নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
এর পরে কেটে গেছে পাঁচটি বছর।মাঝে কিছুটা সময়ের জন্যে দেশে ফিরে এসেছিলাম।১৯৯৮সালে ফের মস্কো গিয়ে শিশিরের খোজ করতেই এক বন্ধু বলল, 'ওতো এখন দেশে।'
‘দেশে?’অবাক হলাম। তবে কেন আমার সাথে যোগাযোগ করেনি?’
‘করবে ক্যামনে?’বিমর্ষ কন্ঠে বন্ধুটি বলল,‘ওর অবস্থা খুব খারাপ! বেঁচে আছে তাই বেশী।’
ভীষন অবাক হয়ে ভাঙ্গা কন্ঠে আমি তাকে শুধালাম ‘কি বলছ? কেন? ’
মানবসভ্যতার শুরু থেকেই হয়তো উগ্রবাদের চর্চা শুরু হয়েছে। কখনো বর্ণবাদের ব্যানারে কখনো ধর্মের ব্যানারে কখনো বা সংস্কৃতি কিংবা অন্য ব্যানারে।আধুনিক যুগে হিটলার সেটাকে দিয়েছিলেন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি!
তার দেখানো পথের সেই উগ্রবাদের চর্চা ইউরোপের কিছু কিছু দেশে এখনো বিদ্যমান। এমনিতেসেই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম তেমনভাবে দৃশ্যমান না হলেও- ওদের খানিকটা অর্থনৈতিক মন্দাভাবে সেটা প্রকটভাবে প্রকাশ পায় কিংবা তারা ভয়ঙ্করভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
এসব দেশের অর্থনৈতিক মন্দা বা অন্য কোন রাজনৈতিক কারনে কিংবা বিনা কারনেই এরা উঠতি যুবকদের উৎসাহিত উদ্দীপ্ত করে উস্কে দেয় মুলত এশিয়া বা অফ্রিকার অভিবাসীদের বিরুদ্ধে। এসব যুবক-যুবতীদের বর্নবাদী দীক্ষায় দীক্ষিত করে।
কালো চামড়া ও চুলের লোকদের প্রতি এদের অসীম ঘৃনা! ওসব দেশের যেকোন সমস্যার মুলেই নাকি এরা।
সে কারনেই পথে ঘাটে যেখানেই পাও এদেরকে পিটাও। দু –চারটা কিল ঘুষিতে কাজ হবেনা- চেহারার এমন হাল করবে যেন নিজেরা নিজেকে চিনতে না পারে,পারলে খুনও করবে।
বহিবিশ্বের চাপে কিংবা পুলিশের দ্বৈরাত্যে যদিও এদের মহান কর্মে মাঝে মধ্যে ভাটা পরে। কিন্তু তলে তলে এরা ঠিকই সক্রিয় থাকে ।
রাশিয়াতেও এমনটা হল?ওদের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন ভীষন খারাপ তখন কে যেন কচি কচি ছেলেদের মাথায় ঢুকিয়ে দিল সব কিছুর মুলে ওই এশিয়া অফ্রিকানরা। ওদেরকে তাড়াতেই পারলে অর্থনীতিতে উন্নতির জোয়ার নামবে;
আর যায় কোথায় ‘যেই এশিয়ানদের বিশেষ করে ভারতীয়তের ওরা প্রেমের দেবতা হিসেবে পুজাজ্ঞান করত। হিন্দী সিনেমা দেখে যারা কাঁদত হাসত নাচত গাইত তাদেরকে ধরে ধরে প্যাদাতে লাগল!
চাইনিজদের সামনে নাকি যায়না কুংফু কারাতে কিংবা মার্শাল আর্টের শৈল্পিক ধাক্কায় উল্টো কুপোকাত হবে এই ভয়ে তাছাড়া ওদের চেহারা স্বজাতী কাজাক কিংবা চেচেনদের সাথে মেলে ভুল হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
নিগ্রোদের ডরায় খুব বেশী উগ্র গোয়াড় আর শক্তিশালী বলে। দু'য়েকবার আঘাত করতে গিয়ে নিজেরাই বেদম মার খেয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে।
অ্যারাবিয়ানদের তেলের পয়সা। দামী গাড়ি ছাড়া চলেনা। রাস্তা ঘাটে ফ্যা ফ্যা করে হাটলে তবে না দাবড়ে দাবড়ে ইদুরের মত পেটাবে! সেটা এক রকম মজা! ওদিকে পাকিদের চেহারাও আর্মেনিয়া , আজারবাইজানীদের
সাথে মেলে।
মুশকিল হল ভারতীয় বাংলাদেশীদের। চেহারা চলন বলন বলে দেয় শত মাইল দুর থেকে 'কিধার সে আয়া।' পিটাও..
আর রোগা পটকা বাঙালীকে মেরে যত সুখ। প্রতিরোধ করতে পারে কিনা সেটা বড় কথা নয়। প্রতিরোধ করে না।
এদের মারতে পারলে হাতের সুখ ,মনের সুখ , অন্য দশজন ভয় পাবে , পুলিশের কাছেও যাবেনা!
শিশিরও তেমনি পরিস্থিতির স্বীকার! তাকে রাস্তায় একা পেয়ে দশ-বারোটা ছেলে মিলে বেধরক পিটিয়েছে। মার খেয়ে বরফের ভিতর মুখ থুবড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। পরে কোন এক সহৃদ রুশ মহিলা তাকে হাসপাতালে পৌছে দেয়। আঘাতের ভয়াবহতা দেখে আর রুশ ছেলেদের নিঃশ্বংসতার কথা শুনে ডাক্তাররাই আঁতকে উঠেছিল!
তার চেহারার এমন হাল করেছিল যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই দেখে চিনতে পারছিল না। অনেকবার অপারেশন শেষে সারা দেহ মুখে জোড়াতালি দিয়ে একটা নতুন অবকাঠামো যদিও কুশলী-শল্যবিদরা শেষ পর্যন্ত দাড় করিয়ে দিতে পেরেছিলেন তবে সেটা আর শিশিরের চেহারা ছিল না।
সে সময়টায় সবার চোখে মুখেই সর্বক্ষন আতংক! একাকী বের হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা দল বেধেও বের হতে ভয়। প্রচন্ড খিদে পেলেও ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তাটা পার হয়ে দুটো পাউরুটি কিনে আনবে তারও উপায় নেই। আবার ঘরেতে বসে থাকাও নিরাপদ নয়। সন্ত্রাসীরা পুলিশের ছদ্মবেশে কিংবা বিভিন্ন কৌশলে ডাকাতি করছে! তবুও শুধু টাকা পয়সা - মালপত্র নিয়ে গেলে কথা ছিল, তারা যে ঘরে ঢুকেই বেধরক পেটায়। মহা-সমস্যা !
প্রতিদিনই খবর আসছে আজকে অমুককে কালকে তমুককে পিটিয়েছে। প্রায় সবারই অবস্থা শোচনীয় -মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। দু-য়েকজনের মৃত্যুর খবরও পেলাম!
তবুও বিপদ আপদের ভয়ে জীবন কখনও থেমে থাকেনা। রুটি রুজীর প্রয়োজনে বের হতেই হবে। তবুও মেট্রো বা বাসে নেহায়েৎ বিপদে না পড়লে চড়ি না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ট্যাক্সিতে যাতায়াত করি।
ব্যাবসায়িক প্রয়োজনেই তখন আমার নিয়মিত গন্তব্য ছিল ভে দে এন খাঁ (আমরা বলতাম বেদেন খা সঠিক উচ্চারনটা একটু কঠিন , রুশ ভাষায় ভি,দ্যা,এন,(খ)হা )উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা কয়েক'শ একরের বিশাল কম্পাউন্ড!
মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র থেকে শুরু করে মিউজিয়াম, বানিজ্য কেন্দ্র পার্ক সহ অনেক সরকারী গুরুত্বপূর্ন দফতর এখানে ছিল। কম্যিউনিজমের ভাঙনের পর এখন পার্কগুলোা বাদে সবকিছুই বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া খাটছে। এখানটায় এখন গেলে হয়তো বোঝা যাবেনা কম্যিউনিজমের পতনের পর মুর্খ রুশ শাসকরা কিভাবে নিজেদের হাতে নিজেদের গৌরবজনক ইতিহাসকে ধ্বংস করেছে!
‘কসমস’সেন্টার। রুশ জাতির গর্ব করার মত অনন্য সাধারন মিউজিয়াম ছিল এটি। যা ছিল অন্য আর দশ-পাচটি মিউজিয়াম থেকে সম্পূর্ন ব্যাতিক্রম। মিউজিয়ামের বাইরে বিশাল ওই চত্বওে ঢুকলেই প্রথমে নজরে আসবে দুটো অত্যাধুনিক বিমান আপনাকে স্বাগত জানাতে পাখা মেলে দাড়িয়ে আছে । হয়তো ওর শেষ যাত্রী আপনিই আপনাকে পেটে পুরেই ও উড়াল দিবে অনির্দিষ্ট গন্তব্যে। কাছে গেলে অবাক হবেন সত্যিকারের বিমান দুটোর পেটে রেস্টুরেন্টের সাইন বোর্ড দেখে। বিমান দুটোর পিছনেই দাড়িয়ে আছে সুচালু অগ্রভাগ উর্ধ্বমুখে রেখে দু'দুটো রকেটকে পিঠে করে দুটো রকেট বুষ্টার।
মহাকাশ ভ্রমনে যাবেন? ঠিক এমনই একখানা রকেটে করে চাঁদে গিয়েছিলেন নীল আর্মষ্ট্রং ,ইউরি গ্যাগারিন, এডউইন অলড্রিন। বিস্বয় ভরা চোখে সেদিকে কিছক্ষন চেয়ে থেকে একটা দ্বীর্ঘশ্বাস বুকের ভিতর চেপে রেখে শুভ্র ফেনিল পানির ফোয়ারাটা পেরিয়ে এগিয়ে যান মুল মিউজিয়ামের দিকে - বিশাল উচু গেট গলে ভিতরে ঢুকতেই আপনি থমকে দাড়াবেন চমকে উঠবেন সন্দেহ নেই!
অনেক দুর থেকে মাইকেল গ্যাগারিনের বিশাল পোট্রেট আপনাকে হাসিমুখে সন্ভাষন জানিয়ে মৃদু হেসে বলবে, আসুন আমাদের গর্বের ও মহান কর্মের ভাগীদার আপনিও হোন।
কি ছিলনা সেখানে। বিশাল বিশাল মহাকাশ যান থেকে শুরু করে মায় প্রথম মহাকাশচারী প্রানী ‘লাইকা’র মমি পর্যন্ত।
আর এখন সেখানে ইলেকট্রনিক্সের পাইকারী বাজার থেকে শুরু করে বাংলাদেশী ভাতের রেস্টুরেন্ট। মিউজিয়ামের অমুল্য ডেকোরশন পিসের কতকগুলো প্রশাসন সরিয়ে নিয়ে গেছে কয়েকটা চুরি গেছে আর বাকিগুলি এখানে পরে পরে নস্ট হচ্ছে। চারিদিকে ভাঙনের আভাস। স্যাতসেতে মেঝতে শত শত গর্ত ,ছাদ আর,দেয়ালের বর্ননা নাইবা করলাম। ইউরি গ্যাগারিনের ধুলি মলিন ছবিটা এখনো ওভাবে পরে আছে ।
বিষন্ন নয়নে সে চেয়ে চেয়ে দেখছে মহান সৃস্টির দুর্ভগ্যজনক পরিনতি!
আমার ও আমার বন্ধুদের বেশীরভাগেরই ব্যাবসাকি প্রতিষ্ঠানের অবস্থান ওখানেই। তখন শীতের শেষ, তবুও বাইরে যথেস্ট ঠান্ডা, বরফ গলে মাটির ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে সবুজ সতেজ প্রান। দিন বড় হচ্ছে আর রাত হ্রস্ব। পুরো রুশ জাতি গ্রীস্মের দীর্ঘ ছুটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আমাদের কাজ শেষে আড্ডা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হত ।
সেদিন কেন যেন সবাই মিলে একটু সকাল সকালই বের হয়ে পড়লাম । যাদেও নিজস্ব গাড়ি ছিল তারা 'কসমসে'র গেট হতেই বিদায় নিয়ে চলে গেল। আমাদের গাড়ি পেতে হলে ভেদেনখা'র চত্বর ছাড়িয়ে অনেকদুর হেটে প্রধান সড়কে যেতে হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, ভেদেনখার চত্বরে পূর্বে তালিকা-ভুক্তি ( সেজন্য উচ্চহারে ফি দিতে হত ) ছাড়া বাইরের কোন গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল। সেজন্য ইচ্ছেই হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক ঝড় বরফ আর বৃস্টিতে বাধ্য হয়ে আমাদের হাটতেই হত।
ভেদেনখার চত্বর থেকে বের হয়ে আমরা দশ বারজন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যে গল্প করতে করতে আগপিছু করে হাটছি । আমি আর জাকির (সিলেটি বন্ধু ) ছিলাম সবার পিছনে।
মুল সড়কে পৌছানোর মুখেই লক্ষ্য করলাম কাকে ঘিরে যেন আমার বন্ধুদের জটলা। বিপদের আঁচ পেয়ে আমরা দ্রুত কাছে গিয়ে দেখি বার-তের বছরের একটা রাশান ছেলে ওদের সাথে ভীষন হম্বিতম্বি করছে! পুরোপুরি মাতাল পিচ্চিটা হাত পা ছুড়ে তার বক্তব্য ওদের বোঝানোর চেস্টা করছে কখনো একে ওকে ধাক্কা দিছে কিংবা কলার ধওে ঝাকাচ্ছে।
আমি বাচ্চা ছেলেটার সাহস বা স্পর্ধ্বা দেখে দারুন অবাক হলাম সেই সাথে আমার তার এমন অসৌজন্যমুলক ব্যাবহারের প্রতিউত্তরে আমার বন্ধুদের নিরবতা ও চোখে মুখে ভীত সন্ত্রস্ত অসহায় ভাব দেখে কস্ট পেলাম। কিভেবে যেন নিজের পৌরুষত্ব জাহির করতে গিয়ে ওদেরকে সরিয়ে বুক ফুলিয়ে সামনে গিয়ে দাড়িয়ে ছেলেটার চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে?
লম্বায় সে আমার কাধ সমানও হবে না অথচ কি সাহস! প্রচন্ড ক্ষিপ্রতায় আমার জ্যাকেটের বুকের কাছটায় খামচে ধরে বলল ‘ও তুমি তাহলে রুশ জান!’
তার এমনতর কথা শুনে আমি হতবাক ‘এর মানে এরা এতক্ষন ছেলেটাকে বুঝাচ্ছিল যে তারা রুশ জানে না!
-কেন?’
আমি জ্যাকেট থেকে তার হাতটা ছাড়িয়ে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলাম ‘তা! কি হয়েছে?’
প্রতিউত্তরে সে একটু ক্রুর হেসে বলল, ‘এদেরেকে এতক্ষন ধরে বুঝাচ্ছি (বলতে বলতেই আমার পাশের বন্ধুটার গালে প্রচন্ড জোরে থাপ্পর মারল , সে গালে হাত দিয়ে পুরো ব্যাপারটাই হজম করে ফেলল যেন কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গী ) শালারা কিছুতেই বুঝছে না । আমার মদ খাবার জন্য কিছু টাকা লাগবে ?’
‘মানে ? তুমিতো এমনিতেই মাতাাল! কত টাকা চাচ্ছ?’
‘পাঁচশ রুবল?’ভঙীটা এমন যে যা বলার ফিক্সট বলে দিয়েছে এর থেকে এক টাকাও কমানো সম্ভব নয়।
-বল কি মদ খেতে পাচশ রুবল! (প্রায় শ’ডলারের উপরে। এত টাকার মদ দিয়েতো ওর বাপের শ্রাদ্ধ করা যায়।)
‘আমাদের কাছেতো এত টাকা নেই । তুমি বিশ রুবল নাও।’
‘কি?’( চিভো-)বলে চিৎকার করে)সে আবার আমার হাত চেপে ধরে রক্তিম চোখে চেয়ে হিস হিস করে বলল, ‘যা চেয়েছি তাই দিতে হবে।’
আমি ঝাকুনি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিতেই ... সে সময়টার ( সেকেন্ড পাঁচেক)কথা আমার মনে নেই । শুধু মনে আছে একটা কোলাহলের শব্দ ডান দিকে ফিরে তাকিয়ে দেখেছিলাম আট-দশটা রুশ ছেলে আমাদের লক্ষ্য করে দৌড়ে আসছে।
তাদের সবারই বয়স আঠারো থেকে বিশের কোঠায়। প্রত্যেকের পরনে আর্মিদের অনুরুপ পোষাক , মাথা কামানো। ওদের দৌড়ে আসার ভঙী দেখেই আমার মেরুদন্ড বেয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। মস্তিস্ক দ্রুত নির্দেশ পাঠাল পালাও!
ঠিক তখুনি ছেলেটা আবার আমার হাত চেপে ধরল। দুহাত দিয়ে সাড়াসির মত আকড়ে ধরে বলল ‘কই যাও? দাড়াও।
এবার আর আমি চেস্টা করেও নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারলাম না। অসহায় আমি সাহায্যের আশায় পাশের বন্ধুদের দিকে ঘুরে তাকাতেই দেখি কেউ নেই! সবাই ভেগেছে।
ছেলেগুলো ততক্ষনে একদম কাছে চলে এসেছে। আমি প্রানপন চেস্টা করছি নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিতে। এতটুকু পিচ্চির কি শক্তিরে বাবা! সে আমার হাত ধরে প্রায় ঝুলে পড়েছে। ঠিক তখুনি কে যেন আমার আরেকটা হাত চেপে ধরল। তাকিয়ে দেখি ওদেরই একজ ! এরাই ফ্যসিস্ট বর্নবাদী। দ্রুত সরিয়ে নেয়া মাথার পাশ দিয়ে প্রচন্ড ভারী একটা ঘুষি শীস কেটে বেরিয়ে গেল।
জীবন ও মৃত্যুর (হয়তোবা) মুখোমুখি দাড়িয়ে আমি তখন। ঠিক সেই সময়ে বিধাতার অশেষ করুনা যেন বর্ষিত হল আমার উপরে। কোত্থেকে অসুরের শক্তি এসে ভর করল আমার দু হাতে। এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উল্টো দিকে ঘুরে দৌড় দিলাম।
ভীষন ব্যাস্ত রাস্তাটা কেমন করে যেন দু'সেকেন্ড দৌড়ে পেরিয়ে খোলা প্রান্তরের দিকে এগিয়ে গেলাম-উদ্দশ্য মাঠ পেরিয়ে কোলাহল পূর্ণ এক রাস্তার দিকে এগিয়ে যাওয়া। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি একদল হিংস্র শার্দুলের মত ওরা সবাই মিলে একসাথে আমার পিছু ধেয়ে আসছে। মাত্র কয়েক মিটার পেছনে। আমার গতি একটু শ্লথ করলেই মুহুর্তে ওরা এসে ধরে ফেলবে...
পিচ্ছিল লাল কালো এবড়ো থেবড়ো মাটির পথ দিয়ে আমি প্রানপন চেস্টায় দৌড়াচ্ছি। আরো শ দুয়েক মিটার এগুলেই আরেকটা বড় রাস্তা পড়বে । দুর থেকে দেখছি পুলিশ বা ট্রাফিকের মত কাউকে। ওরা কতদুরে এখন আর ফিরে দেখার অবকাশ নেই।
..দৌড়াচ্ছি আমি ... আর সামান্য একটু পথ বাকি .. হ্যা পুলিশই তো .. একি! সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছে .. ঠিক তখুনি হঠাৎ পা হড়কে পরে গেলাম।
কাদা মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে তড়িৎ উঠে দাড়িয়ে পিছন ফিরে দেখি কেউ নেই! ভোজ বাজির মত উধাও! তার মানে পুলিশ দেখে ভেগেছে! উদভ্রান্তের মত রাস্তার কিনারে দাড়িয়ে কুকুরের মত বিশাল জিভ বের করে বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভীত চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখছিলাম আবার যদি অতর্কিতে এসে ঝাপিয়ে পরে!
ঠিক তখুনি কে যেন আমার নাম ধরে ডাক দিল। রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধুরা একটা ট্যাক্সিতে দরজা খুলে দাড়িয়ে আছে আমার অপেক্ষায় । তাদের সবার চোখে মুখেই আতঙ্কের স্পস্ট ছাপ!
...অবশেষে শেষ হল।
ফুটনোটঃএই ঘটনাটা যতটা সহজভাবে বর্ণনা করেছি ততটা সহজ মোটেই ছিলনা। রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া সবশেষের এই ঘটনাটা আমার মনের গভীরে বড় ধরনের দাগ কেটে যায়। সময়বিশেষ খানিকটা সাহসী আমাকে প্রচন্ড ভিতু করে তোলে। মৃত্যু ভয় আমাকে জেঁকে বসে। সেই ভয়াবহ স্মৃতি প্রতি মূহুর্তে আমাকে দাবড়ে বেড়ায়।' জন্মিলে মরিতে হবে' এইটে ধ্রুব সত্যি কথা -যার কোন ব্যাত্যয় নেই-কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর মৃত্যু কার কাম্য?
আগের পর্বের জন্য;
Click This Link
প্রথম পর্বের জন্য;
Click This Link
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: মনে হচ্ছে এই পর্বটা বেশ বড় হয়ে গেল- একবার মনে হল ভেঙ্গে দিই। কিন্তু মুল আবেদন হারাবে বলে একসাথে দিলাম।
কষ্ট করে পুরো লেখাটা পড়ে এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই 'বোকামন'।
আপনার প্রতিও রইল শুভকামনা। ভাল থাকুন।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: খারাপ লাগল পড়ে। কত খারাপ ছেলেগুলো।
ভাইয়া আল্লাহ আপনাকে সকল বালা মুসিবত থেকে রক্ষা করুক। দুয়া করি।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: ছেলেগুলো হয়তে খারাপ নয়-কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ তাদেরকে খারাপ কাজ করার জন্য প্রলুব্ধ করেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার জন্য মন খুলে দোয়া করার জন্য। আপনিও সব সময় ভাল থাকুন।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অহ মর্মান্তিক ...
ছোট বেলা থেকে রুশ অনুবাদ সাহিত্য পড়ে কেমন যেন আপন একটা দেশ ছিল , সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন ভেঙ্গে গেল , কেন যেন ব্যাপার টার ভয়াবহতা বুঝি নাই , একদিন পেপারে যখন পড়লাম, যে রুশ মেয়েরা প্রধান পেশা হিসেবে পতিতা হওয়াকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে ।
এক্কেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, অনেক কেঁদেছিলাম আমার গল্পের চরিত্র গুলোর কথা ভেবে ।
আপনার লেখা গুল পড়ে সপ্নের দেশ রাশিয়া র জন্য কষ্ট হয় ,
মানুষের জীবনের ভয়ঙ্কর সৃতি গুলো থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া কতটা কঠিন আমি জানি না, তবে আশা করছি, আমাদের সাথে কষ্ট গুলো ভাগাভাগি করে নিতে পেরে আপনি অনেক টাই ভাল বোধ করবেন ।
সত্যি বলছি আজকের লেখা টা পড়ে পূর্ণতা পেলাম তৃষ্ণা মিটল , আপনি কৃপণ এর মত এত ছোট করে শেষ করেন যে , পড়তে শুরু করার আগেই শেষ হয়ে যায় ।
শুভজন্মদিন প্রিয় লেখক
জন্মদিনে চমৎকার একটা লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্ দারুন লিখেছেনতো । এত সুন্দর মন্তব্যের উত্তরে কি লেখা উচিৎ ??? মাথায় আসছে না...
খুব সল্প সময়ের ব্যবধানে আমি রাশিয়ার তিনটে রুপ দেখেছি। পেরেস্ত্রোইকার কিছু সময় পরেও ঠিক আগের সেই কমিউনিজমের খোলসে গুটিয়থাকা সেই রাশিয়াকে- তারপরে প্রচন্ড দৈন্য দিশেহারা বিপর্যস্ত এক রাশিয়াকে আর সব শেষে চাকচিক্যময় পুজিবাদীর আগ্রাসনে সম্পূর্ণ সত্বাকে বিলিয়ে দেয়া রাশিয়াকে।
আমার এই ঘটনাগুলো ঘটেছিল বেশীরভাগই মাঝের সময়টুকুতে। বর্তমান রাশিয়অ আমার ভীষন অপছন্দের আর প্রথম সময়টুকুকে আমি ভীষন মিস করি। রাশিয়অ নিয়ে আমার প্রায় সবটুকু সুখের স্মৃতি সেই সময়টাতে। আমি বারবার বহুবার সপ্নের মধ্যে ফিরে ফিরে যাই সেই রাশিয়াতে।
আমার দূর্ভাগ্য যে, এইসব অঘটন গুলো আমার বেলায়ই ঘটেছিল কারোবা দুই যুগের অধিককাল রাশিয়ায় প্রবাস জীবনে এর এক দশমাংশও অঘটন ঘটেনি।
রুশীয় মেয়েরা পেরোস্ত্রইকার পরে কেন এমন জঘন্য আদিম পেশা বেছে নিল এর অন্তরালে অনেক গল্প আছে।কারন আছে আপাত নিরিহ রুশীয়দের হঠাৎ করে চরম উগ্র হয়ে যাবার।-সময় পেলে আর আপনারা চাইলে দু-চার ছত্র এ নিয়ে ভবিষ্যতে লিখবার আশা রইল।
আমাকে প্রিয় লেখক হিসেবে সম্ভাষন কার জন্য আমি কিছুটা বিব্রত!
জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য ফের অনেক ধন্যবাদ।এর পরে রাশিয়অ নিয়ে অনেক ভাল গল্প দেবার আশা রইল। তখন মনটা ভাল হবে নিশ্চয়ই...
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
অদৃশ্য বলেছেন:
তপন ভাই
ঘটনাটা রোমহর্ষক তাতে কোন সন্দেহ নেই, আপনার মতো করেতো আর অনুভব করতে পারবো না তবে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি সময়টা বুঝে নেবার...
ওটা ছিলো প্রকৃতপক্ষেই মৃত্যু ভয়... আর মৃত্যু ভয় কারো মাঝে ভর করলে তার অবস্থা কেমন হতে পারে তা আমরা মোটামুটি বুঝি...
রাশিয়ায় সেই সময়টা খুবই খারাপ ছিলো বোঝায় যাচ্ছে, আর বর্ণ বিদ্বেশ ওসব দএশে অতীতেও ছিলো এখনো আছে... আর এশিয়ানদের ভেতরে আমাদের মতো দেশের মানুষরাই বোধহয় সাদা চামড়াদের কাছে সব থেকে বেশি ঘৃনীত...
আপনার লিখা পড়ে ওইসব দেশ সম্পর্কে চরম হতাশা তৈরী হলো, আগেও শুনেছিলাম এমন অনেক কথা...
এই সিরিজটার শুরু থেকে শেষ অবধী আপনার কঠিন ও কষ্টকর এক জীবনের গল্প জানলাম... তা অনুভবের চেষ্টা ছিলো আন্তরিক ভাবেই, বোধহয় সে কারনেই আপনার কষ্টের কিছুটা আমার বা আমাদের মাঝেও ছড়িয়ে গ্যাছে... তবে শান্তনা এই যে, এতোকিছুর পরেও সেইসব অভিজ্ঞতার কথা আমরা আপনার মুখ থেকেই জানছি... এটাই আনন্দের...
অবশেষে শেষটা খুব সুন্দরভাবেই করতে পারলেন... এই সিরিজে যে মেসেজটা আমাদের দিতে চেয়েছিলেন তা আমরা পেয়ে গেছি...
দূর্দান্ত একটি সিরিজ শেষ করবার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো...
শুভকামনা...
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাপরে! এত বড়বড় মন্তব্যের প্রতিউত্তর ড়িয়ে গিয়ে দেখি আরো কয়েকটা পর্ব লেখা হয়ে যাবে। লেখালেখির ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষন কষ্টের। দু-চার ছত্র লিখতে গেলেই হাঁপ ধরে যায়!
কি দারুন গুছানো মন্তব্য করেছেন আপনি-লেখক হিসেবে আমার সৌভাগ্য যে আপনাদের মত সু-লেখক ব্লগাররা নিয়মিত পড়ে এমন সুন্দর মন্তব্য করেন।
কাগদাতো-ভ রাশিয়া আরো অনেক বড় কলেবরে লেখা যেত-রাশিয়ার তৎকালীন সামগ্রিক সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার একটা মোটামুটি চিত্র ফুটিয়ে তোলা যেত।কিন্তু আমি জানি ব্লগাররা অনেক বুদ্ধিমান-তারা অল্প কথায় অনেক কিছু ধরে ফেলতে পারেন- বিশদ ব্যাখ্যা মানে শব্দের অপচয়! ম্যাসেজটা ধরতে পারার জন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ।
কতটুকু সুন্দরভাবে শেষ করতে পেরছি জানিনা তবে শেষ করতে যে পারলাম সেইটেই বড় কথা
অনেক ভাল থাকুন আপনি সবসময়ের জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার প্রতিও।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
রবিউল ৮১ বলেছেন: ভয়ংকর।এখনও কি ওদের দেশে বর্ণ বিদেষ আছে?প্রশ্নটার কারন আমার নিকট আত্নীয় রশিয়া যেতে চাচ্ছে?
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এখনও আছে তবে খুব কম। এখন ওদের অনেক পয়সা হয়ে গেছে। আর এই আধা কালা আদমীরাও কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় যাবার উপক্রম!
পোটানোর মত লোক খুজে পায়না।
যে সময়ের কথা বলছিলাম তার শেষ ঘটনাটা এক যুগের অধিক সময় আগে ঘটে যাওয়া।যদিও রাশিয়ার পাততাড়ি গুটিয়েছি বহু বছর আগেই-তবুও যদ্দুর জানি(বন্ধুদের মুখে)এখন পরিস্থিতি অনেক ভাল।
ফ্যাসিজমের সমস্যা সব দেশেই টুকটাক আছে। ভয় নেই
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
তূর্য হাসান বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। শিশিরের জন্য খুব খারাপ লাগছে।
সিরিজটা সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য ধন্যবাদ। এবার কোন সিরিজ শুরু হচ্ছে? নতুন কিছু নাকি পুরনোটা?
হ্যাপি বার্ড ডে টু ইউ!!!
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: শিশির আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল-তবে ও খুব বেশী বেয়াড়া আর (দুঃ) সাহসী ছিল। মনে যা চাইত তাই করত কারো কথা শুনতো না।
ওর সাথে এর পরে আর কোন যোগাযোগ হয়নি। আমি এখনো ওকে ভীষন মিস করি।
পুরো লেখাটায় সাথে থাকবার জন্য আমি কৃতজ্ঞ- আপনাকে ধন্যবাদ।
এরপরে সম্ভবত 'রুস্কাইয়া ব্লুদা'র কয়েকটি পর্ব লিখব আবার 'আলকাশ' ও লেখা উচিৎ!
নতুন করে বলার জন্য অনেক গল্প আছে;
অনেক অনেক ভাল থাকুন। ধন্যবাদ আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
লাবনী আক্তার বলেছেন: শুভ জন্মদিন ভাইয়া! শুভ হোক জীবনের সবকিছু
আমারটা ২২ তারিখ গেল।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ফেসবুকে ব্লগে এতবেশী অনিয়মিত যে-প্রায় সবার জন্মদিন মিস করে যাই।
সময়তো অনেকটা গেল চলে -এখনতো জাবর কাটার সময় চলে আসছে
দেরিতে হলেও আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ভাল থাকুন।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১
ফ্রুলিংক্স বলেছেন: কঠিন সময় পার করেছেন। অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপেও একই অবস্হা হচ্ছে।
আপনার বসের কি হলো? শিশিরের সাথে দেশে দেখা হয়েছে??
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১১
শেরজা তপন বলেছেন: গুরুর কথা আপাতত ধোঁয়াশার মধ্যে রাখলাম। পরে তাকে নিয়ে সম্পূর্ন একটা গল্প লেখার ইচ্ছে রইল। লোকটা এখনো ওয়াচ-এর মধ্যে আছে
না ভাই শিশিরের সাথে আর হয় নাই। সেই ঘটনার পর থেকে ওর সাথে আমাদের পরিচিত কারোই কোন যোগাযোগ নেই।
ঠিক বলেছেন তেমনই খবর পাচ্ছি-কত তাড়াতাড়ি একটা দেশের ভাল মানুষগুলো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে..
ভাল থাকুন আপনি- পরের লেখাগুলোতে আপনার সঙ্গ কামনা করছি।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০
একাকী বালক বলেছেন: তপন ভাই শুভ জন্মদিন। অসাধারণ সিরিজ। মনটা খারাপ হয়ে গেল।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: এর থেকে বহুগুনে অসাধরন আপনাদের সরব সঙ্গদান।আপনাদের উৎসাহ উদ্দীপনা আর অকৃত্রিম ভালবাসা না পেলে আমি আমার কোন লেখাই কোনদিন শেষ করতে পারতাম না।
এরপরে মন ভাল করার গল্প আসছে মন খারাপ করার কিচ্ছু নেই!
শুভেচ্ছার জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর।
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
সবুজ সাথী বলেছেন: ধন্যবাদ তপন ভাই সুন্দর একটা সিরিজ উপহার দেওয়ার জন্য। এরপরে "আলকাশ" চাই।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আলকাশ' এর ভবিষ্যত নিয়ে আমি ভিষন চিন্তিত!
অনেকেই ভাবতে শুরু করেছে মিশু ক্যারেকটারটা নাকি আমিই!
আমি বারংবার প্রতিবাদ করেও তাদের ধারনার কোন হেরফের হয়নি!! কি আর করার গোঁজামিল দিয়ে মিশুকে একটা সাফ-সুতরো চরিত্র দেবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সেইটে করে পুরো গল্পটাই তার স্বকীয়তা হারিয়েছে হারিয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা।
কিন্তু মিশুর আসল চরিত্র নিয়ে লেখাতো বিরাট রিস্কের ব্যাপার- কি করি বলুনতো?
পুরো লেখাটায় আমার সঙ্গে থাকবার জন্য ধন্যবাদ- ভাল থাকুন নিরন্তর।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই পর্বটা ভয়ংকর। রূদ্ধশ্বাসে পড়লাম। আমরা বাঙালিরাও তো কম ভায়োলেন্ট না। আমাদের রক্তে গরম কম না। কিন্তু নিও নাজিদের সাথ পারা যায়না শুধুমাত্র শারিরীক কাঠামোর কারণে। এখন কি অবস্থা আপনার? মানসিক ধকল সামলে উঠেছেন?
