নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাগদা তো-ভ রাশিয়া-১৪( তৃতিয় খন্ড প্রথম পর্ব)

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

ট্রেনে আবার মাালদোভিয়া যাচ্ছি । ভগ্ন বিধ্বস্ত মন নিয়ে -কপদর্ক শুন্য রিক্ত একেবারে ঝাড়া হাত-পা ,সাথে এককখানা ব্যাগ পর্যন্ত নেই । নিজের এই দেহটা আর এই অল্প শীতে যেটকু পোষাক না হলেই নয় তাই গায়ে চড়িয়েছি।

আমাদের সেই গুরু ভদ্রলোক হোটেলের খরচ দিতে না পেরে আমাকে তার বাসায় এনে রেখেছিল । তিন মাস পেরিয়ে গেছে অনেদিন আগে তবুও তার টাকা দেয়ার নাম নেই । আমাকে প্রতিদিন মাতাল হয়ে শান্তনার বানী শোনায় ‘এই আর সপ্তাখানেক অপেক্ষা করেন সব সমস্যা মিটে যাবে।’

আমিও আশায় বুক বাধি অবশ্য এছাড়া আর কিবা করার আছে। মাঝে একদিন টাকা চেয়ে দেশে ফোন করতে চাইলে সে নিষেধ করল ।

এদিকে কর্মহীন বসে থাকতে থাকতে যেন জড় পদার্থ হয়ে যাচ্ছি । দিনরাত রান্না নিয়ে গবেষনা আর কার্ড খেলা। ইনিস্টটিউটের এক সেমিস্টার মিস করেছি দ্বীতিয়টায় সময়ও এসে গেল প্রায়, এটাও মনে হয় যাবে ....

আমার দুরবস্থার কথা শুনে মালদোভিয়ার বন্ধুরা বলল,যেহেতু হাতে অফুরন্ত সময়-আর টাকা কবে ফেরৎ পাব তারও নিশ্চয়তা নেই তাই ক'দিনের জন্য তাদের ওখানে বেড়িয়ে আসতে। ওদের ওখানে বেড়াতে যাবার প্রস্তাবে নেচে উঠলেও পরক্ষনেই চুপসে গেলাম। এখানে যাহোক সবকিছু চোখের সামনে ঘটতে দেখছি, আমি এদের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভুতের মত চেপে বসে আছি। এই গলগ্রহ ছাড়াতে পারলেই যেন এরা হাফ ছেড়ে বাঁচে! গুরুর হাতে টাকা এলে প্রথমে আমাকে দিবেন বা দিতে বাধ্য হবেন একব্যাপারে নিশ্চত কিন্তু দুরে সরে গেলে কিছুই জানতে পারবনা। ইতিমধ্যে এদের হাতে টাকা এলেও যদি অস্বীকার করে তবে কিছুই করার নেই- সেহেতু শত কস্ট হলেও এখানে পড়ে থাকা শ্রেয়ই ভাবলাম।

তবুও কেন যেন বড় ভাই আর গুরুর মুহুমুহু অনুরোধ আর প্ররোচনার কাছে আমি হার স্বীকার করতে বাধ্য হলাম।

ওরা বলল, রাশিয়া ভ্রমনের এমন সুযোগ ভবিষ্যতে নাও পেতে পারি -সেজন্য এই অবসরে দেশটা যেন ভাল করে ঘুরে ফিরে দেখে নেই । এভাবে ঘরের মধ্যে বসে না থেকে আমার চারিদিকে ঘুরে দেখা উচিত , খরচাপাতি নিয়ে চিন্তা নেই সব খরচ উঁনাদের। ওরা আমাকে আশ্বাস দিল, আশা করছে মাসখানেকের মধ্যে টাকার ব্যাবস্থা হয়ে যাবে আর আমার ইনিস্টিটিউটে ভর্তি নিয়ে নাকি আমার চেয়ে টেনশন তাদের কিছুমাত্র কম নয়। তারা আমাকে ঠিক আপন ভায়ের মত স্নেহ করে!

তখন বয়স কম ছিল -বুদ্ধি নয় আবেগের দ্বারাই বেশী পরিচালিত হতাম বেশী। একটু গাই গুই করে শেষমেষ ঠিকই রাজী হয়ে গেলাম। তারা আমাকে আরো বেশী আস্বস্ত করার জন্য ঘন ঘন কসম খেতে লাগল।

আমিও বেকুব ফের তাদের বিশ্বাস করলাম এবং যথারীতি প্রতারিত হলাম!



মালদোভিয়ায় গেলাম একমাসের জন্য ফিরে আসলাম নয়মাস বাদে!! এই দীর্ঘ সময়ে আমাদেও সেই গুরু শুধু বার দুয়েক ফোন করেই কর্তব্য সেরেছে!

আর হাত খরচের টাকা? তার প্রশ্নই আসে না। তবে সে বেচারার দোষই বা দিই কেমন করে লোক মুখে খবর পেয়েছিলাম সে নাকি কপর্দকহীন হয়ে তখন পথে পথে ঘোরে।

এ’কমাস কেমন কাটল মালদোভিয়ায় ? সুখে? হ্যা সুখেই কেটেছে -মহাসুখে!

(যেহেতু আমার লেখার শিরোনাম 'কাগদা তো-ভ রাশিয়া' সেহেতু এখানে শুধু আমি রাশিয়ার কথাই বলব। মালদোভিয়া তখন একদম ভিন্ন এক দেশ।ওখানে ঘটে যাওয়া কিছু ভয়ংকর কিছু ঘটনা দূর্ঘটনার কথা অন্যসময়ে বলব।তবুও সেই নয় মাসে ঘটে যাওয়া দু-য়েকটা ঘটনা নিয়ে আলোচনা না করলে গল্পের তাল কেটে যাবে।)

মলদোভিয়ায় বন্ধুদের সহচর্য আর সহমর্মিতায় বেশ আনন্দে থাকলেও পকেটের অবস্থা ভয়ানক করুন ছিল! পোষাক বলতে ছিল দু-প্রস্থ প‌্যান্ট আর এক জোড়া শার্ট মাত্র!

মাস তিনেক বাদের কথা; আমার সেই বড়ভাই মস্কো প্রবাসী গুরুকে ল্যাং মেরে নিজেই পুরো দস্তুর ‘আদম বেপারী ’ সেজে ডজন খানেক আদম নিয়ে এইরুট দিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে মালদোভায় এসে উপস্থিত হল। তার এই অপ্রত্যাশিত আগমনে যুগপৎ বিস্মিত ও আনন্দিত হলাম! ভাবলাম যাক এবার তাহলে কস্টের দিন শেষ হল...

কিন্তু কথায় বলে ‘কপালে নেইকো ঘি ঠনঠনালে হবে কি!’ আমার বেলায় তেমনই ঘটল। মানুষ চিনতে বড্ড বেশী ভুল করেছিলাম-

আমাকে দেখে সে ধারনার চাইতে অনেক বেশী উৎফুল্ল হয়ে সরল হাসি চোখ মুখ উদ্ভাসিত করে দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গন করল। বলতে দ্বীধা নেই, অপ্রত্যাশিত সে মুহুর্তে দুয়েক ফোটা গরম নোনা জল আমার চোখের কোলে ভিড় করে ধরনীতে আত্মাহুতি দেয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করছিল।

...তারপর গভীর রাত অবধি চলল আমাদের আড্ডা। দুজনার কারো কথাই যেন ফুরাতে চায়না। তাকে যদিও 'বড় ভাই' বলে সন্মোধন করতাম কিন্ত আমাদের সম্পর্ক ছিল অনেক বেশী বন্ধুত্বপূর্ন। আমাদের সখ ও পছন্দের মিল ছিল বিস্ময়কর। বাকপটু সদালাপী লাস্যময় সেই বড়ভাইরুপী বন্ধুর সাথে জমত বেশ। গল্পে গল্পে মেলা রাত হয়ে গেলে সে অনুরোধ করল রাতটা সেখানে থেকে যেতে।

আমারও ফিরে যাবার তাড়া নেই । দিনের পর দিন এক জায়গায় থাকতে থাকতে কেমন যেন একঘেয়ে লাগছিল । দুয়েক রাত একটু ভিন্ন পরিবেশে কাটাতে পারলে মন্দ কি, তাই সানন্দেই রাজী হয়ে গেলাম ।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরে নিজের ডেরায় ফিরে আসার মুখে সঙ্কোচভরে আমার শোচনীয় অবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে- তার কাছে আমার পাওনা টাকার ক্ষুদ্রতম একটা অংশ দিতে অনুরোধ করলাম;

