নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
রাশিয়ার অবস্হা তখন দিন দিন খারাপ হচ্ছে! মাঝে মধ্যেই ছিনতাই কিংবা ডাকাতির কথা শোনা যায়। নিরীহ রুশীয়রা তাদের সমাজে একদম নুতুন এই উৎপাতের খবর শুনে হকচকিয়ে যায়। ছিনতাই, রাহাজানি ডাকাতি এই শব্দগুলো তারা ভুলেই গিয়েছিল-কেউ তাদের কাছে দূর্ঘটনার গল্প বললে তারা চোখ বড় বড় করে বলত, বানদিত-বানদিত?
দস্যু নাকি- দস্যু?
ভাবখানা এমন যে , সাইবেরিয়া থেকে কোন দস্যু দল বন্দুক হাতে ঘোড়া দাবড়িয়ে শহরে এসে সবকিছু লুটে নিয়ে যাচ্ছে! নিজেদের ভাই ভাতিজা প্রতিবেশী এটা করতে পারে সেটা তারা ভাবতেই পারে না।
যাই হোক সেই 'বানদিত'দের সহজ টার্গেটতো আমরা মানে দক্ষিন এশীয়রা। তাই নিজের কাছে এতগুলো ডলার রাখ বোকামী।
আরিয়েখোবা হোস্টেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় যে ছেলেটি আমারও অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল বিভিন্ন সমস্যা আর সুখে দুখে যার কাছে দৌড়ে যেতাম পরামর্শের জন্য সে আমাকে বলল, টাকাগুলো বড় ভাইয়ের কাছে রাখতে।
বড় ভাইতো না আসলে সে সব'চে সিকিউরড ব্যাংক!
তারপরেও সে একটুখানি দ্বীধা নিয়ে বলল, তুই যদি রাজী থাকিস তাহলে আমি বড়ভাইকে অনুরোধ করতে পারি।আগেই কিন্তু দোস্ত বলতে পারিনা উঁনি রাজী হবেন কিনা।
সঙ্গে সঙ্গে আমি অনুরোধে গলা ভিজিয়ে বললাম, দেখনা দোস্ত উঁনারে বলে। ডলারগুলা নিয়ে আমি খুব বিপদে আছি-কখন কোন অঘটন ঘটে কে জানে।
দোস্ত শুধু আমার এহেন গুরুতর সমস্যার কথা ভেবে কথা দিল, বড় ভাইয়ের সাথে আলাপ করবে।
আমি অবশ্য আগেই জেনেছিলাম বড় ভাই তার আত্মীয় কিন্তু বন্ধু আমার যে পরিমান ভক্তি শ্রদ্ধা করত তাকে- তাতে করে আত্মীয় কম বস মনে হত বেশী।
আসলে ব্যাপারটা অঘটন নাকি পরিকল্পিত প্রতারনা তা আমি আজও বুঝে উঠতে পারিনি!
আর সবার প্রিয় নিজের নাম ছাপিয়ে 'গুরু' নামে পরিচিত সেই ভদ্রলোক যিনি তার প্রভাব খাটিয়ে পাসপোর্টবিহীন আমাকে এই হোটেলে থাকার সু-ব্যাবস্থা করেছেন সেই সাথে এখানে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাস থেকে পাসপোর্ট পাবার ব্যাপারে সহোযোগীতা করেছেন -দুর্ভগ্য ক্রমে তিনিই ছিলেন এই অঘটনের মুল হোতা!
