নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী করিম (সাঃ) এর দোয়ায় যেভাবে সাথে সাথে মদীনায় বৃষ্টিপাত ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

রসূল (সাঃ) এর জমানায় একবার মদীনায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিল । তিনি জুমার খোতবা দিচ্ছিলেন । হঠাৎ এক বেদুঈন দাড়িয়ে বলতে লাগলো - হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে । পরিবার পরিজন ক্ষুধার্ত । সুতরাং আমাদের জন্য দোয়া করুন । অপর এক বর্ণনায় আছে, লোকটি বলল, বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে । গাছগুলো হয়ে গেছে লাল । মৃত্যু ঘটেছে প্রাণীকূলের । অন্য এক বিবরণে এসেছে, চতুষ্পদ প্রাণী, পরিবার-পরিজন এবং মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে ।



তখন নবী করিম (সাঃ) খুতবা পাঠের মধ্য খানেই বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন এবং বললেন, - 'আল্লাহুম্মা আসক্বিনা, আল্লাহুম্মা আসক্বিনা, আল্লাহুম্মা আগশিনা, আল্লাহুম্মা আগশিনা ।



হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ ! তখন আকাশে এক ফোটা মেঘও দেখিনি । কিন্তু তিনি দু'হাত নীচে নামানোর সাথে সাথেই আমরা দেখতে পেলাম সারা আকাশে পাহাড়ের মত পুন্জ পুন্জ মেঘমালা । মেঘে মেঘে ভরে গেল আকাশ । শুরু হলো প্রবল বর্ষণ । সারা দিন বৃষ্টি হলো । তার পরের দিন এবং তার পরের দিনও । এমনকি পরবর্তী জুমা এসে গেল । তবু বৃষ্টি বন্ধ হলো না ।



পরবর্তী জুমার দিন সেই বেদুঈন এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের ঘর বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে । সহায় সম্পদ ডুবে গেছে । অপর এক বিবরণে আছে, লোকটি বলল, আমার মালামালগুলো তো ধ্বংস হয়ে গেলো । ডুবে গেল রাস্তাঘাট । দোয়া করুন , আল্লাহতায়ালা যেন বৃষ্টি বন্ধ করে দেন ।



রসূলে করিম (সাঃ) দোয়া করলেন - আল্লাহুম্মা হাওয়ালীনা ওয়ালা অ'লাইনা (হে আল্লাহ ! আমাদের আশেপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের উপরে নয়) । দেখা গেলো তিনি যেদিকে হাতের আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে লাগলেন, মেঘ খন্ডগুলো সেদিকে ছুটে যেতে লাগলো । এভাবে অল্পক্ষণের মধ্যে মদীনার উপর থেকে মেঘ সরে গিয়ে আকাশ পরিস্কার হয়ে গেলো । বৃষ্টি হতে লাগলো পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে । এমন অবস্হা চলছিলো এক মাস পর্যন্ত । বিভিন্ন দিকের মানুষ এসে বৃষ্টিপাতের খবর জানাতো ।



হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত -(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসায়ী )



মাদরিজ উন নবুয়ত -খন্ড ছয় ।





হুযুরে আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, যাহার আসল মাকছুদ হয় দুনিয়া, আল্লাহ তায়ালার সহিত তাহার কোন সম্পর্ক নাই । পক্ষান্তরে আল্লাহপাক তাহাকে চারটি জিনিষে লিপ্ত করিয়া দেন ।



১. এমন চিন্তা ফিকির যাহার কোন শেষ নাই - অর্থাৎ প্রতি মুহুর্তে আমদানী বৃদ্ধির ফিকিরেই তাহার কাটিয়া যায় ।

২. এমন কোন কাজে লিপ্ত হয় যাহা হইতে সে আর কোন নিস্কৃতি পায় না ।

৩. এমন এক অভাব যাহা কখনও দূর হইবেনা ।

৪. এত লম্বা লম্বা আশা যাহা কখনও পূর্ণ হইবে না ।



সূত্রঃ ফাযায়েলে সাদাকাত - ২য় খন্ড ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

েশখসাদী বলেছেন: যারা পড়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: valo laglo.

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৬

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ ।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭

আমিভূত বলেছেন: অফিসে পড়েছিলাম ,মন্তব্য করার সুযোগ হয়নি ।লেখায় ভালো লাগা ,কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
"আল্লাহুম্মা আসক্বিনা, আল্লাহুম্মা আসক্বিনা, আল্লাহুম্মা আগশিনা, আল্লাহুম্মা আগশিনা ।" অর্থ কি একটু অ্যাড করে দিলে উপকৃত হতাম ।
ভালো থাকুন সবসময় ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৯

েশখসাদী বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।

আপাততঃ অর্থটি দিতে পারছিনা - কারণ মূল বইয়ে সেটি নেই । অন্য কোথাও পেলে পরে এ্যাড করে দিব ।

আপনিও কোন আরবী জানা কাউকে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন ।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

ব্লগার ইমরান৪৭ বলেছেন: সুবহানল্লাহ

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২

দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: আল্লাহ পরম করুনাময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.