নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোর গঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালী মানুষ না মহা মানুষের জাত ।।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮





⭕কেস ১
-আম্মু কি রান্না কর?
-পায়েস রান্না করি,তোর ছোট ফুফু আসছে না ফ্রান্স থেকে। দেখা করতে যাবো।
-দেখা করতে যাবা মানে?উনি তো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা।
-হ্যাঁ সেই হোমকোয়ারেন্টাইনেই দেখা করতে যাবো।

⭕কেস ২
-আব্বা কই যান?
-আরে জামাই আসছে দেশে,দাওয়াত দিতে হবেনা?বাজার করতে যাই।
-দাওয়াত দিবেন মানে?দুলাভাই তো ১৪দিন বাসার থেকে বের হবে না এতো আগে বাজার করে কি করবেন।
-ওই সব হোম কোয়ারেন্টাইন ফরেন্টাইন কি আবার?আপনজনদের সাথে দেখা না করার মত খারাপ অসুখ তোর দুলাভাইয়ের হয় নাই।

⭕কেস ৩
-দোস্ত, দেশে আইসা পড়লাম।
-আরে দোস্ত আয় মিট করি।
-নারে,আমি তো ১৪দিন বাসা থেকে বের হতে পারব না।
-আরে মিয়া তাতে কি আমরা আইয়া পড়ব তোর বাড়ি।মেলা দিন পরে দেশে আইছস মোলাকাত না হলে কেমনে চলবো?

⭕কেস ৪
-হ্যালো শুনছো?আমি একটু আম্মাকে দেখতে যাবো,আম্মা খুব অসুস্থ, ফোন দিয়ে কান্না করছিল।
-কেন কি হল আবার?
-এই তো জ্বর, কাশি,গলা, বুক ব্যাথা।ভাইয়া আসলো যে গত সপ্তাহে ইতালি থেকে তারপর থেকে তো বাসার সবার ভাইরাস জ্বর হচ্ছে।
-কি বলো করোনা না তো?
-আরে না কি যে বলো তুমি! করোনা ওদের হবে কেন। ওর কি পাপ করেছে?

⭕কেস ৫
-বাবা তুমি না আগামী কিছুদিন বাসায় নামাজ পড় প্লিজ।আর মোড়ের দোকানটাতেও চা খেও না।তুমি যত বার চা খাবে,বাসায় বানাতে বলবে
-কেন রে তুই কি করোনার ভয় পাচ্ছিস নাকি?করোনা আমার হবেনা।আমি ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ি,পাঁচ বার ওযু করলে করোনা হয়না।ওসব কাফেরদের রোগ।

বিশ্বাস করুন আমি ভয়াবহ সময়ের কথা চিন্তা করছি বাংলাদেশের।আল্লাহ না করুক এই করোনা যেটা বাতাবিলেবুর শরবত খেলে আর হয়না,এটা যদি কোনো ভাবে ছড়িয়ে যায় তবে।বাতাবিলেবুর ক্রেতা বিক্রেতা সবাই কিন্তু বিপদে পড়বেন।
আপনার করোনা হবেনা কারণ আপনার রক্তের গ্রুপ 'ও'।কিন্তু আপনি ভাইরাস টা বহন করলে আপনার মা কিংবা বাবা যাদের কারো রক্তের গ্রুপ 'এ' তারা আক্রান্ত হতে পারে।
আপনার বয়স কম?২০-৪০ হলে আপনি করোনা ভাইরাসে মারা যাবেন না বলে আপনি ভয় পান না।
কিন্তু একবার চিন্তা করুন আপনার বোনটির কথা যার হয়তো অলরেডি এজমার সমস্যা আছে।
আপনার কি ভালো লাগবে আপনার যেই বাচ্চাটার ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো না সে আপনার চোখের সামনে অসুস্থ হয়ে ছটফট করুক?
প্লিজ এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি।এখনো কিছু করার আছে আপনার এবং আমার।আমাদের সকলের। বাংলাদেশ একটা বিশাল জনশক্তি। আমরা কি পারিনা আমাদের অক্ষমতা কে আমাদের ক্ষমতা বানাতে?
সেই জন্য সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।
একটা বার ভেবে দেখুন তো ইতালির মত দেশে এত মানুষ মারা যাচ্ছে,তাদের ডাক্তার এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা এতো উন্নত হওয়ার পরেও তারা এখন বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে এখন শুধুমাত্র যারা ইয়াং এবং যাদের অবস্থা সিরিয়াস নয় তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে আমার গরীব দেশ আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা তো দূরের কথা চিকিৎসকরা সব থেকে বড় বিপদে কারণ তাদের না আছে কোনো রকমের কোনো প্রটেকশন না আছে আইসোলেটেড করার সঠিক ব্যবস্থা।
তাই করোনা ভাইরাস এর ঝুঁকি ডাক্তারদের সব থেকে বেশি।
আপনার কি ভালো লাগবে যদি আপনার বৃদ্ধ দাদিকে বাঁচানো সম্ভব না বলে কেউ চিকিৎসা দিতে রাজি না হয়?
আমরা তো অনেক কিউট জাতি।ভালো লাগবে যদি দেখেন চোখের সামনে নিজের মা বিনা চিকিৎসায় মারা যায়?
আর এখানেই শেষ নয়।করোনা একটা মহামারী। আর মহামারী তে মারা গেলে মানুষ শহীদ হয়।তাই তার গোসল লাগে না।
কিন্তু আপনি কি পারবেন বিনা গোসলে আপনারা প্রিয়জন কে কবরে শোয়াতে?
কতটা করুন হতে পারে সেই দৃশ্যটা একটা বার ভেবে দেখবেন আপনার প্রিয় ভাইটা চোখের সামনে মারা যাবে কিন্তু আপনি তাকে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন না।
তবে আমরা খুব কিউট জাতি তো, তাই হয়তো ভাইকে জড়িয়ে কান্না আপনি আটকাতে পারবেন না, এবং তারপর আপনার করোনা হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
প্লিজ এখনো সময় আছে জেগে উঠুন।
স্কুল, অফিস বন্ধ বলেই কক্সবাজারের ঢেউয়ে গা ভাসাতে যাবেন না।
স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা সব বন্ধ করে ঘরে থাকুন।
কারণ কোথার থেকে কার করোনা হবে কেউ বলতে পারেনা।

আপনি যা যা করতে পারেনঃ-

*ড্রাইভার কে ছুটি দিন।

*বাসার বুয়াকে ছুটি দিয়ে দিন।

*যতটা সম্ভব বাইরে বের হবেন না।

*জামাতে নামাজ পড়বেন না।

*কারো বাসায় যাবেন না।

*রেস্টুরেন্টে খাবেন না।

*দাওয়াত নিবেন না এবং দিবেন না।

*যাদের একান্তই বাইরে যেতে হয় তারা প্রস্তুতি নিয়ে বাইরে যাবেন।

*বাইরে থেকে আসার আগে বাসায় ফোন করে জানাবেন আপনি আসছেন।
* বাসায় এসেই বাসায় থাকা বাচ্চাদের স্পর্শ করবেন না।
*বাসায় এসে সোজা ওয়াশরুমে যাবেন, গোসল করে এবং ড্রেস চেঞ্জ করে তবেই বাচ্চাদের আদর করবেন।নতুবা আজকে আদর আপনার বাচ্চাদের জন্য কালকে কাল হয়ে দ্বাড়াবে।
নিজেদের সেফটি নিজেদের কাছে।

*খাবার নষ্ট করবেন না।পরিমিত খাবার রান্না করবেন।
*বেশি করে ভিটামিন সি খাবেন।

*যাদের বাসার বাইরে না গেলেও চলে তারা বাসায় বসে,আপনজনদের কোয়ালিটি টাইম দিবেন।

দেশের জন্য দোয়া করুন,বিশ্ববাসীর জন্য দোয়া করুন।
আর এই সব কিছু করার পরেও যদি আমার বা আপনার করোনায় মৃত্যু হয় তবে সৃষ্টিকর্তা হয়তো সেটাই চেয়েছিলেন। তবে আপনার আমার পক্ষে যতটুকু করার ছিল আমরা করেছি।এটাই সান্ত্বনা।

# বাসায়_থাকুন_ভালো_থাকুন
ধ্যান সর্ব যুগের সাধনা থেকে নেয়া ।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বাইরে করনা আছে।

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

নতুন বলেছেন: গতকাল আমার ইটালী প্রবাসী বন্ধুর সাথে কথা বললাম। ইটালীতে প্রথমে কেউই পাত্তা দেয়নাই এবং ওদের লাইফ স্টাইলই বাইরে খাওয়া, পাবে রেস্টুরেন্টে আড্ডা দেওয়ায় অভস্থ তাই খুবই দ্রুত জনগনের মাঝে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে এবং এখন বয়স্কদের খুবই বড় একটা অংশ আক্রান্ত।

আমাদের দেশেও সামাজিক যোগাযোগ কয়েক সপ্তাহ বন্ধ রাখা দরকার।

৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমগো হুজুর রা এক কাঠি সরেষ, মসজিদে নামাজ পড়বে, মাহফিল করবে, মিছিল শুরু করে দিল মানিনা বলে।

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাঙাল বলে কথা !!
ব্যতিক্রম তো করতেই
হবে। তা না হলে দাম থাকে?

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৩

হাবিব ইমরান বলেছেন:

গ্রামে এসে মনে হলো নিজেই বিপদে পড়ে গেছি। হাজারজন মানুষ হাজাররকম মানসিকতা নিয়ে চলে। ঠিকমতো কাউকে বুঝানোই যায় না। কেউ আবার একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলে, ‘ঠিকমতো নামাজ পড়ছনা তাই ভয়ে আছস। এটাতে মুসলমানদের কিছু হবে না’।

তাই একরকম নিজেই কোয়ারেন্টাইনে চলে গেছি। এখন মনে হচ্ছে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসেই নিরাপদ ছিলাম। সেখানে অন্তত সবাই বুঝের ছিলো, কিংবা সবাই একই মানসিকতার ছিলো তাই সেখানে বুঝানো সহজ ছিলো। এখন ক্যাম্পাসকে নিরাপদ মনে হচ্ছে, খুব মিস করতেছি। পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে ফিরতেও পারছিনা ৷জীবনটা বুঝি এবার আসলেই নাই হয়ে যাবে!!! আহ হা।

আমার কিছু হইলে, দোষ কিন্তু বালপাকনা বাঙালির। B:-/

৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ্ আমাদের এ বালা থেকে রক্ষা করুন । আমাদের মাফ করে দিন ।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সচেতন হই। অন্যকে সচেতন করি।

৮| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১৭

Awal sarkar awal বলেছেন: ঠিক কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.