নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের প্রতি হতাশ !

সাত সাগেরর মাঝি

কিছুনা

সাত সাগেরর মাঝি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবীর চৌধুরী কে ছিলেন আসলে ? সত্যি সেলুকাস বিচিত্র এদেশ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৩

তুমি অধম , তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন ?



তিনি নিজেকে নাস্তিক বলে দাবীও করেছেন অনেক সময়! আরেক নাস্তিক প্রায়াতঃ আহম্মেদ শরীফ উনার ভাল বন্ধু ছিলেন। উনাদেরকে একই মন্চে দেখা যেত। উনারা বাংলাদেশের মানুষকে ধর্ম চর্চা বাদ দিয়ে রবীন্দ্র চর্চা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন! সফল যে হন নাই তা বলা যাবে না। কারন উনাদের অনেক সাগরেদ তৈরি হয়েছে। তাহারা উনাদের আদর্শ মানে ধারন করে যথারিতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলার মুসলমানদের ধর্মহীন শিক্ষা দেয়ার জন্য।



____জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর অজানা কথা____



১. ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এখন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা।



২. পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার কথা বলে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় দালাল আখ্যায়িত করে ১৯৭১ সালের ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় ৫৫জন বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দিয়েছিলো সেই ৫৫ জনের ১জন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। সেই দীর্ঘ বিবৃতির অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলোঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ছাত্ররা লেখাপড়া বা খেলাধূলায় ব্যস্ত ছিলো না। তা ছিলো বাংলাদেশ মুক্তি ফৌজের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, তালো মেশিনগান, মর্টার ইত্যাকার সমরাস্ত্রের গোপন ঘাঁটি। ...................আওয়ামী লীগ চরমপন্থীরা এ সহজ সরল আইন সঙ্গত দাবীকে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার দাবীতে রূপান্তরিত করায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমরা কখনও এটা চাইনি ফলে যা ঘটেছে তাতে আমরা হতাশ ও দু:খিত হয়েছি। (দৈনিক পাকিস্তান: ১৭ মে, ১৯৭১)



৩. ১৯৬৯-৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কবীর চৌধুরী পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছে। অনেক মিডিয়াতে এখন তার বাংলা একাডেমীর পরিচালক হিসাবে দেখানো হচ্ছে কিন্তু সময়কালটা দেখানো হচ্ছে না কেন??



৪. পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার জন্য পাক সরকারের প্রতিষ্ঠিত "রাইটার্স গিল্ড" এর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছে ১৯৬১ সালে। এ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ুব খাঁন । সংগঠনটির সদস্যদের প্রধান কাজ ছিল আইয়ুব খানের চাটুকারী ও তোষামোদি করা



৫. স্বৈরাচারী পাক শাসক আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের পক্ষে জনমত তৈরিতে গর্বিত রাইটার্স গিল্ডের সদস্য ছিলো কবীর চৌধুরী।



৬. কবীর চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বোল পাল্টে আওয়ামী লীগের একান্ত কাছের ব্যক্তি বনে গেছেন, হয়েছেন তাদের বড় থিংকট্যাংক। এই অধ্যাপক আইয়ুব খানের থিংক ট্যাংক হিসেবেও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে তার জবানিতেই তুলে ধরা হলো তাঃ “প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বলেছেন, আমরা এখন জাতীয় উন্নতির কথা বলি তখন আমাদের চোখের সামনে বড় বড় শহর, বড় বড় কারখানা এবং এমারতের ছবি ভেসে ওঠে। কিন্তু এই গুলোই যথেষ্ট নয়। নৈতিক ও ধর্মীয় উন্নতি ছাড়া কোন জাতির উন্নতিই সম্পূর্ণ হতে পারে না। এই উক্তিতে প্রেসিডেন্ট যে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের উপর জোর দিয়েছেন তা মূলত: ইসলামী আদর্শ থেকেই গৃহীত হয়েছে। (সূত্র: পাকিস্তানী নেশন হুড এনবিআর-প্রকাশিত)।



৭. অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর বড় ভাই কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তান আর্মির একজন কর্নেল হিসেবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানেই থেকে গেছে। পরে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসর নিয়ে এখনও পাকিস্তানেই অবস্থান করছে।



৮. ১৯৬৭-৬৯ সালের ঘটনাঃ আনন্দমোহন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হওয়ার আশায় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তানের কুখ্যাত গভর্ণর মোনায়েম খানের পা ছুঁয়ে কদমবুচি করেছে। (সূত্র: তৎকালীন মোমেনশাহী ডিসি, পিএ নাজির লিখিত স্মৃতির পাতায়)।



৯. ময়মনসিংহ এ এম কলেজের প্রিন্সিপ্যালের দায়িত্ব পালনকালে তার পৃষ্ঠ-পোষকতায় মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ ছাত্র রাজনীতিতে আমদানি করে হকিস্টিক ও আগ্নেয়াস্ত্র। ছাত্র রাজনীতিতে অস্ত্র আমদানির গুরু এই পাক দালালের হাত দিয়ে!



