নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাসঘাতকদের এক আশ্চর্যজনক ক্ষমতা হচ্ছে,

০৭ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩





বিশ্বাসঘাতকদের এক আশ্চর্যজনক ক্ষমতা হচ্ছে, এরা খুব সহজে যে কারো বিশ্বাস অর্জন করতে পারে! এদের মিষ্টি মিষ্টি কথা এবং অভিনব প্রতিশ্রুতির জালে অনেকেই ফেঁসে যায়। প্রতিনিয়ত মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এরা মানুষকে ধোঁকা দেয় এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করে। তাদের কথার মধুরতা এবং চটপটে বুদ্ধি মানুষকে আকৃষ্ট করে, এবং মানুষ সহজেই তাদের ফাঁদে পা বাড়ায়।

বিশ্বাসঘাতকদের প্রধান লক্ষ থাকে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করা। শুধুমাত্র নিজে ভালো থাকার জন্য এরা যেকোনো পন্থা অবলম্বন করতে পারে। এরা স্বার্থপর এবং নিজের ভালো থাকার জন্য অন্যদের আবেগ, অনুভূতি এবং বিশ্বাসকে নিঃসংকোচে ব্যবহার করে। একজনের কাছে যতটুকু ভালো থাকে, তার থেকে আরেকটু বেশি ভালো থাকার সুযোগ পেলেই এরা পুরোনো সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়ে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে। এদের কাছে সম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং বিশ্বাসের মুল্য তেমন নেই, বরং নিজের ভালো থাকার ইচ্ছাটাই প্রধান।

বিশ্বাসঘাতকরা কখনোই কাউকে ভালো রাখার ক্ষমতা রাখে না। এরা নিজে কোনো কিছুতেই শান্তি পায় না এবং অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না। তাদের মনের ভেতর একটা অস্থিরতা এবং অশান্তি কাজ করে যা কখনোই শেষ হয় না। তাদের জীবনের লক্ষ্যই হলো স্বার্থপর ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, তা যতক্ষন না অন্যের ক্ষতি করেও।

সত্যি বলতে, বিশ্বাসঘাতক কখনোই পাল্টায় না, তারা কেবল শিকার পাল্টায়। তারা যেখানেই সুবিধা পায়, সেখানেই তাদের নতুন শিকার খোঁজে। বিশ্বাসঘাতকদের চরিত্রে পরিবর্তন আসে না, বরং তাদের ধোঁকা দেয়ার পদ্ধতিতেই নতুনত্ব আসে। তাই, তাদের থেকে সাবধান থাকা এবং তাদের মিষ্টি কথার ফাঁদে না পড়াই শ্রেয়।

এই বিষয়টি আমাদেরকে শেখায় যে, আমাদের বিশ্বাস এবং আস্থা কার ওপর রাখছি তা অনেক সচেতনভাবে নির্ধারণ করতে হবে। শুধুমাত্র মিষ্টি কথা এবং চটকদার প্রতিশ্রুতি নয়, বরং একজনের সত্যিকারের আচরণ এবং কর্মকান্ডের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করা উচিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক আছে।

২| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

নতুন বলেছেন: আমি সবাইকে বিশ্বাস করি। কিন্তু একবার বিশ্বাস ভঙ্গ করলে তাকে আর কখনোই বিশ্বাস করিনা।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: প্রমান ছাড়া বিশ্বাস করলে ঠকতে হয়।বিশ্বাস গড়ে উঠে দীর্ঘ সময়ে।হঠাৎ বিশ্বাস করলে ঠকতে হবেই।

৪| ০৭ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিশ্বাসঘাতকদের এক আশ্চর্যজনক ক্ষমতা হচ্ছে,
...............................................................................
নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করা।
খুব সহজে যে কারো বিশ্বাস অর্জন করতে পারে!
কখনোই পাল্টায় না, তারা কেবল শিকার পাল্টায়।
...............................................................................
বাস্তবে বিশ্বাসঘাতক তিন প্রকার বলা চলে :
১। ব্যক্তিগত
২। সামজিক
৩। রাজনৈতিক
ব্যক্তিগত কাজের বিশ্বাসঘাতকদের উদ্দেশ্য থাকে টাকা পয়সা/ সম্পদ বা প্রতিশোধ প্রহনের নিমিত্তে
যা পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকে চলে আসছে ।
সামাজিক কাজের বিশ্বাসঘাতকদের কাজ হলো নিজের অবস্হান ও প্রতিপত্তি প্রদর্শন / প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ঘটে ।
রাজনীতির ক্ষেত্রে ও তা ঘটে থাকে তবে বিশ্বের সব দেশে ঘটেনা ।
তবে আমি মনে করি যে বিশ্বাসঘাতকদের কার্যক্রমে অনেক সুত্র থেকে যায় যা সচেতন থাকলে সময় মতো
প্রতিহতো করা যায়।

০৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৬

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ঠিক

৫| ০৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বাসঘাতক চেনা যায় আগে থেকেই। কিন্তু অনেকে বিশ্বাসঘাতকের মিষ্টি কথায় শুরুতেই পটে যায়। ফলে তার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে ধরা না খাওয়া পর্যন্ত। নতুন পরিচিত কাউকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটাই করা যাবে না। কিছুদিন গেলে বোঝা যায় লোকটা আসলে কেমন। বিশ্বাসঘাতকের কথা এবং কাজ একটু মনোযোগ দিয়ে এবং নিরপেক্ষভাবে খেয়াল করলেই বিশ্বাসঘাতক চেনা যায়।

রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানুষ বেশী প্রেম আবেগের কারণে মানুষ চিনতে ভুল করে। অনেকে প্রেম প্রেম খেলায় ওস্তাদ। এক সাথে কয়েকজনের সাথে সম্পর্ক রাখার চালাকি বুদ্ধি এদের মধ্যে থাকে। ফলে অপরজন সহজে প্রতারিত হয়।

বৈষয়িক লেনদেন না হওয়া পর্যন্ত একজন মানুষকে পুরোপুরি চেনা যায় না। আমাদের ধর্মে আছে যে ৩ ধরণের ক্ষেত্রে মানুষকে চিনতে সুবিধা হয়। ১। প্রতিবেশী হলে ২। আর্থিক লেনদেন করলে ৩। এক সাথে সফর করলে।

৬| ০৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৫৭

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: রাইট

৭| ০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ বলেছেন: সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রশংসাকারীদের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার বিষয়টি বেশ মনোগ্রাহী, যেখানে সত্যিকারের বন্ধুরা একজনকে আত্মউন্নয়ন এবং প্রকৃত সুখের দিকে পথ দেখাতে চায়। এর বিপরীতে, প্রশংসাকারীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষের নিরাপত্তাহীনতাকে কাজে লাগায়, যার মধ্যে কোনো আন্তরিকতা থাকে না।

আমাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আমাদের মনের সচেতনতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে বিকশিত করি। সৎ প্রতিক্রিয়ার চেয়ে ফাঁপা প্রশংসা এড়িয়ে আমরা নিজেদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারি এবং প্রকৃত ব্যক্তিগত উন্নয়নের উপর মনোনিবেশ করতে পারি। এই ব্লগটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে আমরা যারা আমাদের অন্তরঙ্গ বৃত্তে গ্রহণ করি তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন এবং সজাগ থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.