নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ ক্ষমতা ও মানুষের অক্ষমতা - আর ইসলামের বিপর্যয় ।

১০ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২২

আমরা জানি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হলেন সব কিছুর সৃষ্টি কর্তা । তিনি এই আসমান - জমিন- গাছ পালা - পশু পাখি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন । উনার এই সৃষ্টি নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি - তাহলে আমরা ধারণা করতে পারব যে উনার শক্তি , ক্ষমতা ও দক্ষতা কতটুকু । আল্লাহ এখন আমাদের সামনে দৃশ্যমান নন । কিন্তু উনার সৃষ্টি দৃশ্যমান । আমাদের এখন সেরূপ যোগ্যতা নেই যে উনাকে সরাসরি দেখি বা সরাসরি উনার সাথে কথা বলি ।



তো, উনার সৃষ্টিকে পর্যালোচনা করে আমরা খুব সহজেই ধারণা করে নিতে পারি যে উনি কত নিখূত স্রষ্টা এবং উনার শক্তি অসীম । যে সৃষ্টিকর্তাকে কোন কিছু সৃষ্টি করতে গেলে কোন সময় নিতে হয় না - কোন চিন্তা করতে হয় না - কোন পর্যালোচনা করতে হয় না - টেষ্ট কেস অ্যানালাসিস করতে হয় না যে - এটা কিভাবে হবে ? ওটা কি ঠিক হবে ? শুধু মাত্র তিনি বলেন -হও- ওমনি তা হয়ে যায় এবং সে সৃষ্টি তে কোন খুতও থাকেনা - বলতে হয় না যে এটাকে আসলে এমনে করলে ভালো হতো ।



এক্ষেত্রে অনেকে বলতে পারেন যে- তাহলে মায়ের পেটে কেন মানুষ দশ মাসে হয় বা কুরআনে কেন ছয় দিনে সব কিছু সৃষ্টি করার কথা বলা আছে ? এটার কারণ হলো - তিনি এই সব সৃষ্টি একটি নিজের তৈরী নিয়ম ফলো করে তৈরী করেছেন এবং করছেন । এটা উনার ইচ্ছা যে - এর ফলে হয়তো মানুষ উপকৃত হবে । যেমন- দশ মাসে মানব শিশু মায়ের পেটে তৈরী হওয়ায় এখন মানুষ চাইলে চিন্তা ও গবেষণা করে দেখতে পারবে যে - সে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ? স্রষ্টার সৃষ্টির কলাকৈাশল নিয়ে চিন্তা করে সে হেদায়াতের রাস্তা খুজে পাবে । আল্লাহ ইচ্ছা করলে একদিন মায়ের পেট থেকে বাচ্চা বের করে আনতে পারতেন -কিন্তু করলেন না মানুষের উপকারের জন্যই । মানুষ এত সহজে বাচ্চা পয়দা হতে দেখলে বাচ্চার মূল্য বুঝতনা । বুঝত না যে মানুষ সৃষ্টি একটা কত বড় সৃষ্টি । এত কষ্টের ফলেই বাবা-মা বাচ্চার মূল্য বুঝে এবং মমতা পয়দা হয় । একজান মাকে তার সন্তান সম্পর্কে প্রায়ই বলতে শুনা যায় যে- আমার কত কষ্টের ধন । সে জানে সে কত কষ্ট করেছে এবং তার কত কষ্টের পর সে এই সম্পদ পেয়েছে । কষ্ট ব্যতীত কোন কিছু পেলে মানুষ তাকে মূল্য দিতে চায় না - এটা হলো বাচ্চা দশ মাসে পয়দা করার একটু হাকীকত । অনুরূপভাবে আসমান জমীনের সৃষ্টিও হয়েছে ছয়টি বিশাল সময়ে ব্যবধানে - ২৪ ঘন্টার ছয়টি দিনে নয় । এর পিছনেও অনেক হাকীকত আছে ।