১০. পাক- দালাল হওয়ায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্দ চলাকালে কবীর চৌধুরীকে সৈয়দ আলী আহসান, আবু সাঈদ চৌধুরী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, শওকত ওসমান, ড. ইবনে গোলাম সামাদ, আসাদ চৌধুরী, আল মাহমুদ প্রমুখের মত ভারতে যেতে হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক দায়িত্ব পালন করার জন্য বরং সে পাক হানাহাদারদের পা কামড়ে ছিলো এদেশেই দেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে অতি প্রগতিশীল সেজে গেছে বিরাট মুক্তিযোদ্ধা। হায় আফসোস ১৯৭১ এর ঘাতক দালাল কবীর চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা। সত্যি সেলুকাস বিচিত্র এদেশ।





জনাব কবির চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধিতা করেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবীদার আওয়ামী সরকার কর্তৃক জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন! এখন তিনি সরকারের উচ্চতম চিন্তাশীল বুদ্ধিজীবী, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং সেই তিনিই আবার ঘাতক দাদাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা!



জনাব কবির চৌধুরী আরো বলেছেন, 'মসজিদের আজান শুনলে তার কাছে বেশ্যার খরিদ্দার ঢাকার মত মনে হয়'। পুরো জীবন ভর বেশ্যার সাথে চলা ফেরার কারণে তিনিই ভাল জানতেন বেশ্যারা কিভাবে কাষ্টমার ডাকেন। তা আমাদের জানার কথা নয়।



মানুষ মারা গেলে তাঁকে নিয়ে কথা বলা যাবে না?? তাহলে কি ফেরাউনকে নিয়ে কথা বলা যাবে না?? মারা গেছেন তাই উনার খারাপ দিক আর তুলব না। তবে উনি যেহেতু নাস্তিক বলে দাবি করেছেন তাই উনার মৃত্যুর সৎকার্য কিভাবে সম্পন্ন হবে সেটি কি বলে গেছেন?

তা যদি না বলে একজন স্বঘোষিত নাস্তিকের জানাযা পড়ানো থেকে প্রত্যেক আলেম বা ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির বিরত থাকা উচিত। তাই নয় কি??



তবে এখন দেখার বিষয় উনার সৎকারের আগে যদি পুলিশ উনাকে মুক্তিযোদ্ধার সালাম/গার্ড অফ অনার দেয় কিনা, দিলেও আশ্চর্য হব না!!



courtesy--লাগবো না তোর ডিজিটাল বাংলাদেশ,ফেরত দে আমার এনালগ বাংলাদেশ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬

মোঃ আল জাহান বলেছেন: উনি যেহেতু নাস্তিক বলে দাবি করেছেন তাই উনার মৃত্যুর সৎকার্য কিভাবে সম্পন্ন হবে সেটি কি বলে গেছেন?
তা যদি না বলে একজন স্বঘোষিত নাস্তিকের জানাযা পড়ানো থেকে প্রত্যেক আলেম বা ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির বিরত থাকা উচিত। তাই নয় কি?
সহমত

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১১

দূরের পথিক বলেছেন: উনার বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু অংশ

উনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি!

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আজান নিয়ে উক্তিটা মনে হয় কুখ্যাত আহমেদ শরীফের।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:


কবীর চৌধুরী যে জীবদ্দশায় একটা টাউট ছিল, তা সবাই জানে। তাই তার পৈতা লাগে নাই। আজান শুনলে যার বেশ্যাদের ডাক মনে হয়, আসলে সে নিজেই একটা বেশ্যা।

সে নিজেকে অধ্যাপক বলে, কিন্তু দুঃখের কথা, কোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ নেয় নাই। এইটা একটু খোঁজ করে দেখেন।

আর এই স্বাধীনতা-বিরোধীকে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্মান! এইটা সম্ভব হল এই দেশের নাম বাংলাদেশ বলে।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৮

চাদের মানুষ বলেছেন: একট নাস্তিক কমলো।ফি নারে জাহান্নামা

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

যাযাব৮৪ বলেছেন: এই কুখ্যাত রাজাকার ও নাস্তিককে আল্লাহপাক জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫১

বহুভুজ বলেছেন: কবির চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ কিন্তু উনি একজন পন্ডিত ব্যাক্তি।

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫১

মামুন মুনতাসীর০০০ বলেছেন: কবির দি গ্র্যাট!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.