নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত হোযায়ফা ও হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, কেয়ামতের দিন আমানত ও আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা এই দুইটি গুণকে (একটি আকৃতি দান করিয়া) ছাড়িয়া দেওয়া হইবে । এই উভয় বস্তু পুলসিরাতের ডান ও বাম দিকে দাড়াইয়া যাইবে । (তাহারা তাহাদের রক্ষাকারীদের জন্য সুপারিশ ও যাহারা রক্ষা করে নাই তাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিবে ।) তোমাদের প্রথম দল পুলসিরাতের উপর দিয়া বিজলীর গতিতে দ্রুত পার হইয়া যাইবে । বর্ণনাকারী বলেন, আমি আরজ করিলাম, আমার মাতাপিতা আপনার উপর কোরবান হউক , বিজলীর মত দ্রুত পার হওয়ার কি অর্থ ? রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করিলেন, তুমি কি বিজলী দেখ নাই ? উহা কিভাবে চোখের পলকে চলিয়া যায় আবার ফিরিয়া আসে । উহার পরে অতিক্রমকারী বাতাসের গতিতে দ্রুত পার হইয়া যাইবে , অতঃপর দ্রুতগামী পাখীদের মত, অতঃপর শক্তিশালী পুরুষদের দৌড়ের গতিতে । মোটকথা, প্রত্যেক ব্যক্তির গতি তাহার আমল অনুযায়ী হইবে । আর তোমাদের নবী (আঃ) পুলসিরাতের উপর দাড়াইয়া বলিতে থাকিবেন, হে আমার রব ! ইহাদেরকে নিরাপদে পার করিয়া দিন । নিরাপদে পার করিয়া দিন । অবশেষে এমন লোকও হইবে যাহারা তাহাদের আমালের দুর্বলতার কারণে পুলসিরাতে উপর দিয়া হেচড়াইয়া চলিতে পারিবে । পুলসিরাতের উভয় দিকে বক্রমাথা বিশিষ্ট লৌহ শলাকা ঝুলানো থাকিবে । ঐ সমস্ত লৌহ শলাকার কারণে কাহারো শুধু আচড় লাগিবে , সে তো মুক্তি পাইয়া যাইবে । আবার কাহাকেও জাহান্নামে ফেলিয়া দেওয়া হইবে ।
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) বলেন, ঐ যাতের কসম, যাহার হাতে আবু হোরায়রার প্রাণ রহিয়াছে, নিঃসন্দেহে জাহান্নামের গভীরতা সত্তর বৎসরের দুরত্বের সমান । (মুসলিম)
©somewhere in net ltd.