শ্যামলা গড়ন ছোটখাট মাথাভর্তি আগোছালো কুঞ্চিত ঝাকড়া চুলের সেই মানুষটির বিস্ময়কর ক্ষমতা ছিল খুব সহজেই কারো হৃদয়ে আসন গেড়ে নেয়ার কিংবা কাউকে প্রভাবিত করার। তার ঠোটের কোনে সর্বদা ঝুলে থাকা একটুকরো হাসিতে তাকে বড় বেশী আপনজন মনে হোত । পরিচিত অপরিচিত যে কারো বিপদে আপদে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ধরতেন আর বন্ধুদের জন্য জান বাজি রাখতে পিছপা হতেন না । দু'হাতে টাকা উড়াতেন দেদারসে , তার দুরুমের বাসাটা যেন ছিল মিনি ক্লাবঘর।
সারাদিন সেখানে চলত তাস খেলা মদ খাওয়া আড্ডা আর মুখরোচক খাবারের আয়োজন। কখনো তাকে দেখতাম তুখোর খেলুড়ে কখনও পাকা রাধুনী কখনো দিলখোলো উচ্ছল আড্ডাবাজ সেইসাথে মদ্যপ হিসেবেও তার সমান খ্যাতি ছিল, সারাক্ষন মদ খেলেও তাকে কখনও মাতাল হতে দেখিনি। এতগুলো গুন থাকার পরে উপরন্তু এমন প্রভাবশালী ব্যাক্তিত্বের সংস্পর্শে গেলে তার প্রভাব থেকে মুক্ত হবার উপায় নেই।
মস্কোর নামীদামী এক ভার্সিটির স্কলারশিপ পাওয়া এই ভদ্রলোক পরাশুনার পাশাপাশি আদম ব্যাবসা করতেন।
তখন মস্কো কিংবা ইউক্রাইন থেকে একটু চেস্টা করলেই ছাত্র পরিচয় ধারী যে কারো জার্মান, ইতালীর ভিসা পেতে কস্ট হত না। এই সুযোগে আগেই বলেছি রুপক অর্থে ;বানের জলের মত ঢুকে পড়া একটু উন্নত জীবনের আশায় যাওয়া শিক্ষিত শহুরে থেকে শুরু করে মুর্খ্য গ্রাম্য বঙ ভারতীয় পাকি লংকানদের সেখানকার সদ্য আগাছার মত গজিয়ে উঠা যেন তেন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করে একটা ছাত্র নামধারী সার্টিফিকেট ঝুলিয়ে দিয়ে এ্যাম্বাসির চৌকাঠ তক পৌছে দিতে কঠোর সংগ্রামে ব্রতী হয়েছিল প্রবাসী কিছু পুরোনো ছাত্র। সেটা ছিল অর্থ আয়ের বেশ ভাল একটা মাধ্যম!
তৃতিয়বিশ্বের তথাকতিথ এইসব জঞ্জালদের ঝেটিয়ে পাচার করতে তৎপর এইসব আদম ব্যাপারীদের এক অংশের গুরু ছিলেন সেই ভদ্রলোক! অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবিশ্বাসী ত্যাদড়(!) সেই আদমদের কাছ থেকে অগ্রিম কোন সালামী নিতেন না। সপ্নের দুয়ারে পৌছে দিয়ে তবেই সব পাওনা বুঝে নিতেন।
সেবার একসাথে জনা ত্রিশেক আদমকে জার্মানীর ভিসা টিকিটের ব্যাবস্থা করতে গিয়ে টাকার প্রয়োজনে তাকে পরিচিত জনের কাছে হাত পাততে হোল।
আমার তথাকথিত সেই বড়ভাই যাকে নিজের আপন ভাই ভেবে নিজের শেষ কপর্দক গচ্ছিত রেখেছিলাম তিনি আমার টাকাকে নিজের টাকা ভেবে কোন পূর্ব অনুমতি না নিয়েই নিজেকে মহান সাজানোর বাসনায় পুরো টাকা সেই ভদ্রলোকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
সে অবশ্য ভেবেছিল আদমগুলো বিদেশের মাটি স্পর্শ করলেই তো সে লভ্যাংশ সহ সব টাকা ফেরৎ পাবেই সেই সাথে স্পেশাল বোনাস হিসেবে মিলবে গুরুর আপ্ত প্রশংসা!
