নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাজ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:২৬

আমরা হল আল্লাহর সৃষ্ট দাস বা চাকর । আল্লাহ হলেন আমাদের মালিক এবং সৃষ্টিকর্তা । তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন । তিনি আমাদের কেমন সৃষ্টিকর্তা এবং কেমন মালিক এটা আমরা আসলে প্রকৃতপক্ষে অনুধাবন করতে পারিনা । যদিও বিষয়টা অনুধাবন করা খুবই জরুরী । আমরা সাধারণত দাস ও মালিক বলতে যা বুঝি তা হলো - আমাদের বাড়ীতে বা ব্যবসায় যখন টাকার বিনিময়ে কেহ কাজ করে তাকে দাস বলে । সে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছূ কাজ করে দেয় । বিনিময়ে আমরা টাকা দেই আর কিছু অতিরিক্ত সুযোগ - সুবিধাও দিয়ে থাকি , যেমনঃ থাকা, খাওয়া এবং কাপড় চোপড় ইত্যাদি। কিন্তু তার মানে এই না আমরা তার পুরো সত্তার মালিক । সে তার শরীর ও মন দিয়ে আমাদের জন্য কাজ করে দেয় আমরাও তার পারিশ্রমকি দেই । কিন্তু স্রষ্টার ক্ষেত্রে বিষয়টা তা নয় । একজন চাকরকে আমরা সৃষ্টি করিনা এবং তার সব চাহিদাও পূরণ করার ক্ষমতাও আমাদের নেই । পক্ষান্তরে আল্লাহ পাক আমাদের সৃষ্টি করেছেন । আমরা অস্তিস্ত্বহীন ছিলাম, তিনি আমাদের অস্তিত্বে এনেছেন । তিনি আমাদের এই সুন্দর দেহ ও মন তৈরী করেছেন এবং তিনি আমাদের লালন পালন করছেন । তিনি আমাদের সব কিছুরই মালিক । তিনি আমাদের জন্য এই পুরো মহাবিশ্ব, আসমান, জমিন, সাগর , আকাশ, বাতাস ইত্যাদি পরিচালনা করছেন । উপরন্ত আমাদের শরীর, সমস্ত দেহ এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঠিক মত কাজ করছে তারই হুকুমে । সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া এক মুহুর্তও আমরা বেচে থাকতে পারবনা । আমরা সম্পূর্ণই আল্লাহর অধীন । এমনকি এইরকম একজন সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করে আমরা যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারি এবং ভালো থাকতে পারি সেজন্য আমাদের পথনির্দেশনা দিয়েছেন । তার হুকুম পালন করলে তার কোন উপকার হবেনা বরং আমাদেরই উপকার হবে । তিনি এই সব হুকুম নবী (সাঃ) কে দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন তার প্রধানতম ফেরেশ্তা জিবরাঈল (আঃ) কে পাঠিয়ে । যেমন ধরুন, দেশের কোন বাদশা যখন কোন নতুন হুকুম করেন বা আইন জারী করেন তখন তা একজন ঘোষণাকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন । বাদশা এবং তার বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তার দূরত্ব যদি বেশী হয় তবে তিনি বার্তাবাহক এর মাধ্যমে তার হুকুমসমূহ জনগণের শাসনকর্তার নিকট পৈাছিয়ে দেন । তো এখানে মহান আল্লাহপাক হলেন বাদশা, মহানবী (সাঃ) হলেন আমাদের পথপ্রদর্শক বা নেতা এবং জীবরাঈল (আঃ) হলেন আল্লাহপাকের বার্তাবাহক । আর কুরআন শরীফ হলো আল্লাহর যাবতীয় হুকুম সমূহের সমষ্টি । এই আল্লাহপাক , যিনি আমাদের সব কিছুর মালিক, যিনি আমাদের লালন পালন করছেন, যার দয়ায় আমরা বেছে আছি তার প্রতিটি হুকুমই আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আপনি যদি কারো বাসায় কাজ করেন বা কোন চাকুরী করেন যার মাধ্যমে আপনার জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। আপনার পরিবার চলে । যে চাকুরী বা কাজটা না থাকলে আপনি পথে বসবেন , আপনি এবং আপনার পরিবার না খেয়ে থাকবে । যেটা হারালে আপনি আর কাজ পাবেন কিনা সন্দেহ সেই কাজকে আপনি কতটা গুরুত্ব দিবেন আর সেই কাজের মালিক কে আপনি কেমন মানবেন , একটু চিন্তুা করুন । আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সেই রকম সৃষ্টিকর্তা যাকে ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই । তিনি তার সব হুকুম আমাদের নবী (সাঃ) কে জানিয়েছেন জীবরাঈল (আঃ) কে সাত আসমানের উপর থেকে পাঠিয়ে । যেমনঃ রোজা রাখ, পিতা-মাতার সেবা করা, জাকাত দাও, প্রতিবেশীকে কষ্ট দিও না । কিন্তু একটা হুকুম এর ক্ষেত্রে এটা ব্যতিক্রম । তিনি জীবরাঈল (আঃ) কে দিয়ে প্রথমে তা আমাদের নিকট পৈাছান নি । এই আদেশ এতটাই গুরুত্বপূণ যে তিনি তা দেয়ার জন্য মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে গিয়েছিলেন সাত আসমানের উপরে একদম তার নিকটে । এই হুকুম কতটা গুরত্বপূর্ণ হতে পারে যে - তিনি তা বোঝানোর জন্য জীবরাঈল (আঃ) কে দিয়ে না পাঠিয়ে মহানবী (সাঃ) কে নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ।

