নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈশা খাঁ মসনদ-এ-আলা... প্রথম বাংলার স্বাধীন নবাব

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫০




ঈসা খাঁ—বারভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন।মুঘল সেনাপতি মানসিংহ জীবনে দুব্যক্তিকে পরাজিত করতে পারেননি-চিতরের রানা প্রতাপ সিং ও ঈসা খাঁ।১৫৩৭ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল পরগণায় ঈসা খাঁর জন্ম।তাঁর পিতা কালিদাস গজদানী ভাগ্যান্বেষণে অযোধ্যা থেকে গৌড়ে এসে স্বীয় প্রতিভা গুণে রাজস্বমন্ত্রী পদে উন্নীত হন।পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁর নাম হয় সুলাইমান খাঁ।তিনি সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহের (১৫৩৩-৩৮) মেয়েকে বিয়ে করে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল পরগণা ও পূর্ব মোমেনশাহী অঞ্চলের জায়গীরদারী লাভ করেন।১৫৪৫ সালে শের শাহের পুত্র ইসলাম শাহ দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করার পর সুলাইমান খাঁ দিল্লীর আনুগত্য অস্বীকার করলে কৌশলে তাঁকে হত্যা করে তাঁর দুই নাবালক পুত্র ঈসা খাঁ এবং ইসমাইল খাঁকে একদল তুরানী বণিকের নিকট বিক্রি করা হয়।১৫৬৩ সালে ঈসা খাঁর চাচা কুতুব খাঁ রাজকার্যে নিযুক্তি লাভ করে বহু অনুসন্ধানের পর সুদূর তুরান দেশের এক ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ২ ভ্রাতুস্পুত্রকে উদ্ধার করেন।এ সময় ঈসা খাঁর বয়স মাত্র ২৭ বছর।সুলতান তাজ খাঁ কররানী (১৫৬৪-৬৫) সিংহাসনে আরোহণ করে ঈসা খাঁকে তাঁর পিতার জায়গীরদারী ফেরত দেন।বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খাঁ কররানীর রাজত্বকালে (১৫৭২-৭৬) ঈসা খাঁ বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করেন অসাধারণ বীরত্বের জন্যে।

১৫৭৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলার সুবাদার মুনিম খাঁর মৃত্যু হলে আফগান নেতা দাউদ খাঁ কররানী স্বাধীনতা ঘোষণা করে নিজ নামে বাংলা ও বিহারে খুতবা পাঠ করান।স্বাধীন ভূঁইয়ারাও তাঁকে অনুসরণ করে মুঘলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন।

এরপর অনেক বীরত্বগাথাঁ রচিত হয়।সর্বশেষ ১৫৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুর হতে ১২ মাইল দূরে ঈসা খাঁ,মাসুম খাঁ কাবুলীর সম্মিলিত বাহিনী দুর্জন সিংহকে (মানসিংহের ছেলে) বাধা দিলে দুর্জন সিংহ বহু মুঘল সৈন্যসহ নিহত হন।অনেকে বন্দী হন।কিন্তু সুচতুর ঈসা খাঁ মুঘলদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা উচিত বলে মনে করে আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেন।তিনি বন্দীদের মুক্তি দেন এবং মানসিংহের সাথে আগ্রায় গিয়ে সম্রাট আকবরের সাথে সাক্ষাত করেন।সম্রাট এ বীর পুরুষকে দেওয়ান ও মসনদ-ই-আলা উপাধিতে ভূষিত করেন।
বিয়ে...
ঈশা খাঁ ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা চাঁদরায়ের কন্যা... স্বর্ণময়ীকে বিবাহ করেন... পরবর্তীতে স্বর্ণময়ী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ফলে ঈশা খাঁ তাহার নাম রাখেন সোনা বিবি... এই নামানুসারেই ঈশা খাঁ তার রাজধানীর নামকরণ করেন সোনারগাঁও...
ঈশা খাঁ মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করে ১৫৯৭ সালে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন। তার সাহস, যুদ্ধকৌশল, নেতৃত্বের যোগ্যতা, বীরত্ব, দেশপ্রেম নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ষোড়শ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে ঈশা খাঁর সফল সংগ্রাম তাকে বাংলার প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। তাকে আমাদের একজন জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা উচিত। ঈশা খাঁকে দীর্ঘ ৫৩ বছর যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে হয়েছিল। তিনি বাংলায় সর্বপ্রথম নৌবাহিনী গঠন করেছিলেন। তিনিই বাংলায় প্রথম গেরিলা যুদ্ধের প্রচলন করেন এবং নিজেও গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন। তিনি গরিব কৃষকদের কথা চিন্তা করে করমুক্ত রাজ্য গঠন করেছিলেন। তার শাসনকালে বস্ত্র শিল্প, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়।
সোনারগাঁও ও মহেশ্বরদীর জমিদারীকে একত্রিত করে তিনি এক স্বাধীন রাজ্যে পরিণত করেন... এতে বৃহত্তর ঢাকার বেশ কিছু অংশ, প্রায় সমগ্র বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা এবং ত্রিপুরা জেলার এক ক্ষুদ্র অংশ অন্তর্ভূক্ত ছিলো... এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের খিজিরপুর এবং কিশোরগঞ্জ জেলার জঙ্গলবাড়ী ও এগারসিন্দু ছিল তার শক্তিশালী ঘাঁটি...
মৃত্যু...
ঈশা খাঁ তার রাজ্য শাসনের জন্য বিভিন্ন দূর্গে যাতায়াত করতেন... এমনি এক সফরের সময়... মহেশ্বরী পরগনার অন্তর্গত বক্তারপুর দূর্গে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন... এবং এখানেই... ১৭ই সেপ্টেম্বর ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে... ৭০ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন... গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানায় বক্তারপুর গ্রামে ঈশা খাঁ-কে সমাহিত অবন্থিত...

১৫৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর মৃত্যু হয়। গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানায় বক্তারপুর গ্রামে ঈশা খাঁ-কে সমাহিত অবন্থিত... ।


১. উইকী-তে...
২. বাংলাপিডিয়া-য়...
৩. আমাদের কিশোরগঞ্জ...
৪. ও ইন্টার নেট ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.