কিন্তু ততদিনে হয়তো জার্মানী কিংবা ইতালীর ধুরন্ধর ইমিগ্রেশন অফিসাররা বুঝে ফেলেছে কাতারে কাতারে দক্ষিন এশিয়ার হাড় জিড়জিড়ে রুখি সুকি ভদ্রলোকেরা মোটেই তাদের দেশ দর্শনে আসছেননা! তিরিশজন বঙ সন্তানের বিশাল কাফেলার স-সম্মানে কিংবা ঘেটি ধরে ফিরতি বিমানে মস্কোতে পাঠিয়ে দিল।
আর এদিকে গুরু মহাশয় লাখ ডলার লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে স্বভাবতই তখন পাগল প্রায়!
মাঝখানে আমি এই অভাগা কিছু ধরলাম না ছুইলাম না খাইলামনা আজাইরা ফকির হইলাম।
...১১ তম পর্ব শেষ।
আগের পর্বের জন্য; Click This Link
প্রথম পর্বের জন্য;
Click This Link
২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: একগুচ্ছ হাসির জন্য ধন্যবাদ। প্রথমটা না হয় মুছে দিই- কি বলেন?
ভাল থাকুন।
২| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
কালোপরী বলেছেন: লেখার জন্য smile দিয়েছি
আপনার ক্ষতির জন্য
২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার হাসিতে এখন কষ্ট বেদনা দুটোই বুঝে নিতে হবে।
আপনি না হাসলেই বরংচ মনে হবে কিছু একটা মিস করলাম!
৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
মুহিব বলেছেন: আপনার জন্য দু:খই হচ্ছে যদিও এই অতীত পার করে এসেছেন।
২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: কষ্টটা আপনার সুক্ষ অনুভুতি দিয়ে অনুভব করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ!
অনেক ধন্যভাদ ভাই মুহিব। আপনাকে আমার ব্লগে দেখলে আনন্দিত হই।
ভাল থাকুন
৪| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
ঘাসফুল বলেছেন: শেষ মেশ ভিটো কর্লিয়নি আপনেরে ডুবাইলো...
নাহ্- আমার শ্রদ্ধা হারাইলো ভিটো!
মাইক্রো পোষ্টে প্লাস...
২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: বসের আরো অনেক কীর্তি আছে। পরে সময় পেলে তাকে নিয়ে পুরো একখানা গল্প লিখব।
তবে আর যাই হোক লোকটা আমার এতবড় ক্ষতি করার পরও আমি তাকো ক্ষমা করে দিয়েছিলাম তার ভালোমানুষির জন্য।
এইটাও মাইক্রো পোষ্ট!!! আল্লা-তায়ালা আপনাদের ধৈর্য্য দিয়েছেন বটে!
ধন্যবাদের সাথে শুভ কামনা রইল।
৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আহা...দুঃখজনক। শীঘ্রই ক্ষতি সামলে উঠেছিলেন আশা করি।
২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: ওরে ভাই না- এখনো আরো অনেক কাহন বাকি আছে। দুঃখ কষ্টগুলো এমনি সার বেধে আসে। তবে এখন তো দিন পাল্টে গেছে।
ফের ধন্যবাদ আপনাকে অনেক।ভাল থাকুন সবসময়।
৬| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
তূর্য হাসান বলেছেন: কষ্টের ষোলকলা পূর্ণ হলো। না জানি আরও কষ্ট করতে হয়েছিল।
২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: না কেবল দশ কলা ষোল কলা পূর্ণ হতে এখনো খান ছয়েক কলা বাকি আছে!
আপনার মন্তব্যে প্রীত হলাম। শুভ কামনা রইল...
৭| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
কিবয়াল বলেছেন: পুরো ধারাবাহিকটাই পড়লাম। আপনার লেখার হাত অসসসসসসসসধারণ!
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: পুরো ধারাবাহিক একবারে পড়েছেন?! আরেব্বাস! আপনার ধৈর্য্য আছে বলতে হবে।
জেনে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত ও আনন্দিত হলাম। ভাল থাকুন-আর পরের পর্বগুলোতে আপনাকে পাবার প্রত্যাশায় রইলাম...
৮| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আবার ? ......।
অনেক কষ্টের গল্প হল , প্লিয এবার কিছু আনন্দের গল্প বলেন
এভাবে একটার পর একটা ক্ষতি
আশায় থাকলাম আঁধার রাত এর পর চমৎকার সূর্যের হাঁসির দেখা মিলে .........
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: কাগদা তো-ভ রাশিয়ার প্রায় পুরোটা জুড়ো শুধু কষ্টের কথা! এত কষ্টের মাঝেও রোমাঞ্চ ছিল আনন্দ ছিল- আর সেসব গল্প বলার জন্য অন্য কোন শিরোনাম বেছে নিয়েছি।
৯২-থেকে ২০০০ সাল অব্দি পুরো রাশিয়া(আদপে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন) ভয়ংকর এক সময় পার করেছে। তার কিছুটা আঁচ এসে লেগেছে আমাদের মত প্রবাসীদের গায়ে।এসব কষ্টের কথা বলার মাঝে মাঝে তাদের সামাজিক অর্থনৈতিক দৈন্যতা, মৌলিক অবক্ষয়, পুঁজিবাদের থাবার বিষয়টা পরোক্ষভাবে উঠে আসছে।
আর মাত্র কয়েকটা পর্ব তারপরে কথা দিচ্ছি- মজার কিছু গল্প বলব।
ভাল থাকুন- শুভ কামনা রইল।
৯| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
একাকী বালক বলেছেন: খাইছে। চরম দিন পার করছেন। পাসপোর্ট নাই, টাকা নাই। এর ভিতরেই যে সারভাইভ করছেন এইতো বিশাল।
২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: বড় অম্ল মধুর ছিল সেই দিনগুলি! সব কিছু হারানোর মাঝেও এক ধরনের আনন্দ থাকে। সেই আনন্দে হয়তো এতবেশী মশগুল ছিলাম যে, কষ্টগুলো তেমন করে কষ্ট দেয়নি আমাকে
অনেক ধন্যবাদ আমার কষ্টটা অনুভব করার জন্য... ভাল থাকুন সর্বক্ষন।
১০| ২৩ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
জেনো বলেছেন: এত এত অভিজ্ঞতা আর পোস্ট দিচ্ছেন মাসে একটা দুইটা।
বেশি বেশি লেখেন।
২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: এত বেশী লেখা দিলে পড়তে পড়তে বোর হয়ে যাবেন! অনেক কথা অনেক গল্প জমে আছে কিন্তু সময় যে পাইনা-আমার পাঁচ বছরের ব্লগিং এ এ বছরই সব'চ বেশী ধারাবাহিক লিখছি। অভ্যেস নেই তাই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
আপনার আগ্রহ আমাকে দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত করল। ভেবে দেখব। ভাল থাকুন
১১| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল কিছু মজার কিছু জন্য অপেক্ষা করতে রাজি ...
আপনার অনেক আগের কিছু লেখা র লিঙ্ক দিয়েছেন এখানে , সেগুলো সু-লিখিত , ওমেন্স ডে নিয়ে লেখা র তথ্য গুল আমার কাছে নতুন ।
আপনার লেখা ভাল পাই
২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: একেক সময় একেক ধরনের লেখার মুড আসে। ইচ্ছে করলেই এই মুড পরিবর্তন করা যায় না যে। এই ধারাবাহিকটা শেষ করার পরে-রুস্কাইয়া ব্লুদা নিয়ে আরো কয়েকটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আসে। আশা করি সেখানে অনেক মজার তথ্য পাবেন।
পুরনো লেখাগুলো পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সবসময় এই প্রত্যাশায়...
১২| ২৪ শে মে, ২০১৩ ভোর ৪:১০
নস্টালজিক বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা দারুন!
২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: পুরো সিরিজটায় সাথে থাকার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। এমন প্রশংসা বাক্য আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে আরো ভাল কিছু লেখার জন্য।
শুভ কামনা রইল।
১৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
শিপু ভাই বলেছেন:
আহাহহাহা!!! এইটা কি হইল!!!
