নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবাহ- তালাক - এবং শরীয়তের হিল্লা বিয়েঃ একটি চমৎকার যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্হা ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

অনেকেই ইসলামী আইন কানুন গভীরভাবে অনুধাবণ না করে এর সমালোচনা করেন । কিন্তু যারা ইসলামী শরীয়তের বিষয়গুলো গভীর ভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে এর যৈাক্তিকতা উপলব্ধি করেন - তারা এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন এবং ইসলামী আইন যে কত আধুনিক বুঝতে পারেন । তবে এটা বুঝার জন্য স্রষ্টাকে ইসলামী শরীয়তের আইনের সৃষ্টিকর্তা এবং ইসলামী আইনের উদ্দেশ্য দুনিয়া এবং আখেরাতে শান্তি এভাবে চিন্তা করলে তবেই বুঝতে সহজ হয়ে যায় ।



আমার এক বন্ধুসম ছোট ভাইয়ের সাম্প্রতিক কালে তালাক হয়ে গেল । বিষয়টা খুবই হৃদয় বিদারক । হাদীস অনুসারে - তালাক হলো এমন একটি বিষয় যা বৈধ কিন্তু আল্লাহর নিকট সব থেকে অপছন্দনীয় বিষয় । অর্থাৎ মানুষকে তালাকের অনুমতি দেওয়া আছে - তবে এটা যে সবচেয়ে নিন্দনীয় বিষয় সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে । এটাকে মোটেই উৎসাহ দেওয়া হয় নি বরং অনুৎসাহিত করা হয়েছে ।



বিবাহ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । বিবাহের মাধ্যমে একটি নতুন পরিবারের সূচনা হয় এবং পরিবার হলো একটি সমাজের প্রধান কাঠামো । সমাজের কাঠামো দুর্বল হলে সমাজ ব্যবস্হা ভেঙে পড়ে । তাই এর গঠন শক্তিশালী হওয়া খুবই প্রয়োজন । এজন্য এক দিকে বিবাহকে করা হয়েছে সহজ আবার এর ভাঙন ঠেকানোর জন্য কঠিন আইন করা হয়েছে । কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখি- এটাকে উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে । যৈাতুকের আবর্তে, বিশাল ব্যয়, সামাজিক স্তরভেদের দোহাই ইত্যাদি কারণে বিবাহ হচ্ছে কঠিন আর তালাকের পরিমাণ সমাজে বেড়েই চলছে ।



ইসলামে প্রকৃত পক্ষে হিল্লা বিয়ে বলতে কিছু নাই । বলা হয়েছে - সম্পূর্ণ তালাকের পরে যখন স্বামী স্ত্রী পৃথক বসবাস করা শুরু করল , তখন তারা আবার ইচ্ছে করলেই বিয়ে বসতে পারবেনা । তাদের উপর একটা নিষেধাজ্ঞা জারী আছে । তারা আবার একত্রিত হতে পারবে যদি মেয়েটির অন্য কোথাও আবার বিয়ে হয় এবং কোন কারণে যদি সেখান থেকেও আলাদা হয়ে যায় - তারপর । এর আগে নয় । এখন এই পরের বিয়েটা এটা কিন্তু স্ত্রীকে জোর করে দেয়া যাবেনা । কোন বিয়েই জোর করে দেয়া যাবেনা বা মতের বিরুদ্ধে কোন বিয়েই হবেনা । এটা অনেকেই বুঝেনা - মনে করে এটা মেয়েদের উপর একটা জুলুম বা অন্যায় । অথচ এটা করা হয়েছে মেয়েদের বিয়ে - তালাক - আবার বিয়ে এরকম খেলার যেন হাতের পুতুল না হয়ে তা থেকে রক্ষ করার জন্য ।



এই আইন না থাকলে বিয়ে আর তালাক একটা হস্যকর পন্হায় পরিণত হতে পারত । মনে চাইলাম বিয়ে করলাম আবার ইচ্ছে হলো তালাক দিলাম । আবার মনে হলো দূর ভূল করছি - আবার বিয়ে করলাম । না তেমন হবেনা । তালাক দেয়ার সময় চিন্তুা করতে হবে যে - এর পরিণাম হবে মারাত্নক ।



বিয়ের সময়-ই আসলে যুগলের এই সব আইন ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত এবং সে ভাবেই সতর্ক ভাবে সম্পর্ক রক্ষা করা উচিত । বিয়ের চুক্তিতে কিন্তু উল্লেখ করতে হয়ে - তালাক হয়ে গেলে স্ত্রীকে কত দিন ভরণ পোষণ দিতে হবে এবং কত করে । মেয়ে পক্ষের উচিত এই দিকটা খেয়াল রাখা এবং যথা সম্ভব একটা উপযুক্ত দাবী আদায় করা । যাতে বরপক্ষের নিকট বিয়েটা একটা ছেলে খেলা না হয় ।