তো ..এই সৃষ্টিকর্তার প্রিয় সৃষ্টি হলো মানুষ এবং এই মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হলো মুসলমান -কারণ তারা সত্যিকারভাবে আল্লাহকে চিনে এবং তারাই সর্বাপেক্ষা সঠিক পথে আছে । কিন্তু এত বড় সৃষ্টিকর্তার - এত প্রিয়পাত্র হওয়ার পরেও আজ মুসলমানদের এত করুণ অবস্হা কেন ? তারতো সব সময় রাজার বেশে থাকার কথা - তার সাথে তো স্রষ্টার সমস্ত অনুগ্রহ ও শক্তি থাকার কথা । কিন্তু কেন সে স্রষ্টার অনুগ্রহ থেকে বন্চিত এবং কেন তার আজ এই দুরবস্হা ?



কারণ, সে যার বলে বলীয়ান হবে - যার কাছ থেকে সে সমস্ত শক্তি পাবে - তার থেকে সে দুরে সরে গিয়েছে । সে আজ সেই স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে - স্রষ্টার সৃষ্টির তাবেদারী করছে । সে স্রষ্টার ক্ষমতাকে চিনতে পারেনি । সে স্রষ্টার কাছ থেকে আদায় করার উপায় ভুলে গেছে । স্রষ্টা এমন না যে- তুমি তাকে না ডাকলেও তিনি তোমার কাছে এসে পাড়ে থাকবেন - বেসিক একটা সম্পর্ক থাকে - কিন্তু স্রষ্টার অসীম ক্ষমতা থেকে নিতে হলে - সেরকম যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে । অযোগ্যকে কিছূ দিয়ে স্রষ্টা কেন তার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন ? সাহাবীরা ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র এবং অজ্ঞ জাতি । এক মহানবী (সাঃ) ও কুরআনের অনুসরণ তাদেরকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো ? আমরা কি তা নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করি ? তারা তো আমাদের মতই মানুষ ছিলো - বেশিদিন আগের কথাও নয় ? কুরআন ও হাদিস এখনও আমাদের সামনে আছে তারপরও আমাদের অধঃপতন । কারণ , আমরা সেসবের দিকে না গিয়ে - উল্টো পথে হাটছি ।



তো, মহান শক্তিশালী সৃষ্টিকর্তা থেকে নিতে গেল সেই সৃষ্টিকর্তার মনের মত হতে হবে - নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে - উনাকে চিনতে হবে - উনাকে ডাকতে হবে । স্রষ্টার পাঠানো শিক্ষক - মহানবী (সাঃ) দেখানো পথ দেখে চলতে হবে । তাহলে স্রষ্টার সাহায্য পাওয়া যাবে ।



আজ আমাদের নিজেদের যাচাই করতে হবে যে আমরা কতটুকু সাহাবীদের মত হতে পেরেছি ? কারণ তারা আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত । তাদের মত হতে পারলে আমরাও আল্লাহর সাহায্য পাব । এটা একটা সোজা পথ - কোন গবেষণা ও পড়াশোনার দরকার নাই । একটা তৈরী জিনিষকে দেখে তার মত জিনিষ তৈরী করা যেমন সহজ - তেমনি সাহাবীদের জীবনী জেনে তাদের মত হতে পারলে আমরাও তাদের মত আল্লাহর সাহায্য পেয়ে বিজয়ী হব - এটাতে কোন সন্দেহ নেই ।



আমরাদের মহানবী (সাঃ) এর জীবনী জানতে হবে - সাহাবীদের জীবনী জানতে হবে । তাদের অনুকরণ করতে হবে । আল্লাহর উপর আামাদের ভরসা বাড়াতে হবে । দুনিয়া মুখী চিন্তুা ত্যাগ তরে আখেরাত মূখী হতে হবে । দুনিয়াকে কম গুরুত্ব দিয়ে আখেরাতকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে । তাহলে দুনিয়া এবং আখেরাত দুটোই তৈরী হয়ে যাবে । কারণ - দুটোই আল্লাহর হাতে । তিনি চাইলে দুটোকেই তৈরী করে দিতে পারেন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.