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই হাসান মাহবুব, কাগদা তো-ভ রাশিয়া সহ আমার অধুনা সব লেথায় আপনারসহচর্য ও মতামত আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছে নতুন করে লেখার জন্য। আশা করি ভবিষ্যতেও এই সহযোগীতাটুকু পাব
(খারাপ হলে খারাপ বলবেন কোন দ্বীধা না করেই)বলে আশা রাখছি।
ঠিক বলেছেন-পুরো গল্পটায় আমি কয়েকটা ঘটনা ইচ্ছে করে বলিনি। ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইল। শরিরে দাগ খানিকটা আছে মনেরটাও পুরোপুরি মুছে যায়নি।তবে ভাল আছি এখন-আমি বারবার ফিরে যেতে চাই রাশিয়াতে-সেই দেশটাকে খুব বেশী ভাল বেসে ফেলেছিলাম।
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
ঝটিকা বলেছেন: বাবারে.... বেশ ভয় পেলাম। রাশিয়া মানেই আমার চোখে অন্য রকম ছবি ভেষে ওঠে। তাই আপনার সিরিজগুলো পড়ে খুব অবাক হয়েছি। টাকা ওয়ালাদের টাকা না থাকলে পশুর মত হয়ে যায়। তার উপর গলায় দুফোটা না দিতে পারলে আরো ক্ষেপাটে হয়ে যায় ওরা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে অনেককিছুই পাল্টে যায়! আমারও প্রথম দেখা সপ্নের রাশিয়ার সেই পরের সেই রাশিয়ার কোনই মিল নেই। তবে এখন আবার তারা পাল্টে গেছে অনেকখানি। যে ভয়ঙ্কর টালমাটাল আর টানাপোড়েন আর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দেড় যুগ সময় গিয়েছে- সেই সময়টাকে এখন তারা প্রানপনে ভুলতে চাইছে।
কমিউনিজমের সময়কালে বেশী টাকার প্রয়োজন তেমন ওদের ছিলনা-কারন বেশী টাকা ব্যাবহারের কোন রাস্তা ছিলনা। কিন্তু ক্যাপিটালিজম এসে সব কিছু পাল্টে দিল-তাইতো সবাই হন্যে হয়ে ছুটল টাকার পিছনে।
সবাই প্রায় টাকা কামানোর সহজ রাস্তাটাই বেছে নিল।
আমার কিন্তু কোন ক্ষোভ নেই সেই সময়ের রাশিয়ার প্রতি।
প্রতিটা পর্বে সঙ্গ দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই কাগদা তো-ভ রাশিয়া সিরিজটা শেষ হল, ভাইয়া ?? আপনার সাথে সাথে আপনার কষ্টের দিনগুলোর কথা শুনতে ভালো লাগছিল। আশা করি এবার বাকী সিরিজগুলোর প্রতি নজর দেবেন। চাই কি নতুন সিরিজ শুরু করবেন!! আপনার পোস্ট পেলেই আমাদের চলবে।
ভালো থাকুন।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: নতুন সিরিজ শুরু করার আগে ভাবছি 'রুস্কাইয়া ব্লুদার' আরো কয়েকটা পর্ব আর 'আলকাশ' শেষ করতে। তবে এখনো শিওর নই- এর মাঝেই হুট করে নতুন কোন লেখায় হাত দিতে পারি।
কাগদা তো-ভ রাশিয়অর পুরো সফরটাতে আপনার সঙ্গ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান অনুভব করছি। সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্য আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাকে সঙ্গে পাব।
ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।
অফটপিক: আপনার মন্তব্য দু'বার এসেছিল তাই একটা মুছে দিয়েছি।
১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
কালোপরী বলেছেন:
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: শেষ পর্বে আরো দু'য়েকটা হাসির ইমো আশা করেছিলাম...
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ...
কি ফাটাফাটি ক্লাইমেক্স, সাসপেন্স, থ্রিলার... একশন.....দারুন প্লট
(একজন মুভিমেকারের দৃষ্টি থেকে )
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। জাতিগত এই পরিবর্তন নিয়ে তাদের রাষ্ট্র কি ভাবে না?
সার্বিয়া বসনিয়ায় তাদের নৃশংসতা থেকেও তাদের নিষ্টুরতার আচ পাওয়া যায়!!
আর আমরাতো মন থেকেই ভোলাভালা, ভাবুক, বাউলিয়ানায় মাখামাখি বাঙালি... আমাদের এই সব সইবে কেন????
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: নিষ্ঠুরতার দিক দিয়ে কোন জাতি-ই বা কম কিসে। দূর্বল প্রতিরোধ করতে পারেনা বলে আমরা দূর্বলকে সন্ত ভাবি! সুযোগ পেলে সেই ভিতু-দূর্বল মানুষটি কিন্তু আবার চরম ভয়ঙ্কর হতে পারে।
আপনার এই ভোলাভালা ভাবুক টাইপটা আমার কাছে চরম ভন্ডামী মনে হয়।
রাশিয়ায় রুশীয়দের সরলতার সুযোগ নিয়ে কত বাঙ্গালী ছেলে তাদেরকে পথে বসিয়েছে-কিংবা কত শত মেয়েদেরকে বাধ্য করেছে পতিতাবৃত্তিতে নামতে সেকথা বলতে গেলে আরেকখান উপখ্যান হয়ে যায় যে ভাই!
সার্বিয়ানরা দূর্বল দেখে আজ ওদের কাছে মার খাচ্ছে-ওরা বেশ শক্তিশারী হলে যে এর থেকে ভয়ঙ্কর ভাবে রাশানদের পেটাবে না এটা আপনি কিংবা আমি হলফ করে বলতে পারিনা।
আমি হয়তো একটু কঠিনভাবে বলে ফেললাম, কিছু মনে নিবেননা।
আপনার মন্তব্যে কিন্তু আমি দারুন বিমোহিত হয়েছি। এমন করে মন্তব্য সবাই করতে পারেনা।
পরের লেখাগুলোতে সাথে থাকবার জন্য অনুরোধ রইল। ভাল থাকুন।
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩২
মুনসী১৬১২ বলেছেন: একটি অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী জাতির পতনকালের টানপোড়েনর চমৎকার চিত্র
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই মুনসী, ধন্যবাদ আপনাকে দারুন সুন্দর এমন মন্তব্যের জন্য। ছোট্ট অথচ বিশাল ক্যানভাসের এই মন্তব্য।
ভাল থাকুন সবসময়।
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
আরজু পনি বলেছেন:
আগের আরো পর্বে অনেক বিপদের কথা থাকলেও এটা মনে হচ্ছে অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে.........
সত্যিই খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা !
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা তাইতে ঘুরে ফিরে এটাকে শেষে এনে ঠেকিয়েছি!
আমার কষ্টগুলো আপনাকে ছুয়ে গেছে জেনে প্রীত হলাম।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন- আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।
১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: কি ভয়ংকর অবস্থা!!!
সুন্দর একটা বই শেষ করলে কেমন জানি লাগে মনে হয় শেষ হয়ে গেলো.....আপনার এই সিরিজটার বেলাতেও তেমন অনুভূতি হচ্ছে!
শুভেচ্ছা।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
আপনার অনুভুতি ব্যক্ত করার শব্দগুলো দারুন-মন ছুয়ে গেল।
আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪
রাসেল মাহমুদ মাসুম বলেছেন: এই ভাবে ছোটগল্পের মত শেষ করে দিলেন কাগদা তো-ভ রাশিয়া গল্প.। তৃষ্ণা যে মিটলো না ।
শুভ জন্মদিন !!! ভাল থাকবেন, অনেক ভাল
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেনরে ভাই,সতেরখানা পর্ব লেখার পরেও বলছেন এ কথা?!