আরেকটা বিষয় হলো - অনেকে বলেন এই নিয়মের কারণে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্হ হয় মেয়েরা । কারণ তালাকপ্রাপ্ত মেয়েকে কেউ বিয়ে করতে চায়না আর পুরুষরা সহজেই বিয়ে করতে পারে । এটা ঠিক । কিন্তু এই আইন না থাকলেতো পুরুষরা তালাক দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার চিন্তুাও করতনা । তারা কথায় কথায় তালাক দিয়ে দিতো । এরপর নতুন স্ত্রীর সুযোগ সন্ধানী হতো । এই আইনের ফলে - তালাক দেওয়ার প্রবণতা কমানো হয়েছে । যা কিন্তু মেয়েদের জন্য একটা রক্ষা কবচ । আবার মেয়ে যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন হয় - সে কিন্তু চাইবেনা তার আগের স্বামীর কাছে ফিরে যেতে যে তাকে অপদস্হ করে তালাক দিয়ে হেনস্হা করলো । তালাকের পর এখন ছেলে পক্ষের আর কোন সুযোগ নেই - যদিনা মেয়ের কপাল খারাপ হয় যে সে আরেক জনকে জেনে শুনে বিয়ে করল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশঃত সেটাও টিকল না । তখন হয়তো সে চাইলে এবং তার পূর্বের স্বামী রাজী থাকলে তারা আবার এক হতে পারবে ।



সব আইনেরই ভালো মন্দ আছে । যেমন - ছুরি দিয়ে ফলও কাটা যায় আবার মানুষও হত্যা করা যায় । এখন এর জন্য ছুরি দায়ী না বা তার সৃষ্টিকর্তাও দায়ী না । দায়ী হলো যে এর অপব্যবহার করল । সুতরাং আল্লাহর আইন মানুষের মঙ্গলের জন্যই কিন্তু মানুষ এর অপব্যবহার করে বা না জেনে এর সমালোচনা করে ।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২

আজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহর আইনের উপর কোন আইন হয়না। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা তিনি ই জানেন মানুষের জন্য কোনটা মঙ্গল জনক।। আল্লাহ আকবর।।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮

েশখসাদী বলেছেন:
আল্লাহর আইনের উপর কোন আইন হয়না। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা তিনি ই জানেন মানুষের জন্য কোনটা মঙ্গল জনক।। আল্লাহ আকবর।।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

আহলান বলেছেন: কিছু মানুষ থাকে যারা বিশ্লেষন পছন্দ করেন না এবং মনের ভেতরে এই ধারণাই পোষন করেন যে কিভাবে ইসলামের ভুল ধরা যায়। হিল্ল্যা বিয়ে বলে আমাদের সমাজে যেটা প্রচলিত, ইসলামে তার স্থান নেই।

কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ বলে যেহেতু ইসলামে কিছু নেই, সুতরাং একদিনের জন্য বিয়ে করে আবার তালাক দেয়ার উদ্দ্যেশ্যে কৃত বিয়ে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ..... ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

বিডি আমিনুর বলেছেন: ভাল লাগলো ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৯

েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

ভিটামিন সি বলেছেন: ভালো, সুন্দর ভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন। এখনই আবার চুচিল কোমর বাইন্ধা কমেন্টাইতে আইবো এর অপব্যবহার ব্যাখ্যা করতে।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১০

কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্টের জন্য। আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দান করুন যাতে আরো বেশী লিখতে পারেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

েশখসাদী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। আমি অফলাইনে থেকে আগেই পড়েছি। হিল্লা ব্যাপারটা নিয়ে ক্লিয়ার জানতাম না। এখন জানলাম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আমাদের দেশের গ্রামের মানুষগুলো হিল্লা সম্পর্কে ভাল জানে না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৯

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫

িরেজায়ান আহেমদ তুিহন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। তবে এটাকে হিল্লা নাম না দেওয়াই ভালো আমার মনে হয়। আমাদের গ্রামে গঞ্জে যেসব হিল্লা হয় সেগুলো স্পষ্ট ধর্ষণ।
তবে কখন তালাক হবে, সে বিষয়ে কাঠ মোল্লারা উল্টা পাল্টা ফতোয়া দেয়। আমি সূরা বাকারায় এ সম্পর্কে পড়ে যতদূর বুঝেছি- তিন হায়েজ বা ঐ সময়ের আগে তালাক কিছুতেই কার্যকর হবে না। একবারে তিন তালাক বা দশ তালাক যা ই দেক। আর আপনি যে জিনিসটা আলোচনা করেছেন- সেটাও সূরা বাকারার ঐ আয়াতগুলো পড়েই বুঝেছি- এ সম্পর্কে একটা আর্টিকেলও লিখছিলাম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৩

েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আমি শিরোনামে দিয়েছি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য- তবে ভিতরে বলেছি যে আসলে হিল্লা বিয়ে বলতে ইসলামে কিছু নাই ।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

নূর আদনান বলেছেন: আচ্ছা কারো তালাক হলে সে ৩মাসের আগে আবার বিয়ে করতে পারবে না, এটা কি ঠিক? এ সম্পর্কে জানালে উপকৃত হইতাম ধন্যবাদ

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

েশখসাদী বলেছেন: মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে - ইদ্দত পালন । ছেলেদের মনে হয় এরকম কোন নিষেধ নেই । আমি জেনে আপনাকে উত্তর দিব ।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: তালাক না দিয়েও কি স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস করতে পারে? যেমন স্ত্রীর যন্ত্রনায় স্বামী যদি পৃথক বসবাস করতে চায় সেটা কি সম্ভব? এক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীর ভরন-পোষন দিতে রাজি আছে। এ ব্যপারে বাংলাদেশের আইন কি বলে? জানালে উপকৃত হবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.