নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।
বহু দিন আমি আর আমার স্বামী প্রায় শেষ বিকালে হাটতে বের হতাম । আমার স্বামী প্রতিদিন এক জন বৃদ্ধার ওজন মাপার মেশিনে দাড়িয়ে ওজন মেপে তাকে ১০ টাকা বা ২০ টাকা কোন দিন ৫০ টাকাও দিয়ে দিত । প্রতিদিন তাঁর এই ওজন মাপা আমার কাছে খুবেই বিরক্ত লাগত । আমার স্বামী হেসে বলত আজেই শেষ । কিন্তু দেখা গেল তাঁর এই শেষ বলে কোন শেষ নেই ।
লোকটি ছিল খুবেই বৃদ্ধা । মুখ ভর্তি সাদা দাড়ি , বেশী একটা কথা বলত না। সবাই দুই টাকা দিত তাঁর কাছে ওজন মেপে । আমি শুধু আমার স্বামী ছড়া দুই এক জন দেখেছি তাঁর চেয়ে বেশী টাকা দিতে । আমার স্বামীর কিন্তু প্রতিদিন তাঁর কাছে ওজন মেপে একটা লম্বা হাসি দিয়ে বলত । অঙ্কেল আমি কিন্তু আগের মতোই আছে । ওজন বারে নাই কমে নাই । মেশিন ঠিক আছে তো । এই নেন আজ একশত টাকা দিলাম । আগামী ১০ দিন আমি আসব না। হয়ত ইমরান দুই বা তিন দিনের বাহিরে যাবে ।
আমি বলি তুমি কি ইমরান পাগল । টাকার কি কোন মায়া নাই - এই লোক কে তুমি আজ একশত টাকা দিয়ে আসলে যে খানে দুই টাকা দিলেই হয় । ইমরান বলল সরি প্রিয়া ভুল হয়ে গেছে । আর দিব না।
ঠিক তাআর এক সপ্তাহ পরে আমি আর ইমরান আবার হাটতে বের হই । কিন্তু আজ ঐ লোকটা নাই । ইমরান বলল প্রিয়া দেখ আজ ঐ চাচা নাই । যাই হউক দুই টাকা কিন্তু আজ বেচে গেল । কিন্তু সাত দিনে ভ্রমণে কতটা ওজন কমলো বা বাড়ল বুঝতে পারলাম না। আমি ইম্রাআন কে বললাম , থাক আর মজা করতে হবে না। দুই টাকা তো দিত না , আমি জানি তাকে তুমি আজ ৫০০ টাকা দিতা । আমি যত না করি তুমি দিন দিন তা ডাবল কর ।
ইমরান কি মনে পাশের ঝাল মুড়ি ওয়ালাকে বলল এই যে ভাই ওজন চাচা কোথাই ? লোকটা ইমরান কে বলল ভাআই ঐ চাচা মারা গেছে আজ তিন দিন । ইমরান একটু চুপ হয়ে গেল । আআমি একটু কষ্ট পেলাম ।
ইমারান হাটতে হাটতে আমায় বলল - প্রিয়া আমারা কত টাকা কত ভাবে খরচ করি । ঐ বৃদ্ধা যদি ভিক্ষা করত তাহলে ওজন মাপার চেয়ে অনেক বেশী টাকা পেত । কিন্তু সে ভিক্ষা না করে একটা কাজ করছে । আমি তাঁর কাজ কে সম্মান করি । তোমার কাছে মনে হতে পাড়ে ঐ ছোট ওজন মাপার মেশিন টা কি ? প্রিয়া জানো কি ঐ মেশিনটা হয়ত অনেক গুলো মানুষের রেজিক । তাঁর স্ত্রী কন্যা পুত্র বা তাঁর প্রিয় নাতি নাতনীর জন্য কিছু রোজগার । এই বয়সে সে ভিক্ষা না করে কাজ করছিল । এতাআই আমাকে মুগ্ধ করেছে ।। তাআর হয়ত আমার মতো পুত্র নেই থাকলেও হয়ত তাঁর খবর নেয় না। মানুষের পিছনে গল্প গুলো কেউ দেখে না। ইমরানের কথা শুনে আমারর দুই চোখ দিয়ে মনের অজান্তে পানি চলে আসে । ঠিকেই তো বৃদ্ধা মানুষ ভিক্ষা না করে কাজ করছে ।।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৩৮
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: মফিজ রা যা বুঝে হা হা হা -
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৪
কিশোর মাইনু বলেছেন: মফিজ ভাই দেখি আমারে এইখানে ধোলাই দিয়া দিলেন একটা।।।
আপনার মিস্টারকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। এই যুগে এমন মানুষ খুব ই রেয়ার।@সেলিনা জাহান প্রিয়া
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভবের লেখক-লেখিকারা এমনই হয়! মানুষের চোখ পড়তে শিখে না! ঐ চাচা প্রতিবার টাকা পাবার পর তার চোখে একটা অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া হতো; যেটা শুধুমাত্র 'মানুষ'এর চোখে ধরা পড়ে! ইমরান সাহেবেরা সেই সব মানুষদের একজন।
আপনি কখনও চাচার চোখ দেখেন নি। চাচা যদি অন্ধও হতেন, তাও তার চোখের প্রতিক্রিয়াটা অন্যরকম হতো!
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সহজ সরল ভাষায় জীবনের সত্য তুলে ধরেছেন।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৩
আমি মুক্তা বলেছেন: আজকাল এমন মহৎপ্রাণ উদার মানুষ খুবই কম। স্যালুট আপনার হাজব্যান্ডকে এমনভাবে কাজকে সম্মানিত করার জন্য।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
লেখাটা সুন্দর। কিন্তু কিছু টাইপো রয়েছে। যদি বলেন, পোস্টটি সামান্য এডিট করার চেষ্টা করে দেখতে পারি।
ধন্যবাদ।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: আপনার স্বামীর মত লোক যদি দেশে অনেক থাকতো ....
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গল্পের বিষয়বস্তু ভালো। কিন্তু বানানের দিকে লক্ষ্য রেখে আর একটু গুছিয়ে লিখলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ বোন সেলিনা জাহান প্রিয়া।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১০
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখাটা বেশ উপভোগ্য। মূল বিষয় বস্তুও ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
১০| ১৭ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০৯
লোকমান আহম্মদ আপন বলেছেন: বানানে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে আপু।
শুভ কামনা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একবার চাচা, একবার আঙ্কেল, একবার মুখ ভর্তি সাদা দাড়ি তো একাধিকবার বৃদ্ধা!
একটু আগে আটের কারিশমা পড়ে মাথা কিছুটা আউলায় গেছিল.......আপনার এই লেখা পড়ে পুরাই আউলায়া গেল!!
শুয়ে পড়ার কোন বিকল্প নাই দেখছি!!!