আপনার তৃষ্ণা মেটানোর সাধ্য আমার নাইরে ভাই!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন সবসময়।
২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২
ছাসা ডোনার বলেছেন: সব মিলিয়ে সুন্দর হয়েছে রাব্বি, শুভ জন্মদিন !!!
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: এর আগে খুব বেশী জানার আগ্রহ হয়নি আপনার ব্যাপারে -কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আপনাকে আমি চিনি-খুব ভাল ভাবেই।
কেন? ওই নামটা ধরে ডাকলেন যে!খুব পরিচিত ডাক। ওই নামটার সাথেই আমার রাশিয়ার সব স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
সাইফুল ভাই-ভাল আছেন?আপনার রাশিয়ার জীবনের কত অভিজ্ঞতা! লেখেননা কেন দু-চার পাতা। এইভাবে কলম চেপে বসে থাকলে হবে?
সময় পেলে কথা হবে -ভাল থাকুন সবসময়।
২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেরজা তপন ভাই ...
আজ থেকে আজান দিয়ে আপনাকে মিশু ভাই ভাবা বন্ধ করলাম , তবুও প্লী্য আলকাশ সিরিজ আপনি আপনার মত করে শেষ করেন ।
মিশু ভাই মিশু ভাই ই , আর আপনি "শেরজা তপন "
চমৎকার কিছু সিরিজ এর অপেক্ষায় থাকলাম
আগ্রিম ধন্যবাদ সহ
শুভকামনা আপনার জন্য ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: 'অবশেষে অরিন্দম বিষাদে কহিলেন'!!
'আলকাশ' সিরিজ ত শুধু একা নয়-এর আরো দুটো সঙ্গী আছে।সব মিলিয়ে বিশাল কলেবরের লেখা। অনেক সময়ের প্রয়োজন।
দেখি খুব শীঘ্রি সময় করে উঠতে পারি কি না?
অপেক্ষায় থাকার জন্য আমি দারুন আনন্দিত। আপনার প্রতিও রইল শুভ কামনা। ভাল থাকুন।
২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০২
কালোপরী বলেছেন: এমন করে দ্রুত শেষ হবে কে ভেবেছিল !!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম...
২৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
ছাসা ডোনার বলেছেন: আমার নাম জানলে কেমনে? আসলে আমি তোমার সব লেখাই পড়ি। সবার কলম তো আর একরকম কাজ করে না। কেন রাব্বির সাথে যোগাযোগ নাই? ও তো দেশেই আছে। আমার ইমেইল [email protected] যোগাযোগ করো।আমি তো প্রতি বছর ডিসেম্বরে দেশে আসি, ফোন নম্বর দিয়ো আসলে যোগাযোগ করবো। ভাল থাকো। До свидания!!!!!!!!!!!!!
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
আপনি কিভাবে জানলেন যে, এটা আমি?
আগেই ধারনা করেছিলাম তবে কনফার্ম হলাম, ড. রমিতের করা মন্তব্য আর আপনার পুরনো পোষ্ট পড়ে বুঝলাম।
এটা আবার কোন রাব্বির কথা বলছেন?
অবশ্যই ফোন নম্বর দিব। আসলে নিশ্চিত দেখা হবে। আনিসের সাথে যোগাযোগ আছে নিশ্চয়ই। আপনাদেরকে মিস করি ভীষন!
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২২
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এক সময়ে মেধা আর প্রযুক্তিতে উন্নত একটা জাতির এরকম অবনতি খুবি দু:খ জনক। আমেরিকা পুরো শেষ করে দিল দেশটাকে।
আপনার লেখা বরাবরের মতো এবারো ভালো লাগলো। দেরীতে কমেন্ট করার জন্যে দু:খিত। আশাকরি ভালো থাকবেন আর অনেক ভালো ভালো লেখা উপহার দিবেন সবাইকে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই- তবে বুদ্ধিমান জাতিতো-খানিক সময়ের জন্য লাইনচ্যুত হলেও ঠিকই আবার লাইনে ফিরে এসেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পুরো লেখাটায় আমার সঙ্গে দেখে মন ভাল করে দেবার মত মন্তব্য করার জন্য।
ভাল থাকুন অনেক ভাল।
২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সিরিজ শেষ ! মন খারাপ ভাই ।
হায়রে কত কষ্ট ।
পরবর্তী সিরিজের অপেক্ষায় ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই মাহমুদ- সিরিজ অবশেষ শেষ হল! কষ্টের সিরিজ তাড়াতাড়িই শেষ হওয়া ভাল নয় কি? সুখের সিরিজ চলতে পারে দীর্ঘকাল...
অপেক্ষার জন্য ধন্যবাদ- আর বরাবরের মত লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞ।
ভাল থাকুন।
২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
এক্সপেরিয়া বলেছেন: বর্ণবাদ সব দেশেই আছে... সাদা চামড়া এদেশে আসলেও কিছু লোক ঠিকই উগ্র হয়ে যাবে... পুরো সিরিজটাই খালি কষ্টের কথার গেল... এবার অন্তত কিছুটা সুখের বলুন...
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ 'এক্সপেরিয়া'- হ্যা ভাবছি এবার সুখের কিংবা মজার কিছু লেখতে হবে। ম্যাড়ম্যাড়ে দুঃখ-কষ্টের কথা আর কাঁহাতক ভাল লাগে!
ঠিক বলেছেন এইটেই-তো বাস্তবতা। ভাল থাকুন-আমন্ত্রন রইল পরের লেখাগুলো পড়বার।
২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৩
আল ইফরান বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার লিখেছেন, তপন ভাই
অনেক সংগ্রামমুখর প্রবাসজীবনের একটা অংশের সুন্দর পরিসমাপ্তি আশা করেছিলাম, কিন্তু বর্নবাদের আগ্রাসী আচরনে সেটা হয়তো সম্ভব হলো না।
সাথে কিছুটা খারাপ লাগার অনুভুতি কাজ করে গেলো।
আপনি খুব সম্ভবত স্কিনহেডদের আক্রমনের মুখে পড়েছিলেন।
এই হোয়াইট সুপ্রিমেসির ভ্রান্ত কনসেপ্টের মায়াজালে আজ পশ্চিমা সমাজ অনেকটাই মোহাচ্ছন্ন, যার ছিটেফোটা আমার ভাইকেও সহ্য করতে হয়েছে জার্মানী কিছুদিন অবস্থান করার সময়।
যাই হোক, আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
বাদবাকী সিরিজগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই আল ইফরান।
'স্কিনহেড' নামটা কোনভাবেই মনে আসছিলনা। অনেক ধন্যবাদ ইনফর্মেশন দিয়ে সাহায্য করবার জন্য। তবে অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে এদের দাপট রাশিয়াতে এখন অনেক কম।
আপনার প্রতিও রইল শুভ কামনা। অনেক ভাল থাকুন সবসময়।
২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
ছাসা ডোনার বলেছেন: আনিস তো জার্মানে জান নিশ্চয়। হ্যা কথা হয়। ও দেশে তো এই বছর দুবার গিয়েছিল ,দেখা হয়নি? যাই হোক, ভাল থাক শুভ কামনায় শেষ করছি।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আনিসের সাথে আমার সবচেয়ে বেশী ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এখনো।
আপনি ভাল থাকুন সাইফুল ভাই। দেখা হবে শীঘ্রই...
২৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
মুহিব বলেছেন: ও মুখো আর যাস নে ভাই।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: মাথা খারাপ-আর কি ওমুখো যাই... চরম শিক্ষা হয়েছে!
৩০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪২
আরিফ শাহরিয়ার বলেছেন: ভীষণ সুন্দর প্রতিটা পর্বই! দারুণ! নিজের চোখে দেখছিলাম যেন সবই। ইউরোপে কিছুদিন কাটিয়ে আসার অভিজ্ঞতার কারণে কি না জানিনা- অনুভূতিগুলো ভীষণ পরিচিত মনে হচ্ছিলো। ধন্যবাদ তপন ভাই।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই আরিফ শাহরিয়ার, উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য দুঃখিত।
অনেক অনেক ভাল লাগল জেনে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।
ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।
৩১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
তুষার কাব্য বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা পড়ে আপনার স্পর্শকাতর মন দিয়ে অনুভব করার জন্য ধন্যবাদ।
পরের লেখাগুলো পড়ার অগ্রীম আমন্ত্রন রইল।
ভাল থাকুন।
৩২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩১
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: প্রিয় লেখক, আসন্ন ঈদের শুভেচ্ছা নিন।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন নিরন্তর!
৩৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১২
ধানের চাষী বলেছেন: খুব আনন্দের অথবা খুব বিষাদের অংশগুলো আপনার লেখায় সবচেয়ে ভালোভাবে ফুটে উঠে
আপনার সিরিজটা শেষ করলাম। কাকতালীয়ভাবে আমি বর্তমানে একজন রাশিয়ান লেখক (আন্তন চেখভ) এর গল্পের বই পড়ছি। একশ বছরেরও আগের লেখা গল্পগুলোতে রুশ জাতিটাকে সাদামাটা আর শান্ত মনে হয়।
আপনার এই শেষ পর্বটা যদি গল্পের লেখক পড়তেন তাহলে কি তিনি হতাশ হতেন !
চেখভ এর গল্পের মতোই পুরো পৃথিবীটাকে শান্ত, নিরিবিলি কিন্তু বিষাদময় ভাবতে ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন। আর আমাদের জন্য লিখবেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি মন্তব্যের উত্তরটা দেরিতে দেবার জন্য।
চেখভের রাশিয়ার মত রাশিয়াকে দেখেছি আমি এক সময়- কিন্তু পেরোস্ত্রোইকা নামক একটা ঝড়ে সব ওলট-পালট হয়ে গেল।সবকিছু ছন্নছাড়া ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল!
সেই রাশিয়াটাই এখন কালের পরিক্রমায় আবার থিতু হচ্ছে। কিন্তু পুজিঁবাদ মানুষকে ক্ষমতা আর অর্থ দেয় ঠিক তবে শান্তি দিতে পারেনা। চেখভের সেই রাশিয়াকে হয়তো আর কোনদিন-ই আমনরা দেখতে পারবনা।শুধু সেই সুন্দর দিনগুলোর কল্পনা করে জাবর কেটে যাব।
৩৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
অ্যানোনিমাস বলেছেন: কেমন আছেন তপন ভাই? খুব ভালো লাগলো পর্বটা। আপনার দৌড়ের অংশটুকু পড়বার সময় চোখে ভাসছিলো কোন হলিঊডি মুভির দৃশ্য। কতটুকু ভয়ংকর ছিলো সেটা আমার অনুমিত নাও হতে পারে। সেই সাথে একটু খারাপও লাগছে এই ভেবে যে সিরিজটা শেষ হয়ে গেল। শুভকামনা রাশি রাশি!!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক দিন পরে পড়লেন লেখাটা-আমারও প্রতি-মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেল। সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী! আপনাকে মিস করেছি- এইতো ভালই আছি। ধন্যবাদ আমার কুশল জিজ্ঞেস করার জন্য-শুভকামনার জন্য ফের।
আমার কষ্টটা এভাবে হৃদয় দিয়ে অনুভব করার জন্য রইল কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন।
৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়ে গেলাম..............
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক দেরিতে উত্তর দিলাম-কষ্ট নিয়েন না।
ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকুন।
৩৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: রাশিয়া সম্পর্কে ধারণা খানিকটা চেঞ্জ হল ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: সেই সময়টাতে ঠিক আমাদের এই সময়ের মত আপাত শান্ত রুশীয় মানুষগুলো কেমন যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। এখন অবশ্য পাল্টে গেছে -
৩৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
লিখেছেন বলেছেন: ভাই, আপনার ব্লগ এত দিন পরে কিভাবে নজরে পরল ভেবে চিৎকার করতে ইচ্ছা করছে।।
কত সব ভাল লেখা ব্লগে পরে আছে আমরা সেটা জানি ও না ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি -আনন্দে তো আমার উদ্বাহু নাচতে ইচ্ছে করছেরে ভাই
এমন মন্তব্য আমার মত একজন নালেখকের জন্য দারুন পাওনা।
ভাল থাকুন সারাক্ষন! আপনার মত এমন দু-চারখানা পাঠক পেলে বর্তে যাই...
৩৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
লিখেছেন বলেছেন: আমার মেরুদন্ড বেয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল।
আপনি কি মাসুদ রানা পরতেন ?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
শেরজা তপন বলেছেন:
ছোট বেলায় আমি দস্যু বনহুর পড়তাম নিয়মিত! মাসুদ রানা পড়ি অনেক পরে- কলেজে উঠে...
৩৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩১
আকন বিডি বলেছেন: বস অনেক আগে পড়ছি। আবার পড়লাম। তার এখন অবস্থা কি?
২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় বলতে বলতে এতদুর এসে গেছেন!!!
তার বলতে কার কথা বোঝাচ্ছেন? শিশির হলে বলব; আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ নেই।
আমি ভীষন ( হবে দারুন) আপ্লুত হলাম আপনাকে এই পাতায় দেখে।
আমাকে 'বস' সম্বোধন বলার আগে আমার 'গ্রামীন ফোনের সেকাল একাল'টা পড়বেন।
৪০| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৬
আকন বিডি বলেছেন: সেটাও পড়ছি।
২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেবার জন্য ভীষন দুঃখিত।
ধন্যবাদ আপনাকে
৪১| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১:০১
আমি সাজিদ বলেছেন: অবশেষে এই সিরিজটা শেষ করলাম। কেমন এক অদ্ভুত অনুভূতি।
২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই সাজিদ,
আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ- এত বড় একটা সিরিজ পড়ার জন্য।
আপনার ভাল্বাসা ও আন্তরিকতায় আমি অভিভুত।
আশা করি সবসময় এভাবে সাথে থেকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরনা দিবেন।
ভালবাসা রইল। ভাল থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
বোকামন বলেছেন:
হ্যাঁ ! বুঝতে পারছি-সহজ মোটেই ছিলনা .....
মনটা ব্যাথিত হলো লেখাটি পড়ে। কিছু কিছু ঘটনার সাক্ষী হয়ে আমরা তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি ভবিষ্যতের জন্য.....।
আপনার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো :-)
[১+]