নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুধু বিবেক মানে ধর্ম না !!!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৫


--------------------------------

বিবেকের দোহাই দিয়ে দ্বীন-ধর্মকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার একটি প্রবণতা আধুনিক শিক্ষিত এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে লক্ষ করা যায়। তারা সেকুলার ও বস্তুবাদী জীবন-দর্শনের প্রচার এবং ধর্মমুক্ত জীবন-যাপনের নসীহত দিতে গিয়েই এমনটি করে থাকেন।
তাদের মতে, মানুষের বিবেকই তার ধর্ম। বিবেকের কথা মত চলতে পারলে কোরআন কিতাবের প্রয়োজন পড়ে না। আপাত দৃষ্টিতে এ কথাগুলোর মধ্যে চটকদারিতা থাকলেও বস্তুনিষ্ঠতার দিক থেকে চিন্তা করলে তার অন্তঃসারশূন্যতা সহজেই ধরা পড়ে।
সমাজ পরিবর্তনের জন্য মানুষের চিন্তা ও মানসিকতার পুনর্গঠন ও পরিশোধন জরুরী। মানুষের নৈতিকতা ও বিবেকবোধের শুভ উদ্বোধন ছাড়া সুশীল সমাজের কামনা দুরাশা মাত্র। আর মানুষের নৈতিক বা বিবেকবোধের এ শুভ উদ্বোধনে ধর্মের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। কারণ ধর্ম কেবল উত্তম চরিত্র, নৈতিকতা ও বিবেকবোধের আহবান জানিয়েই ক্ষান্ত হয় না, বরং চরিত্র গঠনের জন্য বাস্তব দিকনির্দেশনাও প্রদান করে থাকে। ধর্ম নৈতিক চরিত্রের বিধি-বিধান, রীতি-নীতি ও মৌল আদর্শ নির্ধারণ করে দেয়। এমনকি আচার-আচরণের খুঁটি-নাটি দিকও বলে দেয়। চারিত্রিক আদর্শের উপর দৃঢ় ও অবিচল থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আমাদেরকে ধর্মই। নৈতিকতা, বিবেক ও চরিত্র হারালে কী নির্মম পরিণতি হতে পারে সে ব্যাপারে ধর্মই আমাদেরকে সতর্ক ও সজাগ করে দেয়। আবার চরিত্রবান ব্যক্তিকে স্বর্গের সুসংবাদ ধর্মই শুনিয়ে থাকে। ধর্ম হচ্ছে নৈতিকতা তথা বিবেকবোধের প্রাণশক্তি আর নৈতিকতা ও বিবেক হচ্ছে ধর্মের অবয়ব। যেখানে ধর্ম সেখানেই বিবেক, আর যেখানে বিবেক সেখানেই ধর্ম। এ দুটো জিনিস অবিভাজ্য ও একক। ধর্মই ব্যক্তির মন-মানসিকতা ও বিবেকবোধকে নৈতিক চরিত্রের ভিত্তিতে জীবন্ত ও সজীব রাখে এবং তাকে উৎকর্ষ দান করে। মানুষকে উচ্চতর লক্ষ পাণে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ধর্মই। মানুষের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য নিশ্চিত করা, তার সীমা নির্দিষ্ট করা এবং তা লংঘন করা থেকে তাকে ও অন্যকে বিরত রাখাই ধর্মের কাজ।
ধর্মের প্রতি অনীহা নয়, বরং শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫

Tas DE Sun বলেছেন: সঠিক বলেছেন,,।। তবে কথায় আছে "চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী "।যে সব ব্যক্তি ধর্ম মানে না তা বস্তুত বিজ্ঞান মনস্ক দাবী করলেও তারাই মূর্খ,ধর্ম আমাদের বিবেক,আচার,আচরন এবং বিবেধহীনতার কথা বলে,তবে কিছু ধর্ম রয়েছে যেখানে কুসংস্কারে ভরা,সে সব বিষয় বিবেচনায় বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে ধর্মের অনেস কিছুই প্রমান করা সম্ভব না হলেও সেগুলোই বিশ্বাস করে ধর্ম টিকে আছে,,।দুনিয়ায় কর্পোরেট দেশ গুলিতে ধর্ম তেমন একটা মানা হয় না,কিন্তুু তারা নিজের প্রতিবেশীর খবরই রাখে না বিবেক তো অনেক পরে,।ধর্ম সমগ্রতা মানুষের কথা বলে,,,।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

নামহীন পাপী বলেছেন: আমার বিবেক পাথর মেরে কাউকে হত্যা করতে সায় দেয় না বা চুরির অপরাধে হাত কেটে ফেলতেও না , কিন্তু ধর্ম ?? নাইবা বললাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.