নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুরআনের পাতায় পাতায় আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদেরকে উনার সৃষ্টির বর্ণনা দিয়ে তা নিয়ে চিন্তা ফিকির করার জন্য আহ্বান
জানাচ্ছেন । আমরা যদি মহাকাশে পৃথিবীর অবস্হান, মানুষের বসবাসযোগ্য এর পরিবেশ এবং পৃথিবীতে মানুষের বেচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু উপাদান (পানি, লোহা, অক্সিজেন, গাছপালা, প্রাণীজগত ) এর যথেষ্ট পরিমাণ থাকা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি, তাহলে আমাদের মনে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে , কেন এরকম হলো এবং কিভাবে হলো ? এটা কি কোন পরিকল্পণা ছাড়াই হয়েছে নাকি কেউ কোন পরিকল্পণা করেছে ?
আপনি কি জানেন ?
১. আমাদের যে সূর্য আছে - তা যদি আকারে আর একটু ছোট হতো তাহলে পৃথিবীর পরিবেশ এমন ঠান্ডা হতো যে- তা মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী হতো ।
২. আবার সূর্য যদি আর একটু বড় হতো - তাহলে পৃথিবীর সব কিছু প্রচন্ড গরমে আগুনে পুড়ে যেত- কোন প্রাণী জগত এখানে টিকতে পারত না ।
৩. এই পৃথিবীতে প্রাণের অস্ত্বিস্ত - ই থাকত না - যদি পৃথিবী তার বর্তমান অবস্হানে না থেকে মঙ্গল এর মতো নিকটে থাকতো বা বৃহষ্পতি গ্রহের মতো আরেকটু দূরে থাকতো ।
৪. পৃথিবী একটা নির্দিষ্ট গতিতে নিজের অক্ষে লাটিমের ন্যায় ঘুরছে, তার এই গতির একটু হের ফের হলে পৃথিবীতে আর বায়ুমন্ডল বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকতো না ।
Earth’s rotation every 24 hours produces day and night. Some animals are active in the daytime, others at night. Without sunlight, plants stop making food and releasing oxygen. The annual movement of Earth around the Sun creates the seasons. Living things are more active in spring and summer.
আজ যদি সূর্য অস্ত না যায় বা রাতের পর যদি দিন না আসে - মানুষ বা প্রাণী জগত কি এখানে টিকে থাকতে পারবে ? বিজ্ঞানীরা মহাকাশে এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যেখানে এক পাশে সব সময় দিন হয় আরেক পাশে সব সময় রাত হয় । যার ফলে সেখানে প্রাণ জগত গড়ে উঠে নাই - বসবাসের অনুপযোগী পরিবেশ ।
এই রকম যত খুটি নাটি বিষয় আছে- তা নিয়ে যদি আমরা চিন্তা ভাবনা করি তাহলে আমরা কি বুঝতে পারব না যে, এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে বিশেষভাবে পরিকল্পণা করে - প্রাণী জগতে গড়ে উঠার জন্য এবং মূলত মানুষের জন্যই । এই পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে সব নেয়ামত বা উপাদান ভোগ করছে এবং পৃথিবীকে শাসন করছে ।
মনে করুন - আপনি একটি পাখি পুষতে চান । আপনি কি করবেন, একটি খাচা কিনবেন যেটাতে পাখি থাকতে পারে । সেখানে খাবার আর পানির ব্যবস্হা করবেন যেন পাখিটা দিনের পর দিন বেচে থাকতে পারে । সব কিছু ঠিক করে তার পাখি কিনে আনবেন এবং খাচায় রাখবেন । তারপর যাবতীয় ক্ষতিকর বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখবেন , যেন পাখিটার ক্ষতি না হয় । এবার একটু এই বিষয়টাই পৃথিবীর সাথে মিলিয়ে নিন । মানুষ যদি পাখি হয়, পৃথিবী যদি খাচা হয় আর নিজের জায়গায় স্রষ্টাকে চিন্তা করুন ।
তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়। সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ (সূরা ইয়াসীন-৩৭-৩৮) ।
তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট আশা এবং দয়ার অনুসন্ধান করছ না। অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন রকমে সৃষ্টি করেছেন। তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে। আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন। অতঃপর তাতে ফিরিয়ে নিবেন এবং আবার পুনরুত্থিত করবেন। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে ভূমিকে করেছেন বিছানা। (সূরা নূহ-১৩-১৯)
আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।
তিনিই ভুমন্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড় পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন এবং প্রত্যেক ফলের মধ্যে দু’দু প্রকার সৃষ্টি করে রেখেছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্যে নিদর্শণ রয়েছে, যারা চিন্তা করে।
এবং যমিনে বিভিন্ন শস্য ক্ষেত্র রয়েছে-একটি অপরটির সাথে সংলগ্ন এবং আঙ্গুরের বাগান আছে আর শস্য ও খজ্জêুর রয়েছে-একটির মূল অপরটির সাথে মিলিত এবং কতক মিলিত নয়। এগুলো কে একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই। এগুলোর মধ্যে নিদর্শণ রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা ভাবনা করে। (সূরা রা'দঃ ২-৪)
©somewhere in net ltd.