নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

রথসিল্ড যে পুরো দুনিইয়া নিয়ন্ত্রন করছে?

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯



১। কে এই রথসিল্ড যে পুরো দুনিইয়া নিয়ন্ত্রন করছে?
২। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার রহস্য কি? কারা কেন হত্যা করেছে জন এফ কেনেডি কে?
৩। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর মালিক কে? কিভাবে তারা পুরো দুনিয়ার সম্পদ হস্তগত করলো?
৪। সিরিয়া যুদ্ধের সাথে রথসিল্ড পরিবারের কি সম্পর্ক ?
উপরোক্ত বিষয় গুলো কিভাবে একটি আরেকটির সাথে জড়িত জানলে হতভম্ব হয়ে যাবেন।
ইহুদীবাদি ইসরাইল কখনোই চায়না পৃথিবীর কেউ উপরোক্ত চার টি প্রশ্নের উত্তর গুলো জানুক এবং এগুলর মধে সমন্বয় করুক।
১৯৬৩ সালের ৪ জুন জন এফ কেনেডি একটি ডিক্রি জারি করেন যার নির্বাহী আদেশ নম্বর ১১১১০।এতে বলা হয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কে আর সুদে লোন দিতে পারবেনা। কলমের এক খোঁচায় কেনেডি এমন বাবস্থা করলেন যার দরুন খুব দ্রুতই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অকেজ হয়ে পড়বে। প্রসঙ্গত সেই নির্বাহী আদেশ টি আজও পরবর্তী কোন নির্বাহী আদেশ দ্বারা প্রত্যাহার , সংশোধন কিংবা সংজোজন করা হয়নি অর্থাৎ সেটি আজও ভ্যলিড আছে। এই নির্বাহী আদেশের ফলে মার্কিন সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর সাহায্য ছাড়াই নিজের প্রোয়জন মত মূদ্রা ছাপানো এবং বাজারে ছাড়ার ক্ষমতা ফিরে পেলো। কিভাবে তা খুব সংক্ষেপে বলছিঃ
সরকারি ব্যয় এর জন্য রথশিল্ড এর মালিকানাধীন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুদে টাকা ঋণ না নিয়ে সরকারি রৌপ্যের মজুদের বিপরীতে মার্কিন প্রশাসন মুদ্রা ছাপাতে পারবে এবং তা বাজারে ছাড়তে পারবে। অর্থাৎ আমেরিকার রিজার্ভে থাকা প্রতী আউন্স রৌপ্যর বিপরীতে সরকার নোট ছাপাবে এবং তা দিয়ে সরকারে ঘাটতী ব্যয় নির্বাহ করবে। ফলে সরকার ফেডারেল রিজার্ভ বাঙ্কের কাছে দেনা থাকবেনা এবং তাকে সুদ ও দিতে হবেনা। এবং প্রশাসন হবে শক্তিশালী রথসিল্ডের প্রভাব মুক্ত। এই উপায়ে কেনেডি প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন মুদ্রা বাজারে আনলেন। কিছুদিন পরে আমেরিকার রৌপ্যের রিজার্ভ আরো বাড়লে তার বিপরীতে মার্কিন প্রশাসন এতো পরিমান নোট ছাপাতে পারবে যে মার্কিন প্রশাসনের কোন প্রোয়জন ই পড়বেনা ফেডারেল রিজার্ভের মজুদ নোট গুলোর। মার্কিন সরকার কে লোন দিয়ে সুদ কামানোর ধান্দা বন্ধ হয়ে যাবে ফেডারেল রিজার্ভ বাঙ্কের।আমেরিকা এবং বিশ্বের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখছিলো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক তা ধূলিষ্যাথ হয়ে গেলো।ফলে জন এফ কেনেডি কে হত্যা করা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় ছিলোনা।
“ ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক “ নাম শুনলেই মনে হয় হয়ে শক্তিশালি মার্কিন ব্যাংক যা পুরো দুনিয়ার অর্থ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করছে। কিন্তু মুলত এটি মার্কিন সরকারের কোনো সংস্থা নয়।নামটি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেনো শোনা মাত্র মনে হয় এটি মার্কিন সরকারের একটি ব্যাংক। আসলে না এটা ফেডারেল কোনো ব্যাংক না এটা মার্কিন সরকারের মালিকানাধীন কোন ব্যাংক। এটি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংক যার মালিক ইহুদী রথশিল্ড পরিবার। এটি অন্যান্য কোম্পানির মত ডাক মাসুল দেয়, এর কর্মচারী রাও সরকারী চাকুরে নয় এবং এরা অন্যান্য সাধারন কোম্পানির মত সরকার কে ট্যক্স ও দেয়। মোট কথা এটিকে সরকারী ব্যাংক বলে যারা ভাবতেন সেটা ভুল। এটি ইহুদী পরিবার রথসিল্ডের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ব্যাংক যা একে একে দুনিয়ার প্রায় সব কটি দেশের অর্থ ব্যবস্থার উপর নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।
এই রথশিল্ড পরিবার টি এমন ভাবে সম্পদ অর্জন করেছে যা অকল্পনীয়। এরা নিজেদের মধ্যে এমন একটি ব্যবসায়ী অভীজাত শ্রেণী তৈরি করেছে যারা রাজনীতিতেও সক্রিয়। তারা এখন যে কোন সময়ে অর্থনীতি কে যে কোনো পথে পরিচালিত করতে পারে তাই মার্কিন প্রশাসনকেও তারা বাধ্য করতে পারে তাদের দিক নির্দেশনা মোতাবেক চলতে।
২০০০ সালে পৃথিবীতে ৮ টি দেশ ছিলো যাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কে রথসিল্ড রা কুক্ষিগত করতে পারেনি। দেশ গুলো ছিলোঃ
১।আফগানিস্তান
২।ইরাক
৩।সুদান
৪।লিবিয়া
৫।কিউবা
৬।উত্তর কোরিয়া
৭।ইরান
৮। সিরিয়া।
বিগত দিন গুলোতে আপনি আফগানিস্তান ইরাক সুদান এবং লিবিয়া তে যে মার্কিন যুদ্ধ দেখেছেন তা রথসিল্ড পরিবার মার্কিন প্রশাসন কে করতে বাধ্য করেছে ঐ দেশ গুলর সম্পদ কুক্ষীগত করার জন্য। এবং তারা সফল। আজ মাত্র ৪ টি দেশ আছে পৃথিবীতে যার কেন্দ্রীয় ব্যাংক রথসিল্ড পরিবার কুক্ষীগত করতে পারেনি।
১। কিউবা
২। উত্তর কোরিয়া
৩।ইরান
৪। সিরিয়া।
দেখবেন পাশ্চাত্যের সকল মিডিয়া এসব দেশের শাসক সম্বন্ধে নেতীবাচক খবর প্রকাশ করতেই থাকে জনগনের মন বিষিয়ে তোলার জন্য। তারা এমন শাসক বসাতে চায় যিনি দেশের সম্পদ তুলে দেবেন রথসিল্ড দের হাতে। যখন আপনার সম্পদের নিয়ন্ত্রন তার হাতে সে ইচ্ছা করলেই আপনার সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলতে পারবে যখন খুশি। আপনি চীরকালের জন্য তার কৃতদাস বনে গেলেন। কথা না শুনলেই আপনাকে সন্ত্রাসী আক্ষা দিয়ে আপনার সম্পদ বাজেয়াপ্ত কর ফেলবে। কি করবেন তখন হা করে বসে কান্নাকাটি করা ছাড়া? হ্যাঁ আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক এর মজুদ ও ফেডারেল রিজার্ভে রাখা। তারা যখন যা খুশি করতে পারে আমাদের সাথে।আমরাও তাদের কৃতদাস।বিলিভ ইট।
গত ছয় বছর ধরে রথসিল্ড পরিবার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কে সরিয়ে এমন এক জন কে প্রেসিডেন্ট করার জন্য যিনি সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্পদের মজুদ তুলে দেবেন রথশিল্ড পরিবারের হাতে। এর পর ইরান এর পর উত্তর কোরিয়া। ব্যস দুনিয়ার সকল সম্পদের নিয়ন্ত্রক হবে ইহুদী রথসিল্ড পরিবার।
এই জিনিষ গুল আপনি কোন বিবিএ এমবিএ এর পাঠ্য পুস্তকে পাবেন না। গতানুগতিক ধারায় শিক্ষীত কোন ব্যক্তির কাছেও পাবেন না। কারন আপনি পাঠ্য পুস্তকে সেই জ্ঞ্যানই অর্জন করেন যা তারা আপনাকে শেখাতে চায়। তাদের নিজেদের ব্যপার গুলো তারা বিশ্ববাসীর কাছে গোপন রাখতে চায়।
পরবর্তী কোন লেখায় হয়তো লিখবো কিভাবে মোসাদ হত্যা করেছে জন এফ কেনেডি কে।
হাসনাইন শিশিরঃ ১ জুলাই ২০১৭
বিদ্রঃ আমার লেখা ইচ্ছা করলে কপি পেস্ট মারতে পারেন অনুমতির প্রোয়জন নেই। মানুষকে ইহুদী পরিবারের চক্রান্তগুলো সম্বন্ধে সচেতন করাই আমার লক্ষ।এক জন মানুষ ও যদি এই বিশাল পোস্ট টি পড়ে বুঝতে পারে কস্ট সার্থক ।
পোস্ট টি কস্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Courtesy: Hasnine Shishir

