নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।
সকালের রোদ মিষ্টি তাই আখি রোজ সকালে মিনিট পাঁচেক রোদে থাকে । তিন তলার ছোট বারান্দা দখিন দিকে চলে গেছে একটা রাস্তা । রাস্তার শেষ মাথায় একটা কাঁঠাল গাছ । সেই গাছের নিচে এক জন লোক বসে ভিক্ষা করে । আখি রোজ দেখে একবার লোকটাকে । মনে হয় ফজরের নামাজে শেষ করে এসে গাছ তলায় বসে । ঠিক ১১ টায় ভিক্ষা শেষ করে চলে যায় । আজ সকাল থেকে বেশ বৃষ্টি আখি একবার বারান্দায় যায় । আখির চোখ যায় সেই কাঁঠাল গাছ তলে দেখে লোকটি বৃষ্টির মধ্য ভিজে বসে আছে । আখির কাজের মেয়ের কাছে জানতে পারে লোকটি অন্ধ । আখি ছাতা দিয়ে কাজের মেয়ে হিমু কে লোকটির কাছে পাঠায় । বেশ কয়দিন এই ছাতা নিয়ে গাছ তলে আসে ভিক্ষুক । আজ বৃষ্টি নাই । আখি সকালে অন্ধ লোকটির জন্য গরম রুটি সবজি চা পাঠায় । এমন করে রোজ সকালে নাস্তা পাঠায় আখি অন্ধ লোকটির জন্য ।
কিন্তু আখি কোন দিন অন্ধ লোকটিকে দেখতে যায় নাই । ঠিক এক বছর পরের কথা আখি নিজ হাঁতে পায়েস রান্না করে তার কাজের মেয়ে কে দিয়ে পাঠায় । কাজের মেয়ে অন্ধ মানুষটি কে বলে মেম সাব নিজের হাঁতে রান্না করেছে । আর আপনার জন্য পাঠিয়েছে সবার আগে । আখি বারান্দায় গেলে অন্ধ লোকটি হাত উপরে তুলে । আখি ভাবে হয়ত সে সময়টা মনের মধ্যে গেঁথে রেখেছে । তাই আমি আসলেই হাত তুলে । আখি রোজ একটা সময় বারান্দায় আসে ।। যেই দিন পায়েস খেল ঠিক তার পর থেকে
অন্ধ লোকটি আর আসে না গাছের নিচে । আখি বারান্দায় গেলে তার চোখ যায় ঐ গাছের দিকে । কিন্তু পনের দিন হয়ে গেল অন্ধ মানুষটি কেন আসে না আখির খুব চিন্তা হতে লাগলো । শেষ পর্যন্ত আখি তার কাজের মেয়ে কে নিয়ে অন্ধ মানুষটিকে খুজতে লাগলো । অনেক খোঁজার পর শেষ পর্যন্ত সেই অন্ধ মানুষ টির ঘর খুজে পেল ।
একজন বৃদ্ধা মহিলা বস্তি ঘর থেকে বের হয়ে জানালো সে মারা গেছে । বৃদ্ধা মহিলার মামা হতো সেই অন্ধু লোকটি । আখি যখন বিদায় নিবে তখন বৃদ্ধা মহিলা বলল আপনি কি রোজ মামার জন্য রুটি পাঠাতেন । আখি বলল হ্যা । বৃদ্ধা মহিলা বলল একটা কথা বলি শুনবেন । আখি বলল হা বলুন ? আসলে মামা অন্ধ ছিল না। সে একটা কালো চশমা পরে বসে থাকত । শুধু আপনাকে দেখার জন্য ।
আখি অবাক হয়ে বলল আমাকে দেখার জন্য ?
---- হ্যা মেম সাব আপনাকে দেখার জন্য । কারন সে আপনার বাবা । আপনার মা কে বাঁচাতে অনেক টাকা লাগবে জেনে একদিন আপনাকে এক ধনি পরিবারে বিক্রি করে দেয় । কিন্তু আপনার মা আর বাঁচে না। অনেক খুজার পর একদিন আপনার দেখা পায় । কিন্তু আপনার সামনে যাবার মতো সাহস ছিল না। তার শেষ ইচ্ছা ছিল আপনার হাতের পায়েস খাবার । যেই দিন আপনার হাতের পায়েস খেল সেই দিন আমাকে বলল যে রান্না টা মধ্যে ওর মায়ের গন্ধ পাই । আর সেই সকালে সে মারা গেল ।। আমাকে কসম দিয়েছেছিল না বলার জন্য । মামা বলেছিল দেখবি আমাকে না দেখলে আমার মেয়ে আমাকে খুজতে আসবে । রক্তের একটা টান আছে ।।
আখি চিৎকার করে কাদতে লাগলো সারা জীবন সে মনে মনে তার বাবা বাবা কে খুজেছে কিন্তু এত কাছে পেয়েও সে তাকে ছিনতে পারে নাই ।
আখি চিৎকার করে বলে এক বার তোমাকে বাবা ডাকতে পারলাম না।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০১
সুমন কর বলেছেন: পুরনো প্লট, তবে অণুগল্প হিসেবে ভালে লাগল। +।
কাজের মেয়ে'র নাম আবার হিমু !! এটা ভালো লাগেনি।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০৬
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: বিসাস করুন হিমু ।। আমার কাজের মেয়ের নাম । তার মা সখ করে রেখেছি ।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: তার শেষ ইচ্ছা ছিল আপনার হাতের পায়েস খাবার ।- গল্পটি হৃদয়ে নাড়া দেয়ার মত নিঃসন্দেহে কিন্তু ব্যাক্তির শেষ ইচ্ছাটা হাস্যকর। গল্পের সাথে যায় না।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: গল্পের প্লট টা খুব সুন্দর, বেশ ভাল লাগলো +
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: গল্পের বুনন সাদা মাটা ও গতানুগতিক। প্রচুর টাইপো রয়েছে। মেয়ে চরিত্রের নাম "হিমু" কেন? "কিমু" ও হইতে পারে। এটা কোন সমস্যা না। আবার চেষ্টা করুন। করতেই থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২১
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: