নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার রাজা: নেপোলিয়নের কাহিনী

০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৬






এক সময়ের গল্প, যখন পুরো ইউরোপ কাঁপতো এক মানুষের নাম শুনে—নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। তিনি ছিলেন এক মহান সেনাপতি, যিনি যুদ্ধের ময়দানে অপরাজেয় ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন এক প্রেমিক, যার হৃদয়ে ছিল তীব্র ভালোবাসার অনুভূতি।

নেপোলিয়নের প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল জোসেফাইন বোনাপার্টের সাথে। জোসেফাইন ছিলেন বয়সে বড়, বিধবা এবং দুই সন্তানের মা। কিন্তু নেপোলিয়নের চোখে জোসেফাইন ছিলেন সেই একমাত্র নারী, যার জন্য তিনি সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে, সমাজের নিয়ম ভেঙ্গে, নেপোলিয়ন তাকে বিয়ে করলেন।

প্রতিদিন নেপোলিয়ন তার যুদ্ধের ব্যস্ততার মাঝেও জোসেফাইনের জন্য চিঠি লিখতেন। বড় বড় চিঠি, ভালোবাসায় ভরা প্রতিটি শব্দ। যুদ্ধক্ষেত্রে থেকেও তিনি জোসেফাইনের ছবিটি পকেটে রাখতেন, সময়ে অসময়ে সেই ছবিতে চুমু খেতেন। এই ছবিই ছিল তার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

কিন্তু জোসেফাইনের মন ছিল অন্য কোথাও। নেপোলিয়ন যখন মিশরে ছিলেন, তখন জোসেফাইন তার সাথে প্রতারণা করলেন। সেনাপতির সাথে জড়িয়ে পড়লেন প্রেমের সম্পর্কে। নেপোলিয়ন যখন এ খবর পেলেন, তার হৃদয় ভেঙ্গে গেল। এত ক্ষমতাধর একজন মানুষ, অথচ নিজের প্রেমিকার কাছে তিনি ছিলেন অসহায়।

একদিন নেপোলিয়ন জোসেফাইনের কাছে গিয়ে বললেন, "আরেকটু বড় চিঠি লিখো, যাতে এতো দ্রুত শেষ হয়ে না যায়।" কিন্তু জোসেফাইন কখনোই সেই বড় চিঠি লেখেননি। নেপোলিয়ন এই ব্যথা নিয়ে বেঁচে থাকলেন, তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

ভালোবাসার মর্মকথা
ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আনন্দ এবং সবচেয়ে বড় কষ্টের উৎস। ফারেনহাইট ৪৫১ বইতে একটি লাইন আছে, "It was a pleasure to burn." এই লাইনটি ভালোবাসার অনুভূতিকে মনে করিয়ে দেয়। ভালোবাসা এমন একটি অনুভূতি, যা মানুষকে তার চূড়ান্ত আনন্দ এবং গভীরতম কষ্টের মুখোমুখি করে তোলে।

ভালোবাসার সবচেয়ে বড় ব্লাইন্ড স্পট হলো, আপনি কাকে ভালোবাসবেন বা বাসবেন না, সেটা আপনার হাতে। কিন্তু আপনাকে কে ভালোবাসবে বা বাসবে না, সেটি আপনার হাতে থাকে না। ভালোবাসা এমন একটি ব্যবসা, যেখানে আপনার সকল ইমোশনাল ইনভেস্টমেন্ট বিফলে যাবে জানার পরেও আপনি ওখানে ঢালতেই থাকবেন। ভালোবাসা পৃথিবীর একমাত্র খেলা, যে খেলায় নিশ্চিত হার জানার পরেও মাঠ থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। বরং নির্লজ্জের মতো আরও খেলতে ইচ্ছা করে।

প্রেমের অপরিবর্তনীয়তা
আফ্রিকান একটি প্রবাদ বলে, "ভালোবাসা এমন এক অত্যাচারী শাসক, যে শাসকের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায় না।" এই পৃথিবীতে ভালোবাসার চেয়ে সত্যি কথা আর কিছু নেই। ভালোবাসা এমন একটি শক্তি, যা মানুষকে নিজের আবেগের কাছে অসহায় করে তোলে। ভালোবাসার জন্য মানুষ নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিতে পারে, সমস্ত বাধা অতিক্রম করতে পারে।

উপসংহার
নেপোলিয়নের কাহিনী থেকে আমরা শিখি যে, ভালোবাসা মানুষকে যেমন শক্তি দেয়, তেমনি দুর্বলও করে তোলে। এটি এমন একটি শক্তি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিকেও অসহায় করে দিতে পারে। ভালোবাসার এই অমোঘ বাস্তবতা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হয় এবং আমাদের মানবতার অন্যতম মূল দিক হিসেবে পরিগণিত হয়।

তাই, নেপোলিয়নের মতো, আমরা সবাই একদিন না একদিন বুঝতে পারি যে, ভালোবাসা কেবলমাত্র একটি অনুভূতি নয়, এটি আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান এবং গভীরতম অভিজ্ঞতা। এটি এমন একটি যাত্রা, যা আমাদের হৃদয়কে ভেঙ্গে দেয়, কিন্তু একইসাথে আমাদের জীবনে নতুন অর্থ এবং আনন্দের ছোঁয়া নিয়ে আসে।







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খুবই সুন্দর একটি লেখনী পড়লাম। ভালোবাসার নিয়ন্ত্রন আসলে কারো হাতেই থাকে না। নিয়ন্ত্রন করতে চাইলেও শাসন মানে না। কি আজব ব্যাপার।

২| ০৬ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: প্রেম প্রতিটা সুস্থ মানষের মাঝেই আছে।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৩

শায়মা বলেছেন: বাহ!

কত কিছু জানার আছে।

ভালোবাসা নিয়েও এত ভাবনা!!

৪| ০৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টের সাথে আরো কিছু তথ্য যোগ করে দিই।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, তার সামরিক কৌশল এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতার জন্য প্রসিদ্ধ। তবে তার জীবনের একটি অদেখা দিক হলো তার ভালোবাসার কাহিনী। একজন সৈনিক ও শাসক হিসেবে তিনি যতটা কৌশলী ও কঠোর ছিলেন, ততটাই কোমল ও আবেগপ্রবণ ছিলেন তিনি প্রেমে।

প্রেমের প্রথম পরিচয়

নেপোলিয়নের প্রথম প্রেম ছিল দেজিরে ক্লারি, একটি সমৃদ্ধ বণিক পরিবারের মেয়ে। তার সাথে নেপোলিয়নের সম্পর্ক ছিল গভীর, তবে রাজনৈতিক কারণে তাদের সম্পর্ক টিকে থাকেনি। দেজিরে পরে সুইডেনের রাজা কার্ল চতুর্থ জনের স্ত্রী হন। নেপোলিয়ন এই প্রেমের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন এবং প্রেমের সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝেছিলেন।

জোসেফিনের সাথে প্রেম

নেপোলিয়নের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রেমের কাহিনী হলো জোসেফিনের সাথে। জোসেফিন, মূলত মারি জোসেফ রোজ তাসঁ দে লা পাজারি, ছিলেন একজন ফরাসি অভিজাত মহিলা এবং দুই সন্তানের মা। ১৭৯৫ সালে নেপোলিয়ন এবং জোসেফিনের প্রথম দেখা হয় এবং খুব দ্রুত তারা প্রেমে পড়েন। ১৭৯৬ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

জোসেফিন ছিলেন নেপোলিয়নের জীবনের প্রেরণা এবং মানসিক সহায়তা। নেপোলিয়নের প্রতিটি যুদ্ধে, রাজনৈতিক সংগ্রামে এবং জীবনের সংকটময় মুহুর্তে জোসেফিন ছিলেন তার পাশে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, জোসেফিনের সাথে নেপোলিয়নের সম্পর্ক নানা বাধার সম্মুখীন হয়। জোসেফিন সন্তান জন্মদানে অক্ষম হওয়ায়, নেপোলিয়ন তাদের বিবাহবিচ্ছেদ করেন।

নেপোলিয়নের দ্বিতীয় বিয়ে

জোসেফিনের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পর, নেপোলিয়ন অস্ট্রিয়ার মেরি লুইসের সাথে বিবাহ করেন। তাদের এই বিবাহ ছিল মূলত রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। মেরি লুইসের সাথে নেপোলিয়নের একটি সন্তানও জন্মগ্রহণ করে, যার নাম নেপোলিয়ন ফ্রান্সোয়া জোসেফ চার্লস বোনাপার্ট।

প্রেমের ইতিহাসের প্রতিফলন

নেপোলিয়নের প্রেমের কাহিনী তার জীবনের অন্যান্য দিকের মতোই নাটকীয় ও গভীর। তার ভালোবাসার কাহিনী আমাদের দেখায় যে, একজন সম্রাটও প্রেমে পড়তে পারে এবং প্রেমের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারে। নেপোলিয়নের প্রেমের কাহিনী তার জীবনের একটি মানবিক দিক উন্মোচন করে, যা তাকে ইতিহাসের একটি বিশেষ স্থানে অধিষ্ঠিত করে।

নেপোলিয়নের জীবনের এই প্রেমের কাহিনী থেকে আমরা শিখি যে, প্রকৃত ভালোবাসা কখনো ক্ষমতা বা অর্থের ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি ও প্রণোদনা। নেপোলিয়নের প্রেমের কাহিনী তাকে শুধুমাত্র একজন বিজেতা হিসেবে নয়, বরং একজন প্রেমিক হিসেবে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।

কৃতজ্ঞতা : ব্লগার চ্যাটজিপিটি

৫| ০৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:২৪

মামুinসামু বলেছেন: ভালোবাসা পৃথিবীর একমাত্র খেলা, যে খেলায় নিশ্চিত হার জানার পরেও মাঠ থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। বরং নির্লজ্জের মতো আরও খেলতে ইচ্ছা করে :(

৬| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:০২

কোলড বলেছেন: I'm not sure you know this but Napoleon was rumored to have a small dick and thus Josephine's extra marital affair.
Duke of Wellington slept with two of Napoleon's mistresses after Waterloo and they confirmed this fact.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.