কথাটা বলার মুহুর্তেই লক্ষ্য করলাম তার হাসিখুশী মুখের আলো দপ করে যেন নিভে গেল । অতিকস্টে একটু কাস্ট হেসে নতুন করে শুরু করল তার সাতকাহন ’, সারমর্ম হল এই যে, আমি যা ভেবেছি তা নয় । তার অবস্থা এখন নাকি আমার থেকে শোচনীয়!!! কত কস্ট করে সে এতদিন মস্কোতে থেকে ,কত টাকা দেনা হয়েছে তার এক লম্বা ফিরিস্তি দিল। এখন এই আদমগুলোকে কোন মতে পাঠাতে পারলে নাকি সে দেনার ভার কিছুটা লাঘব করতে পারবে।

খরচের সামান্য কিছু টাকা ছাড়া এমুহুর্তে নিজের হাতে এমন কিছু অতিরিক্ত অর্থ নেই যে তা থেকে আমাকে সামান্য কিছু দিতে পারবে। আমার জন্য তার কস্ট হচ্ছে! ভিতর থেকে নাকি তাগিদ অনুভব করছে কিছু একটা করার কিন্তু নির্ভেজাল বিমর্ষ চেহারা নিয়ে বেদনাসিক্ত কন্ঠে সে জানাল ‘স্যরি!’

একেবারে কিছু না করলেই নয় এই ভেবেই হয়তো শেষ মুহুর্তে সে তার মানিব্যাগের অলিগলি খুজে ‘পাচটি(!) ডলার বের করে দলা পাকিয়ে স-সঙ্কোচে আমার হাতে গুজে দিল।

সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর অপমানের পরিপেক্ষিতে বিশ্ব বিধাতাই হয়তো তার জন্য একটা ছোট্ট শাস্তি বরাদ্দ করে রেখেছিল। সপ্তাখানেক বাদেই লোকমুখে খবর পেলাম তার নাকি রুম ডাকাতি হয়েছে!

সভ্য ভদ্র সেই ডাকাতদল কোন রক্তপাত না ঘটিয়েই নাকি তার গোপন দেরাজ থেকে হাজার দশেক ডলার নিয়ে চম্পট দিয়েছে এমন বিশ্বস্ত সুত্রের উড়ো খবর ‘শেলের’ মত কানে এসে বিঁধল! খবর পেয়েই ছুটে গেলাম তাকে সান্তনা দিতে , বিমর্ষ বদনে তিনি সেই রোমহর্ষক(!) ডাকাতির কাহিনি বর্ণনা করে টাকার অংকে এসে থমকে গেলেন। অনেক চাপাচাপির পরে জানালেন সাকুল্যে নাকি শ’তিনেক(!) ডলার!

আমার নিশ্চিত বিশ্বাস যে সে আমার কাছে প্রকৃত টাকার অংক চেপে গিয়েছিল। ক’দিন পরে তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই আমাকে চুপি চুপি বলেছিল ‘ওখানে নাকি হাজার দশেক ডলারই ছিল !’

‘সুসময়ের ঘাড়ে প্রতিনিয়ত বিষ নিশ্বাস ফেলে দুঃসময় আর দুঃময়ের পিছু পিছু হেলে দুলে এগিয়ে আসে সুসময় বরাবরই।'

কিন্তু আমার সু-সময় বড্ড বেশী আলসে ছিল-আসবার পথে শরির এলিয়ে কার সাথে গল্প জুড়ে দিয়েছিল কে জানে।....এই পর্ব শেষ



দ্বীতিয় খন্ড শেষ পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

মুহিব বলেছেন: ট্র্যাজেডি...............

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম... সেই রকম-ই মনে হচ্ছে :)
শুরুর মন্তব্যেই আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। ভাল থাকুন।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২০

বোকামন বলেছেন:






সম্মানিত শেরজা তপন,
চমৎকার উপস্থাপনে রাশিয়া ভ্রমনের আনন্দ-বেদনা উপভোগ করছিলাম। আগের পর্বগুলো পড়তে হবে।

“সুসময়ের ঘাড়ে প্রতিনিয়ত বিষ নিশ্বাস ফেলে দুঃসময় আর দুঃময়ের পিছু পিছু হেলে দুলে এগিয়ে আসে সুসময় বরাবরই।”
অসাধারণ বলেছেন :-)

ভালো থাকবেন।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ 'বোকামন'। আমার ব্লগে স্বাগতম!
জেনে প্রীত হলাম। ভাল থাকুন নিরন্তর।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

আল ইফরান বলেছেন: বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি মানুষ এইভাবেই পায়। রুলস অব ন্যাচার নামে কিছু আছে বলেই। :|| :|| :||

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তেমনটাই হয়- তবে এই ঘটনাগুলো খুব দ্রুত হয়ে গেছে!এত তাড়াতাড়ি সে তার অপকর্মের ফল ভোগ করবে বলে আশা করিনি।
ধন্যবাদ ভাই 'আল ইফরান' বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

তূর্য হাসান বলেছেন: দুঃসময় যেন এমনই শেষ হতেই চায় না।
ভালো থাকুন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২১

শেরজা তপন বলেছেন: সেই দুঃসময়ের স্মৃতি গুলো এখনো আমাকে তাড়িত করে!
তবে আমি সেভাবে কখনোই তেমন ঘাবড়ে যাইনি বা চরম হতাশায় নিমজ্জিত হইনি। এখন মনে হয় এরকম কিছু একটা দরকার ছিল।
আপনাকও বরাবরের মত ধন্যবাদ। ভাল থাকুন আপনিও-সবসময়।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

ঘাসফুল বলেছেন: ভাই তো দেখি পুরাই দার্শনিক হয়ে গেছেন... জীবনে কষ্টের দরকার আছে... ৩য় প্লাস :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ তা বলতে পারেন!!! প্লেটো-সক্রেটিসের কাছাকাছি পর্যায় পৌছে গেছি :)
হুমম তা দরকার আছে- কিন্তু মাত্রাটা আরেকটু কম হলে ভাল হয়।
সাথে থাকার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২

সোহাগ সকাল বলেছেন: ৪র্থ +

সাথে আছি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ার জন্য -ভাল লাগা প্রকাশ করবার জন্য সর্বোপরি সাথে থাকবার। পরের পর্বগুলোতেও আপনার সঙ্গ কামনা করছি।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জীবন দেখি নানবিধ ঘটনায় ভরপুর! মলদোভার নয় মাস নিয়েও একটা সিরিজ চাই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: মলদোভির ঘটনা নিয়ে'আলকাশ' সিরিজতো লিখছি! সময় পেলে আমার দূর্দশা নিয়ে আরো লিখব।
ভাল থাকুন সর্বক্ষন।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব কষ্ট হয় মানুষকে নির্জলা মিথ্যা কথা বলতে দেখলে!! মানুষ ক্যামনে পারে ??


সাথে আছি। চলুক।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ-ই তো পারে রে ভাই।আপনজন চেনার জন্য কিছু দুঃসময়ের দরকার আছে।
আপনি নিতান্তই ভাল মনে মানুষ। তাই এমনটা ভাবতে পারছেন না।
প্রার্থনা করি আপনার মনটা বাকি জীবন এমনই থাকুক।
ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৬

কালোপরী বলেছেন: :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি হাসতে থাকুন। এমনটাই আপনাকে মানায়...:)

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৩

একাকী বালক বলেছেন: "বলতে দ্বীধা নেই, অপ্রত্যাশিত সে মুহুর্তে দুয়েক ফোটা গরম নোনা জল আমার চোখের কোলে ভিড় করে ধরনীতে আত্মাহুতি দেয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করছিল। "

>>> অসাধারণ। বলার কোন ভাষা নাই ভাই। অদ্ভুদ সুন্দর লেখা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: ফের বলছি আপনার মন্তব্য পড়ে বরারবরই আমি দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত হই।
বড় ভাল গুন আপনার; মন খুলে প্রশংসা করতে পারেন আপনি!'
ভাল থাকুন সবসয়ের জন্য।

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপনার এই সিরিজগুলো অসাধারন ++++

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ 'কান্ডারী অথর্ব'! আপনার মত ব্লগার যখন অসাধারন বলেন, তখন দারুন বিমহিত হই!
ভাল থাকুন।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৩

ধানের চাষী বলেছেন: শেষের অংশটা দারুন লাগলো, ভালোই কষ্ট করেছেন ! B:-)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আর বাকিটুকু? :)
বরাবরের মত আপনার সঙ্গ পেয়ে আমি ধন্য হলাম। হুম ম... তা করেছি বটে! ভাল থাকুন সবসময়।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৩

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এর পর থেকে আনন্দের গল্প আসবে মনে হয়। খুব ভালো লাগলো পড়ে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: কাগদা তো-ভ রাশিয়া'র পুরো অংশটুকু জুড়েই আছে কষ্টকর স্মৃতিকথা।
আনন্দের গল্প না হয় অন্য কোন লেখায় বলব ভাই?
পরের পর্ব গুলোতে আপনার সঙ্গের প্রত্যাশায় রইলাম।

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: জীবন হতে নেয়া গল্প , তাই হয়ত কোন দেবদূত ও আসেনা , কষ্টেরও শেষ
হয়না । আপনার সব কাহিনিই পড়লাম । সাথে আছি ভাই :)
আশা করি এখন অনেক ভালো আছেন ।
ভাল থাকবেন ।
আপনার প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি হতবাক হয়ে ভাবছি - কি করে মানুষ একবারে এতগুলো লেখা পড়ে। তারপরেও আমার মত অতি সাধারন লেখা!!
আপনার ধৈর্যের কথা শুনে বিস্মিত হলাম!
পরের পর্বগুলোতে আপনার এমনি সঙ্গের প্রত্যাশা করি।
ভাল থাকুন সর্বক্ষন।

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

লাবনী আক্তার বলেছেন: Nature revenge বলে একটা কথা আছে, মানুষ অন্যায় করলে তার

শাস্তি Nature ই দেয়।



০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কিছুটা গ্যাপ দিয়ে ফের আমার ব্লগে আসলেন যে? আপনার মন্তব্যের প্রতিক্ষায় ছিলাম।
পেয়ে ভাল লাগল।
যথার্তই বলেছেন' প্রকৃতির প্রতিশোধ'!
ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

অদৃশ্য বলেছেন:




তপন ভাই

এই লিখাটিও বরাবরের মতোই চমৎকার হয়েছে... আপনার এই নয় মাসের ভ্রমণের মধ্যেইতো ছিলো সেই বন্ধু ও বন্ধুর হবু বিবির কাহীনি তাই না, ওটাও তো আটকে আছে অনেকদিন...

যা হোক এই লিখার শেষটা অত্যন্ত সুন্দরভাবে হয়েছে... কথার সৌন্দর্য

অপেক্ষায় থাকলাম...

শুভকামনা...

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: কি যে বলেন? সেইটে পুরো অন্য কাহিনী- আমাকে ওর মধ্যে টাইনেন না :)
'আলকাশ' শুরু করব ফের। এই লেখার আর কয়েকটা পর্ব আছে মাত্র তার পরেই...
ধন্যবাদ ফের আপনাকে-আপনার মন্তব্যের সৌন্দর্য কোন অংশেই কম নয়।

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ++++++++++ দিলাম



চালায়া যান।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: সেজন্য ...... অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন আর পরের পর্বগুলোতে সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায়....

১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

এক্সপেরিয়া বলেছেন: এক কথায় অনন্য... আত্নজীবনীমূলক কিন্তু নেশা ধরাইয়া দেয়...

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা নিতান্তই আত্মজীবনীমূলক-তবে নিজের বলার সাথে সাথে রাশিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সামাজিক অবক্ষয় অর্থনৈতিক দৈন্যতা সন্মন্ধে কিছুটা ধারনা মেলে- সে কারনেই কিছুটা অনিচ্ছা সত্বেও কাগদা তো-ভ রাশিয়ার পর্বগুলো লিখছি। আপনাদের ভাল লাগছে জেনে আমি দারুন অভিভুত ও আনন্দিত। ভাল থাকুন।

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

লাবনী আক্তার বলেছেন: ভাইয়া ব্লগে কম আসি ! কেমন আছেন?

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাল আছি বোন। হ্যা একটু বেশীই কম আসেন। তবুও মনে করে যে আমার ব্লগে ঢুঁ মারেন এতেই আমি আনন্দিত! আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনায়...

২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: এবার যে শুধু একটা মাত্র ইমোকটিন?! ডিফল্ট বিষয়ক আলোচনা নেই কেন? :)
অপেক্ষায় রইলাম একটু বড় সড় মন্তব্যের। ভাল থাকুন সবসময়।

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: আমি এই গুরু আর ডন কে গুলিয়ে ফেলছি
বড়ভাইকে কে?? গুরু কে?? ডনই বা কে??
সবাই কি বঙ্গদেশের ??
যদি উনি লচ করে থাকেন টাকা এলো কি করে??

ভাল বুঝলাম না

দুঃখিত কিছু মনে নিবেন না

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: বড়ভাই হল আমার বন্ধুর বড় ভাই যাকে আমিও নিজের আপন বড় ভাইয়ের মত জানতাম। আর বড় ভাইয়ের মাধ্যমেই গুরুর(তথাকতিথ ডন) সাথে পরিচয়। তিনি ছিলের গুরুর ডান হাত। সেই সময়ে সবাই একটু যেন তেন ভাবে গুরুর আশির্বাদ পেলে বর্তে যেত। :)
বড় ভাইতো লস করেনি -করেছে গুরু! বড় ভাই নতুন আদম যোগার করে কিংবা গুরুর আদম ভাগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার সেই টাকা ছিল সব সেই আদমদেরই অগ্রিম।
কোন সমস্যা নেই- এখন বুঝেছেন?

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: উনি যদি টাকার জন্য পাগল হয়ে রাস্তায় থাকেন তবে কিভাবে ১০০০০ ডলার ছিল??

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: উত্তরটা নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন। গুরু ছিলেন আদপে উদার, সরল ও বোকা মানুষ। ধান্দাবাজ ও ধুরন্ধর ছিল আমার সেই কতিথ বড় ভাই!

২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন ছিল আপনার টাকা উনি ডনকে দিয়েছিলেন মনে হয়
নাইলে চাইলেন কিভাবে ??

যা হোক এখন কই করেন জানতে মন চায়......

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা ঠিক -তাই দিয়েছিলেন!
গুরু এখন বাংলাদেশে- আমিও তাই(ব্যাবসা করি) আর সেই বড় ভাই ওখনো মলদোভিয়াতে আদম ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন!

২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: এটা কি বলেন???
সিনেমার শেষে এসে টুইস্ট দিলেন নাকি???
আমিতো ১ম সিরিজ থেকেই জান্তেছি গুরু রাশিয়ান
না আবার প্রথম থেকে পড়তে হবে ......

সেই গুরু/ডন রাশিয়ান না??
OMG

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: সবগুলো পর্ব পড়া শেষ করলাম। ভাই আপনার তো ট্রাজেডির শেষ নেই। আমি হলে তো বোধহয় পাগলই হয়ে যেতাম।
একবার এরকম একটা ঘটনা ঘটায় বান্ধবীরা আমাকে ট্রাজেডি কুইন ডাকতো। আর আপনার তো কি অবস্থা গেছে রাব্বুল আলামীন জানে।

বাই দা ওয়ে, কোন কাজ,পড়াশুনা কিচ্ছু নাই, আপনার কিভাবে কাটতো?? সব মিলিয়ে কয়মাস এরকম বসে ছিলেন??

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২২

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু( আপুই বললাম- ট্রাজেডি কুইন থেকে কনফার্ম হলাম :) ) এত পেছনে এসে -সবগুলো পর্ব পড়া বিরাট ধৈর্যের ব্যাপার!!! সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ
এগুলোই শেষ নয় আরো আছে- অন্য কোন সময় অন্য কোন গল্পে( আদপে কাহিনি) বলব। তবুও আমি আমার জীবনের স্বরন-সময় অতিবাহিত করেছি সেই দিনগুলোতে।
সে সব দিনের বন্ধুরা আজো আমায় আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে আছে। রাশিয়াতে তখন রাশিয়ানদেরই বড় দুর্দিন। আমাদের উপার্জনের কোন পথই ছিল না। প্রথমে যখন ছাত্র ছিলাম তখন হাতে টাকা পয়সা ছিল, রাশিয়ায় তখন খরচ ছিল অতি সামান্য- ধরুন শায়েস্তা খাঁ এর আমল( বাংলাদেশী এক টাকায় ২ ডজন ডিম পাওয়া যেত)। পরের বার যখন গেলাম, তখন সব পালটে গেছে। আমার পুরনো বন্ধুরা তখন ব্যাবসা বানিজ্য করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ওদের ভালবাসা ও অনুগ্রহে থাকতাম। আগের কিছু কিছু লেখায় তার বিস্তারিত আছে- ভবিষ্যতেও পাবেন।
ভাল থাকুন -সুন্দর থাকুন, সুস্থ থাকুন সব সময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.