আর সেই হুকুমটা হলো নামাজ । মহানবী (সাঃ) কে আল্লাহ পাক মেরাজের রাত্রিতে তার আরশের মুবারেক নিকট নিয়ে সরাসরি হুকুম দিয়েছেন তার বান্দদেরকে জানিয়ে দেয়ার জ্য যে তাদের উপর দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করা হলো । নামায কোন অবস্হাই ছাড়া যাবেনা । দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায পড়িতেই হবে । কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক ৮০ বারেও অধিক নামাজ কায়েম করার হুকুম দিয়েছেন । মহানবী (সাঃ) বলিয়াছেনঃ 'নামাজ দ্বীন ইসলামের খুটি স্বরূপ । যে উত্তমরূপে নামাজ কায়েম রাখিল সে দ্বীনকে কায়েম রাখিল । আর যে খুটি ভাঙ্গিয়া ফেলিল সে দ্বীনকে বরবাদ করিয়া ফেলিল ।' যারা দুনিয়াতে নামাজ পড়ে নাই কেয়ামতের কঠিন সময়ে যেখানে কেউ কাউকে সাহায্য করিতে পারবেনা, তাদের হাশর হবে অর্থাৎ তারা থাকবে সব থেকে নিকৃষ্টতম লোকদের সাথে - যথাঃ ফেরাআউন, হামান , কারুন এসব বড় বড় কাফেরদের সাথে । তারা সেখানে যেরূপ আল্লাহর রোয়নলে পড়বে , আল্লাহকে বিশ্বাসী হয়েে নামাজ না পড়ার কারণে বেনামাযীও এইরূপ আল্লাহর রোষানলে থাকবে ।

পাগল এবং নাবালেগ ছাড়া কারো জন্যই নামায মাফ নাই । রুগ্ন, অন্ধ, বধির, যে যে অবস্হায় আছে তাকে সে অবস্হায়ই নামায পড়তে হবে । মহানবী (সাঃ) তার জীবনের শেষ মুহুর্তে যখন বার বার যখন মৃত্যূ যন্ত্রণায় বেহুশ হয়ে যাচ্ছিলেন - তখন হুশ হওয়া মাত্রই নামাজ নামাজ বলতেন । হাটতে পারছিলেন না তারপরও দুই সাহাবীর কাধে ভর দিয়ে নামাজে অংশ গ্রহন করে ছিলেন । অতএব আমরা যদি এই দাবী করি যে, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং নবী (সাঃ) কে ভালোবাসি , উপরন্ত নিজেকে মুসলমান দাবী করি তাহলে আমাদেরকে দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামায পড়তে্ই হবে । নামায না পড়লে আমরা দুনিয়া এবং আখিরাতে সব খানেই ক্ষতিগ্রস্হ হবো । নামায পড়ার উপকার বলে শেষ করা যাবে না । নামায নিয়মিত আদায় করলে আল্লাহ আমাদের ইহকাল এবং পরকাল দুই জীবনই সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ ! আল্লাহ সকল মুসলমানকে পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ার তৈাফিক দান করুন । আমীন ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.