নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলেমার দাওয়াত ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

কুরআন কোন বিজ্ঞান গ্রন্হ নয় বরং এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত একটা পথ নির্দেশ । জীবন চলার পথের গাইড । কিন্তু যেহেতু মানুষ অলৈাকিক কিছু না দেখে বিশ্বাস করতে চায় না এজন্য আল্লাহ কিছু কিছু আয়াত নাজিল করেছেন যেগুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে চমৎকৃত হতে হয় । কেউ যদি দাবী করে যে, আমি একজন কেমিষ্ট্রি শিক্ষক তখন তাকে পরীক্ষা করার জন্য আপনি তাকে কেমিষ্ট্রির সূত্র সমূহ নিয়ে প্রশ্ন করবেন । এখন কুরআনে আল্লাহ দাবী করছেন যে তিনি-ই স্রষ্টা, তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন । এখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহর পক্ষে সব কিছু বলা সম্ভব । কিন্তু আল্লাহর উদ্দেশ্যও নয় সব বৈজ্ঞানিক সূত্র সমূহ কুরআনে উ্ল্লেখ করা , এটা শোভা পায় না । তিনি শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় অবতারণা করেছেন অবিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শণ হিসেবে আর বিশ্বাসীদের ঈমান বৃদ্ধির জন্য ।

আমরা যারা মুসলমান আমাদের কি কাজ ? আমাদের কাজ হলো কুরআন পড়া, বুঝা , কুরআনের নির্দেশ মেনে চলা এবং কুরআনের দাওয়াত দেয়া । আমরা যখন তা করব তখন আল্লাহর দয়া আমাদের প্রতি আসবে । আল্লাহ আমাদের জীবন সহজ করে দিবেন । আল্লাহর প্রতি যখন আমাদের বিশ্বাস দৃঢ় হবে তখন আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক তৈরী হবে । যার বিশ্বাস যত শক্ত তার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক তত গভীর । সুতরাং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরীর উপায় হলো - আমাদের বিশ্বাস তথা ঈমানক দৃঢ় করা । ঈমান কিভাবে দৃঢ় হবে ? ঈমান দৃঢ় হবে কুরআন বুঝে পড়ার মাধ্যমে, আলোচনার মাধ্যমে এবং অন্যকে কুরআনের দাওয়াতের মাধ্যমে ।

যদি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় না হয় তখন আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর ভান্ডার থেকে নেয়া যায় না । হাদিস অনুসারে আমরা জানি যারা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহ তাদের রিজিক এর ব্যবস্হা করেন । কিন্তু আমাদের যদি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় না হয় এবং আল্লাহর এই ওয়াদার প্রতি বিশ্বাস না থাকে তখন আমাদের জীবনে নামাজ এর সুফল আসেনা ।

আমাদের সমস্ত অপমান এবং পেরেশানির বড় কারণ হলো - ঈমান তথা বিশ্বাস দুর্বল এবং আমলের ঘাটতি । ঈমান ছাড়া না আমল যথার্থ হতে পারে; না আমলের কারণে বিনিময় পাওয়া যেতে পারে, না সম্পূর্ণ দ্বীন জীবনে আসতে পারে ।

আল্লাহতায়ালা নিজে ইরশাদ করেছেন- আমি যে নবী প্রেরণ করেছি তাকে সর্ব প্রথম কালেমার দাওয়াত দিয়েছি । আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকেই সর্ব প্রথম দায়িত্ব ছিলো কালেমার দাওয়াত দেয়া -

নিশ্চয় আমি আল্লাহ । আমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই । অতএব আমার ইবাদত করো । - সূরা ত্বাহা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.