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ সম্পর্কে আপনি জ্বীনের গল্প লিখেছেন!

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

পোটলা ভরা জল বলেছেন: পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: রথশিল্ডের আমেরিকান কাউন্টারপার্ট হচ্ছে রকফেলার পরিবার। রথশিল্ডেরা দুনিয়ার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আর রাজনৈতিক দিকটা সামলায় রকফেলাররা।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বিশ্বাসও করছি না, অবিশ্বাসও করছি না। এত গভীরের তথ্য্যাদি চট করে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করা যায় না।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আমি আপনাকে এই রথসিল্ড জাতীয় আরও একশো মানুষের সন্ধান দিতে পারি। গুগলে সার্চ দিন "The People who control the earth" অথবা "conspiracy theories" কিংবা "Illuminati" লিখে। একশো না, হাজার বা তারও বেশী পাবেন।
অথবা একজন বুড়ো মানুষের ছবি নিন আর "Microsoft Paint" এ গিয়ে চট করে এমন একটা পোস্টার তৈরী করে ফেসবুকে ছেড়ে দিন। কয়েকটা গউপে দিয়ে দেবেন, ব্যস। আপনি একজন বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সৃষ্টি করলেন।
এটা গুজবের যামানা। "ভাইরাল" শব্দটা একটা ইয়ার্কি হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.