মাইক্রো পোস্টে++++++++
২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও তাল মেলালেন!
দূর্ঘটনার আরো খানিকটা বাকি আছে। সমব্যাথী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: যাহ! এইবার কি হবে ভাই! পাসপোর্ট গেলো টাকা গেলো! পরের পর্বে না আপনি যান! তবে যা বুজতেছি কঠিন সময় পার করেছেন।
ইয়ে ...কিছু মনে করেন না ! ওই সময় আপনি খুব বিপদে ছিলেন , কিন্তু আমি যেন কেমন এ্যাডভেঞ্চার এর গন্ধ পাচ্ছি!
২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি গেলে আর এইসব আজাইরা পোষ্ট কে দিত?! আমিটাই ছিলাম শুধু বাকি সব গিয়েছিল।
হুমম নিজের হলে বুঝতেন এ্যাডভেঞ্চার না কি!...তবে সেই কষ্টটা অনুভব করার সময় পাইনি। তবে সেই সমস্যাগুলো আমাকে রাশিয়ায় অনেক অনেক কিছু শিখতে ও জানতে বাধ্য করছিল।সব হারিয়ে আমি একদম নির্ভার হয়ে পরেছিলাম। তাই ইচ্ছেমত আকাশে উড়ে বেড়িয়েছি।এটাই মনে হয় আপনার কথিত এ্যাডভেঞ্চার!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ফের-সাথে থাকার জন্য।
১৫| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গডফাদার হয়ে আর কাজ নেই আপনার পাসপোর্ট ফিরে পাবার অপেক্ষায় রইলাম
২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: সেই হারানো জিনিসতো আর ফিরে পাবার উপায় নেই- তবে ডুপ্লিকেট একটা যোগাড় হয়েছিল অবশেষে। আরো কিছু কষ্টের কথা শুনেন-পাসপোর্টের ব্যাপারটা তখন নস্যি মনে হবে।
১৬| ২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
এক্সপেরিয়া বলেছেন: ধরলেন না ছুইলেন না অথচ ফকির হইলেন । দুঃখের কথা । কিন্তু আপনার এই লিখাটার এমন একটা ভাব আছে যে হাসি পেয়ে যায় ।
২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: এখন এই সময়ে লিখছি বলে লেখাটা তেমন মর্মপীড়াদায়ক হয়নি! এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন-অতীতের কষ্ট নিয়ে একটু মজা করতে ভালই লাগে। ঠিক ধরেছেন।
ধন্যবাদ ফের এক্সপেরিয়া- ভাল থাকুন সর্বক্ষন।
১৭| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
অদৃশ্য বলেছেন:
তপন ভাই
শেষ দৃশ্যে আহত হলাম... সম্ভবত নিজের করে ভাববার চেষ্টা করায় কিছুটা অনুভূতি কাজ করলো...
অনেক কষ্ট করেছেন বুঝাই যায়... হয়তো এর মাঝে আনন্দও ছিলো, তবুও এই সময়গুলোর কাছে তা হয়তো হার মানে...
পড়ছি...
শুভকামনা...
২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সুক্ষ অনুভুতি দিয়ে আমার তখনকার পরিস্থিতি অনুভব করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
তখন না বুঝলেও এখন অনুভব করি কষ্টের মাঝেও সেই দিনগুলো অনেক বেশী মজার ছিল। তাইতো আমি আমার শৈশবে ফিরে যেতে চাইনা-আমি চাই রাশিয়ার সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে।
অনেক ভাল থাকুন আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
১৮| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৪
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: তিনটা পর্বই একসাথে পড়লাম। শেষটা পড়ে সেই তখনকার আপনার যায়গায় নিজেকে কল্পনা করে.......
ভাই, এক জীবনে আপনার অভিজ্ঞতার পাহাড় দেখছি আর আশ্চর্য্য হচ্ছি।
ইদানিং ব্লগে আসার সময়ই পাই না। আজ অনেক দিন পর একটু সময় নিয়ে বসলাম। যথারীতি সবার আগে আপনার ব্লগে.........
