি কোন সময়ই ভালো হয়না তাও আমাদের বুঝে আসছেনা । আমরা যেন অনেকটা সুন্দর গ্লাসে করে কেউ আমাদের বিষ দিল আমরা তাই পান করছি আর ধর্মকে উপরের দিক থেকে কালো আবরণ দেখে দূরে সরে গিয়ে ভিতরের মিষ্টি মধুর শরবত থেকে নিজেদের বন্চিত করছি ।



আপনি বিষ জেনে পান করুন আর না জেনে পান করুন তার বিষক্রিয়া ঠিকই হবে । যতই ভূলে থাকতে চান না কেন - মৃত্যু থেকে মুক্তি নেই ।





সুতরাং একমাত্র বুদ্ধিমান ব্যাক্তিরাই চোখ কান খোলা রেখে মাথা খাটিয়ে চলে আর বোকারা অন্ধের মত অনুসরণ করে নিজের ধ্বংস ডেকে আনে ।



"তোমরা সেদিনকে ভয় কর, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারো কাছ থেকে বিনিময় গৃহিত হবে না, কারো সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্তও হবে না ।" (সূরা বাকারা - ১২৩)



আমাদের কি সেই ভয় আছে ? আমরা কি এতই নিশ্চিন্ত হয়ে গেছি যে আমাদের কে ধরা হবে না ?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১২

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: ও..... বুঝলাম!

হ্যাপি নিউ ইয়ার ব্রো!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

েশখসাদী বলেছেন: নিউ ইয়ার কিভাবে হ্যাপি হয় ...? আপনার জীবন থেকে তো একটা বছর চলে গেল ।

আমরা সব কিছু কমলে অখূশী হই আর জীবনের আয়ু কমলে খূশী হই কেন ? কারণ আমরা আসলে বুঝিনা কি হইল ।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসন্ন কেয়ামত

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

নতুন বলেছেন: নবী করিম (সাঃ) বর্ণনা করে গেছেন যে, তার উম্মতদের একদল লোক আচরণ, অভ্যাস ও জীবনাচারের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পথভ্রষ্ট ইহুদী-খৃষ্টান জাতিকে হুবহু অনুসরণ করবে



যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, সকল অপদার্থের শেষ ঠিকানা, বলেছেন... শেষ জামানায় কিছু না লায়েক ইন্টানেটের মতন খারাপ জিনিস ব্যবহার করবে...

ইন্টারনেট ব্যবহার কেয়ামতের আলামত ...

লেখক বলেছেন: নিউ ইয়ার কিভাবে হ্যাপি হয় ...? আপনার জীবন থেকে তো একটা বছর চলে গেল । আমরা সব কিছু কমলে অখূশী হই আর জীবনের আয়ু কমলে খূশী হই কেন ? কারণ আমরা আসলে বুঝিনা কি হইল ।

জীবন শেষ হইলে বেহেস্তে যাবে সবাই... তাই তারা খুশি... আপনি ভয় পান কেন?

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

আমিতপু বলেছেন: আপনার লেখার সাথে একমত। কিন্তু নিচের কমেন্ট পছন্দ হয় নাই


লেখক বলেছেন: নিউ ইয়ার কিভাবে হ্যাপি হয় ...? আপনার জীবন থেকে তো একটা বছর চলে গেল ।

আমরা সব কিছু কমলে অখূশী হই আর জীবনের আয়ু কমলে খূশী হই কেন ? কারণ আমরা আসলে বুঝিনা কি হইল ।


আপনার আয়ু কত আপনি কি জানেন? আর একজন প্রকৃত মুসলিমের কাছে মৃত্যুতো কেবল তার সর্বশক্তিমান মালিকের কাছে প্রত্যাবর্তন। তাতে ভয়ের কি আছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

েশখসাদী বলেছেন:
সকল প্রকৃত মুসলমান মাত্রই মৃত্যুকে ভয় পায়। মৃত্যু খুবই ভয়াবহ ব্যাপার ।

একটা দিন বা বছর চলে যাওয়া মানে আফসুস করা যে আমি আসলে কি পূণ্য করতে পারলাম ।

মালিকের কাছে প্রত্যাবর্তন সত্য কথা - কিন্তু আমরা তার কাছে যাওয়ার জন্য তৈরী ? হিসাব দেওয়ার জন্য তৈরী ?

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

পরীবানু বলেছেন: হ্যাপি নিউইয়ার ছাগু ।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১

কাফের বলেছেন: কুরআনে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা

কুরআন শরীফের সূরা কাহাফের আয়াত নম্বর ৮৩-১০১ অংশে জুলকারনাইন সম্পর্কিত বর্ণনা আছে। নবী হিসেবে জুলকারনাইনের নাম উল্লেখ নেই যদিও কিন্তু তিনি নবী ছিলেন না এমনটিও বলা হয়নি। বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাঁকে সকল বিষয়ে পথনির্দেশ বা দিকনির্দেশ এবং/অথবা কার্যপোকরণ দিয়েছেন। তিনি এরপর দুটি পথ অনুসরণ করেন। এর মধ্যে এক পথে গিয়ে তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাতে অত্যাচারিত এক জাতির দেখা পান। তিনি তাদের জন্য গলিত তামার তৈরি একটি প্রাচীর বানিয়ে দেন। সূরা কাহাফ ৮৩-৮৬ নম্বর আয়াতে নিম্নরূপ বর্ণিত আছেঃ

"তারা আপনাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুনঃ আমি তোমাদের কাছে তাঁর কিছু অবস্থা বর্ণনা করব। আমি তাকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের কার্যোপকরণ দান করেছিলাম। অতঃপর তিনি এক কার্যোপকরণ অবলম্বন করলেন।অবশেষে তিনি যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।"[১]

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিউ ইয়ার কিভাবে হ্যাপি হয় ...? আপনার জীবন থেকে তো একটা বছর চলে গেল ।


:| :| :|

বেশি বুঝলেই সমস্যা.... সবাই নতুন বছরে যেই কথাটা বলে তা হইলো...

@Happy New Year@ >> এইটা একটা wish করা...

বাংলায় আমরা বলি... " শুভ নব বষ`"

যে আপনার নতুন বছর শুভ হওক... বা আনন্দময় হওক...

কাউরে যদি বলতে পারেন... আপনার উপরে শান্তি বষি`ত হউক... তা হইলে কাউকে তার নতুন বছর শুভ হউক/আনন্দময় হউক তা কামনা করা কি খুবই সমস্যা???

রাগ হইয়েন না... @@ i want to wish you a happy New Year"

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ.....এখন বুঝলাম । বিষয়টি আগে যে কোন কারণেই হোক মাথায় আসেনি ।

আসলে নতুন বছর নিয়ে মানুষের এই উম্মাদনা এবং সমাজের বেহায়াপনা আমাকে এর প্রতি কিছুটা বীতশ্রীদ্ধ করেছে ।

আপনাকেও হ্যাপি নিউ ইয়ার দিলাম .... ।

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

নতুন বলেছেন: আসলে নতুন বছর নিয়ে মানুষের এই উম্মাদনা এবং সমাজের বেহায়াপনা আমাকে এর প্রতি কিছুটা বীতশ্রীদ্ধ করেছে

এটা বাড়াবাড়ী ... মদ খাওয়া...মাইয়া নিয়া ফুতি`..

কোন কিছুর বাড়াবাড়ী ভাল না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.