নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোযার ফজীলতঃ আল্লাহর নৈকটবর্তী হওয়ার সহজ মাধ্যম ।

২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রোযা ইসলামের পাচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । রোযার মাধ্যমে একজন মুমিন বান্দা ইহকালে এবং পরকালে অপরিসীম কল্যাণ লাভ করতে পারে এবং খুবই সহজে আল্লাহ নৈকট্য লাভ করতে পারে ।

এক হাদীসে কুদসীতে আল্লাহপাক বলেছেন - সকল সৎ কাজের সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত হবে ; কিন্তু রোযা একান্তভাবে আমার জন্য বিধায় আমিই এর প্রতিদান দিব ।

সুতরাং এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে রোযার প্রতিদান হিসেবে আল্লাহ পাক কোন পরিমাণ নির্দিষ্ট করেন নি । তিনি উনার ইচ্ছামত তা প্রদান করবেন । রোযাদারগণ যে আল্লাহর কাছে কত প্রিয় তা রসূলে করীম (সাঃ) এর এক হাদীস থেকে জানা যায় । রাসূল করীম (সাঃ) বলেছেন - আল্লাহর কসম , যার হাতে আমার প্রাণ - নিশ্চয়ই রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের চেয়েও উত্তম । আল্লাহ বলেন- রোযাদার তার কামনা-বাসনা ও পানাহার একমাত্র আমার জন্য পরিত্যাগ করে । অতএব রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব ।

রাসূল (সাঃ) আরো বলেন- জান্নাতের একটি দ্বারকে বলা হয় 'বাবুর রাইয়ান' । এতে রোযাদারগণ ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবেনা ।

রোযার ফজীলত এতই বেশী যে রোযাদারকে তার রোযার বিনিময়ে আল্লাহর দীদারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে । আরো বলা হয়েছে - রোযাদারের দুটি আনন্দ । এক আনন্দ ইফতারের সময় এবং আরেক আনন্দ তার পালন কর্তার দীদার লাভ করার সময় ।

এক হাদীসে আছে - প্রত্যেক বস্তুর একটি দরজা আছে । ইবাদতের দরজা হলো রোযা । আরও বলা হয়েছে - রোযাদারের নিদ্রাও ইবাদত ।

রোযার এত ফজীলত মূলতঃ দুটি কারণেঃ

১. রোযা রাখার অর্থ কয়েকটি বিষয় থেকে বিরত থাকা এবং কয়েকটি বিষয় বর্জন করা । এগুলো বেশীরভাগই আভ্যন্তরীণ বা গোপণীয় কাজ । অন্যান্য ইবাদত মানুষের দৃষ্টিতে থাকে কিন্তু রোযা আল্লাহ ব্যাতীত কেউ দেখেনা । তাই এই ইবাদতের গ্রহণযোগ্যতা বেশী ।

২. রোযা আল্লাহতায়ালা ও মানুষের শত্রু তথা শয়তানের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে এবং শয়তানের আফসুস বাড়িয়ে দেয় । কেননা, কামনা-বাসনা হচ্ছে শয়তানের হাতিয়ার যা দিয়ে শয়তান মানুষকে বিপদগামী করে । রোযার ফলে শয়তানের এই হাতিয়ার দুর্বল হয়ে যায় । এ কারণেই রাসূল করীম (সাঃ) বলেছেন - শয়তান মানুষের ধমণীতে বিচরণ করে । সুতরাং ক্ষুধা-তৃষ্ঞার দ্বারা তার পথ সমূহ সংকীর্ণ করে দাও । এদিকে লক্ষ্য করে রাসূল (সাঃ) মা আয়েশা (রাঃ) কে বলেছিলেন - সর্বদা জান্নাতের দরজা খটখটাও । আরজ করা হলো - কিসের মাধ্যমে ? তিনি বললেন - ক্ষুধার মাধ্যমে ।

যেহেতু রোযা কামনা - বাসনা দমন করে শয়তানের মূলোৎপাটন করে, তার চলার পথ রুদ্ধ এবং সংকীর্ণ করে । তাই রোযার মাধ্যমে আল্লাহর বান্দাগণ খুবই সহজে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে । সুতরাং আসুন আমরা পবিত্র রোযার মাসকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও সফলতা অর্জন করি ।

সূত্রঃ এহইয়াউ উলুমিদ্দীন, ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

নস্টালজিক বলেছেন: আসুন আমরা পবিত্র রোযার মাসকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও সফলতা অর্জন করি ।

আমিন।

এহইয়াউ উলুমিদ্দিন বইটা পড়েছি। অসাধারণ একটা বই। ইমাম গাজজালী (রহঃ) এর প্রত্যকটা বই সুন্দর, শান্ত।

অনেক দিন বাদে আপনার পোস্টে এলাম সাদী ভাই। শুভেচ্ছা।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

েশখসাদী বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল । অনেক ধন্যবাদ ।

আমি এখানে লিখিনা কারণ - আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়না । আমি মনে করেছিলাম আমি বুঝি ব্লকড । আপনারা আমার লেখা কি প্রথম পাতায় দেখেছেন ? আমি তো্ এটা লিখেছি সিডনীর একটা বাংলা কমুটিটি পত্রিকায় লেখাটা দেয়ার জন্য । আমার পিসিতে বাংলা ইনষ্টল করা নাই ।

আপনারা পড়তে পারলে আমি আবার লেখা শুরু করব , ইনশাল্লাহ । তবে আবার লেখালেখি করলে আবার মনে হয় ব্লকড হবো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.