২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: তাইতো অনেকদিন বাদে আপনার দেখা পেলাম। সত্যিকারে আপনাকে মিস করছিলাম! অনেক ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে!
একসাথে তিন পর্ব একসাথে পড়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
কি যে বলেন,এইগুলা কোন অভিজ্ঞতা হইল?!
ভাল থাকুন ভাই সবসময়।
১৯| ২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কষ্টগুলো অনুভব করতে পারছি।
ভাইয়া আরও জানার আগ্রহ বেড়ে গেল।
২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন পরে আমার ব্লগে আসলেন।আমার কষ্টগুলো অনুভব করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
জেনে ভাল লাগল। ভাল থাকুন।
২০| ২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
ধানের চাষী বলেছেন: ধরাও খাইছেন
আমার কাছে টাকা রাইখেন এখন থেইকা
১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: দেরি করে উত্তর দেবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। টিক আছে টাকা আসুক আগে তারপরে রাখব না হয় আপনার কাছে।
২১| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১
ভাসমান বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পুরাটা পরলাম। পরের গুলার অপেক্ষা থাকলো।
১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: কই পরের পর্বেতো আর পেলামনা।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! ভাল থাকুন- ও সাথে থাকুন।
২২| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৮
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আপনার লেখা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নেই। শুধুই পরের পর্ব গুলো পড়ার জন্যে অপেক্ষায় আছি। +++++
১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি যে বলেনরো ভাই! আমি অতি নগন্য একজন লেখক-এভাবে বললে কষ্ট পাই।আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল।
২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
আল ইফরান বলেছেন: একসাথে অনেকগুলো পর্ব মিস করে ফেলেছি
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: সময় পেলে পড়ে নিয়েন...ধন্যবাদ মনে করে আমার লেখা পড়ার জন্য।
২৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
রবিউল ৮১ বলেছেন: মাঝখানে আমি এই অভাগা কিছু ধরলাম না ছুইলাম না খাইলামনা আজাইরা ফকির হইলাম।
২৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯
জুন বলেছেন: আসলে কাউকে বিশ্বাস করা কঠিন তপন। যে গড ফাদার কিনা এত উপকার করলো। ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত কিনা বোঝা গেলনা। কিন্ত ব্যাপারটি অত্যন্ত মর্মান্তিক বিদেশ বিভুই এ .।।
+
২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
লিখেছেন বলেছেন: কত ডলার?
২৭| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৩
আমি সাজিদ বলেছেন: সে সময় আড়াই হাজার ডলার এখন কত টাকা? পড়ে যাচ্ছি পর্বগুলো। গুরুজী এক মিশনে ব্যর্থ হয়ে রাতারাতি পথে নামলো! আচ্ছা, তখন রাশানদের মধ্যে কারা এই ডাকাতি ও রাহাজানিগুলো করে বেড়াতো? ভাগ্যের সন্ধানে যেসব বাংলা মায়ের সন্তান রাশিয়া হয়ে অন্য দেশে যেতে চেয়েছে ( যারা লেখা পড়ার জন্য যান নাই সেখানে) তাদের ভাগ্য কি ফিরলো নাকি জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেবার জন্য।
সেস্ময়ের হিসেবে এখন সেই ডলারের মান নির্নয় করা বেশ কঠিন বৈ-কি!
তখন ডলার ছিল ৪৫/৪৬ টাকা করে আর এখন নব্বুইয়ের কাছা কাছি। টাকার হিসেবে এখন দ্বীগুন হলেও তখন ১০/১২ টাকা চাউলের কেজি ধরলে এখন
৪/৫ গুন হয়ে যায়।
মুলত উচ্চভিলাষি যুবক ছেলেরা। এডভেঞ্চার নেশা ও বিলাস দ্রব্যের জন্য তারা এমন করত।
কারো কারো ফিরেছে। কেউ সব হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। কেউ মুল গন্তব্যে পৌছানোর আগেই মারা গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
কালোপরী বলেছেন: