নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোযা ইসলামের পাচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । রোযার মাধ্যমে একজন মুমিন বান্দা ইহকালে এবং পরকালে অপরিসীম কল্যাণ লাভ করতে পারে এবং খুবই সহজে আল্লাহ নৈকট্য লাভ করতে পারে ।
এক হাদীসে কুদসীতে আল্লাহপাক বলেছেন - সকল সৎ কাজের সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত হবে ; কিন্তু রোযা একান্তভাবে আমার জন্য বিধায় আমিই এর প্রতিদান দিব ।
সুতরাং এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে রোযার প্রতিদান হিসেবে আল্লাহ পাক কোন পরিমাণ নির্দিষ্ট করেন নি । তিনি উনার ইচ্ছামত তা প্রদান করবেন । রোযাদারগণ যে আল্লাহর কাছে কত প্রিয় তা রসূলে করীম (সাঃ) এর এক হাদীস থেকে জানা যায় । রাসূল করীম (সাঃ) বলেছেন - আল্লাহর কসম , যার হাতে আমার প্রাণ - নিশ্চয়ই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের চেয়েও উত্তম । আল্লাহ বলেন- রোযাদার তার কামনা-বাসনা ও পানাহার একমাত্র আমার জন্য পরিত্যাগ করে । অতএব রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব ।
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন- জান্নাতের একটি দ্বারকে বলা হয় 'বাবুর রাইয়ান' । এতে রোযাদারগণ ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবেনা ।
রোযার ফজীলত এতই বেশী যে রোযাদারকে তার রোযার বিনিময়ে আল্লাহর দীদারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে । আরো বলা হয়েছে - রোযাদারের দুটি আনন্দ । এক আনন্দ ইফতারের সময় এবং আরেক আনন্দ তার পালন কর্তার দীদার লাভ করার সময় ।
এক হাদীসে আছে - প্রত্যেক বস্তুর একটি দরজা আছে । ইবাদতের দরজা হলো রোযা । আরও বলা হয়েছে - রোযাদারের নিদ্রাও ইবাদত ।
রোযার এত ফজীলত মূলতঃ দুটি কারণেঃ
১. রোযা রাখার অর্থ কয়েকটি বিষয় থেকে বিরত থাকা এবং কয়েকটি বিষয় বর্জন করা । এগুলো বেশীরভাগই আভ্যন্তরীণ বা গোপণীয় কাজ । অন্যান্য ইবাদত মানুষের দৃষ্টিতে থাকে কিন্তু রোযা আল্লাহ ব্যাতীত কেউ দেখেনা । তাই এই ইবাদতের গ্রহণযোগ্যতা বেশী ।
২. রোযা আল্লাহতায়ালা ও মানুষের শত্রু তথা শয়তানের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে এবং শয়তানের আফসুস বাড়িয়ে দেয় । কেননা, কামনা-বাসনা হচ্ছে শয়তানের হাতিয়ার যা দিয়ে শয়তান মানুষকে বিপদগামী করে । রোযার ফলে শয়তানের এই হাতিয়ার দুর্বল হয়ে যায় । এ কারণেই রাসূল করীম (সাঃ) বলেছেন - শয়তান মানুষের ধমণীতে বিচরণ করে । সুতরাং ক্ষুধা-তৃষ্ঞার দ্বারা তার পথ সমূহ সংকীর্ণ করে দাও । এদিকে লক্ষ্য করে রাসূল (সাঃ) মা আয়েশা (রাঃ) কে বলেছিলেন - সর্বদা জান্নাতের দরজা খটখটাও । আরজ করা হলো - কিসের মাধ্যমে ? তিনি বললেন - ক্ষুধার মাধ্যমে ।
যেহেতু রোযা কামনা - বাসনা দমন করে শয়তানের মূলোৎপাটন করে, তার চলার পথ রুদ্ধ এবং সংকীর্ণ করে । তাই রোযার মাধ্যমে আল্লাহর বান্দাগণ খুবই সহজে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে । সুতরাং আসুন আমরা পবিত্র রোযার মাসকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও সফলতা অর্জন করি ।
সূত্রঃ এহইয়াউ উলুমিদ্দীন, ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ
২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
েশখসাদী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল । অনেক ধন্যবাদ ।
আমি এখানে লিখিনা কারণ - আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়না । আমি মনে করেছিলাম আমি বুঝি ব্লকড । আপনারা আমার লেখা কি প্রথম পাতায় দেখেছেন ? আমি তো্ এটা লিখেছি সিডনীর একটা বাংলা কমুটিটি পত্রিকায় লেখাটা দেয়ার জন্য । আমার পিসিতে বাংলা ইনষ্টল করা নাই ।
আপনারা পড়তে পারলে আমি আবার লেখা শুরু করব , ইনশাল্লাহ । তবে আবার লেখালেখি করলে আবার মনে হয় ব্লকড হবো ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৪
নস্টালজিক বলেছেন: আসুন আমরা পবিত্র রোযার মাসকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও সফলতা অর্জন করি ।
আমিন।
এহইয়াউ উলুমিদ্দিন বইটা পড়েছি। অসাধারণ একটা বই। ইমাম গাজজালী (রহঃ) এর প্রত্যকটা বই সুন্দর, শান্ত।
অনেক দিন বাদে আপনার পোস্টে এলাম সাদী ভাই। শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন নিরন্তর।