নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

চা-কে ভালোবাসার পর, জীবনের আশেপাশে দুঃখ নামের কেউ ভিড়তে পারেনি

২২ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭




গত কাল নাকি ছিল বিশ্ব চা দিবস! আমার তো আসলে চায়ের জন্য কোনো দিবস লাগে না। চায়ের কথা ভাবলেই আমার চা দিবস হয়ে যায়।
"চা-কে ভালোবাসার পর,
জীবনের আশেপাশে দুঃখ নামের কেউ ভিড়তে পারেনি..."
কথাটা সত্যিই! দুঃখ পেলেই চায়ের সাথে দুঃখ মিশিয়ে চুমুক দিয়ে গিলে ফেলি।
ফেসবুকে, ফেসবুকের বাইরে ভাই-বোন,বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজন যারা আমাকে চা-খোর হিসেবে চিনে-জানে কিংবা চায়ে চুমুক দিয়েই যাদের আমার কথা মনে পড়ে তাদের প্রতি আমার অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করে। কী করে যেন তাদেরকে বড় আপন মনে হয়। তবে, চায়ের প্রসঙ্গ এলেই আমি নস্টালজিক হয়ে উঠি, ফিরে যাই সেইই অতীতের স্মৃতিগুলোতে।
চা মানেই আমার কাছে আনন্দ-বেদনার এক মহাকাব্য! নস্টালজিক হয়ে উঠি কতশত বলা, না-বলা ঘটনা বা স্মৃতিতে। কখনো হাসি তো কখনো চোখ ভিজে উঠে!
চা আসলেই একটা অনুভূতি!
চা প্রসঙ্গ নিয়ে লিখতে গেলে কথা শেষ হবে না, তাই আপাতত এখানেই ক্ষ্যান্ত দিই...
চা-প্রিয় প্রতিটি মানুষের প্রতি অফুরান ভালোবাসা!
কোনো এক পড়ন্ত বেলায়, অবাক করে দিয়ে জিজ্ঞেস করো আমায়— " আচ্ছা বলোতো চায়ের সাথে তোমার এত ভাব কেন ? আমার চেয়ে মনে হয় চা এই তোমার জীবনে সব কিছু !!
কি প্রবল এক আকাঙ্খায় চা , আমি সে কবে দাদা জানের কুলে বসে চা পান করা শিখেছি । চা হলো সতেজতার প্রতীক। আনন্দে চা ,বেদনায় চা , রাগেও চা, অভিমানে চা ,নিঃসঙ্গতায় চা। এক কথায় চা ই এক অন্য রকম প্রেমের সঙ্গী। । এই চায়ের জন্যই তোমাকে ছোঁবার অপেক্ষায় সুত্র খুঁজে পাই ! তুমি কি জানো এই চায়ের সাথে আমার কত দিনের প্রেম ? তুমি কি জানো, এই এলোমেলো বিষণ্ণ তুমিটার আবরনে এক বাঙাল চা কি ভীষণ ভালবাসে ? তুমি বলে যাও সেই চা আর তোমার শরীরের বন্য ফুলের তীক্ষ্ণ তীব্র স্নিগ্ধতায় আমি শুধু মাতাল হই ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিরিচে করে প্রথম চা খাওয়া শিখেছি ক্লাস ওয়ানে থাকতে। আমার আম্মা ফুঁ দিয়ে ঠাণ্ডা করে দিতেন।

আপনার মত এতো মানুষ চা খাচ্ছে তার পরও চা বাগানগুলি লস করছে বেশীর ভাগ। চা বাগান থেকে লাভ করা খুব কঠিন কাজ। এগুলি মুলত কর্পোরেট আভিজাত্যের কারণে বড় গ্রুপ অব কোম্পানিগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। সামান্য কিছু লাভ থাকে। অনেকের তা-ও থাকে না। চায়ের বাগান বিক্রি করে দিয়ে অন্য কিছু করলে আরও বেশী লাভ হওয়ার কথা। বেশীর ভাগ চা বাগানেরই একই অবস্থা। তবে চায়ের নিলামে অনেক অনিয়ম এবং সিন্ডিকেট আছে। হয়তো এই কারণেও ব্যবসা ছাড়ছে না অনেকে। ভারত থেকে অবৈধভাবে কিছু চা আসছে। ফলে দেশের চা বাগানগুলি প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে যাচ্ছে। একটা চা গাছের আয়ু হয় প্রায় ৬০ বছর। চা গাছ না কাটলে এটার উচ্চতা হবে একটা ছোট আম গাছের সমান। চা বাগানে এই ধরণের কিছু উঁচু চা গাছ দেখা যায়। চা শ্রমিকদের আনা হয়েছে ব্রিটিশ আমলে বিহার এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে। চা বাগানের শ্রমিকরা পুরো পরিবার সুদ্ধ একসাথে একই চা বাগানে কাজ করে। পুরুষরা নেশা করে টাকা শেষ করে ফেলে বলে তাদের বেতনের টাকা তার স্ত্রীকে অনেক ক্ষেত্রে দেয়া হয়। প্রতি সপ্তায় এরা বেতন পায়। পুরুষেরা নেশা করতে পারলেই ঠাণ্ডা বেতন স্ত্রীর কাছে গেলে কোন আপত্তি করে না। উল্টা স্বামীর টাকা স্ত্রীকে না দিলে বাগান কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করে।

অনেকের চা খেলে ঘুম আসে না। কিন্তু আমার ঘুমানোর আগে চা খেলেও সমস্যা হয় না। তবে কফি খুব কম খাই। একবার কফি খেলে কয়েক ঘণ্টা আর কফি বা চা খেতে ইচ্ছা করে না। ব্ল্যাক কফি ভালো লাগে না।

২| ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:১১

করুণাধারা বলেছেন: আপনার চা প্রীতির কথা জেনে ভালো লাগলো। আমি সকালে বড় এক মগ চা খাই, এছাড়া দিনের বাকি সময় আর চা খাই না।

৩| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩২

প্রামানিক বলেছেন: প্রথম চা খেয়েছিলাম সম্ভাবত ১৯৬৬ সালে কাউনিয়া জংশনে। মনে হয় এক আনা কাপ চা ছিল। বাবার সাথে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে ট্রেন বদল করার কারণে রাতে এখানে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল, শীতের রাত হওয়ায় বাবা সময় কাটানোর জন্য টি স্টল থেকে তার এক কাপ চায়ের সাথে আমাকেও এক কাপ চা কিনে দিয়েছিলেন।

৪| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিনা জাহান প্রিয়া,




ঘুম থেকে উঠে এককাপ চা আমাকে খেতেই হয় .... :#)

"চা-কে ভালোবাসার পর, জীবনের আশেপাশে দুঃখ নামের কেউ ভিড়তে পারেনি" অথচ সেই চা'য়ের যোগানদার চা-শ্রমিকদের জীবনটাই সহস্র দুঃখে ভরা !!!!

৫| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ সেইজন্যই তো এক কাপ চায়ে ও তাকেই চাই।
ভালো লিখেছেন।

৬| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমিতো চায়ের পোকা। চা ছাড়া আমার চলেইনা।

৭| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: ইদানিং আর চা খাওয়া হয় না।বাসার পাশে টিম হর্টন।চায়ের দোকান অনেক কম।বাসায় বানানো বিরাট এক ঝামেলার কাজ।

৮| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চা ছোট বেলা থেকেই চলছে। আমরা সিলেটি মানুষ আমাদের প্রতিদিনই চা দিবস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.