নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি যখন এ লেখাটা পড়ছেন তখন বায়ুমন্ডলের উপরের স্তর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য উল্কাপিন্ড দ্বারা ক্রমাগতভাবে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে । কিন্তু আমরা এই পৃথিবীতে অবস্হান করে তার কিছুই টের পাই না । কারণ আল্লাহ তায়ালা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সুরক্ষা করে রেখেছেন । তিনি আকাশকে ছাদ স্বরূপ তৈরী করেছেন (সূরা-বাকারা২২) যার ফলে তা আমাদের মহাকাশের ক্ষতিকর বস্তু থেকে রক্ষা করে চলেছে ।
Without our atmosphere, there would be no life on earth. বায়ু মন্ডল ছাড়া পৃথিবীতে কোন জীবনই টিকে থাকতে পারত না । সে হিসেবে আল্লাহ এই বায়ু মন্ডলকেই পৃথিবীর ছাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যা প্রতিনিয়ত পৃথিবীর অধিবাসীদেরকে মহকাশের ক্ষতিকর বস্তু থেকে রক্ষা করে চলেছে ।
কিন্তু মহাবিশ্বের বিশাল খালি স্হানে অবস্হিত মিলিয়ন মিলিয়ন উল্কাপিন্ড পৃথিবীর অস্ত্তিত্বের জন্য আসলেই এক বিরাট হুমকিস্বরূপ এবং যার প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই ।
যে কোন সময় পৃথিবীতে বিশালাকায় উল্কাপিন্ড আঘাত হানতে পারে এবং এমনকি আপনি এখন যেখানে আছেন সেখানেও তা হতে পারে । এবং সেটার মানে এমনও হতে পারে যে পৃথিবীতে মানব বসতির বিলুপ্তি সাধন । কারণ উল্কাপিন্ডের ভয়াবহ আঘাত হানার পর পরই তার প্রভাবে হবে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত এবং আগুনের উৎপত্তি যা সব কিছুকে ধ্বংস করে দিবে ।
সত্যি করে বলেন তো আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, আপনি যেখানে আছেন সেখানে যে কোন সময় আকাশ থেকে উল্কাপিন্ড আঘাত হানতে পারে ?
A meteoroid can be an object from the size of a grain of sand to the bulk of a boulder that is traveling in space. There are several official definitions of what is a meteoroid . They all differ based on the largest objects to be included in the group. If a meteoroid enters the atmosphere of Earth or any other body the visible trail that it leaves is called a meteor. Once it impacts the surface it is called a meteorite. These are commonly called shooting stars.
Millions of meteors occur in the Earth’s atmosphere every day. Most meteoroids that cause meteors are about the size of a pebble.
বিগত কয়েক বৎসরে অনেক বড় বড় উল্কাপিন্ডই পৃথিবীর নিকট দিয়ে পার হয়ে গিয়েছে এবং তাদের পৃথিবীকে আঘাত করার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান ছিলো ।
১৫ই মার্চ, ২০০২ সালে একটা উল্কাপিন্ড যার আকৃতি ৫০-১০০ মিটার যা পৃথিবীর ৪৫০,০০০ কিলোমিটারের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিলো । যদি এটা পৃথিবীতে পতিত হতো তাহলে একটা পারমাণবিক বোমার মত বিস্ফোরিত হতো । জনবহুল কোন স্হানে এর পতন এর পরিণাম কি হতে পারে তা কল্পণা করা কষ্টকর ।
২২ জুন, ২০০২ সালেও একটি উল্কাপিন্ড যা একটা ফুটবলের আকারের সমান তা এমনকি আরো নিকটে এসে পড়েছিলো - ১২০,০০ কিলোমিটারের মধ্যে এবং ওটার স্পিড ছিলো ঘন্টায় ৩৭,০০০ কিঃমিঃ । এটা যদি পতিত হতো এর পরিণতিও হতো ভয়াবহ । মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তা প্রতিরোধ করা ।
কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার অসীম রহমত ও কৃপায় মানব জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে চলেছেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত । আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলছেন যে, সব কিছু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে কেননা আল্লাহ তায়ালা এটাই চাইছেন ।
'নিশ্চয়ই আল্লাহ আসমান ও জমিনকে স্হির রাখেন, যাতে এগুলো টলে না যায় । যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্হির রাখবে ? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল ।' (সূরা ফাতির/৪১)
এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ যে কোন সময় সব কিছু ধ্বংস করতে সক্ষম । তিনি ধ্বংসের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করার কারণে সে সময় আসা পর্যন্ত সব কিছু ঠিক করে রাখবেন । হাজার হাজার উল্কাপিন্ড পৃথিবীকে ঘিরে আছে, তারা পৃথিবীকে আঘাত করার জন্য তৈরী ।
'তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তারা বলে এটা তো পূন্জীভূত মেঘ । তাদেরকে ছেড়ে দিন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তাদের উপর বজ্রাঘাত পতিত হবে ।' (সূরা আত্ব তুর/৪৪-৪৫)
সবাইকে ভিডিওটা দেখার অনুরোধ করছি । কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাবে - পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে ।
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সব কিছূরই আয়ু তথা জীবনকাল ঠিক করে দিয়েছেন । পৃথিবীও একদিন ধ্বংস হবে - সেটা তিনি কুরআনের পাতায় পাতায় বলেছেন । সেই নির্দিষ্ট সময় আসার আগ পর্যন্ত তিনি পৃথিবীকে রক্ষা করবেন ।
আল-কুরআনে সূরা হজ্বে আল্লাহ কিয়ামতে বর্ণনায় বলছেন-
'হে লোক সকল ! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর । নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার । যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন । ... কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে , আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন' (১,২,৭)
এখন আমার আপনার দায়িত্ব নিজেকে আল্লাহর সামনে দাড়ানোর জন্য তৈরী রাখা । কেউ জানেনা কে কখন ধ্বংসের মূখে পতিত হবে । মৃত্যুই প্রত্যেকের জন্য আযাব এবং কিয়ামত স্বরূপ । এখন তা যেভাবেই আসুক না কেন ।
ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল।
Click This Link
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
শয়তান ২০০০ বলেছেন: vai apni to dahi bepok gani manush.
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
েশখসাদী বলেছেন: আমার কোন জ্ঞান নাই । আল্লাহ সুবাহানাতায়ালা সমস্ত জ্ঞানের উৎস ।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
Nurul Afser Ratan বলেছেন: আমাদের প্রস্তুত থাকা ঊচিৎ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬
েশখসাদী বলেছেন: মৃত্যুর জন্য সবারই প্রস্তত থাকা উচিত । কেউ জানেনা তা কখন আসবে । আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত আমাদের গোনাহের জন্য মাফ চাওয়া উচিত ।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হা হা হা হা... আল্লাহ উল্কাপিন্ড তৈরী না করলেই তো পারতেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
েশখসাদী বলেছেন: জ্বী, তৈরী করা হয়েছে, যাতে সময় মতো সেগুলো দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করা যায় ।
কোন কিছুই এমনি এমনি তৈরী করা হয় নি । ধন্যবাদ ।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাতীতে স্থিতিতে গতিতে ক্ষনে
সৃষ্টির রহস্য আবরনে
তোমাকে দিল শিক্ষা যেজন
সেই প্রভু নিরাঞ্জন ।
ভাল পোস্ট ধন্যবাদ
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০
রাজ হাসান বলেছেন: ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৮
েশখসাদী বলেছেন:
ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল।
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
নস্টালজিক বলেছেন: আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে তার রহমতের শুশীতল ছায়াতলে থাকবার তওফিক দান করুন!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
েশখসাদী বলেছেন:
আমিন ।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শৌখিন ছেলে বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম…ধন্যবাদ
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: তিনি আকাশকে ছাদ স্বরূপ তৈরী করেছেন --->> এর মানে কি? ঘরের ছাদের মত তাহলে আকাশের অস্তিত্ব আছে ! একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০০
েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ - প্রশ্নের জন্য । বিষয়টি আমি আন্দাজ করেছিলাম যে, এটি কারো জন্য বুঝতে অসুবিধা হতে পারে । কিন্তু সময়ের অভাবে তেমন কিছু লিখিনি । এখন পোষ্টে কিছু যোগ করে দিয়েছি । এছাড়াও নিম্নে মূল পয়েন্ট উল্লেখ করলাম ।
The ozone layer is a section of the Earth's atmosphere that
acts as a barrier between the Earth and UV radiation.
The ozone layer protects the Earth from too much radiation
by both absorbing and reflecting harmful UV rays.
The atmosphere provides protection against meteorites. Most meteors are small and will burn up when they pass through the Earth's atmosphere.
http://www.vtaide.com/png/atmosphere.htm
Click This Link
এটা একটা ব্যাপক টপিক । এটা নিয়ে আলাদ একটা পোষ্ট হতে পারে । বায়ুমন্ডলের স্তরগুলো ছাদের মতোই কাজ করে । বাইরে থেকে ক্ষতিকর বস্তুকে ভিতরে আসতে দেয়না আবার ভিতরের তাপমাত্রাকে বাইরে যেতে দেয়না । গ্রীন হাউজ ইফেক্ট ।
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার আপনার দায়িত্ব নিজেকে আল্লাহর সামনে দাড়ানোর জন্য তৈরী রাখা । কেউ জানেনা কে কখন ধ্বংসের মূখে পতিত হবে । মৃত্যুই প্রত্যেকের জন্য আযাব এবং কিয়ামত স্বরূপ । এখন তা যেভাবেই আসুক না কেন ।
ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল ...
১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন ভাই।
আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজাত করুন।
+++++++++
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০
েশখসাদী বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
রায়হান হোসেন রানা বলেছেন: নিজ ঘরে খোদার বাঁশ , আর মাইনষে খুজে পরবাসে ।
২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
'মাইনষে খুজে পরবাসে ' এই কথাটার মানে পুরো বুঝি নাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
ট্যামময বলেছেন: ইয়া রাব্বূল আলামীন ! আমাদেরকে তোমার আযাব থেকে হেফাজত কর । নিশ্চয়ই আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল এবং তুমি দয়ালূ ও ক্ষমাশীল।