নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইফতার ও সেহরী । ডাঃ সাদেক আহমেদ

২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

রমজান কোন খাদ্য উৎসবের মাস নয় । রমজান হলো সংযমের মাস । কিন্তু দেখা যায় এ সময় আমাদের খাওয়া দাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় । যার ফলে আমরা আমাদের অজান্তে নিজেদেরকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দেই ।

শরীরের একটা হরমোন আছে যার নাম আই জি এফ -১. এর কাজ হলো শরীরে কোষ তৈরী করা এবং রিপেয়ার করা । তবে রিপেয়ার থেকে সে কোষ তৈরীতে বেশী নিয়োজিত থাকে । তাই আমরা যখন বেশী প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই তখন আ্ই জি এফ বেশী বেশী পরিমাণে কোষ তৈরী করে যার ফলে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হই । যেমনঃ ডায়বেটিস, ব্রেষ্ট ক্যান্সার, প্রোষ্টেট ও কোলন ক্যান্সার ।

দেখা গেছে কোন ব্যাক্তির আই জি এফ এর পরিমাণ বেশী হয়ে গেছে তারপর ডাক্তার তাকে বহুমূত্র রোগের ঝুকিতে আছে জানালে - তিন দিন উপবাস বা রোজার মাধ্যমে তা কমিয়ে অর্ধেকে নিয়ে আসতে পেরেছে । রোজা পেপটিক আলসার , ডায়বেটিস, আলজেইমার্স ডিজিজ এবং ব্লাড প্রেসার এর ঝুকি কমায় ।

রমজানে কি খাবেন আর কি খাবেন নাঃ
তাই রোজা আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয় । সুতরাং রোজার সময় আমরা যদি একটু হিসেব করে খাই তাহলে আমরা রোজার শারীরিক উপকারিতা লাভ করতে পারি । ইফতারের সময় আমাদের যদি ভাজা-পোড়া খাওয়া উচিত নয় । হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবীজী (সাঃ) ইফতার করতেন তাজা খেজুর দিয়ে । খেজুর না পেলে তিনি পানি দিয়ে ইফতার করতেন এবং তারপর মাগরিবের নামাজ আদায় করে রাতের খাবার খেতেন । তাই আমাদেরও সুন্নত অনুসারে শুধু খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করা উচিত । কাচা ছোলা খাওয়া যেতে পারে । ঠান্ডা শরবত ত্যাগ করুন । ঠান্ডা শরবত পাকস্হলীকে সংকুচিত করে দেয় , যার ফলে হজমের অসুবিধা হয় । তাই নরমাল অধবা গরম পানি পান করা স্বাস্হ্য সম্মত ।


কিডনী স্পেসালিষ্টদের মতে, ইফতারের সময় পেপসী, কোক, সেভেন আপ, স্র্পাইট জাতীয় পানীয় কিডনীকে নষ্ট করে দিতে পারে । সারা দিন রোজা রাখার ফলে কিডনী ডিহাইড্রেট হয়ে থাকে । তখন গ্যাসযুক্ত পানীয় কিডনীর জন্য খুবই ক্ষতিকর । তাই নরমাল পানি পান করুন ।

রাতে মাছ, মুরগী বা ডিম দিয়ে ভাত খেতে পারেন । সেহরীতে বেশী খেলে রোজায় কষ্ট হয় বেশী । তাই সেহরীতে সবজী বেশী খান । অথবা রাতের খাবারের অনুরূপ খেতে পারেন ।

রোজার মাসকে খাদ্য ভোজনের মাস না বানিয়ে যদি খাদ্য সংযমের মাস হিসেবে পালন করি, তাহলে আমাদের আধ্যাত্নিক ও দৈহিক উন্নতি লাভ করতে পারব ।

ডাঃ সাদেক আহমেদ ।
Director
Mac-Field Medical Practice
Shop 5, 88 Saywell Road,
Macquarie Fields

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.